রাজনীতি
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
১৯৬ দিন আগে
ইউনূস-তারেক বৈঠক: নির্বাচনী প্রস্তুতিতে গতি এনেছে বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এই বৈঠকের পরে জাতীয় রাজনীতিতে স্বস্তির বার্তা এসেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তারা ইউএনবিকে বলেন, ‘এতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে প্রয়োজনীয় স্থিতিশীলতার পথ তৈরি হয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ইউনূস-তারেক বৈঠকে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা আরও শক্তিশালী হয়েছে, যদিও এটি কিছু রাজনৈতিক দলের ‘অস্বস্তির’ কারণ হয়েছে।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, এই বৈঠক নির্বাচন ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা দূর করতে সহায়ক হয়েছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপি ও এর মিত্রদের সম্পর্ক উন্নত করেছে।
তাদের বিশ্বাস—সরকার আন্তরিক থাকলে প্রয়োজনীয় সংস্কার, জুলাই সনদ প্রণয়ন এবং গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলনে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের কাজ শুরু করে দ্রুত নির্বাচনসূচি ঘোষণা সম্ভব।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের কোনো টানাপোড়েন ছিল না: পরিবেশ উপদেষ্টা
তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে দলকে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন দলটির নেতারা। এতে আসন্ন নির্বাচনে বড় জয় নিশ্চিত করতে দলের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হবেন বলে মনে করেন তারা।
সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পর বড়া আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের সময় এগিয়ে আনার দাবিতে লন্ডনের বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করেছে।
বৈঠকের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। এখন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে এগোবেই বলে মনে করছেন তারা।
সরকার ও বিএনপির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের বৈঠকটি দুই নেতার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি দুজন সিনিয়র উপদেষ্টা, কয়েকজন সিভিল সোসাইটি সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক ও তারেকের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীর সক্রিয় প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে।
তারা বলেন, বৈঠকটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে তারেক রহমান এপ্রিলের পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চেয়ে জোর দেন। এতে, অধ্যাপক ইউনূস একমত হয়ে বলেন, রমজানের আগেই নির্বাচন হতে পারে।
তারা বলেন, তারেক রহমান সংস্কার, জুলাই সনদ এবং গণআন্দোলনে নিহতদের বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বৈঠকে উভয় নেতাই আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগকে সম্মান জানান এবং দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান জানান।
সূত্র জানায়, বৈঠকে তারেক রহমান ভবিষ্যতের রূপরেখা তুলে ধরেন। অন্যদিকে, অধ্যাপক ইউনূস পরিষ্কার করে জানান, তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই, তিনি কেবল সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করতে চান।
বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু অর্থনৈতিক পদক্ষেপের প্রশংসা করে গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নিশ্চিত করেছেন, ড. ইউনূসকে তারেক রহমান জানিয়েছেন—নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে তার (ড. ইউনূস) অভিজ্ঞতা ও আন্তর্জাতিক সংযোগ কাজে লাগিয়ে দেশ পুনর্গঠনে পরামর্শ নেবে বিএনপি।
বিএনপির ওই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সূচি অনেকটা চূড়ান্ত হওয়ায় বিএনপি পুরোদমে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে। ঈদ-উল-আজহার ছুটিতে দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি জানান, ‘তারেক রহমান এরইমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি, তথ্য সংগ্রহ ও নির্বাচনী কৌশল প্রণয়নের কাজ শুরু করেছেন।’
এদিকে, আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপি শিগগিরই নাগরিক ঐক্য, জাসদ (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, জাতীয় পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, ১২ দলীয় জোট ও সমমনা জোটের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘এই বৈঠক বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনিশ্চয়তা কমিয়েছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দরজা খুলে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক মঙ্গলবার
তিনি বলেন, ‘আগে প্রশ্ন ছিল—নির্বাচন আদৌ হবে কি না। কিন্তু এখন দেশ নির্বাচনমুখী। কেউ কেউ সংস্কার বা বিচারের কথা বলছে, কিন্তু সেগুলো নির্বাচন থামাতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এই বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ এবং ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অনেকদিন ধরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় ছিল। এখন সেই সম্ভাবনা স্পষ্ট হয়েছে।’
তার মতে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন নিয়ে তারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। এতে দেশের বর্তমান বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন যখনই হোক, ইসিকে প্রস্তুত থাকতে হবে: সিইসি
এদিকে, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘এই বৈঠক দীর্ঘ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পরে দেশবাসীর মধ্যে শান্তি ও আশার আলো এনেছে। এখন আমরা সবাই নির্বাচন উৎসবের জন্য প্রস্তুত।’
১৯৬ দিন আগে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক মঙ্গলবার
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ জুন) থেকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। রবিবার (১৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানায় কমিশন।
এতে বলা হয়, কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকটি শুরু হবে।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বৈঠক ১৯ জুন পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন যখনই হোক, ইসিকে প্রস্তুত থাকতে হবে: সিইসি
আলোচনা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন-নিউজ সরাসরি সম্প্রচার করবে। বৈঠকে সংবিধানের ৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, নারী প্রতিনিধিত্ব, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ (নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ) ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আলোচনা শেষে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রথমে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করবেন, পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিগণ ব্রিফ করবেন।
এরআগে, ৩ জুন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের প্রথম বৈঠক হয়।
১৯৬ দিন আগে
নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে: রফিকুল ইসলাম খান
হাজারো ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের পর কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও গণহত্যার বিচার না করে যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানো হলে জনগণ সেটা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলান রফিকুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণার পর সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের আগে অবশ্যই সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।
শনিবার (১৪ জুন) বগুড়া শহরের শাহওয়ালি উল্লাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া অঞ্চলের কর্মপরিষদ সদস্যদের দিনব্যাপী শিক্ষা শিবিরে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, জনগণ যেন বিনা বাধায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারেন সেই পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আসন্ন নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ইতোমধ্যেই সারা দেশে আসনভিত্তিক প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের সকল নেতাকর্মীকে দলের প্রার্থীর পক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশে যৌথ বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ন করেছে: জামায়াত
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। হাসিনার পলায়নের মধ্যদিয়েই মূলত দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ফ্যাসিবাদের দোসররা একটি রাজনৈতিক দলের ভেতরে প্রবেশ করে নতুন করে ফ্যাসিবাদের জন্ম দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ আর কোনো ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেবে না। শিক্ষাশিবিরে বগুড়া শহর, বগুড়া জেলা, জয়পুরহাট জেলা, সিরাগঞ্জ জেলা এবং পাবনা জেলা জামায়াতের পুরুষ ও নারী কর্মপরিষদ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
শিক্ষাশিবিরে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের বগুড়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ও অধ্যাপক আব্দুর রহিম, পাবনা জেলা আমির অধ্যাপক তালেবুর রহমান, জয়পুরহাট জেলা আমির ডা. ফজলুর রহমান সাইদ, বগুড়া জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার, বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল, সিরাজগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা শাহিনুর আলম।
১৯৭ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেকের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে। তিনি বলেন, অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছে না। কেউ কেউ উস্মা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১৪ জুন) বিকালে গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা ৭১ সালের জনগণের বিরোধিতা করেছেন। ৯১ সালে হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে মন্তব্য করেন। তাহলে রাজনীতি মানে কি। তাদের রাজনীতি ভুলে ভরা আর বিএনপির রাজনীতি ইতিবাচক রাজনীতি।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়, তবে এর চাইতে উপযুক্ত সময় আর নেই। এসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। আর এপ্রিল মাস! তখন প্রচন্ড গরম, ঝড়, হজ্ব, কোরবানির মওসুম। রমজান মাসে কি প্রচারণা করা যায়!
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, আবহাওয়া ভালো থাকে, রমজান নেই, পরীক্ষা নেই।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে, কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনার অন্যায়ের কাছে তিনি মাথানত করেননি। হাসিনা নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করেছে।
ভারতের পুশ-ইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুশ-ইনের মাধ্যমে ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে তারা এটি করতে থাকলে—এর দায় তাদের নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান ও ওমর ফারুক শাফিন প্রমুখ।
১৯৭ দিন আগে
বিদেশে যৌথ বিবৃতি ও সংবাদ সম্মেলন অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ন করেছে: জামায়াত
বিদেশে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি ও বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করায় অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।
দলটির অভিযোগ, প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যে সফরকালে লন্ডনে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিদেশেই যৌথ প্রেস ব্রিফিং এবং বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে যৌথ বিবৃতি দেওয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ব্যত্যয় ও একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগের প্রকাশ, যা সরকারের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
শনিবার (১৪ জুন) রাজধানীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর এই অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর
এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ জুন লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে জামায়াত স্বাভাবিক মনে করে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে এবং যৌথভাবে বৈঠক করেছেন।
এতে আরও বলা হয়, তিনি বিগত ৬ জুন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশে ফিরে প্রধান উপদেষ্টা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে তার অভিমত প্রকাশ করাই সমীচীন ছিল বলে মনে করে জামায়াত।
বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বিগত ১৬ এপ্রিল একটি বিদেশি মিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে ২০২৬ সালের রোজার পূর্বে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন হতে পারে মর্মে দলের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিলেন।
আরও পড়ুন: নিবন্ধন ও নির্বাচনী প্রতীক ফিরে পাবে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
এতে বলা হয়, সরকারপ্রধান হিসেবে কোনো একটি দলের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিং নৈতিকভাবে কিছুতেই যথার্থ নয় বলে মনে করে জামায়াত।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ প্রেস ব্রিফিং করায় আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার বিষয়ে জনগণের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, বাংলাদেশে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল সক্রিয়ভাবে বিদ্যমান। শুধু কোনো একটি দলের সঙ্গে আলাপ করে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সঠিক বলে বিবেচিত হতে পারে না।
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বর্তমান অন্তর্বতী সরকার নিরপেক্ষ থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে এবং বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে বলেও আশা করে জামায়াত।
একই সঙ্গে সরকারের নিরপেক্ষতা, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছে—তা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকা জাতির সামনে স্পষ্ট করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ।
১৯৭ দিন আগে
ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নির্বাচন অনিশ্চয়তা দূর করেছে। তিনি বলেন, রমজানের আগে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফলপ্রসূ ঐকমত্যের মাধ্যমে নতুন আশা জাগিয়েছে বৈঠকটি।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এই বৈঠকে ফলপ্রসূ ঐকমত্য অনিশ্চয়তা দূর করেছে এবং দেশের জনগণের জন্য স্বস্তি ও নতুন আশার বার্তা এনেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, লন্ডনে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত প্রতিকূল এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সূচি থেকে সরে এসে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও অর্জনকে সংযুক্ত করে একটি যৌক্তিক সময় নির্ধারণের জন্য আমরা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধান উপদেষ্টা জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এটি প্রশংসার যোগ্য পদক্ষেপ।
'সবার আগে বাংলাদেশ' নীতি হৃদয়ে ধারণ করে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রহমান সর্বদা প্রমাণ করেছেন যে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব এবং স্থিতিশীলতা।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘তিনি (তারেক) সময়ের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ছাড় দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রায়, তিনি কেবল রাজপথে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী নেতাই নন, বরং সংলাপের টেবিলে এবং গঠনমূলক সম্পৃক্ততায়ও সমানভাবে দক্ষ এবং দূরদর্শী।’
প্রধান উপদেষ্টাকে 'নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেক আ ডিফারেন্স' এবং 'নেচার ম্যাটার্স: ভাইটাল পোয়েমস ফ্রম দ্য গ্লোবাল মেজরিটি' শীর্ষক দুটি বই এবং একটি কলম উপহার দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রাজনৈতিক সৌজন্য এবং জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্রীয় চিন্তাভাবনার একটি নতুন ধারার সূচনা করেছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ বোঝাপড়া গণতন্ত্র, বাংলাদেশের ও জনগণের বিজয় আনবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের মধ্যে এই সম্প্রীতি ও ঐকমত্যের মাধ্যমে গণতন্ত্র গণতন্ত্র, বাংলাদেশ এবং এর জনগণের বিজয়ের দিকে পরিচালিত করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, এখন প্রত্যাশা হলো অন্তর্বর্তী সরকার তার ঘোষিত অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেকের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, শুক্রবার লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত বৈঠক চলে। এটি বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরিকল্পনার আধা ঘণ্টা আগে শেষ হয়।
১৯৮ দিন আগে
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎকালে তিনি এ বিষয়ে একমত হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবাই আশা করেছিল এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে এই বৈঠকটি সত্যিই একটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।’
বৈঠকের পর শুক্রবার (১৩ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত এপ্রিল থেকে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনার প্রস্তাব করেছিলেন তারেক রহমান। কারণ, সেই সময়টি ভোটের জন্য অনুকূল নয়। ‘প্রধান উপদেষ্টা এতে সম্মত হওয়ায় সমগ্র জাতি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে এবং তারা (সরকার) ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি তার বিচক্ষণতা ব্যবহার করে তারেককে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এইভাবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে জাতিকে নতুন আশা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ফখরুল বলেন, বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, দুই নেতার মধ্যে আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে আলোচিত অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়টিই প্রধান।
তিনি বলেন, অতীতের ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐক্যকে আরও সুসংহত করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এখন জরুরি।
ফখরুল বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গত ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া, রক্তপাত করা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন—তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারেক সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এছাড়াও, ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি শিগগিরই পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে: ড. খলিলুর
এর আগে, লন্ডনে তাদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা এবং ভারপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে প্রস্তাব করেছিলেন যে আগামী বছর রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিশ্বাস করেন সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান উপযুক্ত হবে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে সংস্কার এবং বিচারের বিষয়ে এই সময়ের মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতির প্রয়োজন হবে।’
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ‘ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য তারেক রহমানকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
১৯৮ দিন আগে
রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
সময় মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এপ্রিলের পরিবর্তে ২০২৬ সালের রমজানের আগের সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, তবে, সেক্ষেত্রে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংস্কার ও গণহত্যার বিচারের বিষয়ে এই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রয়োজন হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে প্রস্তাব করেছিলেন যে আগামী বছর রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিশ্বাস করেন সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান উপযুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক শেষ
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে সংস্কার এবং বিচারের বিষয়ে এই সময়ের মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতির প্রয়োজন হবে।’
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ‘ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য তারেক রহমানকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের সাক্ষাৎ: আলোচনার এজেন্ডা ও ফলাফল কী হতে পারে?
১৯৮ দিন আগে
ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক শেষ
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠক শেষ হয়েছে।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বহুল আলোচিত আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।
সকালে দ্য ডরচেস্টারের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার কয়েকশ নেতা-কর্মী তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
এদিকে, ড. খলিলুর রহমান ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু দ্য ডরচেস্টার হোটেলে পৃথক বৈঠক করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মধ্যে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক শুরু
উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকটি এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।
সকলের দৃষ্টি এখন লন্ডনের দিকে, কারণ অনেকেই আসন্ন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এটিকে একটি সম্ভাব্য মোড় হিসেবে দেখছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের সময়সূচি, প্রস্তাবিত সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুমোদন, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রস্থান কৌশল ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফিরে আসা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
বিএনপি নেতারা এই বৈঠককে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে টানাপোড়েন নিরসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন। একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দেন যে সময়সূচি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের সাক্ষাৎ: আলোচনার এজেন্ডা ও ফলাফল কী হতে পারে?
১৯৮ দিন আগে