ব্যবসা
পুঁজিবাজার: সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলা পুঁজিবাজারে সপ্তাহের শেষদিনে ঢাকায় সূচক বাড়লেও কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২ পয়েন্ট বাড়লেও ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ ছিল শূন্যের ঘরে।
সারাদিনে ডিএসইতে মোট ৩৫৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩১৮ কোটি।
সূচক বাড়লেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম কমেছে। ডিএসইতে ৩৯৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৯, কমেছে ১৬৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: টানা পতন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে সূচকের সামান্য উত্থান
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিরই বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতন হয়েছে। অন্যদিকে ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগরই দাম ছিল অপরিবর্তিত; দাম বেড়েছে ৭ এবং কমেছে ৭ কোম্পানির।
ব্লক মার্কেটে মোট ২৩ কোম্পানির দেড় কোটি শেয়ার ৪৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে প্রাইম ব্যাংক সর্বোচ্চ ২৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ডাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি ডেসকো। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম কমে তলানিতে আলহ্বাজ টেক্সটাইল লিমিটেড।
চট্টগ্রামে পতন
ঢাকায় উত্থান হলেও সপ্তাহের শেষদিনে এসে পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। সারাদিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৩, কমেছে ১১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। মোট ৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল সাড়ে ৩ কোটি টাকার ওপরে।
শেষ কার্যদিবসে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে সি&এ টেক্সটাইলস লিমিটেড। অন্যদিকে ১০ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে হামিদ ফেব্রিকস পিএলসি।
২৯৭ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে সাত মাসে ২৩ কারখানা বন্ধ, বেকার হাজার হাজার শ্রমিক
নারায়ণগঞ্জে গত ৭ মাসে নানা কারণে কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক। কারখানাগুলো বন্ধের পেছনে মোটাদাগে তিনটি বিষয়কে দায়ী করা হচ্ছে।
প্রথমত, বন্ধ হয়ে যাওয়া বেশিরভাগ কারখানার মালিক আর্থিক সংকট ও ক্রয়াদেশ না থাকায়—এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হয়। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মালিকদের কয়েকটি কারখানায় তাদের ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডের কথা মনে করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। ফলে সেই কারাখানাগুলো বন্ধ হয়েছে। তৃতীয়ত, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী আত্মগোপনে থাকায় তাদের কারখানাগুলোও রুগ্ন হয়ে পড়েছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, বন্ধ হওয়া কারখানার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ২৩টি রয়েছে। এসব কারখানায় অনেক শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করতেন। বেকার শ্রমিকেরা প্রায়ই কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া পাওনার দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।
জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা জোগাড় করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছে। প্রায় সবগুলো কারখানার শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ বাকি আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বেকার হওয়া শ্রমিকদের কেউ কেউ চাকরি পাচ্ছেন। কেউ কেউ গ্রামে চলে যাচ্ছেন। অনেকে বেকার থাকছেন।
রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় প্রায় ২ হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ২৩ প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছে। এসব শিল্পকারখানার প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন।
শিল্প পুলিশ-৪-এর কর্মকর্তারা জানান, গত সাত মাসে গ্রিন বাংলা হোম টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ফ্যালকন গার্মেন্টস, জিএল ফ্যাশন, মাস্টার টেক্সটাইল, ওয়েস্ট বেস্ট অ্যাটায়ার্স, স্টার কাটিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ২৩টি কারখানা বন্ধ হয়। সব কারখানাই ছোট ও মাঝারি। আর্থিক সংকট ও পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশের অভাবে কারখানা বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকশিল্পে অসন্তোষ পতিত স্বৈরশাসকের সুবিধাভোগীদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: রিজভী
২৯৮ দিন আগে
টানা পতন কাটিয়ে পুঁজিবাজারে সূচকের সামান্য উত্থান
সপ্তাহের লেনদেন শুরুর প্রথম তিনদিন টানা পতনের পর অবশেষে চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের সামান্য উত্থান দেখলো ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (৫ মার্চ) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ এর উত্থান ছিল দশমিকের ঘরে।
সূচক সামান্য বাড়লেও ডিএসইতে দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। পাশাপাশি কমেছে প্রতিদিনকার শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেনের পরিমাণও। ডিএসইতে মোট ৩১৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩৩৮ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৩, কমেছে ১৮৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৯০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিতেই দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেন হওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল বেশিরভাগের দাম। অন্যদিকে দাম বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১০ কোম্পানির।
লেনদেনে অংশ নেয়া তিন করপোরেট বন্ডের তিনটিরই দাম কমেছে। বুধবার সরকারি কোনো সিকিউরিটিজে বাজারে লেনদেন হয়নি।
ব্লক মার্কেটে ৩০ কোম্পানি ৬০ লাখ শেয়ার ১৭ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে। এরমধ্যে বিচ হ্যাচারি সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার ৮ কোটি ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: লাগাতার পতনের মুখে পুঁজিবাজার, কমেছে সবকটি সূচক
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দরবৃদ্ধি পেয়ে শীর্ষে আছে হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও সামান্য উত্থান
ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৮ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৮৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক বাড়লেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে সিএসইতে। সারাদিনের লেনদেনে মোট ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
সিএসইতে ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
২৯৮ দিন আগে
লাগাতার পতনের মুখে পুঁজিবাজার, কমেছে সবকটি সূচক
চলতি সপ্তাহের লেনদেনের শুরু থেকেই পতনের মুখে পড়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, যার ধারা বজায় আছে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে এসেও।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২৬ পয়েন্ট। এতে করে তিন দিনে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৫৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে শেষ কার্যদিবস ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিএসই'র প্রধান সূচক ছিল ৫২৪৭ পয়েন্ট যা মঙ্গলবার এসে নেমেছে ৫১৯৪ পয়েন্টে।
ঢাকার বাজারে অন্য দুই সূচক শরীয়া ভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৪ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও। দিনের শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় শেষে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকায়, যা গতদিন ছিল ৩৮১ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৬৫ কোম্পানির। বাকি ২৬৭ কোম্পানির দাম কমেছে এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘জেড’- তিন ক্যাটাগরিরই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল নিম্নমুখী। অন্যদিকে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ২, কমেছে ১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মূল ইনডেক্স বাদে ডিএসই'র এসএমই সূচকেও রীতিমতো ধস নেমেছে। লেনদেন শেষে ডিএসএমইএক্স কমেছে ২৩ পয়েন্ট, যা গতদিনের থেকে ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম।
সূচকে কমার পাশাপাশি ক্ষুদ্র এবং মধ্যম আকারের তালিকাভুক্ত এসব কোম্পানির শেয়ার লেনদেনও ঠেকেছে তলানিতে; মোট ১ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। অন্যদিকে ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে সোনারগাঁও টেক্সটাইল লিমিটেড।
এদিন ব্লক মার্কেটে মোট ২০ কোম্পানি ৮ কোটি টাকায় ১৭ লাখ শেয়ার বিক্রি করেছে। এরমধ্যে এসিআই লিমিটেড সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
বড় পতনে চট্টগ্রামও
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই) বড় পতনের মুখে পড়েছে। সারাদিনের লেনদেনে সিএসই'র সার্বিক সূচক কমেছে ৮২ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: আবারও পতনে পুঁজিবাজার, কমেছে সূচক ঢাকা-চট্টগ্রামে
লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫১, কমেছে ১৪৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
তবে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে সিএসইতে। মঙ্গলবার সিএসইতে মোট ৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসই'র শীর্ষ শেয়ারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স পিএলসি।
২৯৯ দিন আগে
পুঁজিবাজারে পতন দিয়ে শুরু রমজানের লেনদেন
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস এবং রমজানের প্রথম দিনে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন হয়েছে, পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও।
রমজানের প্রথমদিনে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী লেনদেন শুরু হয় ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। এতদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চললেও রোজায় লেনদনের সময় কমিয়ে দুপুর দেড়টায় নিয়ে আসা হয়।
প্রথম দিনের পরিবর্তিত সময়সূচিতে রবিবার (২ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ১০ পয়েন্ট। এর বাইরে শরিয়াভিত্তিক এবং ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচকও ছিল নেতিবাচকের ঘরে।
রোজার প্রথম দিন সূচক কমা অনেকটা স্বাভাবিক বলে জানিয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে, হঠাৎ করে নতুন সময়সূচিতে বাজারের খাপ খেতে সময় লাগে। এতে করে রমজানের প্রথম দিন সূচক কমার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
ডিএসইতে সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ৪৮৭ কোটি টাকার লেনদেন কমে নেমে আসে ৪২১ কোটি টাকায়।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪, কমেছে ১৮৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমলেও, দাম বেড়েছে জেড ক্যাটাগরিতে। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১, কমেছে ৩৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বদলায়নি বেশিরভাগের। দাম কমেছে ১৪ এবং বেড়েছে ৫ ফান্ড কোম্পানির শেয়ারের।
রোববার ব্লক মার্কেটে মোট ৪২ কোম্পানি তাদের ৭২ লাখ শেয়ার ২৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে। এরমধ্যে ইস্টার্ন ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে একদিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে এইচ আর টেক্সটাইল লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ শতাংশ দাম কমে তলানিতে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রামের বাজারেও। রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২০৪ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৬, কমেছে ৯৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সারাদিনে সিএসইতে মোট ৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয় বিক্রয় হয়েছে।
সিএসইতে সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে উঠে এসেছে আজিজ পাইপস লিমিটেড। অন্যদিকে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
৩০১ দিন আগে
পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক বেড়েছে, ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ব্যাংক খাত
গত এক সপ্তাহের লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকের উত্থানের পাশাপাশি বেড়েছে সার্বিক লেনদেন। পাশাপাশি ব্যাংক খাতের শেয়ারেও এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন।
গত পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধানসূচক বেড়েছে ৪৬ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট। ২০ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার ২০০ পয়েন্টে শেষ হওয়া লেনদেন ২৭ ফেব্রুয়ারি এসে ঠেকেছে ৫ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে।
প্রধান সূচক বাড়ার পাশাপাশি ঢাকার পুঁজিবাজারে বেড়েছে গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ৪৭০ কোটি টাকা থেকে গড় লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৫১৮ কোটি টাকা, যা পাঁচ কার্যদিবসের ব্যবধানে ১০ শতাংশের বেশি।
বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘ বিনিয়োগের আস্থায় ব্যাংক খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তালিকাভুক্ত ৩৬ ব্যাংকের শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে ১৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ খাতে শেয়ারের দাম বাড়ায় লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। ব্রোকারেজ হাউজ এবং বিনিয়োগকারীরা বলছেন, যদিও এক সপ্তাহের বিবেচনায় ব্যাংক খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে—সেটি হলফ করে বলা যায় না; তবে ইতিবাচক উত্থানে এ খাতে নতুন করে আশা দেখছেন তারা।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
গত সপ্তাহের তুলনায় ব্যাংক খাতে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। লেনদেন হওয়া ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির, কমেছে ১০টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্যাংক খাতের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দামেও লেগেছে উত্থানের সুবাতাস। এক সপ্তাহের লেনদেনে তালিকাভুক্ত ২৩ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
গত পাঁচ কার্যদিবসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরবৃদ্ধি ছাড়িয়ে গেছে ১০৫ শতাংশ, পাশাপাশি লেনদেন বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। অন্যদিকে, সাধারণ বীমা খাতের শেয়ারের দাম বেড়ে ৬৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলেও জীবন বীমা খাতে দর কমেছে ১৯ দশমিক ৬১ শতাংশ।
এছাড়া, টেলিকম খাতের শেয়ারেও হয়েছে বড় দরপতন। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে এ খাতের শেয়ারের দাম কমেছে ৪৪ শতাংশের বেশি। সপ্তাহের শেষ দিনেও তালিকাভুক্ত টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমেছে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং রবির দাম কমেছে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে প্রধান সূচক বাড়লেও বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএসের সূচক ৪ পয়েন্ট বাড়লেও বেহাল দশা এসএমই খাতের শেয়ারে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের এসব কোম্পানির ইনডেক্স ডিএসএমইএক্স কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করেছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। বর্তমানে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার বিক্রি হচ্ছে ১০৯ টাকা ৪০ পয়সা দরে। ব্লক মার্কেটে শেয়ার বিক্রিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যমুনা ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬০ পয়সায়।
পুরো সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার। লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে টেলিকম কোম্পানি গ্রামীণফোন।
৫৩ দশমিক ২৫ শতাংশ রিটার্ন দিয়ে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিতে জায়গা করে নিয়েছে এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস লিমিটেড নামের ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি। ২০ ফেব্রুয়ারি এটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫ টাকা ৪০ পয়সায়, যা গত কার্যদিবসে এসে হয়েছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা মূল্যে।
তবে, প্রায় ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে এ সপ্তাহে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে সানলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ২০ ফেব্রুয়ারি ৭৫ টাকায় লেনদেন হওয়া কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার শেষ কার্যদিবসে এসে নেমেছে ৬৮ টাকায়।
দরবৃদ্ধি ও পতনের মধ্যে গত সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজের সংগঠন ডিবিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ বছরে দেশের শেয়ারবাজারের আকার কমেছে ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
এছাড়া, গত ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে ১৩৪টি নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছে যার ৪২টিই এখন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। বাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫০টি কোম্পানির মধ্যে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে থাকা কোম্পানির সংখ্যা ১০৩।
স্পর্শকাতর এ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের গলার কাঁটা হয়ে বিঁধছে মার্জিন ঋণ। বাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স এ ব্যাপারে কাজ করলেও এখনো হয়নি দীর্ঘস্থায়ী সুরাহা।
ব্রোকারেজ হাউসগুলোর সম্মিলিত হিসাব অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে মার্জিন ঋণের আকার ছাড়িয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণই ৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
বর্তমানে সূচকের এই ইতিবাচক অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ থেকে মুক্তি দিতে পারলে আগামীতে বাজারে আবারও আত্মবিশ্বাস ফিরবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
৩০২ দিন আগে
পুঁজিবাজার: সূচকের পতন দিয়েই শেষ হলো সপ্তাহ
উত্থান দিয়ে শুরু হলেও ঢাকা ও চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে পতনের মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে সপ্তাহ। সপ্তাহের শেষ দিনে এসে দুই পুঁজিবাজারের সবকটি সূচক কমেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে কমেছে ৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং বাছাইকৃত ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ২০ পয়েন্ট।
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। গতকালের (বুধবার) ৪৬৩ কোটি টাকার বিপরীতে আজ লেনদেন বেড়ে হয়েছে ৪৮৭ কোটি টাকা।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’ প্রতিটি ক্যাটাগরিতেই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন পাঁচটি করপোরেট বন্ডের মধ্যে একটিরও দাম বাড়েনি, তবে কমেছে ৩টির এবং দুটির দাম অপরিবর্তিত আছে।
ব্লক মার্কেটে আজ মোট ৩০টি কোম্পানির ৫৪ লাখ শেয়ার ১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিচ হ্যাচারি একাই ৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
ডিএসইতে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি। অন্যদিকে, ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
পতনের মুখে চট্টগ্রামও
সারা দিনের লেনদেনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫০ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২১৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ৯১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ঢাকার মতো সিএসইতেও বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে চট্টগ্রামের বাজারে শীর্ষে আছে হামিদ ফেব্রিক্স পিএলসি। অন্যদিকে, ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ দাম কমে তলানিতে মীর আখতার হোসাইন লিমিটেড কোম্পানি।
৩০৪ দিন আগে
টানা তিন দিন উত্থানের পর পুঁজিবাজারে ফের পতন
টানা তিন কার্যদিবস উত্থানের পর আবারও পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা, চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার। এতে করে একদিকে কমেছে সূচক, অন্যদিকে দর নেমে গেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৪ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ২ এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট।
গত কার্যদিবসের বছরের সর্বোচ্চ ৬০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন একদিনের মাথায় আজ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৬৩ কোটি টাকায়।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৭টি কোম্পানির। বিপরীতে দাম কমেছে ২০৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—সবকটিতেই ছিল কোম্পানিগুলোর দরপতনের প্রাধান্য। বিশেষ করে, ভালো কোম্পানির শেয়ার নামে খ্যাত ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ২১৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ২১৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দরবৃদ্ধি এবং অপরিবর্তিতের তালিকায় ছিল সিংহভাগ কোম্পানি। বিপরীতে দাম কমেছে ১০টি কোম্পানির।
এদিন সরকারি ৪ করপোরেট বন্ডের সবকটির দাম বেড়েছে। দাম বেড়েছে লেনদেন হওয়া একটি সরকারি সিকিউরিটিজেরও।
আরও পড়ুন: রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
ব্লক মার্কেটে আজ মোট ২৭টি কোম্পানির ২৬ লাখ শেয়ার ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে বিকন ফার্মাসিটিক্যালস সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার বাজারে বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সারা দিনের লেনদেনে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে, ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি।
চট্টগ্রামেও পতন
ডিএসইর মতো পতনের মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জও (সিএসই)। সকালে উত্থান দিয়ে শুরু করলেও দিনের শেষে সিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে আজ মোট ১০ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড।
অন্যদিকে, ১০ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে ভ্যানগার্ড এএমএল রুপালি ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড।
৩০৫ দিন আগে
রেকর্ড লেনদেন পুঁজিবাজারে, সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে রেকর্ড পরিমাণ লেনদেন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। চলতি বছর প্রথমবারের মতো লেনদেন ছাড়িয়েছে ৬০০ কোটি টাকা, যা গত সাড়ে তিন মাসে সর্বোচ্চ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ৬০২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরের ৬ তারিখে সর্বশেষ ৬৫০ টাকার পর ডিএসইতে এটিই সর্বোচ্চ লেনদেন।
লেনদেনের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসই'র সবকটি সূচক। প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৬ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৬, কমেছে ১৫৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও, দাম কমেছে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৩০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৪৩ কোম্পানির। দাম অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে উত্থান, ফের লেনদেন ছাড়াল ৫০০ কোটি
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ৯৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৩, কমেছে ৪২ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হওয়া ৩৭ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩, কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩২ কোম্পানির ৯১ লাখ শেয়ার ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৭ লাখ শেয়ার সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করেছে।
ডিএসইতে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড। অন্যদিকে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
চট্টগ্রামেও উত্থান
ডিএসই'র মতো সূচকের উত্থান হয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সিএসই'র সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩৫ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া ২৩৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২৯, কমেছে ৮২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ১৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে যা গতদিন ছিল ৩১ কোটি টাকা।
সারাদিনের লেনদেনে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে আরামইট সিমেন্ট লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো চট্টগ্রামেও তলানিতে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড।
৩০৬ দিন আগে
চনমনে পুঁজিবাজার, দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার ওপর লেনদেন
টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিনেও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে উত্থানের সুবাতাস।
সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার এবং ইউনিট ক্রইয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশিরভাগরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে উত্থান, ফের লেনদেন ছাড়াল ৫০০ কোটি
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
৩০৭ দিন আগে