ব্যবসা
সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
সেরা করদাতা সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ও তার ভাই এ এস এফ রহমান।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর আয়োজিত করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধি সম্মাননা গ্রহণ করেন।
সম্মাননা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ডক্টর খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বৃহৎ করদাতা ইউনিট এলটিইউ ট্যাক্সে নিবন্ধিত সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা-১ আসন (নবাবগঞ্জ - দোহারের) সংসদ সদস্য। আর এ এস এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
তারা দুজনই ২০২২-২৩ করবর্ষে ঢাকা সিটি করপোরেশন শ্রেণিতে সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প বেক্সিমকো গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সালমান এফ রহমান ও এ এস এফ রহমান।
তৈরি পোশাক, ওষুধ, জ্বালানি, সিরামিক, প্রযুক্তি, গণমাধ্যম, ব্যাংকসহ নানা খাতে বিনিয়োগ আছে বেক্সিমকোর। দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশে পণ্য রপ্তানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। ৬০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান করেছে বেক্সিমকো।
এবার সর্বোচ্চ কর দেয়ায় সারা দেশের ১৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে এনবিআর। আয়কর প্রদানে নাগরিকদের উৎসাহিত করতে এ সম্মাননা দিচ্ছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: সৌদি বিনিয়োগ দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ: সালমান এফ রহমান
ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়
ব্যক্তির পারদর্শিতার জায়গাগুলোকে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর স্তরে নিয়ে গেছে হাল ফ্যাশনের স্বাধীন কন্টেন্ট নির্মাণ। ছোট ছোট বিষয়ে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নানা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন একদম কৈশোর থেকেই। এগুলোর মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয়গুলোর একটি হচ্ছে খাবারের মূল্যায়ন করা। এর শুরুটা মূলত ফুড ক্রিটিক থেকে, যেটি অনেক আগে থেকেই একটি স্বতন্ত্র মর্যাদা সম্পন্ন শিল্প। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে অনলাইন কন্টেন্টের সান্নিধ্যে এরই অবারিত অবতারণা ফুড ব্লগার এবং ফুড ভ্লগার। সদ্যপ্রাপ্ত কোনো স্বাদের অভিজ্ঞতা কেউ শব্দে প্রকাশ কছেন, কেউ বা ক্যামেরা হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রেস্তোরাঁ থেকে রেস্তোরাঁয়।
এই ধরনের কন্টেন্ট নির্মাণও হতে পারে ক্যারিয়ারের হাতিয়ার। আর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির এই সম্ভাবনাময় পেশার নানা দিক নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
যেভাবে একজন ফুড ব্লগার বা ভ্লগার হয়ে উঠবেন
ফুড ব্লগিং বা ভ্লগিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা
হোক সে কলম হাতে ব্লগ লেখা অথবা ক্যামেরার সামনে কথা বলা; এ সময়ের একজন স্বাধীন ফুড ক্রিটিকের প্রথমেই কিছু দক্ষতা অর্জন আবশ্যক। চলুন দেখে নিই, এ ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা জরুরি।
খাবার ও রান্নার ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান
উদ্দেশ্য যখন খাদ্যের বিচার করা, স্বভাবতই তখন প্রথমেই এই বিচারের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এখানে রন্ধনশিল্প বা খাদ্যের উপর একাডেমিক কোনো ডিগ্রী নেওয়া জরুরি নয়। এমনকি পাকা রাঁধুনি হওয়ারও প্রয়োজন নেই। দরকার শুধুমাত্র বিষয়টির প্রতিটি প্রচণ্ড ভালো লাগা। আর এর উপর ভিত্তি করে বই ও ইন্টারনেটের তথ্য ভান্ডার থেকে জ্ঞানার্জনটা হবে স্বতঃস্ফূর্ত।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে বুফে খেতে যেসব রেস্তোরাঁয় যেতে পারেন
শুধু তাই নয়; এই তাড়না তাদেরকে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য ব্যবহারিক জ্ঞানার্জনের দিকেও ধাবিত করবে। যেমন- নতুন নতুন রেসিপি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, খাদ্যের ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব ইত্যাদি। এই প্রস্তুতি তাদের খাদ্যের খুটিনাটি বিশ্লেষণ করে তথ্যপূর্ণ সমালোচনা করার ক্ষমতা বিকাশে সহায়তা করবে।
এছাড়া একটি পূর্ণাঙ্গ আর্টিকেল লেখার আগে তার প্রয়োজনীয় রসদ খোঁজার জন্যও মস্তিষ্কে সঠিক তথ্যের যোগান দরকার। এটি ক্যামেরার সামনে অনর্গল কথা বলে যাওয়ার জন্যও প্রযোজ্য।
গল্প বলার ও পরিবেশনের দক্ষতা
প্রতিটি রাঁধুনিই মানেন, শুধু রাধলেই হয় না, খাবারটিকে সুন্দর করে পরিবেশনও করতে হয়। রান্নার বাইরে যারা খাদ্য নিয়ে কন্টেন্ট বানাচ্ছেন, বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। গবেষণা লব্ধ তথ্যগুলোর প্রকাশ হওয়া উচিত জটিলতা বিবর্জিত এবং সাবলীল। পাঠক পড়ার সময় যেন এই অনুভূতি পান, লেখক সরাসরি তাকে উদ্দেশ্য করেই কথা বলছেন।
এটি ব্লগারদের ক্ষেত্রে কঠিন হলেও ভ্লগারদের জন্য অনেকখানি সহজ। বলাই বাহুল্য- শব্দবহুল লেখা থেকে ছোট্ট ভিডিও উন্নত অভিজ্ঞতার সঞ্চার করতে পারে। এরপরেও একটি ভিডিও স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত রাখা আবশ্যক। পরিকল্পিত চিত্রনাট্য অনুসরণ করা হলে শ্যুটের সময় ভুল-ভ্রান্তি কম হয়। এতে ভিডিওর পোস্ট-প্রোডাকশনে সময় বাঁচায়।
অনেক ব্লগার লেখার মাঝে প্রাসঙ্গিক ও মান সম্পন্ন ছবি যুক্ত করেন। এতে করে লেখার প্রতি পাঠকদের আকর্ষণ বাড়ে। এমনকি অনেকে ভিডিও সংযুক্ত করে দেন। ব্লগিং ও ভ্লগিংয়ের এই সংমিশ্রণটি অনেক বেশি পরিমাণে পাঠক ও দর্শক আকৃষ্ট করার একটি মোক্ষম উপায়।
আরও পড়ুন: বাজেটের মধ্যে ঢাকার সেরা ১০টি বুফে রেস্টুরেন্ট
আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় গত ১১ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। রপ্তানি বিধি-নিষেধ শিথিল করায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজবাহী দুইটি ট্রাক হিলি স্থল বন্দরের পানামা পোর্টের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করে।
নতুন করে আমদানির ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার হঠাৎ করেই গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা করে দাম বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ৭ তারিখের আগে করা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করার জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় ভারত সরকার আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার থেকে দেশে আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি নির্বাচিত হলেন আশরাফ আহমেদ
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ২০২৪ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) রিভারস্টোন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশরাফ আহমেদ।
জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইউনিমার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক তালহা ইসমাইল বারী। আর সহসভাপতি হিসেবে পুণঃনির্বাচিত হয়েছেন হাইটেক স্টিল অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড ও জাবের স্টিলের চেয়ারম্যান এবং জে এন কর্পোরেশন ও ট্রেড ল্যান্ড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. জুনায়েদ ইবনে আলী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বারের ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আশরাফ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান ডিসিসিআইয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল হাসান ফজলে রাব্বি।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত অন্য পরিচালকরা হলেন- মো. সালিম সোলায়মান, মো. সিয়াম আল-দ্বীন মালিক, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সাইফ, নাইমুর রহমান ও সাইফ উদ্দৌলাহ্।
আরও পড়ুন: ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ
ঢাকা চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি আশরাফ আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
ডিসিসিআইর নবনির্বাচিত জেষ্ঠ সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডন থেকে ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় স্নাতক এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
জুনায়েদ ইবনে আলী বাংলাদেশ সেকেন্ডারি কোয়ালিটি টিনপ্লেট ইমপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস্ অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইমপোরটার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেষ্ঠ সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও কানাডা-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরও পড়ুন:সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারে ‘এসএমই উন্নয়ন বিভাগ’ চালু
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) মতিঝিলের এফবিসিসিআই আইকন টাওয়ারে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ ও স্থিতিশীল মূল্যের বিষয়ে আলোচনায় ব্যবসায়ীদের প্রতি এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
২০২৪ সালের ১০ মার্চ বিশ্বজুড়ে রমজান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের প্রাণ, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আর সে কারণেই দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘একটি শিল্প স্থাপনের জন্য ৪৩টি সংস্থার কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবুও ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এত কষ্টের পরেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে পুরো ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বদনাম হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি
তিনি বলেন, কোনো ব্যবসায়ী বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যাহত করতে চাইলে এফবিসিসিআইয়ের তাতে আপত্তি রয়েছে, তাই এফবিসিসিআই সবসময় সুষ্ঠু ব্যবসার পক্ষে।
মাহবুবুল আরও বলেন, ‘যারা অনৈতিকভাবে বাজারে সংকট তৈরি করবে আমরা তাদের সঙ্গে নেই। আমরা ব্যবসায়ীদের অসৎ বা সিন্ডিকেট করার কোনো কথা শুনতে চাই না। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করুক। সমস্যা থাকলে সমাধান হোক। তবে আমরা কোনো বদনাম চাই না।’
তিনি বলেন, ‘এলসি খোলা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, এই নিয়েই আমরা কথা বলছি। প্রয়োজনে আরও কথা বলব। তবে আমি মনে করি, বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, খেজুরসহ ফলমূলের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে এফবিসিসিআই আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য জেলা চেম্বারদেরও আহ্বান জানান মাহবুবুল।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, সহসভাপতি খায়রুল হুদা চপল, পরিচালক ও বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অবরোধ অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভয় পায়: এফবিসিসিআই সভাপতি
এনবিআরকে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান এফবিসিসিআই’র
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কিনতে কেয়ারফোরের প্রতি বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মূল্যের পোশাক কেনার জন্য ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ খুচরা বিক্রেতা কেয়ারফোরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
হংকংয়ে গ্লোবাল সোর্সিংয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জিন ড্যানিয়েল গ্যাটিগনোল এবং কেয়ারফোরের গ্লোবাল সোর্সিং ডিরেক্টর অ্যালেক্সিয়া বোনেটের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় জায়ান্ট গ্রুপের পরিচালক আজফার হাসানও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে পরিবেশগত টেকসই অনুশীলনের অগ্রগতি এবং উচ্চমানের পোশাকের জন্য উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকে সহায়তা প্রদান, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞান, দক্ষতা ও কারিগরি দক্ষতা প্রদান এবং প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কেয়ারফোর ও বিজিএমইএ'র মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্ব এবং বিজিএমইএ'র সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার এবং উচ্চমূল্যের পণ্যের নকশা উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করে কেয়ারফোর কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়েও তারা আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক উৎপাদন বাড়ানোর সম্ভাবনার কথা কেয়ারফোরের কাছে তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি। এছাড়া গার্মেন্টস ও অন্যান্য বিভিন্ন পণ্যের জন্যও এর সোর্সিং সম্প্রসারণের জন্য কেয়ারফোরকে বিবেচনারে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
ফ্রান্সভিত্তিক কেয়ারফোর ইউরোপের বৃহত্তম খুচরা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক ঋণের টাকায় ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আইএমএফ’র কাছ থেকে ৬৯ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০ কোটি ডলার, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৯ কোটি ডলার এবং অন্যান্য উৎস থেকে অতিরিক্ত ১৩ কোটি ডলার পাওয়ায় ডিসেম্বরে আইএমএফের ফর্মুলা অনুযায়ী রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রতিটি বাংলাদেশি ভয়ভীতিমুক্তভাবে ভোট দিতে পারে তা দেখতে চায় জাতিসংঘ’
চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে আইএমএফের সাবেক জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, স্বল্পমেয়াদে এই ঋণের অর্থ বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে কিছুটা স্বস্তি দেবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদে রেমিট্যান্স ও পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে টেকসই নীতির দিকে সরকারকে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি নমনীয় বিনিময় হারের উপরও জোর দিয়েছিলেন যা অর্থ পাচার এবং বাণিজ্য-ভিত্তিক মূলধন সড়িয়ে নেওয়া রোধে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
৬৯০ মিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে শর্তারোপ আইএমএফের
বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯০ মিলিয়ন ডলার ছাড়ের অনুমোদনের সময় বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফ স্বল্পমেয়াদে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সতর্ক মুদ্রানীতির পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি নীতিমালার সমর্থন হিসেবে মুদ্রা বিনিময় হারে আরও নমনীয় রাজস্ব নীতি গ্রহণের কথা বলেছে বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।
আইএমএফ বাহ্যিক ধাক্কার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
আইএমএফ মুদ্রানীতি কাঠামো আরও আধুনিকীকরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।
বৈঠকে আইএমএফ’র পক্ষ থেকে বলা হয়, মুদ্রানীতি আধুনিক হলে মুদ্রাস্ফীতি কমবে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির প্রভাব শক্তিশালী হবে।
আইএমএফ বলেছে, ‘একক বিনিময় হার গ্রহণের মুদ্রার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ধীরে ধীরে আরও নমনীয়তার উপর জোর দিয়েছে আইএমএফ। তারা মনে করে অর্থনীতিতে বাহ্যিক ঝুঁকি মোকাবিলা করা প্রয়োজন।’
তবে ৬৯০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে প্রায় ৪৬৮ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থার অধীনে এবং ২২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আরএসএফ ব্যবস্থার অধীনে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুমোদন আইএমএফ বোর্ডের
২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদিত ইসিএফ/ইএফএফ এবং আরএসএফ ব্যবস্থার পরিমাণ বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৪৭৬ মিলিয়ন ডলারের প্রথম কিস্তি ছাড় করা হয়েছিল।
আইএমএফ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসিএফ/ইএফএফ ব্যবস্থা সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে এবং শক্তিশালী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির ভিত্তি স্থাপনের সময় দুর্বলদের সুরক্ষার জন্য অনৈক্যজনিত সমন্বয় রোধে সহায়তা করেছে।’
সমসাময়িক আরএসএফ ব্যবস্থা ইসিএফ/ইএফএফ এর অধীনে উপলব্ধ সংস্থানগুলোকে পরিপূরক করেছে। আইএমএফ বলেছে, এই তহবিল অতিরিক্ত অর্থায়নকে অনুপ্রাণিত করতে এবং দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে সহনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তরুণরা দৃঢ়ভাবে কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই
টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বনেতা: বিজিএমইএ পরিচালক
বাংলাদেশ টেকসই ফ্যাশনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এখানে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত ২০৬টি সবুজ কারখানা রয়েছে। ৭৬টি প্ল্যাটিনাম-রেটেড এবং ১১৬টি গোল্ড-রেটেড সুবিধার কারখানা রয়েছে, এর মাধ্যমে পরিবেশগত বিষয়ে দেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
গত ছয় মাসে ১৬টি প্ল্যাটিনাম এবং ৮টি গোল্ড সার্টিফিকেশনসহ ২৪টি নতুন কারখানা সংযোজনের মাধ্যমে এই প্রবৃদ্ধি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিজিএমইএ'র পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল এ সম্প্রসারণের বিষয়টি তুলে ধরেন।
বিজিএমএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমাদের মুকুটে আরও ২টি প্লাটিনাম রেটেড লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৬টি লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানা আবাসস্থলে পরিণত করেছে। এবারে সাফল্যটি আমাদের জন্য আরও বিশাল। গাজীপুরের এস. এম. সোর্সিং পোশাক কারখানাটি ১০৬ স্কোর করেছে; এই স্কোর ইউএসজিবিসি অনুযায়ী বিশ্বের সর্বোচ্চ স্কোর। এর অর্থ হলো- গ্রিন টেক্সটাইলস লিমিটেডের (ইউনিট-৪) রেকর্ডও (স্কোর-১০৪) ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বিশাল স্বীকৃতি। লিড প্রত্যয়িত দ্বিতীয় কারখানাটি হলো গাজীপুরের নাইস কটন লিমিটেড। এটি ৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
বিশ্ববাজারকে পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কোনো বৈধ ভিত্তি নেই: বিজিএমইএ সভাপতি
রুবেল স্থায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতির গুরুত্বকে উল্লেখ করে আরও বলেন, শুধু প্রশংসার জন্য নয়, শিল্পের স্থায়ী সাফল্য ও কার্যকারিতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই অর্জনের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি এলইইডি সবুজ কারখানার মধ্যে ৫৪টি এখন বাংলাদেশে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০টির মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি একটি মাইলফলক যা সম্ভবত আরও বিনিয়োগ এবং অংশীদারিত্ব আকর্ষণ করবে। এটি টেকসই উৎপাদনে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী বৈশ্বিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
রুবেল আরও বলেন, বাংলাদেশে এলইইডি সনদপ্রাপ্ত সবুজ কারখানার উত্থান পরিবেশগত স্থিতিশীলতার প্রতি পোশাক শিল্পের অবিচল নিষ্ঠা।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম চলছে: বিজিএমইএ সভাপতি
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির
ঢাকাএশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৭ শতাংশে উন্নীত করেছে। পাশাপাশি বলেছে, ভারতের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী। ২০২৪ সালের পূর্বাভাস ৬ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আশাব্যঞ্জক বলেও উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পূর্বাভাসে নিম্নমুখী পরিবর্তন সত্ত্বেও ২০২৪ সালের জন্য দক্ষিণ এশিয়া উপঅঞ্চলের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ শতাংশে বজায় রাখা হয়েছে। উপঅঞ্চলের অন্যান্য অর্থনীতির জন্য ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রয়েছে।
উন্নয়নশীল এশিয়ার জন্য ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের পূর্বে অনুমান করা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংশোধনের জন্য শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে দায়ী করা হয়। যা ২০২৪ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৮ শতাংশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
উন্নয়নশীল এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের বছরের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে এই বছর সামঞ্জস্যযুক্ত ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে সামান্য বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশ সত্ত্বেও, উন্নয়নশীল এশিয়া শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করে চলেছে। অঞ্চলটি ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনছে। যাইহোক, উচ্চ বৈশ্বিক সুদের হার থেকে শুরু করে এল নিনোর মতো জলবায়ু-সম্পর্কিত ইভেন্ট পর্যন্ত ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারগুলোর জন্য সতর্ক থাকা এবং তাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং প্রবৃদ্ধি টেকসই তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সম্ভাব্য নেতিবাচক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উন্নত অর্থনীতিতে দীর্ঘায়িত উচ্চ সুদের হার, সম্ভবত আর্থিক অস্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করে। এডিবি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এল নিনো এবং ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের মতো ঘটনা থেকে সরবরাহ ব্যাহত হলে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন করে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জলবায়ু অগ্রাধিকার সমর্থনে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি