রাজনীতি
শাসনের নামে অনেক শোষণ দেখেছি, আমরা সৎ শাসক চাই: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা অনেক শাসন দেখেছি। এগুলো শাসন ছিল না, ছিল শোষণ। আমরা সৎ শাসক চাই, কোরানের শাসন চাই।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে স্থানীয় চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসা ময়দানের পথসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত এবং শোকাহত পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তিনি খুলনা আসেন।
জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে দুই বার অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘সেদিনই তো আমি চলেই গিয়েছিলাম। দ্বীনের পথে লড়তে চাই জীবনের শেষ পর্যন্ত, আর বিদায় নিতে চাই শহিদ হয়ে। রক্তের চাদর গায়ে দিয়ে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই। বলতে চাই, ইয়া মাবুদ বাংলাদেশকে তুমি কোরানের শাসন দাও।’
বক্তৃতায় জামায়াতের আমির বলেন, ‘মাওলানা আবু সাঈদ ইসলামী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহিদ হয়েছেন। চব্বিশের আন্দোলনে আমাদের সন্তান আরেক আবু সাঈদ শহিদ হয়েছে। তোমার দ্বীন কায়েমের জন্য আর যতো আবু সাঈদকে প্রয়োজন তুমি কবুল করে নাও।’
আরও পড়ুন: উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছি: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, ‘গতকাল সামরিক বিমান বিধবস্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ইন্তেকাল করেছেন। ডাক্তাররা বলছেন আরও ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যারা হাসপাতালে আছেন আল্লাহ তাদের সুস্থ করে তুলুন। তাদের আপনজনের বুকে ফিরিয়ে দিন।’
দাকোপ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মো. ওয়াহিদুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এর আগে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সকাল ১০ টার দিকে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার চালনার বি এম গ্যাস কোম্পানির হেলিপ্যাডে অবতরণ করন। সেখান থেকে দাকোপ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির শহিদ মাওলানা আবু সাঈদের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
পরে তিনি চালনা সরকারি পৌর কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত করেন। দুপুরে বি এম গ্যাস কোম্পানির হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারযোগে আমিরে জামায়াত পাবনার ঈশ্বরদীতে শহিদ মোস্তাফিজুর রহমান কলমের বাড়ির উদ্দেশে দাকোপ ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জামায়াত আমিরের
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ-এ যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গার চৌরাস্তা মোড়ে শনিবার (১৯ জুলাই) রাত পৌনে ৩টার দিকে রয়্যাল পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাসের ধাক্কায় দাকোপ উপজেলা আমির মাওলানা আবু সাঈদ (৫২) মারা যান। এ সময় গুরুতর আহত হন জামায়াত কর্মী মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চালনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।
১৬০ দিন আগে
চট্টগ্রামে শিবির-ছাত্রদল সংঘর্ষে আহত অন্তত ২০
চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজারে ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক ব্যক্তিকে থানায় দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ শিবিরকর্মীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফাহিম নামের এক শিবিরকর্মীকে মারধরের ঘটনায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাতে নগরীর চকবাজার থানার গুলজার মোড় ঘিরে অবস্থান করেন ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আর চকবাজারের কাঁচাবাজার মোড়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশাহর নেতৃত্বে বিএনপির কর্মীরা অবস্থান নেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ১৭ ছাত্রদল-যুবদল নেতাকর্মী কারাগারে
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দাবি করেছে, মহসিন কলেজের ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা ছাত্রদলের নেতাদের ওপর হামলা করেছেন।
অন্যদিকে, ছাত্রশিবির এক বার্তায় জানিয়েছে, এক জুলাই যোদ্ধাকে থানায় দিয়েছিল ছাত্রদল। এর প্রতিবাদ করলে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা মিলে শিবির, শিক্ষার্থী ও পুলিশের ওপর হামলা করেছেন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল কবির বলেন, ‘ছাত্রদল এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ বলে মারধর করে থানায় সোপর্দ করে। শিবির ওই ছাত্রকে তাদের কর্মী দাবি করে থানায় যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবিরের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা উভয়পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি এবং এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
১৬০ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ট্রেসি এ্যান জ্যাকবসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকাস্থ দূতাবাসের চার্জ দ্যা এ্যাফেয়ার্স রাষ্ট্রদূত ট্রেসি এ্যান জ্যাকবসন।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর মগবাজারের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারা বৈঠক করেন।
এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তা জেমস স্টুয়ার্ট।
বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জামায়াতের প্রেস উইং।
বৈঠক শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশেষ করে সংস্কার, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন। আমাদের এ অঞ্চলে যে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে—সে ব্যাপারে উনারা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব বিষয়ে তাদের অবহিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট বলে দিয়েছি যে, আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাচ্ছি। আমরা মৌলিক সংস্কার চাই। বাংলাদেশে আর যেন কোনো দুর্বৃত্তায়ন ও চাঁদাবাজির রাজনীতি ফিরে না আসে—সে ব্যাপারে আমরা শূন্য সহনশীল ভূমিকায় আছি। আমরা দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ডা. তাহের বলেন, আমাদের অবস্থান সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে আছে। আমরা এটাও বলেছি যে, আমাদের বৈদেশিক নীতি হলো—সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। একটা প্রজন্মগত মানের যে তত্ত্ব ও ধারণা যেভাবে কাজ করে—আমরা সেভাবেই কাজ করতে চাই। এটি হতে হবে পারস্পরিক সম্মানসূক বোঝাপড়া ও যোগাযোগের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটাও বলেছি যে, সকল প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অধিকারসহ অনুকূল পরিবেশে ভালো প্রতিবেশীর যে নীতি ও কৌশল রয়েছে—আমরা সেটাতে বিশ্বাস করি। মৌলিকভাবে এই কয়েকটি বিষয়ের উপর আলোচনা হয়েছে।
পড়ুন: উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছি: জামায়াত আমির
১৬১ দিন আগে
ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে সমাবেশ স্থগিত করল এনসিপি
রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে বহু হতাহতের ঘটনায় ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ স্থগিত করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকাল ৫টার দিকে এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইহসানুল মাহবুব জোবায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘উত্তরায় মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পর পুরো জাতি শোকাহত। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা খাগড়াছড়ির কর্মসূচি শেষে ফেনীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে অনেক নেতাকর্মী ফেনীর সমাবেশস্থলে পৌঁছেও গিয়েছিলেন। তবে এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা সমীচীন নয়।’
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা এরমধ্যে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আগামীকাল নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিও স্থগিত করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত ও ১৬৪ জন আহত হয়েছেন। বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম মারা গেছেন।
১৬১ দিন আগে
রাজনৈতিক স্বার্থে শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করার আহ্বান তারেকের
জাতীয় নির্বাচন ব্যাহত করার লক্ষ্যে ধূর্ত কৌশলের মাধ্যমে সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা না করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে পেশাজীবী পরিষদের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নির্যাতনের শিকার শহীদ এবং পেশাজীবী পরিবারগুলোর সম্মানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে বলছি, যারা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন এবং জনগণের অধিকার রক্ষার কাজ করার পরিবর্তে রাষ্ট্র ও সরকারের উপর নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে বিভিন্ন প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করছেন—তাদের প্রতি আমি বিনীত আবেদন জানাতে চাই, দয়া করে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না।’
তারেক অভিযোগ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নির্দিষ্ট মহল ক্ষমতায় তাদের প্রভাব ধরে রাখতে, সরকারকে প্রভাবিত করতে এবং বিভিন্ন উপায়ে তাদের নিজস্ব সুবিধা নিশ্চিত করতে চায়। ‘তারা কৌশলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। এটি এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে এবং সমাজের সকল স্তরের মানুষ এ বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছে।’
পড়ুন: উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় তারেকের শোক
বিএনপি নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব কোনো একক গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক দলের নয়, কারণ সর্বস্তরের মানুষ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন। চলমান রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ও মেরুকরণের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের আত্মত্যাগ আমরা যেন ভুলে না যাই।’
তারেক আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে প্রতিদিন নতুন নতুন দাবি উঠলেও জাতিকে শহীদদের আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘শাসকরা হয়তো বদলে গেছেন, কিন্তু শাসনের প্রকৃতি একই রয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। জনগণের মধ্যে যদি এই ধরনের ধারণা তৈরি হয়—তাহলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের প্রক্রিয়ায় এটি একটি গুরুতর সংকট তৈরি করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এজন্যই আমি বারবার বলতে চাই, ফ্যাসিবাদের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, জাতির বীর সন্তানদের প্রতি আমাদের ঋণ শোধ করার এখন সময় এসেছে।’
পড়ুন: রাজনীতিতে সমস্যা থাকবে, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই: ফখরুল
বক্তব্যের শুরুতেই তিনি রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) একটি প্রশিক্ষণ বিমানের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, তিনি ইতোমধ্যেই দলীয় নেতা-কর্মীদের হতাহতদের পাশে দাঁড়ানোর এবং আহতদের সকল প্রকার সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মর্মান্তিক ঘটনার কারণে অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য না দিয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
১৬১ দিন আগে
উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় তারেকের শোক
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) এক শোক বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত ও বেদনার্ত হয়েছি। এই ঘটনায় সারা জাতি শোকে মুহ্যমান। মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক এই বিমান দুর্ঘটনায় শোক জানানোর ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি।’
পড়ুন: মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
তিনি আরও বলেন, আমি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন সেইসব শোকার্ত পরিবারগুলোকে সন্তান হারানো কিংবা আহত হওয়ার ঘটনায় ধৈর্য ধারণের ক্ষমতা দান করেন।
আজকের বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তারেক রহমান। বলেন, ‘আমি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থী যারা গুরুতর হয়ে হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছে—তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।’
১৬১ দিন আগে
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত আছি: জামায়াত আমির
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতদের সহযোগিতায় জামায়াতে ইসলামী ২৪ ঘণ্টা প্রস্তত আছে বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে জাতীয় বার্ণ ইন্সটিটিউটে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পরিদর্শনে গিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা এখানে এসে আহত পেয়েছি ৫১ জনকে। এর মধ্যে সাত-আটজন বাদে বাকি সবার অবস্থা গুরুতর।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এখানকার কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছি- যা কিছু লাগে আমরা আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা দু পায়ে দাঁড়িয়ে প্রস্তুত আছি।
তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছেন আপাতত যা প্রয়োজন- তা পর্যাপ্ত আছে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করবেন।
তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আল্লাহ যেন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা সন্তানদের সুস্থ করে দেন। আহত ও নিহতদের অভিভাবকদের ধৈর্যধারণের জন্য দোয়া করেন জামায়াত আমির।
পড়ুন: উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জামায়াত আমিরের
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকটি পরিবারে যাওয়ার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, চিকিৎসক ও অভিভাবকদের সহযোগিতা করার জন্য তাদের সঙ্গে আমরা গায়ে গায়ে লেগে থাকব। ছাত্রশিবিরও পাশে আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জামায়াত আমির বলেন, চিকিৎসা অঙ্গনের দলের সমস্ত জনশক্তিকে সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আমাদের যা দরকার সবকিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত। এর বিনিময়ে আল্লাহ যেন আহত ও পুড়ে যাওয়া আমাদের কলিজার সন্তানগুলোকে আমাদের বুকে আবার সুস্থ হালতে ফিরিয়ে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ প্রমুখ।
১৬১ দিন আগে
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে মির্জা ফখরুলের শোক
রাজধানীর উত্তরায় মাইলষ্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে অসংখ্য অনেক শিক্ষার্থীর হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২১ জুলাই) এক শোক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলষ্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনায় শোক জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি, আল্লাহ যেন তাদেরকে এই বিশাল শোক সহ্য করার ক্ষমতা দান করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। আমি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং যে সমস্ত শিক্ষার্থী আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
১৬১ দিন আগে
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জামায়াত আমিরের
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যা্ন্ড কলেজ ক্যাম্পাসের ওপর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সর্বস্তরের জনশক্তি ও এলাকাবাসীকে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ ও আহতদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহায়তার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে নিজের ফ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।
এতে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তা'য়ালা নিহতদের ওপর রহম করুন, ক্ষমা করুন ও এদের প্রত্যেককে শাহাদাতের মর্যাদা দিয়ে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন। আহতদের আল্লাহ তায়ালা দ্রুত পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করে তার অপরিসীম নিয়ামতে সিক্ত করুন।’
নিহতদের আপনজন, প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আল্লাহ তা'য়ালা উত্তম ধৈর্য ধারণের তাওফিক কামনা করেন জামায়াত আমির।
১৬১ দিন আগে
রাজনীতিতে সমস্যা থাকবে, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই: ফখরুল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে হতাশ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের দল বহুত্ববাদকে ধারণ করে একটি রেইনবো স্টেট গঠনের স্বপ্ন দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, এখানে একজন শহীদের পিতা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন যে, আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থানের পরে অতিদ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হবে, রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি হবে, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারব।
‘বিষয়টা হচ্ছে যে, রাজনীতিটা অত সহজ পথ নয়, গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো থাকে না, এখানেও সমস্যা থাকবে, সেটাই রাজনীতি। কিন্তু এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভিন্নমত থাকবে, বহুমাত্রিক পথ থাকবে, কেউ গণতন্ত্রের বিশ্বাস করবে, কেউ সমাজতন্ত্রের বিশ্বাস করবে, কেউ আপনার ওয়েলফেয়ার স্টেটে বিশ্বাস করবে। সবগুলোকে মিলিয়ে সেই রকম একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করা হবে, অনেক আগেই আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ‘
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির দেওয়া অতীতের ৩১ দফা সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১দফা দিয়েছেন, সেই দফার মধ্যে আজকে যে সংস্কারের প্রশ্নটা উঠেছে, সংস্কারের যে প্রস্তাবগুলো আসছে তার প্রত্যেকটি প্রস্তাব আমরা ২০২২ সালে দিয়েছি।’
জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতি নিয়ে যে সংকট প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান বিএনপির এই নেতা। উদ্ভূত সমস্ত সংকট এড়াতে অন্তর্বতীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ দেবে বলেও প্রত্যাশা রেখেছেন তিনি।
জুলাই আন্দোলনে শহিদের সংখ্যা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সেই বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে চাই না। আমার কতজন শহীদ হয়েছেন, আমার কতজন নিহত হয়েছেন, আমরা কত ত্যাগ স্বীকার করেছি, কারা কী কাজ করেছি এই বিতর্কে আমি যেতে চাই না।
‘কারণ ওটা আমার কাছে মনে হয় স্বার্থপরতার একটা ব্যাপার আছে। আমার দায়িত্ব হচ্ছে এই জাতিকে আমাকে উপরে তুলতে হবে।যে প্রাণগুলো গেছে, যারা জীবন দিয়েছে তারা কিন্তু জীবন দিয়েছে ঘোষণা করেই দিয়েছে যে, আমরা ফ্যাসিস্টকে সরাবো, জাতিকে একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।’
সত্যিকার অর্থে একটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ যেন সুস্থভাবে স্বাধীনভাবে কমফোর্টেবল ওয়েতে স্বস্তির সঙ্গে যেন চলাফেরা করতে পারে সেই ধরণের একটা রাষ্ট্র চাই।
মির্জা ফখরুল আশা করেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা তারা রক্ষা করবে।
‘সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের একটা সরকার তৈরি করতে পারব। যে সরকার আমার এই শহিদদের মূল্যায়ন করবেন, তাদের মর্যাদা দেবেন, একই সঙ্গে যেজন্য সংগ্রাম করেছেন বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবার সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করবে।’
এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ চার শহিদের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস, বাদলুর রহমান বাদল, সাইফ আলী খান, মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাহিদুল ইসলাম রনি, শফিকুল হক সাজু ও হাসনাইন নাহিয়ান সজীবসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা কখনোই ক্ষমা পাবে না: মির্জা ফখরুল
১৬২ দিন আগে