রাজনীতি
বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি
নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’
বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।
সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে নতুন নোট নেই, চড়া দামে মিলছে খোলাবাজারে
বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।
বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই: ডা. শফিকুর রহমান
জনগণের নানা ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের দাবির বিষয়ে দলীয় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি না থাকায় জনগণ নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাই।’
জামায়াত আমির বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের(ইসির) সক্ষমতার বিষয়টিও জাতির সামনে পরিষ্কার হবে।’
মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বনানীর ‘শেরাটন ঢাকা’ হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, আমরা আশাকরি সরকার সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র পাস’ করে তার ভিত্তিতে মৌলিক সংস্কার কার্যক্রম শেষ করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সংশোধন করে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা জাতির সামনে পেশ করবেন। সেই ভোটার তালিকায় অবশ্যই প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের একটি পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।
আরও পড়ুন: জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায়: ডা. তাহের
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জামায়াতপ্রধান বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঘোষিত নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। আগামী বছর রোজার আগে বা পরে নির্বাচন হতে পারে। তবে সময় বেঁধে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের নেই।’
তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটার করার বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই কথা বলে আসছি। কিন্তু ইসির দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না, আমরা উদ্বিগ্ন।
ডা. শফিকুর বলেন, দেশের রাজনীতি, সমাজ ও সার্বভৌমত্বের ওপর কারও আধিপত্য আমরা মেনে নেবো না। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। সকল দেশের সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনগুলোতে দফায় দফায় আমাদের উপর বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ও অন্যায্য বোঝা চাপানো হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে গুম করে আয়নাঘরে বন্দী রেখে বছরের পর বছর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। দেশের আলেম ও সাংবাদিক সমাজও এর থেকে রেহাই পায়নি। সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখনও বেদনাদায়ক হয়ে আছে।
জামায়াত আমির বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের সকল শর্ত মেনে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত হয়েছিল। তারপরও সম্পূর্ণ অনৈতিক ও অন্যায্যভাবে আদালতের ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়।
তিনি বলেন, গত ১ জুন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সর্বসম্মত রায়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে অবৈধ এবং বাতিল ঘোষণা করে। একই সঙ্গে ২০১৩ সালের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: বাজেটে দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় প্রতিফলিত হয়নি: জামায়াত
তিনি বলেন, আমরা আশা করছি অতিদ্রুতই অফিসিয়ালি আমাদের নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাব। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, তারা যেন তাদের মর্যাদা রক্ষা করেন।
সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক, মানবিক, দুঃশাসন এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার নিজেদের অঙ্গীকারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন জামায়াত আমির।
২০৮ দিন আগে
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে চায় এনসিপি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টিও (এনসিপি) প্রস্তাব করেছে যে, শুধু জাতীয় নির্বাচন নয়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘সবাই চায় জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হোক। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হলে সেটাও ভালো হবে।’
মঙ্গলবার (৩ জুন) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনার মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে সরোয়ার বলেন, এনসিপি চার মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত।
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দল ৬ মাসের মেয়াদের পক্ষে। এ বিষয়টি এখনও বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তিন মাস না চার মাস—এনসিপি এই বিষয়ে নমনীয়। তবে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন এতে অন্তর্ভুক্ত হয়—তাহলে চার মাস প্রয়োজন হতে পারে।’
অন্যদিকে, বিএনপি কেবল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায়। এ ধরনের সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে সীমিত রাখার পক্ষে দলটি।
সরোয়ার তুষার জানান, এনসিপি সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের পক্ষেও মত দিয়েছে, যাতে সংসদ সদস্যরা অর্থ বিল এবং অনাস্থা প্রস্তাব ব্যতীত অন্য সব বিষয়ে স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন।
এর আগে, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় এবং স্থানীয় উভয় নির্বাচনই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য তাদের দল প্রস্তাব করেছে।
দ্বিতীয় দফার আলোচনার মঙ্গলবারের অধিবেশন সকাল ১১টায় কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে শুরু হয়। বিএনপি, জামায়াত এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি) সহ প্রায় প্রায় ৩০টি দল এই বৈঠকে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায়: ডা. তাহের
সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার উদ্বোধন করেন।
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারমূলক উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে।
কমিশন ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে—যার মধ্যে ছিল বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। গত ১৯ মে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম দফার সংলাপ শেষ করে কমিশন।
কমিশনটি চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়। কমিশনের লক্ষ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে একটি জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো।
২০৮ দিন আগে
জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চায়: ডা. তাহের
জাতীয় ও স্থানীয় সরকার উভয় নির্বাচনই একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার (৩ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় দলটি এমন প্রস্তাব দিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনার মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় জামায়াতের নায়েবে আমির ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হলো জাতীয় ও স্থানীয় উভয় নির্বাচনই একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হোক।’জামায়াত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে সংসদ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ দলীয় অবস্থানের বাইরে ভোট দিতে পারেন—তবে এটি অর্থ বিল, অনাস্থা প্রস্তাব এবং সংবিধান সংশোধনসংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
আরও পড়ুন: বাজেটে দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় প্রতিফলিত হয়নি: জামায়াত
কিন্তু বিএনপি কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় চারটি বিষয় ছাড়া দলীয় অবস্থানের বাইরে সংসদ সদস্যদের ভোটদানের পক্ষে মত দেয়—এই চারটির মধ্যে জামায়াতের উল্লেখিত তিনটি বিষয় ছাড়াও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোও রয়েছে।
জামায়াতের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে অবস্থানের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রস্তাবিত তিনটি ব্যতিক্রমের বিষয়ে আমাদের মতামত দিয়েছি।’
দ্বিতীয় দফার আলোচনার দ্বিতীয় দিন সকাল ১১টায় কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে শুরু হয়। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)সহ প্রায় ৩০টি দল মঙ্গলবারের বৈঠকে অংশ নেয়।
সোমবার, প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করেন।
গণতান্ত্রিক সংস্কার উদ্যোগে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তি গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ২০ মার্চ প্রথম দফার সংলাপ শুরু করে।
আরও পড়ুন: আগে বিচার ও সংস্কার চাই, তারপর জাতীয় নির্বাচন: অধ্যাপক মুজিবুর
কমিশন গত ১৯ মে প্রথম দফার আলোচনা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)সহ ৩৩টি দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করে।
২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনের দায়িত্ব ছিল গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তি রচনা করা।
২০৮ দিন আগে
জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
লালমনিরহাট সদর আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট সদর থানায় ঘটনার প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর এ মামলা করেন খলিলুর রহমান নামের ওই পোলিং এজেন্ট।
মামলায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জিএম কাদের, তাঁর স্ত্রী ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদের, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জাহিদ হাসানসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী পোলিং এজেন্ট খলিলুর রহমান লালমনিরহাট পৌরসভার সাধুটারী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যারা কাজ করছেন, তারা এলিয়েন: জিএম কাদের
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেছারিয়া কামিল মাদরাসা কেন্দ্রের বিএনপির পোলিং এজেন্ট থাকার সময় তাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, খলিলুর রহমান ভোটের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে যান জাতীয় পার্টি নেতারা। তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে ‘লাশ হয়ে ফিরতে হবে’। এরপরও খলিলুর রহমান দায়িত্ব পালনের জন্য ভোটকেন্দ্রে যান। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিএম কাদের ও শেরিফা কাদেরের নির্দেশে কয়েকজন তাকে কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে গিয়ে মারধর ও গালিগালাজ করেন।
এজাহারে বলা হয়, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। স্বৈরশাসকদের ভয়ে কোথাও মামলা করার সাহস হয়নি। এ কারণে মামলা করতে এত বিলম্ব হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী বলেন, বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে মারধর, সাধারণ জখম পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যাচেষ্টা, হুকুমদানের অভিযোগে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
২০৯ দিন আগে
ডিসেম্বরের পর জাতীয় নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে অধিকাংশ সংস্কার এক মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব। সেই হিসেবে ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই।
সোমবার (২ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো উল্লেখযোগ্য একটি কারণও নেই।’
সালাহউদ্দিন দাবি করেন, বৈঠকে প্রায় সব রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে।তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন।’
বিএনপি নেতা, ‘আমরা আশা করি, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং ব্যক্তিগত আবেগ বা পক্ষপাত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন। জাতি তার কাছ থেকে নির্ভেজাল নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মনে করে ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এর আগে আমরা জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনী ব্যবস্থাসংশ্লিষ্ট প্রধান সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের মর্যাদাপূর্ণ বিদায়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান বিএনপির
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। আমরা আজ একটি প্রতিবেদন পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে একাধিক সংস্কার অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরও অনেক সংস্কার প্রক্রিয়াধীন আছে। সেগুলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ বা প্রশাসনিক নির্দেশনার মাধ্যমেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা বৈঠকে অংশ নেয়।
প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল প্রথম দফার আলোচনায় অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করা প্রধান সংস্কারগুলোর বিষয়ে মতবিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে এই বৈঠকে অংশ নেয়।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য দুই সদস্য হলেন দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিহুল্লাহ এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংস্কার নিয়ে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতে শুরু হওয়া ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করে।এতে অধিকাংশ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে।
২০৯ দিন আগে
বাজেটে দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় প্রতিফলিত হয়নি: জামায়াত
নতুন অর্থবছর (২০২৫-২৬) বাজেটে বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার (২ জুন) রাতে এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এই প্রতিক্রিয়া জানান।
এবারের বাজেটকে পূর্বের বাজেটগুলোর মতো গতানুগতিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অর্থ উপদেষ্টা ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার একটি বাজেট পেশ করেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটের মোটা দাগে খুব একটা তফাৎ পরিলক্ষিত হয়নি। এবার বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কোনো ব্যয় কমেওনি, এতে কোনো নতুনত্বের ছোঁয়াও পরিলক্ষিত হয়নি।’
আরও পড়ুন: এক যুগ পর নিবন্ধন ফিরে পেল জামায়াত
এবারের বাজেটের রাজস্ব আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এটিএম মা’ছুম বলেন, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেট বাড়িয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার একটি বড় অংশ আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। বাজেটে বিদেশ নির্ভরতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির উদ্যোগ না থাকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরোক্ষ কর বৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে এর ভার বহন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন এটিএম মা’ছুম।
তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পের কর অবকাশ ও ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা সংকুচিত করা হয়েছে। এতে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। পাশাপাশি এসি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন এবং এলইডির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তার খরচ বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে সুতার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় আরএমজি সেক্টরে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, বাজেটে শিক্ষা সামগ্রীর দাম কমালেও শিক্ষা খাতে মোট বাজেট কমানো হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে উপকরণ, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি, কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমানোকে আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, এছাড়াও কোল্ড স্টোরেজ খরচ কমানোর কারণে কৃষকদের জন্য কিছুটা স্বস্তির কারণ হবে।
আরও পড়ুন: আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম: জামায়াত আমির
তিনি আরও বলেন, বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা প্রশংসনীয়। তবে তা আরও বরাদ্দের দাবি রাখে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করার কথা বলা হলেও বাজেটে এই লক্ষ্য অর্জনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি করেছে।
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও অন্যান্য অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা না থাকায় এই বাজেট জাতিকে হতাশ করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বৃদ্ধিকে সমর্থনযোগ্য নয় উল্লেখ করে এই অপচেষ্টা বন্ধের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন এটিএম মা’ছুম।
বাজেটকে গণমুখী করতে আয়কর আরও কমিয়ে জনকল্যাণখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত।
২০৯ দিন আগে
ড. ইউনুসের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় যাচ্ছে বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দ্বিতীয় দফার আলোচনায় অংশ নিচ্ছে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্বে দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস এই আলোচনায়র নেতৃত্ব দেবেন।
আলোচনায় বিএনপির অপর দুই প্রতিনিধি হচ্ছেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিহুল্লাহ ও সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিএনপির গণমাধ্যম সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংস্কার নিয়ে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতে শুরু হওয়া ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করে। এতে অধিকাংশ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়ে গেছে।
২০৯ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের মর্যাদাপূর্ণ বিদায়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান বিএনপির
অন্তর্বর্তী সরকারকে তার মর্যাদাপূর্ণ বিদায় নিশ্চিত করতে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
রবিবার (১ জুন) বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এমন কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি এবং ডিসেম্বর কেন নির্বাচন করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়; তা ব্যাখ্যা করেছি। বিলম্ব যত বেশি হবে, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের অনুগতরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে, যার লক্ষণ আমরা এরইমধ্যে দেখছি।’
‘সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা উত্তম হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে যেকোনো সময় পদত্যাগ করতে হবে, তবে তারা যদি ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করে, তাহলে মর্যাদার সঙ্গে বিদায় নেওয়া সম্ভব হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির সংস্কার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি জানান, ‘তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ৩১ দফা সংস্কারের রূপরেখা ঘোষণা করেছিলেন এবং সরকার গঠনের পর তা বাস্তবায়ন করা হবে।’
আরও পড়ুন: আগামীকাল ফের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের বৈঠক
‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) জাতীয় ঐক্যের জন্য নতুন দফায় আলোচনা শুরু হবে, যেখানে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।’ তবে তিনি দাবি করেন, ‘সব রাজনৈতিক দল যেন সংস্কার প্রক্রিয়ায় একমত হয় এবং নির্বাচন নিয়ে এগিয়ে যায়। দেশে চলমান সংকটের প্রধান কারণ নির্বাচন না হওয়া।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করেছিলাম, কিন্তু জাপানে তার সাম্প্রতিক মন্তব্যে হতাশ হয়েছি। তিনি বলেছেন শুধু বিএনপি নির্বাচন চায়। আমরা তাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম, যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হয়, তা সবদিক থেকে ভালো হবে।’
খন্দকার মোশাররফ আরও জানান, দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল এই বছর ডিসেম্বরেই সংসদ নির্বাচন চায়।
২১০ দিন আগে
জার্মানিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে জার্মানিতে। শনিবার (৩১ মে) ফ্রাঙ্কফুটের সালবাউ নিদ অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য দেওয়ান শফিকুল ইসলাম। আর সঞ্চালনা করেন জার্মানি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য জীবন দিয়েছেন শহীদ জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি। দেশ ও জাতির দুর্দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হলে তিনি দক্ষতার সাথে তা পালন করেন।
তারা বলেন, বুকের রক্ত দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তা কেড়ে নিয়েছিল ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি। গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
২১০ দিন আগে