রাজনীতি
আগে বিচার, তারপর সংস্কার, এরপর নির্বাচন: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিগত জালেম সরকার বলত—আমার ভোট আমি দেবো যাকে খুশি তাকে দেবো। পক্ষান্তরে দেখা যেত, আমার ভোট আমি দেবো, তোমার ভোটও আমি দেবো। এমনটাই ঘটেছিল।
তিনি বলেন, ‘জনগণ ও ছাত্ররা আর এমন নির্বাচন চায় না, অতীতে যা ঘটেছে তার পুনরাবৃত্তি হতে দেবে না ছাত্ররা। তাই আমরা বলেছি—আগে বিচার, তারপর সংস্কার, তারপর নির্বাচন।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় জামায়াতে ইসলামী উপজেলা শাখার দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় শুধু আমরা না, সাধারণ জনগণ দেখেছে আওয়ামী সরকার নির্বাচনের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছে। ২০১৪ সালের বিনা ভোটে এমপি হয়ে পার্লামেন্টে গিয়েছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই সেরে ফেলেছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে সাধারণ জনগণ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি, ভোটারদের যাওয়া লাগেনি, এমনকি যারা গিয়েছে তাদের ভোটগুলো প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজনরা মেরে নিয়েছে। শুধু তাই না, ২৪’র নির্বাচনে প্রার্থী খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে ডামি প্রার্থী সাজিয়ে নির্বাচন করেছিল।
আরও পড়ুন: সব ইসলামী দলের একটি ভোট বাক্স থাকবে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের এই লড়াই চলবেই। ২৪’র আন্দোলনে আমরা দেখেছি ছাত্রদের মুখে স্লোগান ছিলো উই ওয়ান্ট জাস্টিস-আমরা ন্যায়বিচার চাই, ঠিক তেমনি আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নাটোর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মো. ইউনুস আলী, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. সাদেকুর রহমান, সহ-সেক্রেটারি মো. আতিকুল ইসলাম রাসেল এবং নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী মাওলানা মো. আবুল কালাম আজাদ।
বাগাতিপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা একেএম আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নাটোর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শিবিরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন রনি, শিবিরের সাবেক নাটোর জেলা সভাপতি মহসিন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: তরুণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
২০২ দিন আগে
সব ইসলামী দলের একটি ভোট বাক্স থাকবে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
আগামী নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্ত ইসলামী দলের একটি ইসলামী ভোট বাক্স থাকবে বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী সিদ্ধান্ত নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক দূর সফলতা অর্জন হয়েছে। আল্লাহ যদি কবুল করে এইটা হবে ইনশাআল্লাহ।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জামায়াতের ঈদ পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর ধরে দেশের মানুষ শাসকদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। সবাই আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে হত্যা ও দাফন দুটিই করেছিল হাসিনা। ২০১৪ সালে বিনাভোট ১৫৩ জন এমপি হন। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিশিরাতের ভোট। পৃথিবীর ইতিহাসে রাতের বেলায় কোথাও ভোট হয়নি। কিন্তু শেখ হাসিনা করেছে। যেসব দলকে সংসদে দেখা হয়েছে জনগণ তাদের এখন আর চায় না।
আরও পড়ুন: তরুণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
গাজায় নির্বিচারে গণহত্যা করা হচ্ছে। মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের এই সিনিয়র নেতা।
ঈশ্বরদী উপজেলা জামায়াতের আমির ড. অধ্যাপক নুরুজ্জামান প্রামাণিকের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, পাবনা জেলা জামায়াতে আমির, পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, পাবনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি, পাবনা পৌরসভার মেয়র প্রার্থী আব্দুল গাফ্ফার খান প্রমুখ।
২০২ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের
এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠক ১৩ জুন
অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’
ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।
তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি: গয়েশ্বর
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’
ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।
ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’
ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।
২০২ দিন আগে
লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠক ১৩ জুন
লন্ডনে আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লন্ডনে স্থানীয় সময় ১৩ জুন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
মির্জা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকের চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার স্থানীয় কমিটির মিটিংয়ে এ বৈঠকের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস
ফখরুল জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তারেক-ইউনূস বৈঠককে টার্নিং পয়েন্ট আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান সরকারও এই অভ্যুত্থানের ফসল। এ দুপক্ষের বৈঠক সফল হলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান আসবে।’
নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা নেই। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলাপ হবে।’
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য এটি মোটেই ভালো সময় না। এ সময়ে নির্বাচন হলে প্রচারণা চালাতে হবে রোজার মধ্যে। তারমধ্যে তখন থাকবে গরম। দেখা যাবে ইফতার পার্টি করতে করতে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর জনসমাগম করতে হচ্ছে রাতের বেলা।’
আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তত্ত্ববধায়ক সরকার ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
সংস্কার এবং জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। অনেকেই বলেন বিএনপি সংস্কার চায় না। ২০৩০ ভিশন বিএনপির সর্বপ্রথম সংস্কার প্রস্তাব। বিএনপিই সবার আগে সংস্কারের কথা বলেছে।’
সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে সাবধানে কথা বলতে এবং ভুল বোঝাবুঝির ঊর্ধ্বে উঠে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
২০২ দিন আগে
ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে তাদের দল রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সোমবার (৯ জুন) নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই নির্বাচন আন্দোলন চলমান। এটি ঈদ, বর্ষা বা সময়ের সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা ১৭ বছর ধরে এই দাবি জানিয়ে আসছি। এবার এর একটা শেষ দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, 'আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। তাই যতদিন পর্যন্ত সেই নির্বাচন না হয়, ততদিন আমরা এই দাবি জানিয়ে যাব।'
কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হবে—এ প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আন্দোলনের ধরন রাজপথেই নির্ধারিত হবে।
তিনি সরকারের এপ্রিল মাসে নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগের সমালোচনা করে বলেন, ওই সময় রমজান ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নির্বাচন উপযোগী নয়।
‘মানুষের মধ্যে এখন আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছে, আবহাওয়া ও রমজানের অজুহাতে নির্বাচন আবার পেছানো হতে পারে। জনগণ কি এই সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারে?' — প্রশ্ন তোলেন গয়েশ্বর।
তিনি বলেন, 'সরকারকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের সদিচ্ছা প্রমাণ করতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এটা শুধু বিএনপির দাবি নয়, জনগণের দাবি। বিএনপি জনগণের পক্ষ থেকে কথা বলছে। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি এখন জনগণের সেন্টিমেন্ট।'
সরকারের ‘আত্মঅহমিকা’কেই ডিসেম্বরে না করে এপ্রিলের নির্বাচন সময় নির্ধারণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সরকার যদি অহংকার ত্যাগ করে, তাহলে সময় পুনর্বিবেচনা করতে পারে।’
'নির্বাচন চাওয়াটা অন্যায় নয়,'—এ কথা জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘ডিসেম্বারের পরিবর্তে সরকার যদি নভেম্বরে নির্বাচন করে, তাতে তাদের মানহানি হয় নাকি?’
তিনি বলেন, 'ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে কী সমস্যা? সরকার কেন সেটা ব্যাখ্যা দিচ্ছে না?'
গয়েশ্বর অভিযোগ করে বলেন, 'গণতন্ত্রে উত্তরণের মূল এজেন্ডা হওয়া উচিত ছিল নির্বাচন। কিন্তু সরকার সেটিকে এড়িয়ে অপ্রাসঙ্গিক ও অবাস্তব বিষয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে।'
২০৩ দিন আগে
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে চাই: সারজিস আলম
ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনকালীন সময়ে সবসময় ক্ষমতার অপব্যবহার, কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার হয়ে আসছে। আমরা এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে চাই।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দলীয় চা চক্র শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ছোট দল হোক বা বড় দল, সবাই যাতে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। বিগত নির্বাচনের মতো ব্যালট চুরি, ভোটকেন্দ্র দখল বা সহিংসতা যেন না ঘটে—সেজন্য নির্বাচনকালীন সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগকে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে।’
‘যদি এসব সংস্থা তাদের দায়িত্ব সুন্দরভাবে পালন করে, তাহলে এপ্রিলে নির্বাচন হলেও আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না,’—যোগ করেন সারজিস।
চা চক্রে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও এনসিপির দেবীগঞ্জ, সদর ও বোদা উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সারজিস ও হাসনাত আবদুল্লাহ দেবীগঞ্জের বিজয় চত্বর ও বোদা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় করেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন। পরে তারা সারজিসের গ্রামের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলার বামনকুমার এলাকায় যান।
২০৩ দিন আগে
তরুণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনী সিডিউলের আগে যেসব তরুণদের বয়স হবে ও প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলবেন আর নাগরিকত্বের প্রথম অধিকার ভোট দিতে দিবেন না—এটা হবে না। আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তারা যেন বিদেশ থেকে স্বচ্ছতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সোমবার (৯ জুন) দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে বড়লেখা বাজারে ঈদ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সাড়ে ১৫ বছর যারা জাতির উপর জুলুম করলো— এখনও তারা তা অব্যাহত রেখেছে। মাঝেমধ্যে তারা দেশের সবকিছু তছনছ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। জাতিকে তারা অস্থির করতে চায়। আড়াই বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত খুন করলো। এতো কিছুর পরও তারা অনুশোচনা করে না, জাতির কাছে মাফ চায় না এবং লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয় না।’
যুবকদের ধন্যবাদ জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘যুবকদের নেতৃত্বে বাংলাদেশে পরিবর্তন এসেছে। সাড়ে ১৫ বছর জালিমের যাঁতাকলে অতিষ্ঠ হয়েছি, প্রতিবাদ করেছি, আন্দোলন করেছি, ফ্যাসিবাদীদের আমরা বিদায় করতে পারি নাই। তোমরাই সফল হয়ছো।’
তিনি বলেন, আমরা একটা বিশৃঙ্খল বাংলাদেশ দেখতে চাইনা, মানবিক বাংলাদেশ দেখে যেতে চাই। জাতি আশা করে আগামী দিনে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুবকরা আরও সাহসী ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, যাদের বয়স নির্বাচনের সিডিউলের আগে ১৮ বছর হয়ে যাবে তাদের ভোটাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। যুবকরা লড়াই করে অধিকার ফিরিয়ে এনেছে এবং ভোটাধিকার তাদের প্রাপ্য।
তিনি আরও বলেন, এবারের ভোটে কেউ যদি কালো ও পেশি শক্তি দেখায় তাহলে জুলাইতে যেভাবে কালো শক্তিদের বিতাড়িত করা হয়েছে সেই পরিণতি তাদেরও ভোগ করতে হবে।
নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কথায় আস্থা রাখতে চাই। তিনি এরই মধ্যে বলেছেন এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন দেবেন। তিনি যেন জাতিকে দেওয়া তার ওয়াদা রক্ষা করেন। একান্ত কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে সেটি অবশ্যই এপ্রিল মাস অতিক্রম করা উচিত নয়।
বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের আমীর এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল বাছিতের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
২০৩ দিন আগে
যথাসময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবে ইসি: উপদেষ্টা আসিফ
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ মাথায় রেখে যথাসময়ে রোডম্যাপ দেবে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (৯ জুন) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার জাহাপুর বাজারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নির্বাচন ছাড়াও স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেন এ উপদেষ্টা।
এপ্রিলের জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে স্থানীয় নির্বাচনের সমন্বয় প্রসঙ্গে আসিফ বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো থেকে কনসার্ন ছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করে দেওয়ায় এখন আর সেই সম্ভাবনা নেই।’
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ওপর জোর দিয়ে আসিফ বলেন, জনগণ অধিকাংশ সেবা স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন, জনপ্রতিনিধি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে তা বিঘ্নিত হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থানীয় পর্যায়ে জনকল্যাণমুখী অনেক কাজ করলেও দৈনন্দিন সেবা পেতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির কোনো বিকল্প নেই।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনে সরকারের শুরু থেকেই সদিচ্ছা ছিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকারের অনেকগুলো স্তর রয়েছে, কতটুকু করা যাবে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজনের জন্য বলা হবে।
এ সময় কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কজ পড়ুয়া, মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০৩ দিন আগে
এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজন 'অপরিণামদর্শী’ সিদ্ধান্ত: রিজভী
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিল মাসে আয়োজনের পরিকল্পনাকে ‘অপরিণামদর্শী’ ও ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার (৮ জুন) রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী ভ্যান-রিকশা শ্রমিক দলের খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, 'মানুষ মনে করে, এপ্রিল মাসে নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্তটি একটি হঠকারী ও অপরিপক্ব চিন্তার ফল।'
তিনি বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা সময় ও উদ্দেশ্য—দুই দিক থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ।'
রিজভী বলেন, 'কেন মাত্র এক-দুজন ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের কথায় এপ্রিল মাসে নির্বাচনের কথা বলা হচ্ছে? এপ্রিল হলো প্রচণ্ড গরম, ঝড়-বৃষ্টি ও এসএসসির পাবলিক পরীক্ষার সময়। সেই সময়েই ঈদুল ফিতরও শেষ হবে মাত্র। রমজানের মধ্যে কীভাবে প্রচারণা চালানো সম্ভব? মানুষ রোজা রাখবে, না প্রচারণা চালাবে?'
তিনি অভিযোগ করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গণতন্ত্রকে সংস্কারের বিপরীতে দাঁড় করিয়েছে।
রিজভী বলেন, 'শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনা ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে থাকার স্বপ্ন দেখতেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কি একই বাসনা রয়েছে?'
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গত ১৫-১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। 'মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একের পর এক ভোটে কারচুপি হয়েছে। শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের পবিত্রতাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছেন।'
রিজভী বলেন, 'গণতন্ত্রের ভিত্তিই হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। জনগণের অধিকার রয়েছে—ভিন্নমত পোষণের, নিজের প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার। সেটিই হলো নির্বাচন।'
তিনি ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন আয়োজনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, 'ভোটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় ডিসেম্বর।'
২০৪ দিন আগে
যুক্তরাজ্যে ১০-১৩ জুন সফর করবেন অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। আগামী ১০ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাবেন তিনি।
অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের উপর জোর দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নবায়নে কাজ করছে দুই দেশ।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর্। অধ্যাপক ইউনূস রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করবেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন।’
তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর এবং বৈচিত্র্যময়। এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
এই সফরকালে, রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যাপক ইউনূসকে মর্যাদাপূর্ণ ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ প্রদান করবেন। মানুষ ও পরিবেশের মধ্যে শান্তি, স্থায়িত্ব এবং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় আজীবন প্রচেষ্টার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
১২ জুন লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। ২০২৪ সালে জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি-মুনও এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি, অন্যান্য সিনিয়র মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা এবং যুক্তরাজ্যের নীতি ও ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গেও অধ্যাপক ইউনূস দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এই সফরটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ যুক্তরাজ্য একটি শীর্ষস্থানীয় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক নীতি এবং সুশাসনের প্রচারকে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, এই সফর বাংলাদেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগ, গণতান্ত্রিক পথচলা এবং সুশাসনের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার তুলে ধরার সুযোগ করে দেবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ‘সর্বোপরি’ একজন নোবেল বিজয়ী ও বিশ্বব্যাপী সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বজুড়ে একটি অনন্য এবং ইতিবাচক ভাবমূর্তি রয়েছে। তার মতো একজন ব্যক্তিত্বের যুক্তরাজ্য সফর বিশ্ব পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও উন্নত এবং সুসংহত করবে।
সফরের সময় আলোচনায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন, টেকসই উন্নয়ন, রোহিঙ্গা সংকট ও অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়।
বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্রিটিশ দক্ষতা এবং সম্পদের ব্যবহার করা হবে এই কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অধ্যাপক ইউনূসের কমনওয়েলথ এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র সংস্থার (আইএমও) মহাসচিবদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। যা বাংলাদেশের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততাকে আরও জোরদার করবে।
তার পাবলিক কূটনীতি উদ্যোগের অংশ হিসেবে, প্রধান উপদেষ্টা ১১ জুন চ্যাথাম হাউস - রয়্যাল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে একটি মূল বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক রূপান্তর এবং ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
পাচার করা অর্থ এবং বিদেশি সম্পদ পুনরুদ্ধারও আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের বলেন, চুরি যাওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডন সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
সরকারের মতে, পূর্ববর্তী প্রশাসনের অধীনে প্রতি বছর আনুমানিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশে পাচার হয়েছিল।
প্রধান উপদেষ্টা এরই মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত তার হাইকমিশনারের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা চেয়েছেন, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্বারা যুক্তরাজ্যে পাচার করা তহবিল শনাক্ত ও পুনরুদ্ধার করা যায়।
২০৪ দিন আগে