ব্যবসা
বাংলাদেশে বন্যা: চালের আমদানি শুল্ক মওকুফের সুপারিশ
সাম্প্রতিক বন্যার কারণে চালের উৎপাদন ব্যাপকহারে কমে যাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ বাণিজ্য ও ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে চালের বর্তমান আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ মওকুফ করা হলে চালের দাম বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হবে এবং থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানি উৎসাহিত হবে। যেখানে শুল্ক ছাড়াই প্রতি কেজির মূল্য যথাক্রমে ৬৬ টাকা ও ৫৪ টাকা হবে।
আরও পড়ুন: শিল্প কারখানায় গ্যাস সংযোগ পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে সরকার
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসন্ন উৎপাদন মৌসুমে বন্যার সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দুই দফা বন্যায় ১৬ আগস্ট থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৮ লাখ ৩৯ হাজার টন চাল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
সরকার সম্প্রতি আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করলেও আমদানিকারকরা উচ্চ শুল্কের কারণে নিরুৎসাহিত। চালের সরবরাহকে সীমিত করছে এবং ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
৪২৫ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা: ভর্তি পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
জ্ঞান বিকাশের পাশাপাশি বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমে ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধি করার সুযোগ সৃষ্টি হয় বিদেশে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে। উন্নত একাডেমিক পরিবেশ এবং মানসম্পন্ন জীবনযাত্রা শিক্ষার সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠানের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে। এমন অভাবনীয় সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। অত্যাধুনিক অবকাঠামো ও গবেষণায় উত্তরোত্তর উন্নয়নের কারণে দেশটি বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। কেননা বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনগোষ্ঠীর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশের যোগান দিচ্ছে কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। চলুন, দেশটিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পর্যালোচনা করা যাক।
দক্ষিণ কোরিয়ায় কেন পড়তে যাবেন
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওইসিডির (অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) তালিকাভুক্ত দেশগুলোর একটি দক্ষিণ কোরিয়া। একাডেমিক কৃতিত্ব ও প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষিত ও পেশাদার ফোরামে দেশটির রয়েছে একটি অভিজাত অবস্থান।
বিগত কয়েক বছর ধরে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংয়ের শীর্ষ শতকে রয়েছে দেশটির ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো- সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (৩১), কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (৫৩), ইয়োনসেই বিশ্ববিদ্যালয় (৫৬), কোরিয়া ইউনিভার্সিটি (৬৭) ও পোহং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (৯৮)।
দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি যথেষ্ট স্থিতিশীল হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের চাকরি নিয়ে তেমন বিড়ম্বনা পোহাতে হয় না। প্রতিটি জব সেক্টর একদম শিক্ষানবিশ পর্যায় থেকে জব স্যাটিস্ফেকশন নিশ্চিত করায় কাজে পাওয়া যায় নিরাপদ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা।
জীবনযাত্রার খরচ সংক্রান্ত বৃহৎ অনলাইন ডাটাবেজ নাম্বিও অনুসারে বিশ্বে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। এছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমবর্ধমান মাথাপিছু আয় এবং ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মতো বিশেষণগুলোও যুক্ত হয়েছে দেশটির চলমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে। সর্বোপরি, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাঝে বসবাসের জন্য পূর্ব এশিয়ার সেরা গন্তব্য এই দেশটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম সারির ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
· সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
· কোরিয়া অ্যাডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
· ইয়োনসেই বিশ্ববিদ্যালয়
· কোরিয়া ইউনিভার্সিটি
· পোহং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
· সুংকিউনকওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়
· হ্যানিয়াং বিশ্ববিদ্যালয়
· উলসান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
· দেগু গিয়াংবুক ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
· কিউং হি ইউনিভার্সিটি
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি বিষয়-
অর্থনীতি, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফাইন্যান্স, ফ্যাশন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, হস্পিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইন মিডিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বায়োটেকনোলজি
দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে। তাছাড়া ভর্তি কার্যক্রম শুরুর সময়কাল এবং পূর্বশর্তগুলোও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই চূড়ান্ত আবেদনের পূর্বে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা উচিত।
ভর্তির আবেদনগুলো সাধারণত সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হওয়ার অন্তত ৩ থেকে ৪ মাস আগে জমা নেওয়া হয়। গড়পড়তায় অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির মৌসুম প্রধানত দুটি। প্রথমটি হলো স্প্রিং সেমিস্টার, যার আবেদন গ্রহণ মার্চ থেকে জুন মাসে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চলে।
দ্বিতীয়টি হলো ফল সেমিস্টার, যে মৌসুমের আবেদন গ্রহণ সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর অব্দি শুরু করা হয়। আর ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম শেষ হয় মে থেকে জুন মাসের মধ্যে।
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· সম্পূর্ণ পূরণকৃত আবেদনপত্র
· পাসপোর্ট
· পাসপোর্ট সাইজের ছবি
· উচ্চ মাধ্যমিক সনদ বা সমমানের ডিপ্লোমা
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সনদ: টোফেল (ন্যূনতম ৭১) বা আইইএলটিএস (কমপক্ষে ৫ দশমিক ৫)
· পার্সোনাল স্টেটমেন্ট
· ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সহায়তার হলফনামা
· লেটার অব রিকমেন্ডেশন
· সিভি
· পিতামাতার পাসপোর্ট বা পরিচয়পত্র (এনআইডি)
মাস্টার্সে আবেদনের জন্য অতিরিক্ত নথি
· ব্যাচেলর ডিগ্রি বা সমমানের ডিপ্লোমা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
· কাজের অভিজ্ঞতা (প্রোগ্রাম বিশেষে প্রযোজ্য)
পিএইচডি আবেদনের নথি
· স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমমানের ডিপ্লোমা সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
· মাস্টার্স থিসিস বা গবেষণার প্রস্তাবনা
দক্ষিণ কোরিয়ার স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন
আবেদন অনুযায়ী ভর্তির অফার লেটার প্রাপ্তির পরপরই প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে ভিসার কাজ শুরু করা। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ডি-২ ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসায় প্রাথমিকভাবে ২ বছর পর্যন্ত মেয়াদ মঞ্জুর করা হয়। আর একক এন্ট্রি ভিসার মেয়াদ ৩ মাস।
আবেদনের জন্য সরাসরি চলে যেতে হবে কোরিয়ান ভিসা পোর্টালে-
https://www.visa.go.kr/openPage.do?MENU_ID=1020408
এই লিংকের ফর্ম পূরণের সময় ভিসার জন্য দরকারি সব নথিপত্র আপলোড করতে হবে। তারপর ই-ফর্মটি বারকোডসহ প্রিন্ট করে আপলোডকৃত নথির হার্ড কপিসহ একত্রে কোরিয়ান দূতাবাস বা কন্স্যুলেটে জমা দিতে হবে।
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· প্রিন্ট করা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনপত্র বা ই-ফর্ম
· বিগত ৬ মাসের মধ্যে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি রঙিন ছবি
· দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছার দিন থেকে পরবর্তী ন্যূনতম ৬ মাসের মেয়াদসহ বৈধ পাসপোর্ট
· কভার বা ফরোয়ার্ডিং লেটার
· দক্ষিণ কোরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভর্তির অফার লেটার
· জন্ম সনদপত্র
· সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন অফিস কর্তৃক ইস্যুকৃত পারিবারিক সম্পর্কের সার্টিফিকেট
· আবেদনকারীর নিজের বা গ্যারান্টরের আর্থিক সামর্থ্য প্রমাণ করার জন্য তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট
· আবেদন সংক্রান্ত ও অধ্যয়নের জন্য বিদেশে বসবাসের নিমিত্তে পিতামাতার অনাপত্তি পত্র (এনওসি)
· পিতামাতার জাতীয় পরিচয়পত্র
· বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক প্রদত্ত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
· শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ স্বাপেক্ষে যাবতীয় সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট
· এই নথিগুলো অবশ্যই বাংলাদেশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ৩ মাসের মধ্যে নোটারিকৃত হতে হবে। আবেদনের সঙ্গে এগুলোর আসল ও ফটোকপি উভয়ই জমা দিতে হবে।
· জাতীয়ভাবে স্বীকৃত যক্ষ্মা পরীক্ষা কেন্দ্র দ্বারা বিগত ৩ মাসের মধ্যে জারিকৃত যক্ষ্মা পরীক্ষার ফলাফল
· বিগত ২ বছরের মধ্যে জারিকৃত ইংরেজি ভাষা শিক্ষার সার্টিফিকেট (টোফেল বা আইইএলটিএস)
· কোরিয়ান ভাষা দক্ষতার শংসাপত্র (দক্ষিণ কোরিয়া স্বীকৃত): কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা বা এই ভাষার প্রোগ্রামগুলোতে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য
ভিসা আবেদন জমা প্রদান
আবেদনপত্রসহ যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে কনস্যুলেটে যাওয়ার পূর্বে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এর জন্য https://www.g4k.go.kr/cipl/0100/login.do- লিংকে যেয়ে একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। অতঃপর এই অ্যাকাউন্টের অধীনে নথিপত্র জমাদানের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ের জন্য আবেদন করা যাবে। এই আবেদনের সময় প্রদানকৃত নাম, ফোন নাম্বার, ইমেইল ঠিকানা, পাসপোর্ট বা এনআইডি ভিসার আবেদনের সঙ্গে হুবহু মিল থাকতে হবে।
মনোনীত নির্দিষ্ট দিনক্ষণের ব্যাপারে ফোন নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানায় জানানো হবে।
কন্স্যুলেটের ঠিকানা: ৪, মাদানী এভিনিউ, বারিধারা, ঢাকা-১২১২ বাংলাদেশ
ভিসার কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য কন্স্যুলেটরে যাওয়ার সময় প্রতি কার্যদিবসে (রবি থেকে বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩ থেকে ৪টা।
ভিসা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের আনুষঙ্গিক খরচ
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে আবেদন জমা করার পর থেকে ৭ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। অবশ্য নথিপত্রে জটিলতা থাকলে এই সময় আরও প্রলম্বিত হতে পারে। এ সময় অনলাইনে ভিসার সর্বশেষ অবস্থা জানা যেতে পারে। তার জন্য যেতে হবেhttps://www.visa.go.kr/openPage.do?MENU_ID=10301- লিংকে।
ভিসা প্রস্তুত হয়ে গেলে তা ভিসা পোর্টাল, এসএমএস ও ই-মেইলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানানো হবে। আর ভিসা সরবরাহের সময় প্রতি কার্যদিবসে বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা।
৯০ দিনের বেশি মেয়াদের একক প্রবেশাধিকার বিশিষ্ট ডি-২ ভিসার ফি ৬০ মার্কিন ডলার বা ৬ হাজার ৬০০ টাকা। দক্ষিণ কোরিয়ান দূতাবাস অনুসারে এখানে ডলারের নির্ধারিত বিনিময় হার মার্কিন ডলার প্রতি ১১০ বাংলাদেশি টাকা। কন্স্যুলেট অফিসে ভিসার কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় এই ফি পরিশোধ করতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার সম্ভাব্য খরচ
বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যয়নের বিষয় ও ডিগ্রির পর্যায়ের ওপর ভিত্তি করে পড়াশোনার খরচ ভিন্ন হয়ে থাকে। তার মধ্যে ব্যাচেলর কোর্সগুলোতে প্রয়োজন হয় সাধারণত ৪৩ লাখ থেকে ৩ কোটি ৩৯ লাখ কোরিয়ান ওন। এই বাজেট ৩ লাখ ৭০ হাজার ১৯ থেকে ২৯ লাখ ১৭ হাজার ১২৫ টাকার (১ দক্ষিণ কোরিয়ান ওন = শূন্য দশমিক ০৮৬ বাংলাদেশি টাকা) সমান। আর স্নাতকোত্তরের জন্য বাজেট রাখতে হবে ৫০ লাখ ৭০ হাজার থেকে ৫ কোটি ৮ লাখ ওন। পরিমাণটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৮ থেকে ৪৩ লাখ ৭১ হাজার ৩৮৫ টাকার সমতুল্য।
জীবনযাত্রার খরচের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর হচ্ছে রাজধানী সিউল। অপরদিকে বুসান এবং ইঞ্ছনের মতো শহরগুলোর নিত্যনৈমিত্তিক খরচ যথেষ্ট কম।
লিপস্কলার অনুসারে বাড়িভাড়া বাদে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান শহরগুলোতে জীবনযাত্রার অন্যান্য মাসিক খরচ নিম্নরূপ-
· সিউল: ১৫ লাখ ৫০ হাজার ১০৬ ওন বা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৮ টাকা
· বুসান: ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৯ ওন বা ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৭২ টাকা
· জেজু: ১৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৮ ওন বা ১ লাখ ২৮ হাজার ৯৭১ টাকা
· দেজেওন: ১৬ লাখ ১০ হাজার ২০৫ ওন (১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৬০ টাকা)
· ইঞ্ছন: ১৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৮৭ ওন (১ লাখ ১৮ হাজার ৩০২ টাকা)
এগুলোর সঙ্গে আবাসন খাতে যে বাজেট রাখতে হবে তা হলো-
· সিউল: ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৬১১ ওন বা ৯৯ হাজার ৩৫৫ টাকা
· বুসান: ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ ওন (৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা)
· জেজু: ১৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৩ ওন (১ লাখ ৬১ হাজার ৭৫৪ টাকা)
· দেজেওন: ৪ লাখ ২১ হাজার ৬৬৬ ওন (৩৬ হাজার ২৮৫ টাকা)
· ইঞ্ছন: ৫ লাখ ২৫ হাজার ওন (৪৫ হাজার ১৭৭ টাকা)
দক্ষিণ কোরিয়ায় স্কলারশিপের সুবিধা
অধ্যয়ন ও জীবনযাত্রার বাজেটের অর্থ সঙ্কুলানের জন্য দেশটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত স্কলারশিপের সুবিধা।
ইয়নসেই ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য পূর্ণ, অর্ধেক, বা প্রতি সেমিস্টারের এক-তৃতীয়াংশ অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে।
একইভাবে কোরিয়া ইউনিভার্সিটিও আংশিক বা সম্পূর্ণ অধ্যয়ন খরচ বহন করে থাকে।
হ্যানিয়াং ইন্টার্ন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড্স অধ্যয়ন ফি ৭০, ৫০ বা ৩০ শতাংশ মওকুফ করে।
বেশ কিছু বেসরকারি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পর্যায়ে অধ্যয়নের জন্য পূর্ণ তহবিল প্রদান করে। তার মধ্যে স্যামসাং গ্লোবাল হোপ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম পূর্ণ টিউশন ফি ছাড়াও আন্ডারগ্রাজুয়েটদের প্রতি সেমিস্টারে দেয় ৩৯ লাখ ওন (৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯৮ টাকা)। আর গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের জন্য সরবরাহ করা হয় প্রতি সেমিস্টারে ৩৫ থেকে ৫০ লাখ ওন। তহবিলটি প্রায় ৩ লাখ ১ হাজার ১৭৮ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার ২৫৪ টাকার সমতুল্য।
গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ আন্ডারগ্রাজুয়েট ও পোস্ট-গ্রাজুয়েট উভয় পর্যায়ে পূর্ণ অর্থ সহায়তা দেয়।
পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ
অধ্যয়নকালীন খণ্ডকালীন চাকরির জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ন্যূনতম এক সেমিস্টার শেষ করতে হবে। এই শর্তে আন্ডারগ্রাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ও গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা ৩০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। প্রচলিত ডিগ্রি সম্পন্ন হওয়ার পর, যারা থিসিসে কাজ করছেন তারাও সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজের অনুমতি পান।
লিপস্কলার অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কিছু খণ্ডকালীন চাকরি ঘণ্টাপ্রতি মজুরিসহ উল্লেখ করা হলো-
· ক্যাশিয়ার: ৯ থেকে ১০ হাজার ওন বা ৭৭৪ থেকে ৮৬১ টাকা
· সেলস অ্যাসোসিয়েট: ১১ থেকে ১২ হাজার ওন (৯৪৭ থেকে ১ হাজার ৩৩ টাকা)
· প্যাকেজ হ্যান্ডলার: ১৩ থেকে ১৪ হাজার ওন (১ হাজার ১১৯ থেকে ১ হাজার ২০৫ টাকা)
· লেকচারার: ৫১ থেকে ৫৫ হাজার ওন (৪ হাজার ৩৮৯ থেকে ৪ হাজার ৭৩৩ টাকা)
· প্রাইভেট টিউশন: ২৬ থেকে ২৮ হাজার ওন (২ হাজার ২৩৭ থেকে ২ হাজার ৪০৯ টাকা)
· গবেষণা সহকারী: ১২ থেকে ১৩ হাজার ওন (১ হাজার ৩৩ থেকে ১ হাজার ১১৯ টাকা)
· প্রশাসনিক সহকারী: ৬ থেকে ৭ হাজার ওন (৫১৬ থেকে ৬০২ টাকা)
শেষাংশ
দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা লাভের নেপথ্যে মূল আকর্ষণ হচ্ছে দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। পাঠ্যক্রমে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব থাকার ফলে নিজেদের পছন্দমতো বিষয় নির্বাচন করতে পারছে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে খণ্ডকালীন কাজের জন্য কোরিয়ান ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন জরুরি। এটি পড়াশোনার পাশাপাশি জীবনধারণকেও সহজ করে তুলবে। বিশেষত স্কলারশিপ অর্জনের ক্ষেত্রে আলাদা মাত্রা যোগ করতে পারে এই ভাষা দক্ষতা। উপরন্তু, ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন স্কলারশিপ নিশ্চিত করা গেলে তা ভিসা প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে।
৪২৬ দিন আগে
শেয়ারবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ
শেয়ারের দরপতনের প্রতিবাদে মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ পুঁজিবাদী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
বিগত চার মাসের মধ্যে রবিবার সূচক সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায় পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগও দাবি করেন।
আরও পড়ুন: ৪ মাসের মধ্যে ডিএসই সূচকের বড় পতনে উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, বিএসইসি বাজার কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে আগের সরকারের একদল সুবিধাভোগীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করায় এবং তাদের জরিমানা করায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা।
ফলে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তারা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ঊর্ধ্বগতি প্রবণতায় ৩৫৮.২২ কোটি টাকার লেনদেন
৪২৬ দিন আগে
২৬ অক্টোবর পর্যন্ত বৈধ চ্যানেলে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স বেড়েছে। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে অক্টোবরে বিদেশে কর্মরত নাগরিকরা প্রতিদিন গড়ে ৭৫ মিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ১.৯৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ১৯ দিনে ১.৫৫৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি ব্যাংকে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৪৭ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৯.৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বেসরকারি খাতের ৪২টি ব্যাংকে মোট ১.২৯৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। ছয়টি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত ৫.১২ মিলিয়ন ডলার এসেছে।
তবে এ সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ শূন্যের মুখে পড়েছে নয়টি ব্যাংকের। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) ও বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (আরকেইউবি), বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক।হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াসহ বিদেশি ব্যাংকগুলোতেও রেমিট্যান্স লেনদেন হয়নি।
আরও পড়ুন: অক্টোবরের প্রথম ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার
৪২৭ দিন আগে
পেট্রাপোলে আসছেন অমিত শাহ, বেনাপোলে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর ভারতের পেট্রাপোলে আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালটি রবিবার (২৭ অক্টোবর) উদ্বোধন করবেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এই উপলক্ষে শনিবার ও আগামীকাল রবিবার দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল চেকপেস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) টার্মিনালটি উদ্বোধনের কথা ছিল। রৈরী আবহাওয়ার কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগামীকাল (রবিবার) পেট্রাপোলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করবেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার আগমনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার দুইদিন বেনাপোল-পেট্রপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার কমলেশ শাইনি। তবে আগামী সোমবার (২৮ অক্টোবর) থেকে আবারও এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে ৪ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, পেট্রাপোলে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বন্ধ নিয়ে তেমন কিছুই জানায়নি। তাই আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী যাতায়াত আগের মতোই স্বাভাবিক থাকবে।
ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, এশিয়ার বৃহত্তম পেট্টাপোল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দুইদিন বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আগামী সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
৪২৯ দিন আগে
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি সহজ করতে নতুন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। যাতে তারা একটি চুক্তির চিঠির মাধ্যমে প্রথাগত ক্রেডিট লেটার (এলসি) ছাড়াই অগ্রসর হতে পারে। বাণিজ্য নমনীয়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
বৃহস্পতিবার(২৪ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় ও নীতি বিভাগ থেকে এই নির্দেশনা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনায় প্রাথমিকভাবে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের (ইজেড) মতো বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমদানি সুবিধা হবে।
প্রজ্ঞাপনে স্বল্পমেয়াদি আমদানি ঋণের বিধানের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে, যা স্ট্যান্ডার্ড ব্যবস্থার আওতায় বিদেশি পণ্যের অব্যাহত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে।
নতুন ব্যবস্থায় আমদানিকারকরা তাদের আমদানি দায় নিষ্পত্তির জন্য স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ স্বাধীনভাবে সুরক্ষিত করতে পারবেন। তদুপরি, বিদেশি ঋণদাতাদের এলসি, স্ট্যান্ডবাই লেটার অব ক্রেডিট (এসবিএলসি) বা সরবরাহকারীদের নিশ্চয়তা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। মূল ঋণের পরিমাণ এবং কোনো সম্পর্কিত সুদ উভয়ই ঋণের সম্মত শর্ত অনুসারে পরিশোধ করতে হবে।
এছাড়া স্বল্পমেয়াদি আমদানি ঋণের সুবিধার্থে করপোরেট, ব্যক্তিগত বা তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টির সাধারণ অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটি আমদানিকারকদের তাদের আর্থিক বাধ্যবাধকতা পরিচালনায় আরও নমনীয়তা দেয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, চুক্তির আওতায় বাণিজ্যিক আমদানি ৬০ দিন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময়সীমাসহ স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ সুবিধা থেকে উপকৃত হবে, যা বৈদেশিক বাণিজ্যে নিয়োজিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে অতিরিক্ত সহায়তার প্রস্তাব দেবে।
শিল্প সংশ্লিষ্ট নেতারা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা তুলে ধরেছেন, নতুন সিস্টেমটি তৃতীয় দেশের আমদানি বা তৃতীয় দেশের এলসি সম্পর্কিত অস্পষ্টতা দূর করে।
৪৩০ দিন আগে
ইইউ'র পোশাক আমদানি কমেছে ৩.৬৩ শতাংশ, বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৩.৫৩ শতাংশ
পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ পোশাক আমদানি কমেছে। এটি পোশাকের ব্যবহার হ্রাসের বিস্তৃত বৈশ্বিক প্রবণতাকে তুলে ধরে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট আমদানি ৬১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৫৯.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্যতম শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশের রপ্তানি ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে।
এই হ্রাস ইইউ পোশাকের চাহিদার সামগ্রিক হ্রাসকে প্রতিফলিত করে, তবে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে গতিশীলতার পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৬২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তুরস্ক ও ভারতের মতো অন্যান্য প্রধান সরবরাহকারীদেরও রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। তুরস্কের রপ্তানি ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ভারতের ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ করে ৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভিয়েতনামের ২ দশমিক ০৯ শতাশ কমে রপ্তানি মোট ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।
বিপরীতে কিছু দেশ নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে উঠেছে। ইইউতে কম্বোডিয়ার রপ্তানি ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, পাকিস্তানে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মরক্কোতে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বৈশ্বিক পোশাক বাজারে সোর্সিং পছন্দের সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
মূল সরবরাহকারীদের মধ্যে এই বৈচিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যই পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়।
আরও পড়ুন: পোশাক শ্রমিকদের পেনশন চালু করার পরিকল্পনা সরকারের: আসিফ
৪৩২ দিন আগে
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে: স্থিতিশীলতার আশ্বাস দিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং স্থিতিশীল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
রবিবার ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'আগের সরকারের আমলে রিজার্ভ প্রতি মাসে ১.৩ বিলিয়ন ডলার করে কমে আসছিল, তবে এখন তা একটি ইতিবাচক প্রবণতাঢ ফিরছে।’
তিনি বলেন, ‘সার, বিদ্যুৎ ও আদানি-শেভরনের বকেয়া পাওনার জন্য এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ২০.৪৬৭ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
শুধু গত দুই মাসেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানি ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সেবার বকেয়া ১.৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে অপরিশোধিত বিল ২.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে।
৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এবং মোট রিজার্ভ ২৪.৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি ঋণ পরিশোধ করে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণমুক্ত হওয়া। ‘এটি অর্জন করা সম্ভব হলে, বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
এই বকেয়া পরিশোধ করলে অর্থনীতির উপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ত্বরান্বিত হবে।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গভর্নর অবশ্য দেশের ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; যা এখন ১০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।
তা সত্ত্বেও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ঋণের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
৪৩৪ দিন আগে
তারল্য সংকটে থাকা ৬ ব্যাংককে ১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা সহায়তা
তারল্য সংকটে জর্জরিত আর্থিকভাবে দুর্বল ছয়টি ব্যাংককে ১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে তিনটি সবল ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট দূর করে তাদের কার্যক্রমে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই সহায়তা দিয়েছে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৩৭৫ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩০০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ১৫০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৯৫ কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি ৩২০ কোটি ও এক্সিম ব্যাংক পিএলসি ৪০০ কোটি টাকা পেয়েছে।
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণের বিধান নিয়ে আলোচনার জন্য গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ১০টি শক্তিশালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, চাহিদা সাপেক্ষে তিন দিনের মধ্যে শক্তিশালী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণের অর্থ ফেরত দাবি করতে পারবে। বিদ্যমান বাজার দরের ওপর ভিত্তি করে এসব ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হবে।
এসব পদক্ষেপ আস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ ব্যাংক।
৪৩৫ দিন আগে
শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক শিল্পে ক্ষতি ৪০০ মিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে আনুমানিক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কিছু অর্ডার প্রতিযোগী দেশগুলোর কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুটা পিছিয়ে পড়েছি। আগস্টে মার্কিন পোশাক আমদানি বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশ থেকে আমদানি কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া চীন থেকে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, ভারত থেকে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং কম্বোডিয়া থেকে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ আমদানি বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।
জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ইউরোপে আমদানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে ভারত থেকে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ, কম্বোডিয়া ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম থেকে ১২ দশমিক ৬১ শতাংশ আমদানি বেড়েছে।
এই তথ্য থেকে বোঝা যায়, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে রয়েছে।
তবে রফিকুল ইসলাম বলেন, পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জিং সময় পেরিয়ে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে।
তিনি বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে বিজিএমইএ বোর্ড কার্যকরভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারছে।
তিনি বলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারা পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে। সামরিক সহায়তায় বিজিএমইএ কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছে।
পোশাক কারখানার আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এটি মোকাবিলা করতে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, বিজিএমইএর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩৯ পোশাক কারখানার জন্য সহজ শর্তে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, অনেক কারখানা এখনও নানারকম ঝুঁকির মধ্যে আছে। তবে এসব কারখানার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানা সেপ্টেম্বর মাসের বেতন দিতে পারছে না। এসব কারখানার বেতন পরিশোধ নিশ্চিত করতে সহজ শর্তে সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ।
পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিকের জন্য ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বিজিএমইএ'র অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাক কারখানার স্টিলের কাঠামোর জন্য অগ্নি প্রতিরোধ ক্ষমতা নির্ধারণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিজিএমইএর গভীর দুঃখ প্রকাশ; পরিবারকে ক্ষতিপূরণ
৪৩৬ দিন আগে