রাজনীতি
বিভ্রান্তির রাজনীতির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
সব সময় বিভ্রান্তিকর রাজনীতি করা একটি দল এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
তিনি শুক্রবার (১৮ জুলাই)এক সমাবেশে বলেন, ‘তারা একসময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, পরে জনগণ বা তাদের অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তারা এখন গোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমি তাদের নাম বলব না- আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কাদের কথা বলছি।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক পদযাত্রার বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার উপর জোর দেওয়া দলগুলোর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের একটি খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি তুলছেন - তাদের একটি খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।’
চরমোনাইর পীরের প্রতিষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ না করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে দলটি ১৬ বছর ধরে হাতপাখা (আইএবির নির্বাচনী প্রতীক) দিয়ে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছিল, তারা এখন দাবি করছে যে পিআর ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়।’
জামায়াতের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবসময় বিভ্রান্তিকর রাজনীতিতে লিপ্ত থাকা আরেকটি দল তাদের (আইএবি) সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই পিআর ব্যবস্থা বোঝে না।
তিনি বলেন, একজন প্রার্থী একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয় এবং সংসদ সদস্য (এমপি) হয়—জনগণ এমন একটি ব্যবস্থাকে বোঝে। সেই সংসদ সদস্য জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করেন এবং আইন প্রণয়নে অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিন্তু পিআর ব্যবস্থায়, আপনি মিরপুরে আমিনুলকে ভোট দিতে পারেন এবং সন্দ্বীপের বাবুলকে আপনার এমপি হিসেবে পেতে পারেন। এই দেশের মানুষ এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জানে না এবং চায়ও না।’
সালাউদ্দিন বলেন, আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করা হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক ক্ষমতা তাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে বিবেচনা করি। আপনাদের একমাত্র দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কোনো কর্তৃত্ব আপনাদের নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সুতরাং, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন, তারাই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন।
১৬৩ দিন আগে
ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায়: ডা. এজেড এম জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায়।
দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারা ও তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপচেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকায় পেশাজীবীদের মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন প্রদক্ষিণ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র করে চোরাই পথে কেউ কেউ আগামীতে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে, জনগণ তা মেনে নেবে না। তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসা করা হয়েছে। এটা রাজনীতির ভাষা নয়, এটা স্বৈরাচারের ভাষা।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ১৮ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফেরত পেতে লড়াই করছেন। এখনও সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনও ফ্যাসিবাদের দালালরা বসে আছে। তাদের তাড়াতে হবে। মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে। তিনি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালা কানুন বাতিল, জাতীয় নেতাদের চরিত্র হননের নোংরা রাজনীতি ও গণতন্ত্র নস্যাতের চক্রান্ত বন্ধ এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
মিছিলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সৈয়দ আলমগীর এমবিএ, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া ও জাকির হোসেন, সাবেক সচিব আবদুল বারি, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামিম, চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, জাহানারা সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, কৃষিবিদ ড. শফিকুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, মুরসালিন নোমানী, রাশেদুল হক, সাঈদ খান ডা. হারুন উর রশিদ রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন, ডা. লুৎফর রহমান লিটন, একে এম মূসা লিটন, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, কামরুজ্জামান কল্লোল, এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, আমিরুল বারি কানন, তানভিরুল আলম, খাজা মাইনুদ্দিন মঞ্জু, দবিরউদ্দিন তুষার ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৬৩ দিন আগে
চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
চট্টগ্রাম শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা বিবৃতি এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
এতে দলটি বলেছে, ‘চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বিএনপি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। সেখানে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।’
দলটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
একই সঙ্গে বিএনপি স্থানীয় প্রশাসনকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং মিথ্যা মামলা ও চাঁদাবাজি থেকে নিরীহ ব্যবসায়ীদের রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে।
পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে যেন নির্বাচন না হয় তার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘রাজধানীর পরে, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর। বন্দর নগরী হিসেবে, চট্টগ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বেশিরভাগ ব্যবসা-বাণিজ্য এখান থেকেই পরিচালিত হয়। তাই, বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য এই শহরে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি অপরিহার্য।’
দলটি বলেছে, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বর্তমানে মিথ্যা মামলা এবং ব্যাপক চাঁদাবাজি ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার করছে, যার ফলে চট্টগ্রামে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এমন খারাপ পরিস্থিতি ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যদি এটি অব্যাহত থাকে—তাহলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়তে পারে।’
১৬৩ দিন আগে
ফ্যাসিবাদ-মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে: এনসিপি
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লড়াইয়ের সময় গোপালগঞ্জে হামলা হয়েছে। আরও ১০ জায়গায় হামলা হলেও আমাদের দমন করা যাবে না।
তিনি বলেন, সামনে আরেকটি লড়াই আছে। লড়াইয়ে মুন্সীগঞ্জবাসীকে পাশে চাই। শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সুপার মার্কেটে এনসিপির পথসভায় বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ বলেন, ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ফ্যাসিবাদ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। তিনি বলেন ‘ভবিষ্যতের নির্বাচনে প্রবাসীরা যেন ভোট দিতে পারে, তা আমরা নিশ্চিত করব।’ মুন্সীগঞ্জের নদী ভাঙন, অবৈধ বালু দখলসহ নানা অনিয়ম বন্ধে কাজ করার আশ্বাসও দেন এই নেতা।
সভায় সারজিস বলেন, ফ্যাসিবাদ নির্মূল না হলে দেশ স্বাধীন হবে না। শুধু গোপালগঞ্জে নয়, যেখানেই ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীরা থাকবে, সেখানেই ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে প্রতিরোধ করতে হবে। দেশের বাইরে থেকে যারা হত্যার পরিকল্পনা করছে তাদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘হাসিনার বিচার করতে হবে। তার মৃত্যুদণ্ড দেখে মরতে চাই।’
পড়ুন: গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় ও গ্রামে গিয়ে কর্মসূচি করবো: নাহিদ ইসলাম
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন নেতানির্ভর নয়, নীতিনির্ভর রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী মাসের ৩ আগস্ট জাতীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব।
পথসভায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সবাইকে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে মুন্সীগঞ্জ শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি পদযাত্রা সুপার মার্কেটের শহীদ চত্বরে এসে যোগ দেয়।
১৬৩ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে এনসিপির তোরণে অগ্নিসংযোগ
নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি তোরণে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এনসিপির পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী সারা দেশে ‘জুলাই পদযাত্রা’ শুরু করেছে এনসিপি। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই আজ (শুক্রবার) দলটির নেতাকর্মীদের নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার কথা রয়েছে। শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে জুলাই পদযাত্রা শুরু করবেন তারা। কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনকে ঘিরে ওই তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় ও গ্রামে গিয়ে কর্মসূচি করবো: নাহিদ ইসলাম
এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আহমেদুর রহমান তনু বলেন, ‘মধ্যরাতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে আমাদের একটি তোরণ পুড়ে গেছে। পরে নাইটগার্ড এসে বাধা দিলে তারা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে আমাদের সংগঠকরা ঘটনাস্থলে যান এবং পুলিশকে অবহিত করেন। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, ‘সকালে আমরা ঘটনাটি শুনেছি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি নিশ্চিত নয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
১৬৪ দিন আগে
পাঁচ আগস্টের আগে মব জাস্টিসের সংস্কৃতি ছিল না: জাহিদ হোসেন
গত বছরের পাঁচ আগস্টের আগে বাংলাদেশে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কিংবা মব জাস্টিসের সংস্কৃতি ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপি-ঘনিষ্ঠ পেশাজীবী জোটের সমন্বয়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ হোসেন বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের আগে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা মব জাস্টিসের সংস্কৃতির সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। এখন শিশুদের কাছেও এই শব্দগুলো পরিচিত। অনেকেই ২৮ অক্টোবর পল্টনের সেই মর্মান্তিক ঘটনার কথা বলবেন, কিন্তু মানুষ অতীত থেকে শিক্ষা নেয়।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন-বায়তুল মোকাররম এলাকায় লগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা জামায়াত-শিবিরের ৬ নেতাকর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ২৮ অক্টোবর ছিল বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিন। সেদিন ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে অস্ত্র তুলে গুলি এবং মানুষ পিটিয়ে মারার ঘটনা গভীর আলোড়ন তুলেছিল। ২৮ অক্টোবরের আগের দিন এবং পরের দিনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় রক্তক্ষয়ী রাজনৈতিক সংঘাত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে যেন নির্বাচন না হয় তার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে চলা ভোট ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে চূড়ান্ত রূপ নেয়। যেটি ফ্যাসিস্টদের পালাতে বাধ্য করে। জনগণকে দাবি আদায়ে আর রাস্তায় নামতে হবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, আমরা লক্ষ করছি, ১১ মাস পার হয়ে গেলেও অনেকেই আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে কর্তৃত্ববাদী মানসিকতা লালন করছেন। সুপরিকল্পিতভাবে নানা ষড়যন্ত্র চলছে।
এ কারণে জনগণ ন্যায্য বিচার নিশ্চিতে বিগত সরকাররে আমলে ধ্বংসপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগকে দ্রুত পুনর্গঠন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি গণতন্ত্রও বটে। আমরা বারবার বলেছি ৫ আগস্টের ঐক্য নষ্ট কোরো না। পালিয়ে যাওয়া পতিত ফ্যাসিস্টরা তোমাদের ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তোমরা শুনলে না। তাই অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে একদল মানুষ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসিত ভাষায় কথা বলছে। এমনকি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গকারী আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়েও সামাজিকমাধ্যমে বিদ্রুপ করেছে। এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা নয়, এটা ফ্যাসিস্টদের ভাষা।
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টদের হাতে প্রচুর লুটের টাকা আর অবৈধ অস্ত্র আছে। তাই তারা প্রকাশ্যে হামলা চালাচ্ছে।
আগামী নির্বাচনের তারিখ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে লুকোচুরি খেলা বন্ধ করুন। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। জনগণ যাকে উপযুক্ত মনে করবে, তার হাতেই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দেবে।
১৬৪ দিন আগে
ফেব্রুয়ারিতে যেন নির্বাচন না হয় তার ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, গোলমাল তখনই শুরু হলো যখন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা ঠিক হলো। অর্থাৎ তাদের কথা হলো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু এদেশের মানুষ বারবারই সংগ্রাম করেছে। তাদের যেটা দাবি, সে দাবি আদায় করে নিয়েছেন এবং এই নির্বাচনও অবশ্যই দেখবেন ঘোষিত সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রদল আয়োজিত ‘জুলাই আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের স্মরণে স্মরণসভা’ শীর্ষক আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদরা ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছি, সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র থামেনি। পরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রের যেন উত্তরণ না ঘটে, তার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
‘সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্নভাবে কাজ করা হচ্ছে। নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলা হচ্ছে। এমনকি আমার নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে অশ্লীল অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা হচ্ছে। এটা কেন করা হচ্ছে? তারা ভয় পেয়েছে। তারেক রহমান তো জাতীয় নেতা হিসেবে অলরেডি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছেন। সুতরাং তিনি যদি ফিরে আসেন, তাহলে তারা যাবে কোথায়,’ প্রশ্ন করেন তিনি।
‘আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের শত্রু চারদিকে। মনে রাখবেন, বিএনপি ডেমোক্রেসি, বিএনপি ফ্রিডম। বিএনপি হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট। ভবিষ্যতে আমরাই বাংলাদেশকে একেবারে উন্নয়নের চরমে নিয়ে যাব।’
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জে সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা বিএনপির
তিনি বলেন, কোনো পাতা ফাঁদে আমরা পা দেব না। এরা ফাঁদ পাতছে। আমাদেরকে প্রভোক করছে। যাতে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ি, প্রতিবাদ করি, কনফ্রন্টেশন করি—এমন একটা অবস্থা তৈরি করি যেন গণতন্ত্রে উত্তরণটা ব্যাহত হয়।
ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে ক্ষমতায়নের জন্যে, তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা দীর্ঘকাল লড়াই করেছি। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ২০০৯ সালের পর থেকে এই সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধান বাতিল হওয়ার পরে তিনি সেই সংগ্রাম আরো জোরদার করেছিলেন।’
‘এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ছয় বছর জেল খাটেন। তারপর বিএনপির মূল নেতৃত্ব নেন আমাদের বর্তমান নেতা তারেক রহমান, যাকে লক্ষ্য করে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ এখন গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখছে। তার নেতৃত্বে আমরা সেই গণতন্ত্রের আন্দোলন করেছি এবং সফল হয়েছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, প্রায় এক হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং ও বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
‘আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ছয় বছর কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে তাকে বিদেশে নির্বাসিত করা হয়েছে। অসংখ্য মিথ্যা মামলা, হত্যা, খুন, জখম নিয়েও বিএনপি মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে এবং একবারের জন্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থামেনি।’
পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
তিনি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্রদলের অসংখ্য ছেলে আছে যারা এই নির্যাতন সহ্য করেছে। শুধু ঢাকায় নয়, সারাদেশে। ছাত্রদলের ছেলেরা দেশে থাকতে না পেরে, গ্রামে থাকতে না পেরে ঢাকায় চলে এসেছে। রিকশা চালিয়েছে, অটো চালিয়েছে, বাইক চালিয়ে, এমনকি গার্ডের চাকরি করেছে। এই ত্যাগ করেই কিন্তু আজকে এই একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই কৃতিত্বের দাবি অনেকেই করছেন। আসলে কৃতিত্ব জনগণের। গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে বোরকা-হিজাব পরা নারীরা এবং সকল পেশার মানুষ এক হয়ে গিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল যে আমরা একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। মুক্তিযুদ্ধেও প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। সেটাই ছিল আমাদের ভিত্তি। সেই ভিত্তিটার ওপরেই এগিয়ে আজ পর্যন্ত এইখানে এসেছি।
তিনি বলেন, জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন। আমরাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান চালু করেছিলাম। কারণ বিএনপি হচ্ছে সেই দল, সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের পরিবর্তন চায়।
তিনি বলেন, খুব দুঃখ হয় যখন দেখি যে আমাদের আহত ভাইয়েরা বলছে যে আমরা কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। এই সরকার কেন এখন পর্যন্ত তাদের সেই ব্যবস্থা করেনি!
১৬৪ দিন আগে
সরকারের দুর্বলতা ও সিদ্ধান্তহীনতায় মনে হয় গোপন কোনো শক্তি কাজ করছে : ডা. তাহের
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্বলতা ও সিদ্ধান্তহীনতায় মনে হয় তাদের সঙ্গে গোপন কোনো শক্তি কাজ করছে। তিনি বলেন, হাজার-হাজার ছাত্র-জনতার জীবন ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের মানুষ শঙ্কিত নয়, উদ্বিগ্ন।
ডা. তাহের বলেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি খুবই অসহায়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘প্রশাসনের কোনো দুর্বলতা থাকলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।’
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, আমাদের মনে হয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিজেই দুর্বল ও অসহায়। যার বাস্তবতা রাষ্ট্রের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে ফুটে উঠেছে। মিটফোর্ডের ঘটনা থেকেই গোপালগঞ্জের ঘটনার সাহস দেখিয়েছে পতিত আওয়ামী লীগের দোসররা। আমরা অনতিবিলম্বে ‘মিস্টার অসহায়’ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে প্রত্যাহার করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশে ১০ লাখ উপস্থিতির প্রত্যাশা জামায়াতেরবুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকালে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের যৌথ আয়োজনে ‘বিক্ষোভ মিছিল’ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাহের বলেন, এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় জড়িত নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের দায়িত্বহীনতার কারণে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনতায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ড. এইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম প্রমুখ।
এছাড়াও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলাওয়ার হোসেন, মোহাম্মদ কামাল হোসেন, ড. আব্দুল মান্নান, মো. শামছুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতারা।
১৬৪ দিন আগে
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচারের জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে: মুরাদ
জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কঠোর সমালোচনা করেছেন ঢাকা জেলা যুবদল সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ। তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্র কখনোই টিকে থাকে না। যারাই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মাথায় নিয়েছে তারাই রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেছে।’
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচারের জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সারা দেশে প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকা জেলা যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসে সমাবেশ শেষ হয়।
ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, যারা বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলেন তাদের ভেবে দেখা উচিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কার কতটুকু অবদান। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না করলে অনেকে আজ রাজনীতি করার সুযোগ পেতেন না।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৯ বছর আপসহীনভাবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন না করলে দেশ এরশাদের স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হতো না। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন না করলে দেশে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান হতো না।’
মুরাদ বলেন, বিএনপির দিকে আঙুল তোলেন? বিএনপির দিকে আঙুল তোলবার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন। মহান মুক্তিযুদ্ধে আপনাদের ভূমিকা দেশবাসী এখনো ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, দেশ অপপ্রচারের জোয়ারে ভাসছে। আর সব অপপ্রচারের উৎপত্তিস্থল জামায়াত-শিবিরের আস্তানা। এদের কোনো জনসমর্থন নেই। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে পানি ঘোলা করে নির্বাচন বিলম্বিত করতে চায়। অতীতের মতো জামায়াতের এবারের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
মুরাদ বলেন, সন্ত্রাসীরা কোনো দলের না। কিন্তু আমরা আশ্চর্য হয়ে গেলাম, যখন দেখলাম মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা অপপ্রচার চালালো। এখন পুলিশ বলছে, এটা চাঁদাবাজির ঘটনা নয়, ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এই অপপ্রচারের জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান, জেলা নেতা হাজী দেলোয়ার হোসেন মাসুম, মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, রকিব দেওয়ান রকি, ইবাদুল হক জাহিদ, খুররম চৌধুরী টুটুল, মো. সুরুজজামান, তপন মোল্লা, ফজলুল হক বেলায়েতী, ইয়ার মো. ইয়াছিন সরকার শাওন, ইশতিয়াক আহম্মেদ ফারুক, শহিদুল ইসলাম শহীদ, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
১৬৪ দিন আগে
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশে ১০ লাখ উপস্থিতির প্রত্যাশা জামায়াতের
আগামী শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের প্রথম সমাবেশ ১০ লাখেরও বেশি লোকের উপস্থিতির প্রত্যাশা নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশের লক্ষ্য ‘শান্ত কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ’। ব্যাপক জনসমাগমের মাধ্যমে ‘একটি রাজনৈতিক আলোড়ন’ তৈরি করতে চায় দলটি।
বৃহস্পতিবার(১৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সমাবেশের বিষয় তুলে ধরেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘এই সমাবেশটি একটি ঐতিহাসিক মোড় হবে। আমরা আশা করছি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করবে। শুধু দলীয় কর্মীরাই নয়, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে পরিবর্তনের দাবিদার সাধারণ মানুষও এতে অংশ নেবে।’
চলমান রাজনৈতিক বিতর্ক ও দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তীব্রতর হওয়া সময় আসন্ন দলের সমাবেশে ‘স্মরণকালের জনসাধারণের উপস্থিতি’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিজেদের প্রস্তুতি, পরিকল্পনা ও দাবির রূপরেখা তুলে ধরেন তিনি।
পড়ুন: গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
গোলাম পরওয়ার বলেন, জামায়াতের আমির ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতারা ঢাকা এবং সারা দেশের সমর্থকদের জড়ো করার জন্য সরাসরি সাংগঠনিক কার্যক্রম তদারকি করছেন।
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আটটি উপ-কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সরকারকে অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন গোলাম পরওয়ার।
সমাবেশ ঘিরে প্রস্তুতি
দলীয় নেতারা জানান, সমাবেশ সফল করার জন্য সারা দেশে প্রতিদিন পথসভা, সভা ও জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা এই সমাবেশের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সারা দেশে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন।’
বিপুল সংখ্যক জনসমাগমের জন্য পরিবহন সুবিধার্থে, দলটি ট্রেন এবং লঞ্চের পাশাপাশি প্রায় ১০ হাজার বাস ভাড়া করেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা যানবাহনের জন্য বিশেষ রুট পরিকল্পনা করা হয়েছে।
পড়ুন: হেলমেট বাহিনী নেই, পাথর বাহিনী এসেছে: ড. রেজাউল করিম
৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
দলটি সমাবেশে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে।
সমাবেশের সময় অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখতে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সরবরাহ সমন্বয় করতে ৬ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে।
ডিএমপির সঙ্গে বৈঠক
আইন-শৃঙ্খলা, পরিবহন এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য জামায়াতের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ১৫ জুলাই বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশনস) নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, পার্কিং ব্যবস্থা, সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন এবং জননিরাপত্তার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
১৬৪ দিন আগে