রাজনীতি
গোপালগঞ্জের প্রতিটি উপজেলায় ও গ্রামে গিয়ে কর্মসূচি করবো: নাহিদ ইসলাম
গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের হবে না বরং বাংলাদেশপন্থীদের হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আবারও গোপালগঞ্জে গিয়ে প্রতিটি এলাকায় কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এসব বলেন নাহিদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও গোপালগঞ্জে যাব। আমরা জীবিত থাকলে গোপালগঞ্জের প্রত্যেকটা উপজেলার প্রত্যেকটা গ্রামে কর্মসূচি করব। গোপালগঞ্জের প্রতিটা ঘরে ঘরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পতাকা উড়বে। গোপালগঞ্জ মুজিববাদীদের হবে না, বাংলাদেশপন্থীদের হবে।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা কথা দিয়েছিলাম (কমিট করেছিলাম) আমরা গোপালগঞ্জে যাব। আমরা গিয়েছি এবং শহীদের রক্তের শপথ নিয়ে ঘোষণা করেছি, মুজিববাদকে গোপালগঞ্জ ও বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়াতে দেব না।’
তবে গোপালগঞ্জের অধিবাসীদের প্রতি এনসিপির কোনো রাজনৈতিক বৈষম্য নেই বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে: নাহিদ
নাহিদ বলেন, ‘গোপালগঞ্জের অধিবাসীদের প্রতি রাজনৈতিক বৈষম্যের আমরা বিরোধিতা করি। গোপালগঞ্জ ও পুরো বাংলাদেশকে আমরা মুজিববাদী সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করব। আওয়ামী লীগ যুগের পর যুগ ধরে গোপালগঞ্জের মানুষের জীবনকে বিপন্ন করেছে, মুক্তিযুদ্ধকে কলুষিত করেছে এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে বেইনসাফি করেছে। আমরা বলেছি, আমরা এ পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাব।’
এ সময় ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের এত হত্যাযজ্ঞের পরেও ৫ আগস্টের পরে অনেকে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ আনতে চেয়েছিল। তাদের মনে রাখা উচিত, আওয়ামী লীগ আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে নির্দেশনা (ইনস্ট্রাকশন) দিয়েছে, সকালের নাশকতার পরেও নিরাপত্তা ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) পেয়েই আমরা গোপালগঞ্জে প্রবেশ করেছি। পদযাত্রা করিনি, পথসভা করেছি শুধু। গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আমাদের লোকজনকে আসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন জায়গায় বাস আটকে দেওয়া হয়েছে। এরপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পথসভা শেষ করেছি। যাওয়ার পথে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। নিরাপত্তা বাহিনী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা সেভাবেই সেখান থেকে বের হয়েছি।’
আরও পড়ুন: দেশে নতুন করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম দেখা যাচ্ছে: নাহিদ ইসলাম
এ সময় গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে গতকালের হামলা ও হতাহতের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান নাহিদ। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমরা চারজনের মৃত্যুর কথা শুনেছি। কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে আমরা সমর্থন করি না, প্রত্যাশাও করি না। সন্ত্রাসীদের বিচারিক প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে হবে।’
নাহিদ অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা যদি সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিত তাহলে এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এ দায়ভার সরকার ও প্রশাসনকে নিতে হবে। আমরা পুরো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।’
১৬৫ দিন আগে
ফরিদপুরের উদ্দেশে খুলনা ছেড়েছেন এনসিপি নেতারা
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ফরিদপুরে পদযাত্রা ও পথসভা কর্মসূচিতে অংশ নিতে খুলনা ছেড়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতারা।
গতকাল (বুধবার)গোপালগঞ্জে সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলার পর খুলনায় যান তারা। সেখানে খুলনা সার্কিট হাউজ এবং হোটেল সিটি ইন-এ রাত্রিযাপন শেষে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা খুলনা ত্যাগ করেন।
এনসিপি নেতাদের ওই বহরে রয়েছেন, দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আক্তার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চলের সমন্বয়ক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা ও দক্ষিণাঞ্চলের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও কয়েকজন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে হামলা: সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ আজ
তাদের খুলনা ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে এনসিপির খুলনার মুখ্য সমন্বয়ক আহম্মদ হামিম রাহাত বলেন, তারা যশোর হয়ে ফরিদপুর যাবেন। সেখানে তাদের পদযাত্রা সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে।
এনসিপি সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার ফরিদপুর সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ থেকে জনতা ব্যাংক মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করবে দলটি। এরপর সেখানে পদযাত্রা-পরবর্তী পথসভা করবে তারা। ফরিদপুরের পর রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ জেলায় এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
১৬৫ দিন আগে
গোপালগঞ্জে হামলা: সারা দেশে এনসিপির বিক্ষোভ আজ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে বুধবার বিকালে হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্যোগে পয়লা জুলাই থেকে আমাদের যে মাসব্যাপী কর্মসূচি ছিল— “দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা”— সেই কর্মসূচিতে আমরা দেশের প্রত্যেকটি জেলায় যাচ্ছি এবং সেখানে গিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিশ্রুতি এবং স্থানীয় মানুষের সমস্যার কথা শুনছি।’
‘তারই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) গোপালগঞ্জে আমাদের কর্মসূচি ছিল। আমাদের এই পদযাত্রার ঘোষণা অনেক আগে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা আমাদের গোপালগঞ্জের কর্মসূচিতে হামলা করেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে তারা জঙ্গি কায়দায় হামলা করে।’
আরও পড়ুন: এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে: নাহিদ
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে সমাবেশ শেষে আমরা যখন মাদারীপুরের উদ্দেশে রওনা হই, তখন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়িবহরে হামলা করে। গোপালগঞ্জের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়, গুলিবর্ষণ করে।’
‘সেখানে যারা নিরাপত্তাবাহিনী ছিল—আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী, তাদের ওপরও হামলা চলায় এবং একপর্যায়ে তাদের সহায়তায় আমরা সেখান থেকে খুলনায় চলে আসি।’
১৬৫ দিন আগে
এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গোপালগঞ্জের দলের সমাবেশে এনসিপি নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছিল।
বুধবার(১৬ জুলাই) খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মুজিববাদী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় গুলিবর্ষণ করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের গাড়িবহরে হামলা করে। সেখানে যারা নিরাপত্তা বাহিনী ছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী তাদের উপরেও হামলা চলায়। এক পর্যায়ে তাদের সহায়তায় আমরা সেখান থেকে খুলনায় চলে আসি এবং আমাদের আজকের যে পথসভা ছিল মাদারীপুর ও শরীয়তপুর সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
পড়ুন: গোপালগঞ্জের সহিংসতা ‘অমার্জনীয়’, দায়ীদের বিচারের আনা হবে: অন্তর্বর্তী সরকার
নাহিদ আরও বলেন, গোপালগঞ্জ ফ্যাসিস্টদের একটা আশ্রয়কেন্দ্র হয়ে উঠেছে এবং পুরো দেশে যাদের নামে মামলা রয়েছে ফেরারি আসামি ছাত্রলীগের যেসব নেতারা রয়েছেন তারা গোপালগঞ্জে ছিলেন। তারা খুব পরিকল্পিতভাবে গণঅভ্যুত্থানের এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে আজকে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ৩০ দিনে দেশের ৬৪ জেলায় যাবে। আগামীকাল ফরিদপুরের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগের সময়সূচি অনুযায়ী পথসভা চলতে থাকবে বলে জানান নাহিদ।
১৬৫ দিন আগে
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বুধবার(১৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্য, ভিসি চত্বর হয়ে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
এসময় ইসলামী ছাত্রশিবির, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; লিল্লাহী তাকবির, আল্লাহু আকবার; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; সারা বাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগের কবর দে; কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কি তর বাপ দাদার; জুলাইয়ে হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার; গোপালগঞ্জে হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে; মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম বলেন, হাসিনা ও তার দোসররা ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে এই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। দুই হাজার শহীদ ও চল্লিশ হাজার আহতের বিনিময়ে আজকে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। প্রত্যাশা ছিল গত ষোল বছরে যেই সন্ত্রাসী জঙ্গি গোষ্ঠিী বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করেছে, ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, গণহত্যা করেছে, তাদের এই দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের দিল্লির এক্সটেনশন গোপালগঞ্জে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আমরা বিপ্লবের পরে বলেছিলাম, এই গোপালগঞ্জে যত ফ্যাসিস্ট আছে তাদের এই বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। এই দোসররা আজকে ইন্টেরিমের মধ্যেও ভর করেছে। যখন ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলি এই ইন্টেরিমের কিছু কালচারাল ফ্যাসিস্টরা এই খুনি হাসিনাকে ফেরাতে চায়। তারা সুশৃঙ্খল আন্দোলনকে মব বলে।
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি: শিবির সভাপতি
তিনি বলেন, জুলাইয়ের এই বাংলাদেশে এই খুনি হাসিনার ও তার দোসরদের কোনো জায়গা হবে না। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, বিচার করতে না পারলে পদত্যাগ করেন। ছাত্র জনতা দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত আছে। জুলাইয়ের সঙ্গে গাদ্দারি করলে আপনাদের পরিণতি হাসিনার থেকেও খারাপ হবে। জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। খুনি হসিনা এবং তার দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় নিয়ে আসুন। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ সকল গুণ্ডাকে যথাযত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের সভাপতি এসএম ফরহাদ বলেন, অভ্যুত্থানের ১১ মাস পার হওয়ার পরেও এই ইন্টেরিম জায়গায় জায়গায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আজকে জুলাই যোদ্ধারা গোপালগঞ্জে সমাবেশ করতে গিয়েছিল, যেটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার, সেখানে আওয়ামী লীগের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীরা হমলা করেছে। এখানেও ইন্টেরিম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ইন্টেরিমকে বলেতে চাই, দায়িত্ব পালন না করতে পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
তিনি আগামী পাঁচ আগস্টের আগেই আওয়ামী লীগের সকল সন্ত্রাসীদের আইনে আওতায় এনে বিচার করার আহ্বান জানান সরকারকে।
ফরহাদ বলেন, আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরসহ সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে পরিবর্তন এসেছিল। আমরা আশা করেছিলাম ২০২৪ এর ভিতরে শিক্ষার্থীদের দাবি ডাকসু, রাকসু পাব। কিন্তু আজও আমরা ডাকসুর সন্ধান পাইনি। সরকার কিংবা অন্যান্য এক্সটেনশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জুলাইয়ের যে চেতনা, শহীদের সম্মান ধরে রাখতে না পারেন, তাহলে আপনারা পদত্যাগ করেন। নয়তো আপনাদের বিরুদ্ধে নামতে বাধ্য হব।
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল কবির শাকিল বলেন, যারা জুলাইকে সফল করেছে তাদের উপর কি ভয়ানক হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এই জেলাকে নিজেদের ক্যান্টনমেন্ট মনে করে। মনে হচ্ছে গোপালগঞ্জ যেন বাংলাদেশের ভিতরে একখন্ড দিল্লি। আমরা বাংলাদেশে দিল্লির কোনো এক্সটেনশন হতে দেব না।
তিনি বলেন, গোপালগঞ্জের এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি সরকারকে। নয়তো গোপালগঞ্জের উদ্দেশে মার্চ করতে বাধ্য হব আমরা।
১৬৫ দিন আগে
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ১৭ জুলাই দেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করবে জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (১৬ জুলাই) দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ গোপালগঞ্জ জেলায় এনসিপির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে পতিত স্বৈরাচারের দোসর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নৃশংস হামলা চালিয়েছে। তারা এনসিপির নেতাদের হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের গাড়িতে হামলা করে এবং তাদের অবস্থানস্থল এসপি’র অফিসেও হামলা চালায়।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের হামলায় এনসিপির বহু সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। তাদের সৃষ্ট সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আগামীকাল ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সকল জেলা ও মহানগরীতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কর্মসূচি পালনের জন্য সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
১৬৫ দিন আগে
ইসি ওয়েবসাইটে ‘নৌকা’ সরিয়ে ‘তুলা’ প্রতীক যুক্ত
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’ ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জামায়াতে ইসলামী দলের প্রতীক ‘তুলা’।
বুধবার (১৬ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নৌকা প্রতীক এখনও নির্বাচনী প্রতীকের তফসিল অনুযায়ী বহাল আছে। তবে জনগণের বিভ্রান্তি এড়াতে এটি ওয়েবসাইট থেকে সরানো হয়েছে।’
চলতি বছরের ১২ মে আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন তাদের এই প্রতীক কেবল ওয়েবসাইট থেকে সরিয়েছে বলে জানান তিনি। তবে একে বাতিল করা হয়নি, বরং এটি নির্বাচন কমিশনের মূল তালিকায় রয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রহসনের নির্বাচনের জন্য দোষ স্বীকার সাবেক সিইসি নূরুল হুদার
সচিব আখতার আহমেদ আরও বলেন, ‘নৌকা প্রতীক অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। এটি এখনও সংরক্ষিত প্রতীক হিসেবেই থাকবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কারও চাপের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ‘তুলা’ বিষয়ে তিনি বলেন, আদালতের রায়ের আলোকে এটি ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১৬৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জে সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা বিএনপির
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্ক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারকে সমন্বিত সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে বিএনপি পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বনানীর একটি হোটেলে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিষয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি রপ্তানির সঙ্গে প্রায় ১৫–১৬ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা জড়িত। ফলে শুল্ক ইস্যুটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
‘ব্যবসায়ী নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনা থেকে বাংলাদেশ যেন বাস্তবসম্মত সমাধানে পৌঁছাতে পারে, সে লক্ষ্যেই বিএনপি সরকারকে সহযোগিতা করতে চায়।
আরও পড়ুন: শুল্কনীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা আশাব্যঞ্জক: বাণিজ্য উপদেষ্টা
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, আন্তর্জাতিক পোশাক রপ্তানি বাজারে ভারতের সঙ্গে ভিয়েতনাম বাংলাদেশের সরাসরি প্রতিযোগী।
বাংলাদেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়, তাহলে এসব প্রতিযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বড় ধরনের সুবিধা পাবে, যা বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, শুল্ক সমস্যার সমাধান না হলে বাংলাদেশ কয়েক লাখ মানুষের কর্মহানি, শিল্প কারখানা বন্ধ এবং হাজার হাজার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প বিপর্যয়ের ঝুঁকি নিতে পারবে না।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, অ্যাপেক্স ট্যানারি লিমিটেডের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিআই)-এর চেয়ারম্যান আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ এবং প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।
১৬৬ দিন আগে
নির্বাচন বিলম্ব ঘটাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে: অভিযোগ ডা. জাহিদের
জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব ঘটাতে পরিকল্পিতভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘একটি সুস্পষ্ট চক্রান্ত চলছে, যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো যায়, তাহলে কয়েকটি পক্ষ এতে লাভবান হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রাঙ্গণে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২১ জুলাইয়ের পেশাজীবীদের আলোচনাসভার ভেন্যু পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তবে সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডা. জাহিদ। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আমরা আশাবাদী যে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হবে।’
রাজধানীর পুরান ঢাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো ধরনের অন্যায় বা অপরাধকে সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবারের (১৪ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘অপরাধ মানেই অপরাধ—এতে কোনো দলীয় পক্ষপাত নেই, বিএনপি কোনো অন্যায়কে সমর্থন করে না।’
আরও পড়ুন: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি বৃহস্পতিবার
ডা. জাহিদ বলেন, অপরাধকে রাজনীতিকরণ করা বা কোনো পক্ষকে দোষারোপ করতে গিয়ে তা বাড়িয়ে বা কমিয়ে তুলে ধরা সঠিক নয়। অন্যায়কে সব সময়ই অন্যায় হিসেবে দেখতে হবে। কোনো সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তি কখনো অন্যায়ের পক্ষে থাকতে পারে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমনটি বিশ্বাস করি।
তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে করা অশালীন মন্তব্যগুলোর সমালোচনা করেন।
ডা. জাহিদ বলেন, ‘আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শের অনুসারী। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। আমরা কোনো চক্রান্তের অংশ হতে চাই না।’
সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে ধৈর্য ধরার, সত্য বলার ও দ্বৈত আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। ‘বিএনপি কখনো অন্যায়কে সমর্থন করে না, বরং ন্যায়বিচার চায়। বিএনপি গণপিটুনি বা বিচারবহির্ভূত সহিংসতাকে সমর্থন করে না,’ বলেন ডা. জাহিদ।
মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর জামায়াতে ইসলামীর নেতার ‘বিএনপিকে জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে’ মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সরাসরি তার বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। আমার মনে হয়, যারা এমন মন্তব্য করেন, তারা হয়তো রাজনৈতিক বোধ ও অভিজ্ঞতার ঘাটতিতে ভোগেন। জনগণ ঠিক করে দেবে কে লাল কার্ড পাবে আর কে সবুজ।’
তিনি ঝালকাঠি থেকে নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ‘বিএনপি মুজিববাদের রক্ষক হয়ে উঠছে’ অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, ‘আমি ওই খবর দেখেছি। কারা আসলে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করছে এবং কারা করছে না, তা জনগণের চোখে স্পষ্ট।’
১৬৬ দিন আগে
মিটফোর্ডে হত্যাকান্ডে তদন্ত কমিটি গঠন বিএনপির
পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিএনপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যবহার করার সন্দেহ রয়েছে এবং কিছু মহলের উসকানিতে জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এই ধরনের ঘটনা দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
সোমবার (১৪ জুলাই) বিএনপি চেয়ারম্যানের গুলশান অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডকে দেশের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি এবং দুষ্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিশ্বাসের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘এই নির্মম হত্যার পেছনের সত্য উদঘাটন করতে আমরা একটি উপযুক্ত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ কমিটি গঠন করেছি, যারা প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করবে এবং তা জনসমক্ষে নিয়ে আসবে।’
তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এই দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে, বিশেষ করে একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল ও তার শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরার জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যার বিরুদ্ধে দল কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ ফখরুলের
ফখরুল বলেন, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি এরইমধ্যে ঢাকা মিটফোর্ড এলাকার লাল চাঁদ সোহাগ নামে একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীর নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, সরাসরি কোনো প্রমাণ না থাকলেও পুলিশের অভিযোগে নাম উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাংগঠনিক পদক্ষেপ—আজীবন বহিষ্কার—গ্রহণ করেছে দল।
বিএনপি নেতা জানান, নিহতের পরিবার ইতোমধ্যে মামলার বিবৃতিতে অসঙ্গতি থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, আসল দোষীদের জায়গায় রিপোর্টে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। দুঃখজনকভাবে, নির্মম হত্যায় সরাসরি যুক্ত প্রকৃত অপরাধীরা এখনও চিহ্নিত বা গ্রেফতার হয়নি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নাম বা পরিচয় প্রকাশ করতে পারেনি।
১৬৭ দিন আগে