রাজনীতি
পিআর পদ্ধতির নির্বাচন দেশকে বিভক্ত করবে, সতর্ক করে ঐক্যের আহ্বান তারেকের
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত কিনা—তা সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জনগণের ঐক্য এখন আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটি (পিআর) বিভক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে।’
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য এবং গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক রহমান এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি তুলেছে। যদিও বিশ্বের কিছু দেশে এই নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দেশের বর্তমান বাস্তবতা এবং এর ভৌগোলিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আমি সকলকে সাবধানতার সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি—এটি দেশের জন্য এই মুহূর্তে কতটা উপযুক্ত, অথবা আদৌ উপযুক্ত কিনা।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করতে হবে।
পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য আগের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে বিনীতভাবে আবেদন জানাতে চাই যে, আপনারা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন—আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা জাতীয় ঐক্যের পরিবর্তে একটি বিভক্ত সমাজ এবং একটি অস্থিতিশীল সরকার তৈরি করতে পারে কিনা।’
গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ায় এখন একটি গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এসেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও একটি সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করা প্রয়োজন।
এসময় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বা আহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন—তাদের মানুষ যেমন ভুলে যায়নি, তেমনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা শহীদ হয়েছেন—তাদেরও জাতি ভুলবে না।
তারেক বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে, তার দল শহীদদের সম্মানে তাদের নামে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনার নামকরণ করবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় প্রায় ৭০০ বিএনপি নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে আরও অনেককে হত্যা করা হয়েছে, জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে, অথবা বিভিন্ন ধরণের দমন-পীড়নের শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের জন্য ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৬০ লাখ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, গণঅভ্যুত্থান একটি নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করেছে।
বিএনপি রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তন এবং একটি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ে তোলায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের অনেক আগে তার দল রাষ্ট্র ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য ২৭ দফা রূপরেখা পেশ করেছিল—পরে ৩১ দফা করা হয়।
পড়ুন: অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী হিসেবে চিত্রিত করার জন্য একটি মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে—যা সত্য নয়।
রাজনৈতিক দলগুলোকে বিএনপিকে শত্রু হিসেবে না দেখার বা সমালোচনা না করার আহ্বান জানান ফখরুল। বলেন,এটি জাতীয় ঐক্যের জন্য সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এবং গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘ঐক্য ও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করব না। একটি উদার গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং সংসদে পরিবর্তন চাই। আমি সকলকে এটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।’
জুলাই সনদ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যেই এটি চূড়ান্ত করার জন্য সমর্থন জানিয়েছে। ‘এখন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব সরকারের।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, কিছু মহল সূক্ষ্মভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে, কারণ দলের পরবর্তী নির্বাচনে জয়লাভের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, জাতিকে বিভক্ত করার জন্য বিএনপিকে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা চলছে। ‘অনেকগুলো দল নির্বাচন ব্যাহত করার জন্যও বিভিন্ন দাবি তুলছে—যা জাতীয় অনৈক্যের কারণ হচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ‘নতুন বাংলাদেশ গঠনে এটি একটি আমাদের শক্তি হবে।’
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে জাতির স্বার্থে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
এতে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়কারী ও জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, নেজাম ই ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেএসডির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান প্রমুখ।
পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
১৮১ দিন আগে
ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্রকে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে বর্তমান সুযোগকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য বজায় রেখে একটি নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য যে সুযোগ তৈরি হয়েছে—তা দ্রুত কাজে লাগাতে হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে রাজধানীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক যাত্রা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির উদ্বোধনের জন্য এই সভার আলোচনার আয়োজন করা হয়।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের সামনে সৃষ্ট সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রকে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। বলেন, ‘সর্বোপরি, আমাদের যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ অতীতের রাজনৈতিক আন্দোলনে ত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, আমাদের বীরদের রক্ত এবং শোকার্ত মায়েদের চোখের পানি যেন বৃথা না যায়। ঐক্য বজায় রাখতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বছরের গণঅভ্যুত্থানসহ অতীতের রাজনৈতিক আন্দোলনে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
১৮১ দিন আগে
আজ বিএনপির আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি ভাষণ দেবেন খালেদা জিয়া
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত দলীয় এক অনুষ্ঠানে আজ প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন তিনি।
বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এমন তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, ভার্চুয়ালি যুক্তরাজ্য থেকে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করবেন তারেক রহমান।
আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সভাপতিত্ব করবেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সায়রুল বলেন, গত কয়েক দশকের রাজনৈতিক আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে গত বছরের গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্বজনরা এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
এর আগে, গত ২৬ জুন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আলোচনা সভা, সমাবেশ, রক্তদান কর্মসূচি, গ্রাফিতি শিল্প, পথনাটক, ফুটবল টুর্নামেন্ট, শিশু অধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠান এবং ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা।
১৮১ দিন আগে
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: মির্জা ফখরুল
দেশের ধীরগতির অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই।’
সোমবার (৩০ জুন) বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেলের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেকারত্ব মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
বিটিএমএ সভাপতি রাসেল বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার এবং বিভিন্ন মত ও দৃষ্টিভঙ্গিকে সম্মান করার জন্য বিএনপির প্রশংসা করেন।
তিনি স্মরণ করেন যে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জাতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বেসরকারি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে রাসেল অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং ব্যাংকিং খাতকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তিনি আশ্বস্ত করেন, বিএনপি ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যবসায়ীদের পূর্ণ সমর্থন দেবে।
এসময় তারা দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন।
১৮২ দিন আগে
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর ও আন্তরিকভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে চীন।
সোমবার (৩০ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চীন আশা প্রকাশ করেছে যে, তারা বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আরও বেশি আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে কাজ করবে।’
ফখরুলের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক চীন সফরের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সফর নিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপি দল চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছে। বলেন, ‘আমরা এই প্রকল্প সম্পর্কে আমাদের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেছি এবং তারা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাটসহ কয়েকটি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
তিনি বলেন, চীনা পক্ষ এখনও তিস্তা নদীর পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে। ‘ভবিষ্যতে যদি আমাদের সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাই এবং তারা(চীন) যদি এই প্রকল্পের প্রস্তাব দেয়—তাহলে আমরা মনে করি আমরা এটি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।’
ফখরুল বলেন, বিএনপি প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে চীনকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার সরকারকে রাজি করানোর জন্য তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার আশ্বাস দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের সফর দুই ‘ভ্রাতৃপ্রতিম’ দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নত ও জোরদার করার জন্য একটি পথ খুলে দিয়েছে—ভবিষ্যতে এই বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলেও তিনি আশা করেন।
এর আগে ২২ জুন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের জন্য চীন সফর করে।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য আট সদস্য ছিলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার।
সফরকালে ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল সিপিসির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় বিষয় এবং সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
১৮২ দিন আগে
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি এনসিপির
এবার ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আগামী ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে এই পদযাত্রা পালওন করা হবে।
রবিবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর বর্ষপূর্তি উদযাপন করবো। দেখতে দেখতে একটি বছর পার হয়ে গেছে। আমাদের অনেক প্রাপ্তি যেমন আছে, তেমনি অপ্রাপ্তিও রয়েছে। জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক ৩৬ দিন স্মরণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, এনসিপির কর্মসূচি ও বাস্তবায়ন সেলের সম্পাদক অনিক রায়, যুগ্ম সদস্য সচিব লুৎফর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪
১৮৩ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি ও স্থানীয় নির্বাচনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদম্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, যারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলছেন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে তাদের।
তিনি বলেন, ‘যারা আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্য আছে। যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান তাদেরও উদ্দেশ্য আছে। হয় তারা চান নির্বাচন বিলম্বিত হোক, অথবা তারা চান না যে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হোক। এটি তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে।’
শনিবার (২৮ জুন) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণসভা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ গবেষণা বিশ্লেষণ ও তথ্য নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) আয়োজিত একটি সংরক্ষণাগার উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এ দেশের গণতন্ত্রকামী সকল মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করেনি। আমরা ১৭ বছর ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অসংখ্য প্রাণ হারিয়েছি।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদদের আত্মত্যাগ এ দেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা অবশ্যই সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার পর রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব করা হয়েছে, যা একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি তখনই কার্যকর হবে—যখন প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে বার্তা এবং নির্দেশনা পৌঁছে দেবেন। যখন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, অথবা উভয়ই একসঙ্গে জাতিকে এ বিষয়ে জানাবে—তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে নিশ্চিত হব যে, নির্বাচন সেই সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।’
পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
১৮৪ দিন আগে
ইসির সক্ষমতা যাছাইয়ে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিকল্প নেই: জামায়াত আমির
জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি কার্যকর উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার প্রধান ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন রয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) রাতে সিলেট মহানগর জামায়াত আয়োজিত দিনব্যাপী রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাগুলোতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসক দিয়ে দায়িত্ব পালন করায় সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনদুর্ভোগ লাঘব ও নিবাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিকল্প নেই। এব্যাপারে বাস্তবতার আলোকে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে হবে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতাদের অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়ে ও কারাগারে আটকে রেখে শহীদ করা হয়েছে। নিবন্ধন ও প্রতীক কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি শেষ পর্যন্ত দলকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল ছিলাম। যারা ন্যায় ও সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকে তারাই বিজয় লাভ করে। ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার কারণেই আমরা বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
পড়ুন: অচিরেই দেশের সব ইসলামী দলের মধ্যে সমঝোতা হতে যাচ্ছে: গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণাকে কোনোভাবেই মুছে দেওয়া যাবে না। অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের তরুণ প্রজন্ম যে সাহস ও ত্যাগের ইতিহাস রচনা করেছে সেটাকে ভুলে গেলে চলবে না। জুলাই গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার ও অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমাদের স্বোচ্ছার থাকতে হবে। দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ শাহজাহান আলীর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং সিলেট-১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান।
১৮৪ দিন আগে
ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ: ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান দলের ১৬ দফা ঘোষণা করেছেন। শনিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ থেকে এই ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়।
১৬ দফা ঘোষণাপত্রে রাষ্ট্রীয় সংস্কার, বিচার ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক(পিআর) নির্বাচন গ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
সংবিধানের নির্দেশিকা নীতিগুলোর মধ্যে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন, সংসদের উভয় প্রস্তাবিত কক্ষে আনুপাতিক ভোটদান (পিআর) পদ্ধতি চালু এবং বৈষম্যহীন শোষণ নিপীড়ন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আগামী মাসে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের স্বৈরতন্ত্রকে রোধ করতে দলটি দ্রুত, মৌলিক সংস্কার, জনপ্রশাসন পুনর্গঠন, নির্বাচনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য এবং ‘পতিত ফ্যাসিবাদের’ সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত কর্মকর্তাদের অপসারণের আহ্বান জানিয়েছে।
দুর্নীতির বিচার, পলাতকদের ফিরিয়ে আনা, পাচার করা অর্থ পুনরুদ্ধার এবং চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদ এবং হত্যার বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও জোর দেওয়া হয়েছে ঘোষণাপত্রে।
পড়ুন: সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ঘোষণাপত্রে ভারতের সঙ্গে সকল চুক্তি প্রকাশ এবং যেকোনো ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ চুক্তি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এটি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে সকল স্তরের স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার এবং একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই ধরনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।
দলটি চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি, ঋণ খেলাপি এবং অপরাধীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং ধর্ম ও রাষ্ট্রের প্রতি বিরূপ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যেরও আহ্বান জানিয়েছেন দলটি।
ইসলামী আন্দোলন সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং টেকসই শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনসহ শাসনব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে ইসলামী মূল্যবোধ অনুশীলনের আহ্বান জানানো হয়েছে ঘোষণায়।
১৮৪ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের বৈঠকের পর বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ ও সময়সূচি ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।’
শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রিজভী।
প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পর বিএনপি কি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ প্রত্যাশা করে—এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই তা আশা করি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিইসি নাসির উদ্দীন। বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আলোচনার বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই কাজ করবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যাতে জনগণ তাদের জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলব। আমরা তো সমালোচনা করবই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি— নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থ লোপাট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে— যার অন্যতম নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া। তারা কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণ মনে করে, ড. ইউনূস দেশবাসীর মনের প্রত্যাশা মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।’
১৮৪ দিন আগে