রাজনীতি
তিন উপদেষ্টার সমালোচনায় এনসিপি নেতা নাসিরউদ্দিন
অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে ‘বিএনপির মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে তাদের সমালোচনা করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে 'বিএনপি মুখপাত্র' উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
বুধাবার (২১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে এনসিপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং স্থানীয় সরকার সংস্থা নির্বাচনের অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি এই বিক্ষোভ করেছে।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘ওয়াহিদউদ্দিন ভাই (উপদেষ্টা) বাংলাদেশে শিক্ষাকে ডুবিয়ে দেওয়ার কাজ করছেন, সালেহউদ্দিন ভাই (উপদেষ্টা) দেশের আর্থিক খাতকে ডুবিয়ে দেওয়ার কাজ করছেন। আসিফ নজরুল আইন মন্ত্রণালয়কে ডুবিয়ে দেওয়ার কাজ করছেন। এমন হলে আমরা একটি কর্মসূচি দিয়ে তাদের পদত্যাগ করতে বাধ্য করব।’
আরও পড়ুন: ইসি পুনর্গঠন ও স্থানীয় নির্বাচনের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের উপর নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলাম এবং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন ও গঠনতন্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়নি।’
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ছাত্র-জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন উল্লেখ করে নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘আসিফ নজরুল একবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, জুলাই সনদ ঘোষণা করা হবে, কিন্তু তা করেননি। তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন...।’
তিনি বলেন, ‘এবার যদি কোনো শব্দের পরিবর্তন হয়, তাহলে আমি জানি না আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কিনা।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, তারা জুলাই সদন ঘোষণার অপেক্ষা করছেন। ‘আমরা ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছি, তারপর ইসি পুনর্গঠন করা হবে, স্থানীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ পাব।’
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালের আইন অনুসারে গঠিত হয়েছে, যা বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তির মধ্যে স্বৈরাচারী শাসনামলে গঠিত হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এই কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। কিন্তু এটি (সাংবিধানিক) অবস্থান বজায় রাখার পরিবর্তে একটি দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছে, যা দেশের জন্য লজ্জাজনক।’
আরও পড়ুন: অন্তবর্তী সরকারে এনসিপি-বিদেশি ও ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
নির্বাচন কমিশনকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের যোগ্যতা পরীক্ষা করার জন্য প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন এনসিপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনের আগে কোনো জাতীয় নির্বাচন হবে না।’
এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আয়োজন করে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা। দুপুর ১২টায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত চলে।
এনসিপি নেতারা অভিযোগ করেন, সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নের আগে এই কমিশন তাড়াহুড়ো করে গঠন করা হয়েছিল। এই কমিশন ইতোমধ্যেই তার নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে বলেও দাবি তাদের।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এই এনসিপি নেতারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে দলটিকে তার জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করতে বলেন।
২২১ দিন আগে
ভোট থেকে জনগণের মনোযোগ সরাতে ‘নাটক’ মঞ্চস্থ করা হচ্ছে: বিএনপির ফারুক
জনগণের ভোটাধিকারের দাবি ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার থেকে দৃষ্টি অন্যত্র সরাতে বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) ইশরাকের মতো একজন ব্যক্তিকে শপথ পাঠ করাননি ও আবদুল হামিদের মতো একজন কুখ্যাত ব্যক্তিকে বিদেশে যেতে দিয়েছেন। বাংলাদেশের জনগণকে ভোট দেওয়ার ও তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ন্যায্য পথ থেকে বিচ্যুত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আপনারা বিভিন্ন ধরণের নাটক মঞ্চস্থ করছেন।’
বুধবার (২১ মে) জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করার ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদে বিরোধী দলের সাবেক প্রধান হুইপ ফারুক বলেন, জাতি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমন, নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর গ্রেপ্তার ও সম্প্রতি অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের নাটক দেখেছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের জন্য আর কতক্ষণ অপেক্ষা, প্রশ্ন বিএনপির নজরুলের
তিনি বলেন, ‘দেশে আসলে কী ঘটছে? অনেককে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই জামিন দেওয়া হচ্ছে। যদি তাই হয়, তাহলে এভাবে তাদের গ্রেপ্তার করার অর্থ কী? আর জামিন দেওয়ার অর্থ কী?’
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ের সামনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বিক্ষোভের পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক দাবিগুলোকে ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য একের পর এক নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এনসিপি ইসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। সংস্কারের আগে এর নিরপেক্ষতা ও গঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। আর যখন কমিশন যখন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে—তখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে তারা।
তিনি আরও বলেন যে, এখনও পর্যন্ত কেউ নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচনা করেনি। ‘তাহলে, আপনারা (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের সামনে কেন প্রতিবাদ করছেন? কার পরামর্শে এবং কোন প্রেত্মার সাহায্যে আপনারা এটা করছেন?... তাহলে আপনারা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান করেন না, তার কথা শোনেন না।’
ফারুক বলেন, আদালত ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ঘোষণা করার পরও সরকার এখনও তার শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের পরেও কেন ইশরাক শপথ নিতে পারছেন না? যদি আপনি কারো কথা শুনে তার শপথ বন্ধ করেন—তাহলে এটি খুবই খারাপ কাজ। আমার মনে হয় সরকারের ভেতরে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে। এনএসআই, ডিজিএফআই ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে, কিন্তু তারা কোথাও আটকে যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবিলায় নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘আপনি যদি এটি করেন—তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা আপনাকে আর বিভ্রান্ত করার সাহস পাবে না। আপনার ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
প্রধান উপদেষ্টাকে শেখ হাসিনার শাসনবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনায় বসার ও একটি স্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান ফারুক। বলেন, ‘অন্যথায়, বাংলাদেশে যদি কোনো খারাপ পরিস্থিতি দেখা দেয়—তাহলে আমরা দায়ী থাকব না—আপনার সরকার এর জন্য দায়ী থাকবে।’
২২১ দিন আগে
গণতন্ত্রের জন্য আর কতক্ষণ অপেক্ষা, প্রশ্ন বিএনপির নজরুলের
জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার প্রচেষ্টায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের গর্বিত জনগণ—যারা ভাষা, গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছি। আমরা এখনও গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষা করছি এবং এর জন্য আমাদের আওয়াজ তুলছি, স্লোগান দিচ্ছি এবং সমাবেশ করছি। আর কতক্ষণ? আমাদের আর কতবার এই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে?’
মঙ্গলবার (২০ মে) জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল বলেন, একটি মহল বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পূর্বশর্ত উত্থাপন করে ও বিভিন্ন দাবি তুলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে। তারা বলছে এটা আগে করতে হবে এবং সেটা আগে করতে হবে...। আগে বা পরে করার কোনো প্রশ্নই আসে না। যা করা দরকার তা করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, তারা শুনছেন যে অনেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি করছেন। ‘এটা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। আমরা সবাই জানি যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে। তাই, এই ধরনের দাবি করা মানে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করা।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উপর ‘কালো ছায়া,’ নির্বাচনকে ব্যাহতের ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
যারা সংস্কারকে নির্বাচনের বিরুদ্ধে দাঁড় করাচ্ছেন, তাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা।
নজরুল বলেন, ‘সংস্কার ও নির্বাচনকে বিরোধী শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার এই প্রচেষ্টা আরেকটি ভুল, এমনকি একটি অপরাধও। গণতন্ত্র নিজেই একটি সংস্কার।’
তিনি বলেন, রাজতন্ত্র ও সামন্ততন্ত্র থেকে সংস্কার ও বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উদ্ভব হয়েছে। ‘বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র বিভিন্নভাবে কাজ করে... তাই, সংস্কার ও গণতন্ত্র পরস্পরবিরোধী নয় বরং পরিপূরক। সেকারণেই আমরা বলি- ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে, সংস্কার করতে হবে, নির্বাচন করতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর সবকিছুই করতে হবে।’
নজরুল আরও বলেন, একটি মহল প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না। ‘কিন্তু আমাদের চেয়ে কি কেউ বেশি সংস্কার চায়?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
২২২ দিন আগে
সরকার ইশরাককে মেয়র হতে বাধা দিচ্ছে: রিজভী
আদালতের রায় সত্ত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে বল প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ের পরেও, ইশরাককে শপথ নিতে দেওয়া হচ্ছে না। এটি প্রমাণ করে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার কর্তৃত্বের অপব্যবহার করছে। ড. শাহাদাত যদি চট্টগ্রামে মেয়র হতে পারেন, তাহলে ইশরাকের ক্ষেত্রে সমস্যা কী?’
জুলাই আন্দোলনে আহত খিলক্ষেতের বিএনপি কর্মী রাকিবুল হাসানকে মঙ্গলবার (২০ মে) দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি নেতা এই মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াঁর অপরিণত আচরণের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘ অল্প বয়সে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হঠাৎ করে গ্রহণের কারণে তার বক্তব্যে পরিপক্কতা এবং ভারসাম্যের অভাব স্পষ্ট।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পেছনের প্রকৃত অপরাধীদের এখনও বিচারের আওতায় আনা হয়নি, অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনমূলক পদক্ষেপের চেয়ে বেশি প্রতিকূল পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উপর ‘কালো ছায়া,’ নির্বাচনকে ব্যাহতের ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আবাসনের দাবিতে যমুনায় মিছিল করেন, তখন তাদের অসম্মান করা হয় এবং পুলিশকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়। এটি শেখ হাসিনার শাসনামলে অতীতের নির্যাতনের প্রতিধ্বনি।’
বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক শাখার কর্মী রকিবুল হাসান গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার ইসিবি চত্বরে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে সময় আহত হন।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার সময় পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা তার উপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
বিএনপিপন্থী প্ল্যাটফর্ম ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ (আমরা বিএনপি পরিবার) -এর একটি প্রতিনিধিদল রকিবুলের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। সংগঠনটির আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমান।
২২২ দিন আগে
গণতন্ত্রের উপর ‘কালো ছায়া,’ নির্বাচনকে ব্যাহতের ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের উপর ‘নতুন কালো ছায়া’র আভাস দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জাতীয় নির্বাচনকে ব্যাহত করার ও জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রের বিষয়েও সতর্ক করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণে বিএনপির যৌথ সভায় থাইল্যান্ড থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে প্রকৃত গণতন্ত্র এবং সত্যিকারের ফ্যাসিবাদমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন, সেই আশার উপর একটি নতুন ছায়া পড়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
সম্প্রতি থাইল্যান্ডে তার চোখের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার এবং জনগণের ভোটদান এবং অন্যান্য অধিকার হরণের একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি সরকারের মধ্যে কিছু অনুপ্রবেশকারীকে দেশকে বিভ্রান্ত করার এবং গণতান্ত্রিক পথ থেকে বিচ্যুত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেন। বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, বিভাজনের রাজনীতি আবারও শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ. লীগের সঙ্গে আপস করবে না বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে একে অপরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির প্রতিটি নেতা ও কর্মীকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং তাদের সচেতনভাবে কাজ করতে হবে এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
ফখরুল বলেন, এখন বিএনপির প্রধান দায়িত্ব হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশ পুনর্গঠন এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের কাছে আমি অনুরোধ করছি, তারা এই বিষয়গুলো খুব সচেতনভাবে মনে রাখবেন...। বিএনপির নেতা ও কর্মীদেরই ভূমিকা পালন করতে হবে—যাতে কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করতে না পারে, কেউ যেন আর স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ দিয়ে গণতন্ত্রকে দমন করতে না পারে।’
২২২ দিন আগে
আ. লীগের সঙ্গে আপস করবে না বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বিএনপি—এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেঁচে থাকতে কি কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে? আমরা তো করব না...। যদি অন্য কেউ চেষ্টা করে—আমরা তাদেরও প্রতিহত করব। এমন অযৌক্তিক কাজ (অবজ্ঞাপূর্ণ প্রচারণা) করার কোনো মানে নেই।’
সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন ও তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে বাধা দূর করুন’ শীর্ষক আলোচনার সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
নজরুল বলেন, কেউ কেউ প্রচার-প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছে যে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় বিএনপি। ‘একবার ভাবুন তো, এই সেই দল (আওয়ামী লীগ), যাদের সরকারই বিএনপির নেতা-কর্মীদের সবচেয়ে বেশি গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাগারে আটকে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা আটকে দিয়েছে। তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে ও তার ভাই মালয়েশিয়ায় বিনা চিকিৎসা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহাসচিবসহ কি এমন একজন বিএনপি নেতা আছেন—যার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫০টি মামলা নেই?’
নজরুল প্রশ্ন তোলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন পেছানোর কারণ কী? যখন সংস্কার সনদ আগামী দেড় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজকে উদ্বৃত করে নজরুল বলেন, তিনি বলেছেন সংলাপের প্রাথমিক দফা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা এই মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে যাবে। বিএনপি নেতা প্রশ্ন তুলে বলেন, ঐকমত্যের বিষয়গুললো তালিকাভুক্ত করে একটি সনদ প্রস্তুত করতে কত সময় লাগবে। ‘জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এর বেশি নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব তা দ্রুত করা যেতে পারে এবং বাকি সংস্কার সুপারিশগুলো পরবর্তী সংসদের জন্য ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। ‘তাহলে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আপনার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) বাধা কী?’ৎ
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং সম্ভব সংস্কারগুলো চাই। সেই সঙ্গে এমন সব সংস্কারও চাই—যা ছাড়া একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই জনগণের ক্ষমতা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যাতে জনগণের নির্বাচিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়— যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহি করবে।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী এবং জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মুস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন একরাম বক্তব্য দেন।
২২৩ দিন আগে
বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে দেশের একনায়কতন্ত্রিক সংবিধান বাকশালকে বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ার উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি(জিয়াউর রহমান) দেশের সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে সব মানুষের ধর্মীয় চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন এদেশে ধর্ম-বর্ণ, ভাষা ও জাতির ভিত্তিতে বিভক্তি হবে না, সবাই বাংলাদেশি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঢাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে: তারেক রহমান
সালাহউদ্দিন বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ার মুহূর্তেই তিনি কুচক্রী মহলের হাতে শাহাদাত বরণ করলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে রইলেন দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।
বিএনপিকে জনগণের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে। বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হত না। বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।’
সোমবার (১৯ মে) বিকালে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, যেই মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, যিনি নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেবেন, তিনিই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবেন। এই দেশের প্রতিটি ধুলি কনাকে বিএনপি ধারণ করে, লালন করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহরের দাবি বিএনপির
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারিভাবে ১৮ কোটি জনগণ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা, এখন ১৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিএনপির কি এতো আকাল পড়েছে যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে? যেই আওয়ামী লীগের ডিএনএতে গণতন্ত্র নাই, তাদের কেন আহ্বান করতে হবে বিএনপির সদস্য হওয়ার জন্য?
বিএনপি নেতা বলেন, গত বছরের ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যাকারী। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আজ পর্যন্ত তারা নিজেদের অপকর্মের জন্য কোনো অনুশোচনা করেনি বা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো তারা গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যায়িত করছে। তারা কীভাবে বাংলাদেশ রাজনীতি করতে পরবে?
সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২৩ সালেই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা জানতাম, একদিন নিষ্টুরভাবে ফ্যাসিবদের পতন হবে। যারা দেশের জনগণকে হত্যা করেছে, পঙ্গু করেছে, গুম, অপহরণ করেছে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ যেন কোনোদিন আর স্বৈরশাসকের বা ফ্যাসিবাদের উৎপাদন না হয়—সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আরাফুল কবির খোকন প্রমুখ।
২২৩ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঢাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে: তারেক রহমান
আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাজধানী ঢাকায় সকলের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘খেলাধুলাটি কমপক্ষে দুইটি ওয়ার্ডের মাঝামাঝি তিন থেকে চার বিঘা জমিতে তৈরি করা হবে। যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করবে, বয়স্করা হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন—আমাদের এমনই একটি চিন্তাভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহরের দাবি বিএনপির
সোমবার (১৯ মে) লন্ডনের একটি হোটেলে ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক তার পরিকল্পনার কথা জানান।
কোকোর স্মৃতি স্মরণ করে তারেক বলেন, তার ছোট ভাই দেশের ক্রীড়া অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্ভাবনাময় তরুণ ক্রীড়াবিদদের বাছাই করে তাদের গড়ে তোলার জন্য বিকেএসপির চারটি বিভাগীয় অফিস সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, তার দল দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দেবে।
ঢাকায় খেলার মাঠের সংকটের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই।
২২৩ দিন আগে
কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহরের দাবি বিএনপির
‘বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকা দিয়ে’ এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর—এমন বক্তব্যর প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (১৯ মে) বিকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ মো. সেলিম সেলিম ভূঁইয়া বলেন, গত শুক্রবার (১৬ মে) কুমিল্লার একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন ‘কুমিল্লায় বিএনপি'র রাজনীতিবিদরা আওয়ামী লীগের টাকায় রাজনীতি করে'। হাসনাত আব্দুল্লাহ'র বক্তব্য শিশুসুলভ। তিনি রাজনীতিতে অপরিপক্কতার কারণে শিশুসুলভ বক্তব্য দিয়েছেন। তার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহকে রাজনীতিতে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে এবং অন্য দল ও নেতাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে বিএনপির কুমিল্লার নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে বিএনপি'র কুমিল্লার নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: তারেক রহমান
তিনি আগামী সাত দিনের মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহকে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু প্রমুখ।
২২৩ দিন আগে
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে জামায়ত
দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে জামায়াতে ইসলামী। রবিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এই আলোচনা শুরু হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামীর ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় অংশ নিয়েছে।
এর আগে ২৬ এপ্রিল, প্রথমবারের মতো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালু করা, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, একজন ব্যক্তি যেন দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন— প্রথমদিনের আলোচনায় এসব প্রস্তাবের পক্ষে মত দেন দলটির সদস্যরা।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এটি পাঁচটি সংস্কার কমিশনের মূল সুপারিশগুলো প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাংবিধানিক, জনপ্রশাসন, নির্বাচনী, বিচার বিভাগীয় এবং দুর্নীতিবিরোধী সংস্কারগুলো। মূল সুপারিশগুলোর ওপর মতামত চেয়ে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে এর স্প্রেডশিট পাঠানো হয়েছে।
এরমধ্যে বিএনপি, জামায়ত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৩৪টি রাজনৈতিক দল লিখিত আকারে মতামত জমা দিয়েছে।
২২৫ দিন আগে