রাজনীতি
অচিরেই দেশের সব ইসলামী দলের মধ্যে সমঝোতা হতে যাচ্ছে: গোলাম পরওয়ার
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানিয়েছেন, ‘শিগগরই দেশের সব ইসলামী দলের মধ্যে সমঝোতা হতে যাচ্ছে।’
শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দেশের আলেম-উলামা অবশেষে বুঝতে পেরেছেন যে, এবারের নির্বাচনে সকল ইসলামী শক্তির মধ্যে একটা নির্বাচনী ঐক্য থাকতে হবে। সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দলগুলোর মধ্যে অচিরেই একটা সমঝোতা হতে যাচ্ছে। এই সব ইসলামী শক্তির ধারাকে অক্ষুণ রেখে যারা নতুন বাংলাদেশ দেখে যেতে পারেননি, তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিজয়-ই হচ্ছে তাদের ঋণ পরিশোধের একমাত্র উপায়।
দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রবের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, সাইফুল আলম খান মিলন ও মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী ও ড. অধ্যাপক আবদুস সামাদ।
আরও পড়ুন: ইসি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে বার্তা পেয়েছে কিনা স্পষ্ট করার দাবি সালাহউদ্দিনের
গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের ভিশন হলো জনমতকে ইসলামের অনুকূলে নিয়ে এসে দেশ পরিচালনার জন্য যোগ্য লোক তৈরি করা। এই কাজের মাধ্যমে আমরা দ্বীনের বিজয় দেখব, মহান রব খুশি হবেন আর আমাদের ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতবাসী করবেন।
তিনি বলেন, এতবড় একটা পরিবর্তনের পর একটা নতুন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন তৈরি হয়েছে, তা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে পূরণ করতে হবে। এই স্বপ্ন পূরণে জামায়াতের ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আসুন আমরা সবাই মিলে একটি সুখী-সমৃদ্ধ এবং শান্তি-স্বস্তির মানবিক বাংলাদেশ গড়ি। একটা বৈষম্যহীন মানবমুক্তির রাষ্ট্রগঠন করি।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আজ দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ফ্যাসিস্টদের বিচার দৃশ্যমান করে আমাদেরকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
১৮৪ দিন আগে
ইসি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে বার্তা পেয়েছে কিনা স্পষ্ট করার দাবি সালাহউদ্দিনের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির বার্তা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) জানিয়েছেন কিনা—তা জাতিকে নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি যে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন। লন্ডনের বৈঠকের পর, আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে এবং রমজান শুরুর আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন।’
শুক্রবার (২৭ জুন) গুলশানের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার(২৬ জুন) অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সিইসির বৈঠক হয়। বৈঠকটি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করছি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় অথবা নির্বাচন কমিশন আলোচনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানাবে।
তিনি বলেন, ‘সবাই এখন ধরে নিচ্ছে যে, প্রধান উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে, রমজান শুরুর আগের সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে তার বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের ধারণা এটাই।’
বিএনপি নেতা অবশ্য বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আসলেই এই বার্তা দিয়েছেন কিনা বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো পরামর্শ বা নির্দেশনা দিয়েছেন কিনা তা তারা জানেন না। ‘উভয় পক্ষই যদি জাতির সামনে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন—তাহলে আমরা আশ্বস্ত হব।’
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দিন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
সালাহউদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশন অতীতে বেশ কয়েকবার বলেছে যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়াসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ক্রয় প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শুধুমাত্র সীমানা নির্ধারণ প্রক্রিয়া বাকি আছে। তা তিন মাসের মধ্যে শেষ করা যেতে পারে। তফসিল ঘোষণার পর, পোলিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসার নিয়োগ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ পরিচালনাসহ অনেক কার্যক্রম থাকবে। এগুলো চলমান প্রক্রিয়া। এর জন্য কোনো বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই।’
সংসদ নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) স্থানীয় নির্বাচনের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন এই ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে এটি কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন দাবি করতে পারে। তবে বেশিরভাগ দল প্রধান উপদেষ্টার উল্লেখিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত। এই বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এই সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হবে। এই নির্বাচনগুলো- ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা বা সিটি করপোরেশন যাই হোক না কেন- আয়োজন করতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। যদি তারা এখন স্থানীয় নির্বাচন করতে যায়—তাহলে তারা সময়মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম নাও হতে পারে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নয়, আমাদের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করেছি। নির্বাচন কমিশনের এখন প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।’
১৮৫ দিন আগে
গণদুশমন আ. লীগ আদি ঠিকানায় আশ্রয় নিয়েছে: মাওলানা আব্দুল হালিম
দেশে দুঃশাসনের মাধ্যমে গণদুশমনে পরিণত হওয়া ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ তাদের আদি ঠিকানা ভারতের কাছে আশ্রয় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনে পিষ্ট জনগণ আওয়ামী জুলুম-নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেতে যে ত্যাগ কুরবানী করেছে তা ভাষাতীত। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের ১৭ বছরে জামায়াতের ও ছাত্রশিবিরের লক্ষাধিক নেতাকর্মী দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেছেন।’
শুক্রবার (২৭ জুন) নারায়ণগঞ্জ জেলার তারাবো পৌর অডিটোরিয়ামে নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াত আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হালিম বলেন, বিচারের নামে প্রহসন করে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। কয়েক শত নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়ে অন্ধ, শ্রবণ শক্তিহীণ হওয়া, পঙ্গুত্বের জীবন-যাপন করছে পাঁচ হাজার নেতা কর্মী। এত জুলুম নির্যাতনের পরও জামায়াতে ইসলামীকে নত করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীক নিষিদ্ধ করেছিল, কিন্ত যারা নিষিদ্ধ করেছিল তারাই আজ দেশ থেকে নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। তাই ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে।
পড়ুন:
জামায়াতের এই নেতা বলেন, দেশের মানুষ এমন এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে—যেখানে থাকবে না কোনো অন্যায়, অনাচার, দখল, চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণের মতো কদাচার; যে বাংলাদেশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকে স্ব স্ব অধিকার ভোগ করবে।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকারের সভাপতিত্বে জেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ড. ইকবাল হোসাইন ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ইলিয়াস মোল্লা, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসাইন মোল্লা প্রমুখ।
পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
১৮৫ দিন আগে
রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে বিশ্বাস করেন তারা।
শুক্রবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষা উন্নয়ন প্রচার ক্যাম্পেইনের আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফারুক বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ, আপনি আপনার কথা রাখুন। আমরা আশাবাদী, দেশে রমজানের আগেই নির্বাচন হবে। সরকার সে অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচন দিতে এরই মধ্যে অনেক দেরি করে ফেলেছে। আর বিলম্ব নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এরশাদ সরকারের পতনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়েছিলেন। আপনি যদি ১৬ বছরের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে তিন মাস বা ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতেন, আপনার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকত। তবে এখনও সময় আছে, আমরা আশাবাদী রমজানের আগেই নির্বাচন হবে।’
ফারুক আরও বলেন, এখন আলোচনা হচ্ছে যে একটি দল নাকি ২০০ থেকে ৩০০ আসন পাবে। এটি, জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ‘অনেকে সংশয়ের মধ্য আছেন যে, নতুন দল (এনসিপি) শক্তিশালী না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। তবে লন্ডন বৈঠকের পর আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি যে, রমজানের আগেই নির্বাচন হবে।’
ফারুক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ সরকারের ওপরই নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের উন্নতি নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী সরকার শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে—যাতে পুনরায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
বিচার বিভাগসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘যখন নির্বাচিত সরকার আসবে, তখন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি শিক্ষাখাতের সমস্যাগুলো সমাধান করবে। আমরা যদি শিক্ষার উন্নতি করতে না পারি, দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।
এনপির এই নেতা মন্তব্য করেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার বাবা যেভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন—তা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। যারা দেশে গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা কখনো শিক্ষার কথা বলেননি।’
১৮৫ দিন আগে
বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী
আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’
শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’
রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’
পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের পর আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি: খসরু
বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’
১৮৫ দিন আগে
নতুন ভোটারদের নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণের ক্ষমতা চায় ইসি
জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের ক্ষমতা চেয়ে নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার নিবন্ধন (সংশোধন) আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার তারিখ নির্ধারণের জন্য আমরা বিদ্যমান আইনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছি।’
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আরও বিপুল সংখ্যক তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত পরিবর্তনের ফলে কমিশন আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বিবেচনার ভিত্তিতে ভোটের আগে নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি যৌক্তিক শেষ তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে।
সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময়সূচি এবং প্রতীক বরাদ্দের তারিখ বিবেচনা করে শেষ সময় নির্ধারণ করবে। আমরা এই বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি সংশোধনী প্রস্তাব পাঠিয়েছি।’
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কে আখতার বলেন, ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৭৬টি আসনের জন্য ইসি আবেদন পেয়েছে। কিছু আবেদন বিদ্যমান সীমানা পরিবর্তনের জন্য করেছে, আবার কিছু আবেদন বর্তমান সীমানা বজায় রাখার জন্য।
ইসিকে শিগগিরই প্রক্রিয়াটি শেষ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা উভয় ধরণের আবেদনই মূল্যায়ন করব। জনসংখ্যা, ভৌগোলিক অবস্থান এবং প্রশাসনিক সীমানার মতো পরিবর্তনশীল বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে আমাদের কাছে যা যুক্তিসঙ্গত মনে হয় তা আমরা করব। পর্যালোচনা এখনও চলছে এবং এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’
আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় ক্রয়ের জন্যও ইসি প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করার আশা করছি।’
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন
আখতার আহমেদ বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের সময়সীমা ২২ জুন শেষ হয়েছে। ‘আমরা ১৪৪টি দলের কাছ থেকে মোট ১৪৭টি আবেদন পেয়েছি। তিনটি দল একাধিক আবেদন জমা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, এখন ২০ জন ইসি কর্মকর্তা এই আবেদনগুলোর প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা বাড়বে, তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশনই নেবে।
১৮৫ দিন আগে
নির্বাচনের তফসিলের পর আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি: খসরু
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই বিএনপি তার রাজনৈতিক জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির যোগাযোগ কমিটি এবং গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পরেই আসন বণ্টনের বিষয়টি সমাধান করা হবে। ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সকল সমমনা দলের সঙ্গে আলোচনা করব।’
পড়ুন: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত: খসরু
গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে খসরু বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণায় উভয় দলই সন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তারা ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ নির্বাচনের আগে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আন্দোলনের সময় আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তেমনি আগামী দিনেও—নির্বাচনের সময়, সরকার গঠনে এবং ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে—একসঙ্গে এগিয়ে যাব।’
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চলমান বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে একমত হতে পারে সে বিষয়ের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। ‘এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব রাজনৈতিক ধারণা, দর্শন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য রয়েছে। ‘সুতরাং, সবকিছুর উপর ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয় বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আবার কিছু বিষয় বিভিন্ন দলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পার্থক্যগুলো থাকবে। সেই কারণেই সংস্কারগুলো একমত হওয়া বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নির্বাচনে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা হবে।’
পড়ুন: মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
খসরু বলেন, বিএনপি তাদের নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করার পর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ‘ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে বিচার বিভাগ একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও এটি অনুমোদন করেছে এবং মতামত দিয়েছে। তাই, আইনত তার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত।’
খসরু বলেন, বিএনপি এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উভয়ই আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা যদি সত্যিই আইনের শাসন অনুসরণ করি—তাহলে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়া স্বাভাবিক। আমরা এখন এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’
১৮৬ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত: খসরু
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিগগিরই গণতান্ত্রিক শাসন ফিরেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার। এ সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমির খসরু বলেন, ‘সবার আগে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে, এজন্য সবার একটা স্বস্তি ও সন্তুষ্টি আছে। আশা রয়েছে, দ্রুত নির্বাচনের দিকে গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবে দেশ।’
তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু অপেক্ষা করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর; তাদের কর্মকাণ্ড, আগামী দিনে কী হবে। স্বল্পমেয়াদি দীর্ঘমেয়াদি অনেক সিদ্ধান্ত আছে। যেগুলো একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সবাই স্বস্তিবোধ করে। এসব বিষয় নিয়েই আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সমস্যা ও অধিকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে সমস্যা আছে, আপনারা জানেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিন্তু সব সময় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ সময় বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একমত পোষণ করেছে এবং এর জন্য তারা ফান্ডিং করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে অনুদান-ঋণের বাইরে গিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে তাদের চিন্তা বহুলাংশে মিল আছে। এটিতে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
১৮৬ দিন আগে
জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর কাফরুলে নির্বাচনী এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কাফরুল থানা জামায়াত এই পথ সভার আয়োজন করে।
জামায়াতের আমির বলেন, সাম্য, ইনসাফ ও বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আর্ত-মানবতার কল্যাণ ও দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করে গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাই জামায়াতের রাজনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা আওয়ামী অপশাসন-দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছি। মূলত, ছাত্র-জনতার ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে এ ঐতিহাসিক বিপ্লব সাধিত হয়েছে। কিন্তু তা নির্বিঘ্ন হয়নি বরং আমাদেরকে চড়ামূল্যে কিনতে হয়েছে।
পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি জামায়াতের
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে দুই হাজারের অধিক মানুষ রাজপথে বুকের তাজা রক্ষ ঢেলে দিয়েছেন। হাজার হাজার আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অনেককেই হাত-পা চোখ হারিয়েছেন। আমরা শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করেছি। কোনো কোনো এতিমের আমরা ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছি। মূলত, জুলাই যোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছি। তাই দেশ ও জাতির জন্য তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেই তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে হবে। তিনি জুলাই বিপ্লবের সুফল পুরোপুরি ঘরে তুলতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জামায়াতপ্রধান বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই। যেখানে রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
কাফরুল থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে পথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা.ফখরুদ্দিন মানিক প্রমুখ।
১৮৭ দিন আগে
মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘মব জাস্টিস বর্তমানে মানবতার ও গণতন্ত্র বিকাশের পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকিতে পরিণত হয়েছে।’
নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ও গণতন্ত্র চর্চার পথচলা এখনো শুরু হয়নি। মব জাস্টিস নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গঠনের পরিবেশকে বিপন্ন করে তুলবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারেকের এই বাণী তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সংহতি ও সম্মান জানাতে জাতিসংঘ ঘোষিত এ আন্তর্জাতিক দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বহু দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও বিশ্বজুড়ে সহিংসতা ও সংঘাত বন্ধ হয়নি। এখনো বহু দেশে ভয়াবহ রক্তপাত চলছে, যার ফলে অগণিত মানুষ নিহত, আহত বা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী ভিন্নমত দমন করতে নৃশংস নিপীড়ন চালাচ্ছেন। ‘এসব দেশে মানুষের জীবন ও সম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে। নিপীড়নের মাধ্যমে গুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলায় বিরোধীদের কারাবন্দী করে রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি জামায়াতের
বাণীতে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে তারেক বলেন, প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রকে বন্দী করে ভয়াবহ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলেছে। এই সময়ে বাংলাদেশকে একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব ধরনের নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে বিভিন্ন কালাকানুনের মাধ্যমে দমন করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং তার চিকিৎসা পর্যন্ত অমানবিকভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তারেক।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে দেশজুড়ে এক ভয়, আতঙ্ক ও নীরবতার পরিবেশ বিরাজ করছে।
একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন যেন ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সচল ও কার্যকর রাখতে হবে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। মানবতা, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য গণতান্ত্রিক শক্তির অটুট ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।’
তিনি বিশ্বের সব নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘নিপীড়িত মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে থাকা সব বাধা দূর করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সব গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল নিষ্ঠুর নির্যাতনকারী ও স্বৈরাচারীদের পরাজিত করা সম্ভব।’
১৮৭ দিন আগে