রাজনীতি
তিন সাবেক সিইসিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি)-সহ দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি।
রবিবার (২২ জুন) সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা করে।
এর আগে, আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি জমা দেন তারা। এ ছাড়া, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি চিঠিও সে সময় হস্তান্তর করা হয়।
মামলায় মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো ত্রুটিপূর্ণভাবে ও দলীয় পক্ষপাতমূলক আচরণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। নির্বাচনগুলোতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনা মোতায়েনের আহ্বান বারবার উপেক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা।
আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন খান বলেন, ওই নির্বাচনগুলোর সময় দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন সিইসিরা কোনো সংশোধনী ব্যবস্থা নেননি। আমরা আশা করি বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি-কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগের ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচন পরিচালনা করেন তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি হয় তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার অধীনে। সে সময় ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
সর্বশেষ গত বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের অধীনে। সবশেষ এই নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপি। সেবারও নির্বাচনেও অংশ নেয়নি দলটি।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই ওই তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের ভূমিকা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
১৯০ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেছেন তারা।
রবিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।
এমন এক সময় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো যখন ফখরুলসহ বিএনপির আরও আট নেতার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আজই বেইজিং সফরে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯০ দিন আগে
সাবেক সিইসি-কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
বিএনপি দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন তদারকিকারী সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিএনপির প্রতিনিধিদল রবিবার (২২ জুন) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিদল প্রথমে সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশন অফিসে অভিযোগের একটি কপি জমা দেবেন এবং তারপর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করবেন।
পড়ুন: দেশের অর্থ লুটপাট করে সুইস ব্যাংকে জমা: আ. লীগের সমালোচনা মির্জা ফখরুলের
শায়রুল বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যেসব নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারচুপি, ত্রুটিপূর্ণ এবং অন্যায্য বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।
এর আগে ১৬ জুন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে জড়িত সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্তের জন্য অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
বিএনপি অভিযোগ করেছে যে, নির্বাচন কমিশন ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচন পরিচালনায় আওয়ামী লীগকে সহায়তা করেছে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং নির্বাচনের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ বিরোধী দল বর্জন করেছিল। ৩০০ আসনের অর্ধেকেরও বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছিল, যা নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। তৎকালীন কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে, বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল যে, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট ভর্তি করা হয়েছিল। সেই নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করেছিলেন সিইসি কেএম নূরুল হুদা।
বিএনপি ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকেও প্রত্যাখ্যান করেছিল, দলটি অংশগ্রহণ না করায় এটিকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছিল। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সেই কমিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
১৯১ দিন আগে
দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে: মুফতি ফয়জুল করীম
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য দখলদার ও খুনিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
শনিবার (২১ জুন) বিকালে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার গণহত্যার বিচার এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এই গণসমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
পড়ুন: ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণার মামলা খারিজ
ফয়জুল করীম বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্টকে এদেশ থেকে তাড়াতে, ভাগাতে বাধ্য করেছিলাম। আমরা ইনশাআল্লাহ ঐক্যবদ্ধভাবে যদি আবারও রাস্তায় নামি—তাহলে চাঁদাবাজদের উৎখাত করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ, কোনো সন্দেহ নাই।
দলটির কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মুহাম্মদ শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী মাওলানা আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, জামায়াতের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নিজাম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম ২ আসনের ইসলামি আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক নুর বকত প্রমুখ।
১৯১ দিন আগে
দেশের অর্থ লুটপাট করে সুইস ব্যাংকে জমা: আ. লীগের সমালোচনা মির্জা ফখরুলের
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানতের পরিমাণ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাপক পরিমাণে বাড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রতিবেদনের বরাতে বলেন, এটি কেবল আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ ও দোসর এবং মাফিয়াদের লুটপাটের পরিমাণ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের প্রতিবেদন দেখে আমি হতাশ হয়েছি যে, সুইস ব্যাংকে (বাংলাদেশিদের দ্বারা) জমা অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে...এটি ফ্যাসিবাদী শাসনামলে মাফিয়া এবং লুটেরা চক্রের ব্যাপক লুটপাটের স্পষ্ট প্রতিফলন।’
শনিবার (২১ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি দলের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি ঠিক জানি না কে, কখন, বা কীভাবে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে জমা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু এই খবর দেখার পর, প্রতিটি দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ভাবতে পারেন যে, গণঅভ্যুত্থানের পর কি আসলেই কোনো পরিবর্তন এসেছে... যদি প্রতিবেদনটি ২০২৪ সালের হয়—তাহলে এটি সত্য।’
পড়ুন: বাংলাদেশকে চাপে রাখতেই পুশইন করছে ভারত: মির্জা ফখরুল
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে—মাত্র এক বছরে ৩৩ গুণ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) এর সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মোট আমানত প্রায় ৫৯ কোটি সুইস ফ্রাঁয় পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালে মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখ ফ্রাঁ ছিল।
ফখরুল অভিযোগ করেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ তার প্রায় ১৬ বছরের দুঃশাসনে বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা নির্বাচন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগ, আমলাতন্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন, বর্তমান সরকার এই সমস্ত ক্ষেত্র পুনরুদ্ধার এবং মেরামত করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে এবং নিঃসন্দেহে অনেক ভালো কাজ করেছে। ‘তারা আমাদের (সঠিক) পথ দেখাচ্ছে। আমরা আশা করি ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে জড়িত সকল রাজনৈতিক দল এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং তাদের সমর্থন করবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার জাতিকে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।
ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা সকলেই গণঅভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট সুযোগকে রাষ্ট্র ও জাতি পুনর্গঠন এবং দেশকে একটি প্রকৃত গণতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য কাজে লাগাই।’
১৯১ দিন আগে
লন্ডন বৈঠকের পর ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আশা বাড়ছে: ডা. জাহিদ
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর দেশে শান্তি ফিরে আসছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নতুন আশা তৈরি হয়েছে।’
লন্ডন বৈঠকের পর আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন ও বিবৃতির বিরোধিতা করায় জামায়াতে ইসলামীরও সমালোচনা করেন তিনি।
শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বৈঠকের আগে এবং পরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতা কমে গেছে। শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসছে, কারণ মানুষ এখন এমন একটি নির্বাচনের আশা করছে—যা অনেকেই বিলম্বিত করার চেষ্টা করছিলেন।’
পড়ুন: আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে জনগণের ক্ষমতা এবং দেশের মালিকানা তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ক্ষমতা জগণের অধিকারের মধ্যে নিহিত—যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন।’
গত ১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে ড. জাহিদ বলেন, ‘অনেকেই এ বিষয়ে অনেক কথা বলছেন। জামায়াত ও অন্যান্য দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন যমুনায় বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে এবং পরবর্তীতে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেছে।’
জাহিদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবও পৃথকভাবে বৈঠক সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেছেন।’
‘এতে কোনো দোষ নেই, কিন্তু আপনি তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনের সমালোচনা করেছেন... সম্ভবত এখন নিজের চেহারা আয়নায় দেখার সময় এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘তারেক কেবল একজন ব্যক্তি নন, বরং দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে।’
‘তারেক রহমান তার যোগ্যতা দিয়ে গণতান্ত্রিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন এবং তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই, যখন আপনারা নিজেদের তার সঙ্গে তুলনা করেন, তখন মানুষ হাসে।’
পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের দাবি তারেক রহমানের
জামায়াতের বক্তব্যের সমালোচনা করে জাহিদ বলেন, ‘এটা বলবেন না যে পুরো জাতি লজ্জিত হয়েছে। আপনারা পুরো জাতির পাইকারি বিক্রেতা নন। আপনি কিভাবে ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধি হলেন? আপনি বলতে পারেন যে আপনাদের দল লজ্জিত হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, ‘পুরো জাতি নিয়ে কথা বলবেন না। যদি আপনারা পুরো জাতিকে অন্তর্ভুক্ত করেন—তাহলে হিসাবটা ভিন্ন, কারণ বাংলাদেশের বৃহত্তম দলের নাম বিএনপি।’
তিনি আরও বলেন, দল সম্পর্কে যারা নেতিবাচক কথা বলছে, তাদের নিয়ে চিন্তা করতে চায় না বিএনপি। কারণ তারা (বিএনপি) পিছনে ফেরার চেয়ে সামনের দিকে এগোতে চায়।
বিএনপি ইতোমধ্যেই ৩১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি জনসমর্থন অর্জনের জন্য জামায়াতকে নিজস্ব ইশতেহার উপস্থাপন করার আহ্বান জানান। বলেন, ‘তাহলে জনগণ দেশ পরিচালনা ও গড়ার দায়িত্ব যাকে খুশি তাকেই দেবে।’
১৯১ দিন আগে
নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে মহাদুর্যোগ দেখা দেবে: গোলাম পরওয়ার
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হলে জাতির জন্য মহাদুর্যোগ দেখা দেবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।
শনিবার (২১ জুন) বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে রুকন শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন যখনই হোক; সেই নির্বাচনকে নিরপেক্ষ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশবাসীর কাছে যে কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) করেছে, সেদিকে সরকারকে সোজা থাকতে হবে। কোনো পাশে ঝুঁকলে হবে না। মাঝখানে সরকার জাতির সামনে সংশয় সৃষ্টি করেছিল।’
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনার হাতে যদি নির্বাচন ব্যর্থ হয়ে পড়ে, নিরপেক্ষ না হয়; তাহলে জাতির সামনে বড় দুর্যোগ অপেক্ষা করছে। একটা ভুলের পুনরাবৃত্তি দ্বিতীয়বার না হয়, সেই নিরপেক্ষতার প্রমাণ সরকারকেই দিতে হবে।’
পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আজ যোগ দিয়েছে জামায়াত
নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে জামায়াতের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই মন্তব্য করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর সংস্কার করতে হবে।’
‘কেননা, বিগত সরকারের সময়ে সব সেক্টরগুলো দুর্নীতিতে তছনছ হয়ে গেছে। আইন, বিচার, সংবিধানসহ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো অব্যশই সংস্কার করতে হবে। আর বাকিগুলো নির্বাচিত সরকার এসে করবে। আসল কাজগুলোর সংস্কার না হলে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে সংস্কার ব্যাহত হতে পারে,’ যোগ করেন তিনি।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চেয়েছি, তার কারণ, স্থানীয় সরকারের কাঠামো না থাকাতে জনদুর্ভোগ বাড়ছে। উন্নয়ন প্রকল্প এখন সরকারি অফিসারের হাতে সীমাবদ্ধ। দুর্নীতি, ব্যক্তিপূজা ও স্বজনপ্রীতিতে অর্থ আত্মসাতের সুযোগ তারা পাচ্ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জনগণের দুর্ভোগ কমাতে অব্যশই স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিতে হবে।’
পড়ুন: দেশের স্বার্থে যেকোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐক্যে যেতে রাজি জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
তিনি বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে আমরা আশঙ্কা করি, কালোটাকার প্রয়োগ, পেশিশক্তি দিয়ে তারা স্থানীয় সরকারের সব সেক্টরে তাদের লোকজনদের বসাবে। এই নির্বাচনে দলকে ভোট দেবে, ব্যক্তিকে নয়।’
দেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে মন্তব্য করে গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে যেতে চাই। এই নির্বাচনে কেউ ভোট ডাকাতি করে, ভোটাধিকার হরণ করে, কালো টাকার পেশিশক্তি দিয়ে আবারও ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো পরিস্থিতির দিকে দিয়ে যেতে চাইলে জনগণই তাদের প্রতিহিত করবে।’
যশোর জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আজীজুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
১৯১ দিন আগে
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে ‘যথাসময়ে’: সিইসি
যথাসময়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। এ সময়ে সরকারের মুখ্য ভূমিকা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নির্বাচনী আইন ও বিধি–সংক্রান্ত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচনের তারিখ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা আপনারা যথাসময়ে জানতে পারবেন। আমরা যথাসময়ে শিডিউল ঘোষণা করব, তখন জানতে পারবেন।’
‘এখানে আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করছি না। এটা আমাদের একটা পরিকল্পনা, অনেকে এটাকে রোডম্যাপ বলে, আমি রোডম্যাপ বলছি না, সেটা (কর্মপরিকল্পনা) অবশ্যই আছে,’ যোগ করেন তিনি।
নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে সিইসি আরও বলেন, ‘এত বড় একটা নির্বাচন, অবশ্যই তার একটা পরিকল্পনা আছে। এটা আমাদের নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা, এটা সংশোধনযোগ্য; যদি কোনো টাইম নিশ্চিত না হয়, তাহলে দু-চার দিন এদিক-সেদিক হতে পারে।’
সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন সিইসি। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, প্রশাসনের সাহায্য নিয়েই নির্বাচনের আয়োজন করতে হয়। সে জন্য প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
‘স্বাভাবিকভাবেই সরকার এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘এই সহায়তা ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না।’
‘একটা নির্বাচন করতে গেলে যতই স্বাধীন বলেন না কেন, সরকার ছাড়া নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কারণ সরকারের সহযোগিতা নিয়েই আমাকে নির্বাচনটা করতে হবে।’
কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়নের চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন নীতিমালা তৈরি করছি। বিভিন্ন জনের মতামত নিয়ে এটি চূড়ান্ত করা হবে।’
নির্বাচন পরিচালনায় প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন, তাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। আলোচনার মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য কিছু এলে সেটা আমরা গ্রহণ করব।’
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বিস্তৃত করতে আঞ্চলিক নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা জানান সিইসি। ইসি সচিব আখতার আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমেদ।
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
১৯১ দিন আগে
ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত থাকা উচিৎ: ফখরুল
ক্রীড়াঙ্গন ও রাজনীতিকে কখনোই এক করতে চান না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতি মুক্ত থাকা উচিৎ।’
শুক্রবার (২০ জুন) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের শহিদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দল-মত নির্বিশেষে সকল প্রতিষ্ঠানসহ দেশ ও দেশের ক্রীড়াকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ দেশটা আমার, আমাদের। বক্তৃতার মঞ্চে চলে গেছি অনেক আগেই, আমার জগতটা এখন রাজনীতিতে। কখনোই আমি খেলার মধ্যে রাজনীতি আনার পক্ষে ছিলাম না। আমি কখনোই ক্রীড়াঙ্গন ও রাজনীতিকে এক করতে চাই না। ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত থাকা উচিৎ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামে চমৎকার এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। দেশ ও দেশের বাইরের বড় বড় খেলোয়াড়রা এই মাঠে খেলেছেন। স্টেডিয়ামে আঞ্চলিক ও জাতীয় দলের খেলার আয়োজন করতে হবে। এতে ক্রিকেটসহ খেলার মান বাড়বে।’
এ সময় টুর্নামেন্টের আহ্বায়ক নুর-ই শাহাদাত স্বজন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোস্তফা সরদার শাহীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন এবং আয়োজক কমিটি, টিম ম্যানেজম্যান্টসহ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯২ দিন আগে
আ.লীগের পুনর্বাসনে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী দল পলাতক আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতীয় নীতিনির্ধারকরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার পতনকে তারা সহ্য করতে পারছে না। লন্ডনে ড. ইউনুস-তারেক রহমানের বৈঠকের পর টার্গেট করে পার্শ্ববর্তী দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।’
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ উদ্যোগে পাবনার চাটমোহরের প্রবীণ বিএনপি নেতা আবু তাহের ওরফে তাহের ঠাকুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য তাহের ঠাকুরের হাতে আর্থিক অনুদান ও তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরে তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায়ে অনেকে এখনো গুম আছে। নেতা-কর্মীরা মামলা ও গ্রেপ্তার থেকে রক্ষা পায়নি। ফ্যাসিবাদের দিনগুলো ছিল ভয়ঙ্কর। তবে এখন আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটছি। আজকে নির্ভয়ে কথা বলতে পারছি। যখন ড. ইউনুস ও তারেক রহমানের বৈঠক হয়েছে তখন থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ধরে নিপীড়ন করেছে; লুট করে দুবাই, কানাডা ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বেহেশতের মতো সুখে আছে। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে অপপ্রচার চালিয়ে গেছে শেখ হাসিনা।… নির্যাতনের শিকার হয়েছি, তবুও শেখ হাসিনার কাছে আত্মসমর্পণ করিনি।’
আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে; যৌক্তিক সময়েই হবে। আরও অনেক দল যে দাবি করেছে, সেই আলোকেই নির্বাচন হবে। আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এবারের নির্বাচনে জনগণের দাবির প্রতিফলন হবে।’
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
তাহের ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লোহা পুড়িয়ে সংসার চালিয়েও তিনি দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। জেলা বিএনপিকে সর্বক্ষণ তার খোঁজখবর রাখতে বলেছি।’
‘আপনার পাশে সবাই দাঁড়াবে। আজ আমরা তারেক রহমানের উপহার নিয়ে এসেছি।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিছুল হক বাবু, তাহের ঠাকুরের ছেলে চাটমোহর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বরিউল করিম গোলাম, এডওয়ার্ড কলেজ ছাত্রদল নেতা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
তিন যুগেরও বেশি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার রয়েছে আবু তাহের প্রামাণিক ওরফে তাহের ঠাকুরের। তিনি চাটমোহর উপজেলা শ্রমিদলের সাবেক সভাপতি। ত্যাগী এই বিএনপি নেতার অসুস্থতা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে বিষয়টি। এরপর তিনি আর্থিক সহযোগিতা ও খোঁজখবর নিতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেন।
১৯২ দিন আগে