ব্যবসা
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতি ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
ফাহমিদা বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে, যা জিডিপির ২৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষি ও বন খাত, যা ৫ হাজার ১৬৯ কোটি টাকার সমান।
তিনি আরও জানান, অবকাঠামো খাতে ৪ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকার এবং আবাসন খাতে ২ হাজার ৪০৭ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফাহমিদা আরও বলেন, নোয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ১৯১ কোটি টাকা, কুমিল্লা জেলায় ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিফলন নেই: সিপিডি
৪৪৯ দিন আগে
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড: বাংলাদেশ থেকে আবেদন পদ্ধতি ও বিস্তারিত
ইউরোপের যে রাষ্ট্রগুলো কর্মজীবন ও অবকাশ যাপনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলেছে, সেগুলোর মধ্যে প্রথম সারির দেশ জার্মানি। দেশটির কর্মজীবীদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক হার যে কোনো ইউরোপীয় দেশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। শেনজেনভুক্ত দেশটির কর্মচারীদের সাপ্তাহিক গড় কর্মঘণ্টার সংখ্যা গোটা ইউরোপের গড় কর্মঘণ্টার থেকে কম। সঙ্গত কারণেই ইইউ (ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন) সদস্য রাষ্ট্রটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য রয়েছে অপার সম্ভাবনা। সম্প্রতি তাদের অপরচুনিটি কার্ডের প্রণয়ন এই সুযোগকে একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপ দিয়েছে। চলুন, জার্মান অপরচুনিটি কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, সুবিধা ও আবেদন পদ্ধতি বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কি
ইইউ, ইইএ (ইউরোপীয়ান ইকোনমিক এরিয়া) কিংবা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর দক্ষ কর্মীদের জন্য চাকরির উদ্দেশ্যে জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি হলো অপরচুনিটি কার্ড। এটি মূলত একটি রেসিডেন্ট পার্মিট, যার মেয়াদ থাকে সর্বোচ্চ ১ বছর এবং এই সময়ের মধ্যেই কার্ডধারীকে চাকরির ব্যবস্থা করতে হয়। স্বভাবতই কার্ডটি সংগ্রহের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট কর্মসংস্থানের যোগ্যতা স্বরূপ যথাযথ প্রমাণ পেশ করতে হয়।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
জার্মান অপরচুনিটি কার্ড কাদের জন্য
ইইউ, ইইএ বা সুইজারল্যান্ডের বাইরের দেশগুলোর প্রধানত দুই ধরনের নাগরিকদের এই কার্ড সরবরাহ করা হয়।
১/ সম্পূর্ণ জার্মানি স্বীকৃত পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার অধিকারী:
যাদের পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ করতে পারে এমন জার্মানি স্বীকৃত কোনো শিক্ষাগত বা পেশাগত সনদ রয়েছে। এই যোগ্যতা অর্জন নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা জার্মানিতে অবস্থিত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে হতে পারে
২/ যারা এখনও নির্দিষ্ট কোনো দক্ষতায় প্রতিষ্ঠিত কর্মী নন, তবে নিম্নোক্ত শর্তগুলো পূরণ করেছেন-
· জার্মানির কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন
· জার্মানির কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা নিজ দেশে জার্মানি স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কমপক্ষে ২ বছরের ভোকেশনাল ট্রেনিং নেওয়া
· কমন ইউরোপিয়ান ফ্রেমওয়ার্ক অব রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজেস বা সিইএফআর অনুসারে কমপক্ষে লেভেল-এ১ জার্মান ভাষা দক্ষতা বা কমপক্ষে লেভেল-বি২ ইংরেজি ভাষা দক্ষতা। আইইএলটিএস স্কোর ৫ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৫, আর টোফেল আইবিটি-তে ৭২ থেকে ৯৪ সিইএফআর লেভেল বি২ এর সমতুল্য।
আরো পড়ুন: তুলনামূলক কম দামে বিমানের টিকিট কেনার কৌশল
জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের পয়েন্ট সিস্টেম
২য় ক্যাটাগরির শর্তগুলো সুক্ষ্মভাবে যাচাইয়ের জন্য সেগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু পয়েন্ট আরোপ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে যারা ন্যূনতম ছয় পয়েন্ট অর্জন করতে পারে তাদের কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। মানদণ্ডগুলোতে পয়েন্ট বণ্টন পদ্ধতি নিম্নরূপ-
যোগ্যতার সমতা: (৪ পয়েন্ট)
সম্পন্নকৃত ডিগ্রি বা ট্রেনিং আংশিকভাবে সমতুল্য প্রমাণিত হলে ৪ পয়েন্ট যুক্ত হবে। যে দক্ষতাগুলো চূড়ান্তভাবে অনুশীলনের জন্য লাইসেন্স নিতে হয়, সেগুলোর লাইসেন্স হওয়ার আগেও ৪ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। তবে রেসিডেন্ট পার্মিটের আগে অবশ্যই লাইসেন্স পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হবে।
সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশার যোগ্যতা: (১ পয়েন্ট)
জার্মানির চাকরির বাজারে যে ডিগ্রি বা ভোকেশনাল ট্রেনিংগুলোর সর্বাধিক চাহিদা রয়েছে সেগুলোর জন্য নির্ধারিত ১ পয়েন্ট। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাইনিং ম্যানেজার, হেল্থ সার্ভিস ম্যানেজার, কেমিস্ট, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাফিক এবং মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপার।
জার্মানিতে সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন পেশাগুলোর পূর্ণ তালিকা এই লিংকে পাওয়া যাবে-
https://www.make-it-in-germany.com/fileadmin/1_Rebrush_2022/a_Fachkraefte/PDF-Dateien/3_Visum_u_Aufenthalt/2024_Mangelberufe_EN.pdf
পেশাগত অভিজ্ঞতা: (২ থেকে ৩ পয়েন্ট)
স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর তার প্রাসঙ্গিক পেশায় বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে প্রার্থী ২ পয়েন্ট পাবেন। আর বিগত সর্বোচ্চ ৭ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৫ বছরের অভিজ্ঞতার জন্য দেওয়া হবে ৩ পয়েন্ট পাবেন।
ভাষা দক্ষতা: (১ থেকে ৪ পয়েন্ট)
জার্মান ভাষা পারদর্শিতার জন্য সিইএফআর অনুযায়ী এ২ লেভেলের জন্য রয়েছে ১ পয়েন্ট। লেভেল বি১-এ ২ এবং লেভেল বি২ বা তার উপরের স্তরের জন্য নির্ধারিত ৩ পয়েন্ট। এর সঙ্গে অতিরিক্ত ১ পয়েন্ট যোগ হবে যদি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা লেভেল সি১ বা তার উপরে থাকে, অথবা প্রার্থী যদি নেটিভ স্পিকার হন।
বয়স: (১ থেকে ২ পয়েন্ট)
অনুর্ধ্ব ৩৫ বছর বয়সি প্রার্থীদের জন্য থাকবে ২ পয়েন্ট। ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সিরা পাবেন ১ পয়েন্ট।
জার্মানিতে বসবাসের রেকর্ড: (১ পয়েন্ট)
বিগত সর্বোচ্চ ৫ বছরের মধ্যে অন্তত ৬ মাস ধরে জার্মানিতে বৈধভাবে বসবাস করলে তার জন্য ১ পয়েন্ট যুক্ত হবে। এই বসবাস বেড়ানো, অধ্যয়ন, কিংবা কাজ যে কোনো উদ্দেশ্যে হতে পারে।
স্বামী বা স্ত্রীর দক্ষ কর্মী হওয়া: (১ পয়েন্ট)
আবেদনকারী দম্পতির যে কোনো একজন অপরচুনিটি কার্ডের শর্ত পূরণ করলে অন্যজন ১ পয়েন্ট পাবেন।
চূড়ান্ত ভাবে আবেদন প্রস্তুতি শুরুর পূর্বে আবেদনের যোগ্যতা নিচের লিংকে যেয়ে যাচাই করে নেওয়া যেতে পারে-
https://www.make-it-in-germany.com/en/visa-residence/self-check-opportunity-card#c52628
আরো পড়ুন: জার্মানিতে স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
জার্মান অপরচুনিটি কার্ডের সুবিধাগুলো
এই কার্ডের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য জার্মানিতে কাজ খোঁজার অনুমতি দেওয়া হয়। ১ বছর পর জার্মানিতে থাকা অবস্থায় কার্ডের মেয়াদ ২ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আবেদন করা যায়। এখানে কার্ডধারীরা চাকরি বা স্ব-নিযুক্ত হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারেন।
এই পার্মিটের মাধ্যমে সপ্তাহে সর্বমোট ২০ ঘণ্টা এক বা একাধিক খণ্ডকালীন চাকরি করা যায়। চাকরি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে কার্ডধারীরা প্রতি কোম্পানিতে সর্বোচ্চ ২ সপ্তাহের জন্য জব ট্রায়াল করতে পারবেন।
৪৪৯ দিন আগে
এখন দেশেই বিশ্বমানের প্রসাধনী তৈরি করছে রিমার্ক-হারল্যান
দেশে মানসম্মত কসমেটিকস পণ্য না পাওয়ায় ভোক্তারা বিদেশি পণ্যের দিকে আকৃষ্ট হওয়ার কারণে বিপুল পরিমাণে অর্থ দেশের বাইরে কোম্পানিগুলোর কাছে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে দেশেই এখন আন্তর্জাতিক মানের কসমেটিকস পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। দেশে নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত পণ্য তৈরির ওপর কসমেটিকস পণ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানদের নজর দিতে হবে বলে মনে করেন স্কিন কেয়ার বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিকস পণ্য সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও এসোসিয়েশন অব স্কিনকেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ ট্যাগযুক্ত পণ্যের মান’বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলেন তারা।
বক্তারা বলেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে কসমেটিকস পণ্য উৎপাদিত হলেও মানোন্নয়নে কখনোই গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এতে ভোক্তাস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও তেমন কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এই সুবাদে বিপুল অংকের টাকা চলে গেছে বিদেশে।
নানা চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে এগুতে হচ্ছে উল্লেখ করে কসমেটিক পণ্য উৎপাদক ব্যবসায়ীরা জানান, দেরিতে হলেও আন্তর্জাতিক পণ্য উৎপাদন শুরু করেছে দেশীয় কিছু প্রতিষ্ঠান। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো স্থানীয় বাজারে আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত পণ্য বাজারজাতকরণে এরই মধ্যে তারা সাড়াও ফেলেছে বেশ। তাদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ কোম্পানি রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ-এর এফিলিয়েটেড ব্র্যান্ডগুলো সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে সর্বোৎকৃষ্ট পণ্য উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করা কোম্পানিগুলো পণ্যের চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন তৈরি, সম্প্রচার এবং মার্কেটিং খাতে বিনিয়োগ করে বাজার সম্প্রসারণে যতটা উদ্যোগী, পণ্যের মান বাড়াতে ঠিক ততটা পিছিয়ে।
কয়েকটি নতুন কোম্পানি দেশে আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং সম্বলিত পণ্য উৎপাদনে এগিয়ে এসেছে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
সেমিনারে বলা হয়, ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশের ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস ইন্ট্রাস্ট্রি (এফএমসিজিআই) সেক্টরের আকার উল্লেখযোগ্য হারে বড় হয়েছে, যা একে দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পগুলোর মধ্যেও একটি করে তুলেছে। বর্তমানে এ বাজারের আকার প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হয়ে উঠবে। রাজস্ব খাতে এটি প্রত্যাশিত, ২০২৭ সালের মধ্যে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হবে ১৬ শতাংশেরও বেশি।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোন কোন কোম্পানি তথাকথিত ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির মতো করে বাংলাদেশের বাজার থেকে শুধু মুনাফাই লুটেছে। কিন্তু ক্রেতাস্বার্থ বিবেচনায় নেয়নি। ফলে দেশের মানুষ বিদেশে থেকে কসমেটিকস ও খাত সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো নিয়ে আসেন। কারণ তারা মনে করেন, বিদেশি পণ্য এ দেশে উৎপাদিত পণ্যের চাইতে উন্নত।
সেমিনারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, বাজার নিম্নমানের কসমেটিকস পণ্যে সয়লাব হলে তা মানুষের জীবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে। ভুয়া পণ্য ব্যবহার করে অনেকে এরই মধ্যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য পরিবারেও দিন দিন আর্থিক সংকট বাড়ছে। এজন্য দেশে বিশ্বমানের কসমেটিকস ও হোমকেয়ার পণ্য উৎপাদনের বিকল্প নেই। এতে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানও বাড়বে। রিমার্ক-হারল্যানসহ যে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষকে গুণগত মান বজায় রেখে অথেনটিক পণ্য দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ভোক্তা অধিদপ্তরও তাদের পাশে থাকবে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, দেশে প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত যত্নের সামগ্রীর বার্ষিক বাজার এখন প্রায় ৯০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আশা করা হচ্ছে যে ২০২৭ এ ৮ দশমিক ১ শতাংশ হারে বাড়বে। তবে বাংলাদেশের প্রসাধনী খাত ব্যাপকভাবে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। প্রসাধনী রাসায়নিকের ৯০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। বিশেষত, মোট আমদানিকৃত কসমেটিক পণ্যের প্রায় ৪১ শতাংশ ভারত থেকে আসে।
এ অবস্থার পরিবর্তনে মানসম্মত দেশি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।
স্কিন কেয়ার, কসমেটিকস ও হোম কেয়ার খাতে রিমার্ক-হারল্যানের মতো দেশীয় কোম্পানি এগিয়ে আসায় তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর পরিচালক ইসহাকুল হোসেন সুইট বলেন, এ প্রতিষ্ঠানগুলো মানসম্মত অথেনটিক পণ্য উৎপাদন করায় ক্রেতাদের মাঝে দেশি পণ্য ব্যবহারে আগ্রহও বাড়ছে।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সহসভাপতি এম এস সিদ্দিকী মনে করেন, দেশীয় শিল্পের প্রসারে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। কারণ আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে দেশের কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই। যেসব প্রতিষ্ঠান দেশে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করছে, তারা যেন বিশেষ নীতিসহায়তা পান, তাও নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে দেশীয় শিল্পের প্রসারে আগ্রহী হয়ে অনেকে এগিয়ে আসবেন।
সেমিনারে বিএসটিআইর উপপরিচালক মোরশেদা বেগম বলেন, পণ্যের মান নিশ্চিত হওয়ার পর যেন বাজারজাত হয় সেজন্য কাজ করছে বিএসটিআই। এছাড়াও নতুন পণ্যের বাজারজাতকরণের আগে পণ্য ও মোড়কসহ সব বিষয়ের মান নিয়ে কাজ করছি। আমরা রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মান নিশ্চিতকরণে জোর দিচ্ছি।
সামগ্রিক উৎপাদনের ৩০ শতাংশ পণ্য বিএসটিআই মান সনদের আওতায় আনতে পেরেছে বলে জানান মোরশেদা বেগম।
চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন জানান, দীর্ঘদিন ধরে দেশে মানসম্মত পণ্য উৎপাদিত না হওয়ায় বিদেশি পণ্যের প্রতি মানুষের দুর্বলতা ছিল। এছাড়া বড় কোম্পানিগুলো দক্ষ মার্কেটিং ও সেলস পার্সনদের নিয়োগে বেশি গুরুত্ব দিলেও পণ্যের মানোন্নয়নে কোনো ভ্রুক্ষেপ ছিল না। চটকদার বিজ্ঞাপন তৈরি, প্রচার ও পণ্য বিক্রিতেই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে। গবেষণা ও কারখানা ব্যবস্থাপনাসহ মৌলিক জায়গাগুলোয় তেমন কোনো বিনিয়োগ হয়নি। এটি প্রকারান্তরে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
তিনি আরও বলেন, দেশে এখন মানসম্মত পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, তার প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহও বাড়ছে। সুতরাং দেশে উৎপাদিত গুণগত মানের পণ্যের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস যেন বাড়ে সে উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। দেশে উৎপাদিত মানসম্মত ও অথেনটিক পণ্য ব্যবহারে মানুষের মাঝে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। মানুষ এখন দেশি পণ্য ব্যবহার করতে চায়।
এক্ষেত্রে রিমার্ক-হারল্যানসহ দেশীয় কিছু কোম্পানি এগিয়ে আসায় তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান ইমন।
প্রসাধনী খাতের বাণিজ্য সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার অ্যান্ড বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ কনজিউমার গুডস খাতে বড় বাজার হলেও পণ্য বিক্রেতাদের আন্তর্জাতিক মানের বিষয়টি আমলে নিতে দেখা যায়নি। মানহীন ও ভেজাল পণ্য কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হতেন। দীর্ঘদিন পর হলেও ভোক্তা অধিকার ভেজাল রোধে কাজ করছে। ফলে মানুষের মাঝে সচেতনতা বেড়েছে। চাহিদা তৈরি হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পণ্যের।
বেশ কিছু কোম্পানি এখন উন্নত ফর্মুলেশন-গবেষণা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে বলে জানান তিনি।
স্কিন কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিনা হক মনে করেন, নকল ও ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে মানুষ স্কিন ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় মানসম্পন্ন পণ্য ব্যবহার করা। রিমার্ক ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে যেসব পণ্য বাজারে আনছে, আশা করি দেশের মানুষ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসব পণ্য ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।
সেমিনারে ড. সাকুন মাংগুত বলেন, বাংলাদেশে পণ্য নয় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের আস্থা অর্জনে গবেষণায় জোর দিতে হবে।
দেশি ব্র্যান্ডগুলোকে উন্নত করে ভোক্তার আস্থা অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করতে পরামর্শ দেন তিনি।
৪৫১ দিন আগে
বাজার অস্থিরতার মধ্যেই বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি বিনিয়োগকারীদের
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের ব্যর্থতার জন্য বাজার অস্থিতিশীল হয়েছে বলে অনেকেই তাকে দোষারোপ করছেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর: আব্দুল আউয়াল মিন্টু
বিক্ষোভকারীরা অনিয়ম তদন্তের জন্য ব্যাংকিং খাতের মতো একটি টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে মতিঝিলের ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে সমাবেশ করেন তারা।
মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীরা মতিঝিল থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মিছিল করে বিএসইসির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) সামনে জড়ো হয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে চাপে ফেলতে 'লংমার্চ' কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে পুরাতন ডিএসই ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সদস্যরা মানববন্ধন করে বাজার নিয়ন্ত্রকের প্রতি ক্রমবর্ধমান হতাশার কথা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯২ শতাংশ
৪৫১ দিন আগে
ইতালিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
বিদেশে উচ্চশিক্ষার অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে ভিন্ন সংস্কৃতি ও স্বতন্ত্র আচার-প্রথার জনগোষ্ঠী। সেখানে সব থেকে বেশি বৈচিত্র্য দেখা যায় ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোতে। যেখানে সহপাঠী বা সহকর্মীদের মধ্যে ভাষা থেকে শুরু করে বেশভূষায় থাকে যথেষ্ট ভিন্নতা। শিল্প চর্চার সূত্রে এক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইতালীয়রা। মৌলিকতা ও সৃজনশীলতার সন্নিবেশে শিক্ষালব্ধ পারদর্শিতাকে তারা নিয়ে গেছে শিল্পের পর্যায়ে। আর এ কারণেই উচ্চশিক্ষার জন্য এই অপূর্ব দেশটিকে বেছে নেয় শিল্পানুরাগী শিক্ষার্থীরা। চলুন, ইউরোপীয় ইতালিতে পড়াশোনার জন্য আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা এবং স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ইতালিতে কেন পড়তে যাবেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই সদস্য রাষ্ট্রটিতে রয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম সব বিশ্ববিদ্যালয়। সময়ের বিবর্তনে পুরাতন শিক্ষা ব্যবস্থার ক্রমাগত উন্নয়নের পটভূমিতে এগুলোতে জমা হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্য। বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষা কারিকুলাম এবং স্কলারদের অভিজাত ফোরামগুলোতে সুপরিচিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। তন্মধ্যে কিউএস ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং-এ থাকা বিদ্যাপীঠগুলো হলো পলিটেক্নিকো ডি মিলানো (১২৩), স্যাপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অব রোম (১৩৪) ও ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনা (১৫৪)।
গ্লোবাল পিইও (প্রফেশনাল ইম্প্লয়ার অর্গানাইজেশন) সার্ভিসেস ও ফোর্বসের মতে, বর্তমানে ইউরোপ অর্থনীতিতে তৃতীয় এবং গোটা বিশ্বে নবম বৃহত্তম দেশ ইতালি। সেই সূত্রে, ইন্টার্নশিপ, অন-দ্যা-জব ট্রেনিং এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের মতো পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোতে।
প্রধান ভাষা ইতালিয়ান হলেও ইংরেজি ভাষার প্রতি গুরুত্ব থাকায় প্রতি বছরই ভিড় বাড়ছে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের। বিশেষ করে মিলান, রোম, এবং তুরিন ইউরোপের প্রধান শিক্ষার্থী-বান্ধব শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম।
শিক্ষার পাশাপাশি শেনজেনভুক্ত দেশটির যে ক্ষেত্রটিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকে, তা হলো এর পর্যটন। ইউএনডব্লিউটিও (ইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন) অনুসারে, বিশ্ব পর্যটন র্যাঙ্কিংয়ে এই ইউরোপীয় দেশটির অবস্থান ৪র্থ। এখন পর্যন্ত ইতালিতেই রয়েছে সর্বাধিক সংখ্যক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট (৫৯)। এগুলোর মধ্যে ৫৩টি সাংস্কৃতিকভাবে স্বীকৃত ও ৬টিতে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের বিশেষত্ব।
আরো পড়ুন: জাপানে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইতালির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং জনপ্রিয় কোর্সের তালিকা
ইউরোপজুড়ে বহুল সমাদৃত ইতালির শীর্ষ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
· পলিটেক্নিকো ডি মিলানো
· স্যাপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অব রোম
· ইউনিভার্সিটি অব বোলোগনা
· ইউনিভার্সিটি অব পাদুয়া
· পলিটেকনিকো ডি টরিনো
· ইউনিভার্সিটি অব মিলান
· ইউনিভার্সিটি অব নেপল্স ফেদেরিকো-২
· ইউনিভার্সিটি অব পিসা
· ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরেন্স
· ইউনিভার্সিটি অব তুরিন
ইতালির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি বিষয়
চারুকলা, ফ্যাশন ডিজাইন, ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক, হস্পিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম, মেডিসিন, কম্পিউটার সায়েন্স, অর্থনীতি, ফাইন্যান্স, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইত্যাদি
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইতালির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
অন্যান্য শেনজেন দেশগুলোর মতো ইতালিও শিক্ষা ক্ষেত্রে দুই-সেমিস্টার পদ্ধতি মেনে চলে। প্রথম ভর্তি মৌসুমটি পরিচিত ফল ইন্টেক নামে, যার আবেদন কার্যক্রম শুরু হয় নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে। এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে যাবতীয় আবেদন শেষে কোর্স আরম্ভ হয় সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বা অক্টোবরের শুরুতে। এই সময়টিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বাধিক সংখ্যক কোর্সে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়।
স্প্রিং নামের অপর ইন্টেকটিতে আবেদন নেওয়া হয় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এগুলোর সময়সীমা থাকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর। অতঃপর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই ভর্তি শেষ করে কোর্স শুরু করে দেওয়া হয়।
এখানে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য পৃথকভাবে তাদের নিজস্ব ওয়েব পোর্টালে আবেদন করতে হয়। আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচসহ সুনির্দিষ্ট ডেডলাইনগুলো ওয়েবসাইটে বিস্তারিত উল্লেখ থাকে। এখানে খেয়াল রাখা উচিত যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র একটি বিষয়ে আবেদন জমা দেওয়া যায়।
প্রি-ইনরোলমেন্ট
ইতালির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির একটি প্রধান বিষয় হলো প্রি-ইনরোলমেন্ট। এটি যে কোনো কোর্সের জন্য আবেদন করার পূর্বশর্ত। এর জন্য শিক্ষার্থীকে ইউনিভার্সইটালি পোর্টালে (https://universitaly-private.cineca.it/index.php/registration/firststep) নিবন্ধনের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
এ সময় পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় তথ্য ও নির্দেশনা পেতে এর ওয়েবসাইট গবেষণা এবং অ্যাডমিশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। অতঃপর নির্বাচিত অধ্যয়ন প্রোগ্রামের জন্য ইউনিভার্সইটালি সাইটে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি আপলোড দিতে হবে। এভাবে প্রি-ইনরোলমেন্টের অনলাইন আবেদন শেষ করলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীকে অধ্যয়ন ফি পরিশোধের জরুরি নির্দেশনা দেওয়া হবে। সাধারণত শিক্ষাবর্ষ জুড়ে তিন কিস্তিতে এই ফি নেওয়া হয়। প্রথম কিস্তি নেওয়া হয় ভর্তির সময়। পরবর্তী কিস্তিগুলো সুনির্দিষ্ট তারিখ সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটি থেকে জানানো হয়।
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· অনলাইনে পূরণকৃত পূর্ণ আবেদনপত্র
· একটি বৈধ পাসপোর্ট
· বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি-
o স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য হাই স্কুল ডিপ্লোমা বা সমতুল্য সনদ এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
o স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য স্নাতকের সনদ ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
o ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য স্নাতকোত্তরের সনদ ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে
· ভাষার দক্ষতা পরীক্ষার নূন্যতম স্কোর
o আইইএলটিএস-এ ৬ বা টোফেল আইবিটিতে ৫৯
o মাস্টার্সের জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ কিংবা টোফেল আইবিটি ৭৯
o পিএইচডির জন্য আইইএলটিএস স্কোর ৭ বা টোফেল আইবিটি ৯৬
· অধ্যয়ন ফি পরিশোধের রশিদ: তিন কিস্তির ন্যূনতম ১ কিস্তি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি প্রায় ১২০ এবং ১৮০ ইউরোর মধ্যে থাকে, যা ১৫ হাজার ৮৬২ থেকে ২৩ হাজার ৭৯৩ টাকার (১ ইউরো = ১৩২ দশমিক ১৮ বাংলাদেশি টাকা) সমতূল্য।
· সিভি
· স্টেটমেন্ট অব পার্পাস
· একাধিক মোটিভেশন লেটার
· মেডিকেল সার্টিফিকেট ও স্বাস্থ্য বীমা
· জিম্যাট বা জিআরই পরীক্ষার ফলাফল (মাস্টার্সের জন্য)
· পোর্টফোলিও: সৃজনশীল ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের জন্য
· গবেষণা প্রস্তাব: পিএইচডির জন্য
o যার অধীনে গবেষণা করা হচ্ছে তার সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য এবং শিক্ষার্থীর গবেষণার তত্ত্বাবধান করবেন এই মর্মে একটি সম্মতিপত্র
o প্রাসঙ্গিক পাবলিকেশনের সারাংশ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
· কাজের অভিজ্ঞতার প্রমাণ- নির্বাচিত কিছু প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে
বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স এবং প্রোগ্রাম বিশেষে আরও কিছু দরকারি কাগজ দিতে হতে পারে।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ইতালিতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন পদ্ধতি
দীর্ঘমেয়াদী অধ্যয়নে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য ইতালির টাইপ-ডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। ন্যাশনাল ভিসা নামে পরিচিত এই ভিসায় ৯০ দিনের বেশি ইতালিতে বসবাসের অনুমতি লাভ করা যায়। ভিসার মেয়াদ থাকে নির্বাচিত ফুল-টাইম স্টাডি প্রোগ্রামের পুরো সময়কালব্যাপি।
বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা ইতালি অভিবাসনের গ্লোবাল পার্টনার ভিএফএস (ভিসা ফ্যাসিলিটেশন সার্ভিসেস)-এর মাধ্যমে টাইপ-ডি ভিসায় আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য ডাউনলোডের জন্য আবেদন ফর্মটি পাওয়া যাবে এই লিংকে- https://visa.vfsglobal.com/one-pager/italy/bangladesh/english/pdf/visa-d-long-term.pdf
এটি পূরণের পর প্রিন্ট করে স্বহস্তে সই করতে হবে এবং তারপর এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক নথিপত্রের সংযুক্তিসহ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন: টোফেল পরীক্ষার নিবন্ধন করবেন যেভাবে
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· সম্পূর্ণরূপে পূরণকৃত এবং স্বহস্তে সই করা জাতীয় (টাইপ-ডি) ভিসা আবেদনপত্র
· সদ্য তোলা ২ কপি রঙিন ছবি:
o ছবিগুলো অবশ্যই আইসিএও (ইন্টার্ন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন) ফর্ম্যাটের হতে হবে (আকার ৪ x ৩ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার, সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তোলা ও সর্বোচ্চ বিগত ৬ মাসের মধ্যে তোলা)
· প্রতিটি পৃষ্ঠার অনুলিপিসহ বৈধ পাসপোর্টের আসল কপি
o পাসপোর্টের মেয়াদ শেনজেনভুক্ত যে কোনো দেশে পৌঁছার তারিখ থেকে পরবর্তী অন্তত ৩ মাস হতে হবে। পাসপোর্টে কমপক্ষে দুটি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
· ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা এএফএএম ইনস্টিটিউটে (চারুকলা, সঙ্গীত ও নৃত্যকলার প্রতিষ্ঠান) প্রি-ইনরোলমেন্টের প্রমাণ (কেবল প্রি-ইনরোলমেন্টের জন্য): ভর্তি এবং অধ্যয়ন খরচ উল্লেখ করা আবশ্যক
· ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির অফার লেটার
· আবেদনকারীর আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: গত ৬ মাস ধরে বাংলাদেশে পরিচালিত যে কোনো ব্যাংক কর্তৃক জারি করা শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত ব্যাংক স্টেটমেন্ট
o কেউ স্পন্সর করে থাকলে তার আর্থিক সম্পদের প্রমাণ: বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক থেকে দেওয়া স্পন্সরের গত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
o স্পন্সরের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ (স্পন্সর অবশ্যই রক্তের সম্পর্কের বা বৈবাহিক সূত্রে সম্পর্কিত হবেন)
· স্কলারশিপ পেয়ে থাকলেও উপরোক্ত আর্থিক সম্পদের প্রমাণ প্রদর্শন করা অপরিহার্য
· ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ স্বরূপ আইইএলটিএস (নূন্যতম স্কোর ৬) সার্টিফিকেট: শংসাপত্রের ইস্যুর তারিখ ভিসার আবেদনের তারিখের আগে দুই বছরের বেশি হওয়া যাবে না
· ইতালিতে শিক্ষার্থীর বাসস্থানের প্রমাণ:
o অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বা ভাড়া চুক্তি কিংবা,
o একজন ইতালীয় নাগরিক বা দেশটিতে নিয়মিত বসবাসের পার্মিটধারী বিদেশী নাগরিকের পক্ষ থেকে রেসিডেন্ট স্টেটমেন্ট। এর সঙ্গে স্টেটমেন্টে সইকারী ব্যক্তির পরিচয়পত্রের সংযুক্তির প্রয়োজন হবে।
· বিমানের অগ্রিম টিকেট বুকিং-এর নথিপত্র
· ভ্রমণ বীমা: চিকিৎসা ফি, হাসপাতালে ভর্তি ও প্রত্যাবাসন খরচসহ সর্বমোট ৩০ হাজার ইউরো (৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ৪৮৬ টাকা)
· বিবাহিত হলে বিবাহের শংসাপত্র, তালাকপ্রাপ্ত হলে বিবাহ-বিচ্ছেদের শংসাপত্র এবং বিধবা বা বিপত্নীকদের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর মৃত্যুর শংসাপত্র
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভিসা আবেদন জমা ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন
আবেদনের যাবতীয় কাগজপত্র একসঙ্গে করে ভিএফএস-এ যাওয়ার জন্য অনলাইনে কোনো অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন নেই। তবে https://vfsforms.mioot.com/forms/CFNC/-এই লিংকের ফর্মটির মাধ্যমে যোগাযোগ করে আবেদনের কথা জানাতে হবে। তারপর ফর্মে উল্লেখিত প্রার্থীর ই-মেইল ঠিকানায় অ্যাপয়েন্টমেন্টের দিনক্ষণ জানানো হবে। এই ইমেইলের একটা প্রিন্ট নিয়ে সেটা ভিএফএসে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে।
বাংলাদেশে ইতালির ভিএফএস সেন্টারের ঠিকানা:
· ঢাকা: নাফি টাওয়ার (৪র্থ ও ৫ম তলা), ৫৩, দক্ষিণ গুলশান এভিনিউ, গুলশান ১, ঢাকা ১২১২।
· চট্টগ্রাম: ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার চট্টগ্রাম, (৫ম তলা) ১০২/১০৩ আগ্রাবাদ সি/এ। কমার্স কলেজ রোড, চট্টগ্রাম-৪১০০।
· সিলেট: ৪র্থ তলা, নির্ভানা ইন কমপ্লেক্স, রামের দীঘির পাড়, মির্জাজঙ্গল রোড, সিলেট- ৩১০০।
উপরের যে কোনো সেন্টারের ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে উপস্থিত হওয়া জরুরি। ই-মেইলে উল্লেখিত তারিখে প্রার্থীর ছবি তোলা এবং দশ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার মাধ্যমে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করা হবে। এর সঙ্গে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সাক্ষাৎকার নেওয়া হতে পারে। অবশেষে যাবতীয় কার্যক্রমের পর ভিসা ফিসহ আনুষঙ্গিক খরচ গ্রহণ সাপেক্ষে প্রার্থীকে একটি স্বীকৃতি পত্র বা রশিদ দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও আনুষঙ্গিক খরচ
স্টাডি ভিসা প্রস্তুত হতে সাধারণত ন্যূনতম ২১ ক্যালেন্ডার দিন প্রয়োজন হয়। তবে কাগজপত্র যাচাইসহ নানা কারণে ভিসা হাতে পাওয়া সময়টি আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে।
ইতালির ভিএফএসের ওয়েবসাইট অনুসারে, টাইপ-ডি ভিসা ফি ৫০ ইউরো বা ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। ভিএফএস গ্লোবাল সার্ভিস চার্জ বাবদ রাখা হয় ৩৮ ইউরো বা ৪ হাজার ৩৭০ টাকা। সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যাংক ড্রাফ্ট ২৭০ টাকা।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় এবং ভিসা প্রাপ্তি
যাচাই-বাছাই চলার সময়টুকুতে ভিএফএস ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে। এর জন্য নিম্নোক্ত লিংকে যেতে হবে- https://www.vfsvisaonline.com/Global-Passporttracking/Track/Index?q=shSA0YnE4pLF9Xzwon/x/IzcvBCb/70NmWcryI2n01dau+KWr9vOycRn8+9h+u8XIqecwY3I+ZSwJbdFTpO9OZlVSATCCz354s5WEZMMYrE= এখানে আবেদনকারীর শেষ নামের পাশাপাশি দিতে হবে একটি রেফারেন্স নাম্বার, যেটি ভিএফএস থেকে দেওয়া সেই রশিদে পাওয়া যাবে। এছাড়া +৮৮০৯৬০৬৭৭৭৬৬৬ নাম্বারে কল করেও ভিসার ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া যাবে।
সমুদয় যাচাইয়ের পর ভিসা নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে তা ফোন কলের মাধ্যমে প্রার্থীকে জানানো হবে। অতঃপর সে অনুযায়ী, ভিসাযুক্ত পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য ভিএফএস সেন্টারে চলে যেতে হবে। এ সময় অবশ্যই সেই রশিদ বা স্বীকৃতি পত্রের মূল কপি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র সঙ্গে আনতে হবে।
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
৪৫২ দিন আগে
সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৯২ শতাংশ
আগের মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আগস্টে এ হার ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এ সময় খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় ক্ষেত্রেই মূল্যস্ফীতি কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪০ শতাংশে। আগস্টে এ হার ছিল ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার আরও কমে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে; যা একই বছরের আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
শহর ও গ্রাম উভয় অঞ্চলেই সাধারণ পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার গত মাসে কমেছে।
সেপ্টেম্বরে গ্রামাঞ্চলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ; যা আগস্টে ছিল ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
অন্যদিকে সেপ্টেম্বরে শহরাঞ্চলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা আগস্টে ছিল ১০ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
সেপ্টেম্বরে মজুরি হার সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। আগস্টে এর হার ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে সেখান থেকে বেড়ে ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আবারও মূল নীতি হার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ১.১৭ শতাংশ: বিবিএস
৪৫২ দিন আগে
বিআইএফপিসিএল’র এমডি হিসেবে যোগ দিয়েছেন ড. বিজয় প্রকাশ
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন ড. বিজয় প্রকাশ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) তিনি যোগদান করেন।
বিআইএফপিসিএল জানায়, এই পদে যোগদানের আগে তিনি ভারতের এনটিপিসি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (সেফটি , সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, ইনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড অ্যাশ ইউটিলাইজেশন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিআইএফপিসিএলের এমডি পদে নিয়োগ পেয়েছেন প্রকৌশলী সঙ্গীতা কৌশিক
ড. বিজয় প্রকাশ ১৯৬৬ সালে ভারতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের গোরক্ষপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকেসিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি), কানপুর থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করতে তিনি যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. বিজয় নয়া দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে সমাজকর্মে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
১৯৮৯ সালে কানপুরের আইটি থেকে ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টের মাধ্যমে এনটিপিসিতে যোগ দেন তিনি।
তিনি এনটিপিসিতে ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রকল্প পরিকল্পনা ও প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রক ছাড়পত্র, পরিবেশ ও স্থায়িত্ব, অ্যাশ ইউটিলাইজেশন(ছাই ব্যবহার), সুরক্ষাসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাহী পরিচালক হিসাবে সাম্প্রতিক পদসহ বিভিন্ন পদে ছিলেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টে ঋণ গ্রহণের চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ: ইআরডি
৪৫৩ দিন আগে
থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
মেধাচর্চার নিমিত্তে মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজন একটি সুস্থ ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ মানসিকতা। নির্মল ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উদ্ভাবনের জন্য পরিণত করে তোলে একটি মনকে। মোট কথা উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি তার চারপাশের জায়গাটাও যদি মনোরম হয়, তবে তা সৃজনশীলতার সহায়ক রসদ সরবরাহ করে। এ ক্ষেত্রে মানের দিক থেকে বিদ্যাপীঠগুলোতে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও তা পুষিয়ে দিতে পারে একটি নান্দনিক প্রাঙ্গন। এই দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। প্রাকৃতিক নৈসর্গে ভরপুর এই দেশটি প্রকৃতিপ্রেমী মেধাবীদের জন্য উচ্চশিক্ষার এক অনন্য গন্তব্য। চলুন, থাইল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আবেদন, স্টুডেন্ট ভিসা, অধ্যয়ন খরচ, এবং স্কলারশিপ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
থাইল্যান্ডে কেন পড়তে যাবেন
আসিয়ানের (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশন্স) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থাইল্যান্ড বিশ্বের দ্রুত উন্নতি হওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ পর্যন্ত দেশের যে খাতটি সর্বাধিক সুনাম অর্জন করেছে তা হলো স্বাস্থ্যসেবা। হেল্থ কেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে গোটা এশিয়ার মধ্যে থাইদের অবস্থান ৪র্থ এবং সারা বিশ্বে ১০ম।
দেশের সেরা বিদ্যাপীঠগুলো মধ্যে রয়েছে চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটি ও মাহিদোল ইউনিভার্সিটি। কিউএস ওয়ার্ল্ড লিস্টে এদের র্যাংক যথাক্রমে ২১১ ও ৩৮২।
প্রধান ভাষা থাই হলেও প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত ইংরেজি প্রোগ্রাম চালু থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। তবে দেশটির পরিবেশের সঙ্গে তাদের একাত্ম হওয়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে এর মনোরম প্রকৃতি। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এখানে রয়েছে পাম বন, আদিম সাদা সৈকত ও পাহাড়ের এক দারুণ সন্নিবেশ। পড়াশোনার ফাঁকে পাহাড়ি জলপ্রপাতের দৃশ্য চোখে নিয়ে পাহাড় হাইকের সুযোগ কিছুতেই উপেক্ষা করার নয়। এছাড়াও সমুদ্রে স্নরকেলিং ও বাঁশের ভেলায় নদীতে ভেসে থাকার অভিজ্ঞতা সর্বাঙ্গে যেন এক পরম সুখ ছড়িয়ে দেয়। শত মন্দিরের এই দেশ আসিয়ান জোটের চতুর্থ সুখী রাষ্ট্র। হয়ত সে কারণেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রধান দেশটির আরেক নাম ‘ল্যান্ড অব স্মাইল্স’।
আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
থাইল্যান্ডের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
গোটা এশিয়া জুড়ে প্রথম সারির কয়েকটি থাই বিশ্ববিদ্যালয়
· চুলালংকর্ন ইউনিভার্সিটি
· মাহিদোল ইউনিভার্সিটি
· চিয়াং মাই ইউনিভার্সিটি
· থাম্মাসাত বিশ্ববিদ্যালয়
· ক্যাসেতসার্ত ইউনিভার্সিটি
· প্রিন্স অব সংক্লা ইউনিভার্সিটি
· খন ক্যায়েন ইউনিভার্সিটি
আরো পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
থাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নের জন্য সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন বিষয়
· বিজনেস স্টাডিজ
· ইঞ্জিনিয়ারিং
· ফুড অ্যান্ড বেভারিজ স্টাডিজ
· জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন
· ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি
· সোশ্যাল সায়েন্স
· ন্যাচারাল সায়েন্স
আরো পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
থাইল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
সাধারণত দুটি মৌসুমকে কেন্দ্র করে এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে থাকে। একটি হচ্ছে অটাম, যার জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয় মে মাস থেকে। জুলাই নাগাদ সব আবেদন নেওয়া শেষ করে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয় আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে।
ভর্তির দ্বিতীয় ইন্টেকটি হলো স্প্রিং। এই মৌসুমে ভর্তি শুরু হয়ে যায় জানুয়ারি থেকে। এর জন্য আবেদনের সময়কাল থাকে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হতে হতে মার্চ মাস চলে আসে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় ক্ষেত্রেই এই ইন্টেকগুলো বজায় রাখা হয়। তবে মৌসুমের এই ভিন্নতা মূলত প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে। এমন অনেক প্রোগ্রাম আছে যেগুলোর জন্য শুধুমাত্র একটি মৌসুমেই আবেদন নেওয়া হয়।
তাই সর্বোত্তম পন্থা হলো সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। এতে করে যে শুধু নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম সম্পর্কেই আপ-টু-ডেট থাকা যায়- তা নয়। পাশাপাশি উপরোল্লিখিত সাধারণ ইন্টেকের বাইরে ভর্তির বিষয়েও জানা যায়। এই যোগাযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করা যেতে পারে।
ভর্তি প্রক্রিয়াগুলো পরিচালিত হয় থাই ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন সিস্টেম (https://www.mytcas.com/) বা থাইল্যান্ডের কাউন্সিল অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্ট্স (https://www.cupt.net/en/)-এর মাধ্যমে।
আরো পড়ুন: সুইডেনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· সম্পূর্ণরূপে পূরণকৃত ভর্তির আবেদনপত্র
· হাই স্কুল ডিপ্লোমা (স্নাতকের জন্য)
· ব্যাচেলর ডিপ্লোমা (মাস্টার্সের ক্ষেত্রে)
· একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
· ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ: আইইএলটিএস স্কোর ন্যূনতম ৫ দশমিক ৫, টোফেল-এ সর্বনিম্ন ৬০, পিটিই একাডেমিক-এ কমপক্ষে ৪৩
· অধ্যয়নকালে থাইল্যান্ডে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থের প্রমাণ
· মেডিকেল সার্টিফিকেট
· সদ্য তোলা পাসপোর্ট আকারের ছবি
· বৈধ পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র
· একাধিক রিকমেন্ডেশন লেটার
· পার্সনাল স্টেটমেন্ট
· আবেদন ফি প্রদানের প্রমাণ (যদি থাকে)
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
আবেদন পরবর্তী প্রক্রিয়া
সাধারণত আবেদন জমা দেয়ার পর যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই করতে ১ থেকে ৩ কার্যদিবস সময় লাগে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তসহ ই-মেইলের মাধ্যমে পরবর্তীতে করণীয় জরুরি নির্দেশনা দেয়া হয়।
এখানে মূলত ১০ দিনের মধ্যে আবেদন ফি পরিশোধ করতে বলা হয়। অতঃপর অধ্যয়ন ফি প্রদানের জন্য ইন্ভয়েস ই-মেইল করা হয়। সাধারণত সেমিস্টার শুরু হওয়ার প্রায় আড়াই মাস আগে অধ্যয়ন ফির চালান সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
এই ফি দেওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিপত্র (অফার লেটার) পাঠানো হয়।
থাইল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন
‘নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসা টাইপ ইডি প্লাস’। এটিই হচ্ছে থাইল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসা, যার মেয়াদ থাকে সিঙ্গেল এন্ট্রিতে ইস্যুর দিন থেকে সর্বোচ্চ ৩ মাস বা ৯০ দিন। এই ভিসার আবেদনের পূর্বশর্তগুলো হলো:
· একটি থাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভর্তির অফার লেটার
· ন্যূনতম তিনটি কোর্স নেওয়া (কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে চারটি)
· প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫ ঘণ্টা ক্লাস থাকে এমন কোর্স নেওয়া
অবশ্য ব্যাচেলর বা তার উপরের পর্যায়ের যে কোনো দীর্ঘকালীন প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তি হলে উপরোক্ত সবগুলো শর্তই পূরণ হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভিসার ৩ মাস মেয়াদ স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের সময়কালের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই এই ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ড যাওয়ার পর ভিসার মেয়াদ বাড়িয়ে নেওয়া যায়। শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় তার পক্ষ থেকে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারে।
‘নন-ইমিগ্রেন্ট ভিসা টাইপ ইডি প্লাস’-এর আবেদন ফর্মটি এই লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করা যাবে:
https://assets.ctfassets.net/xxg4p8gt3sg6/6TchGwYVrDFKzvnkYPImVD/ab46f6bae095d88b1252dd7b380fef7d/visa-application-form.pdf
এটি সম্পূর্ণরূপে পূরণ করে তার একটি প্রিন্ট নিতে হবে। অতঃপর ফর্মের নির্ধারিত স্থানে স্বহস্তে স্বাক্ষর করে জমা দেওয়ার জন্য অন্যান্য দরকারি নথিপত্রের সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র
· সম্পূর্ণরূপে পূরণকৃত এবং স্বহস্তে স্বাক্ষরকৃত স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনপত্র (স্বাক্ষর অবশ্যই পাসপোর্টের স্বাক্ষরের অনুরূপ হতে হবে)
· থাইল্যান্ডে পৌঁছার দিন থেকে আরও ৬ মাসের মেয়াদ থাকা বৈধ পাসপোর্ট (তাতে অবশ্যই ন্যূনতম ২টি ফাঁকা পৃষ্ঠা থাকতে হবে)। পূর্বে কোনো ভিসা পেয়ে থাকলে পাসপোর্টের সেই পৃষ্ঠাগুলোর ফটোকপি
· পুরনো পাসপোর্ট (যদি থাকে)
· থাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীর ভর্তির বিস্তারিত তথ্যসহ অফার লেটার। তার সঙ্গে ইস্যুকারী ব্যক্তির আইডি কার্ড ও পাসপোর্টের অনুলিপি থাকতে হবে।
· শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
· একটি পাসপোর্ট সাইজ (৩ দশমিক ৫ সেমি x ৪ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার) ছবি: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তুলতে হবে এবং ছবি ৬ মাসের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
· আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপক্ষে প্রমাণপত্র: শুধু শিক্ষার্থীর জন্য কমপক্ষে ২০ হাজার থাই বাথ বা ৭৪ হাজার ১২৬ টাকা (১ থাই বাথ = ৩ দশমিক ৭১ বাংলাদেশি টাকা)। পরিবার সহ আবেদনের ক্ষেত্রে ৪০ হাজার বাথ বা ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৫১ টাকা।
o সন্তোষজনক লেনদেনসহ বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
o ব্যাংক থেকে ইস্যূকৃত ব্যাংক সল্ভেন্সি লেটার
· শিক্ষার্থীকে যদি তার কোম্পানির পক্ষ থেকে স্পন্সর করা হয়, তাহলে কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সল্ভেন্সি লেটার
· প্লেনের টিকেট বুকিংয়ের নথিপত্র
· থাইল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্য উল্লেখপূর্বক প্রার্থীর (বা তার স্পন্সরের) পক্ষ থেকে ভিসা অনুরোধ পত্র
· পূর্ববর্তী একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হতে হবে
· পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
· ইংরেজি দক্ষতা সার্টিফিকেট (আইইএলটিএস/টোফেল/পিটিই’র নথিপত্র)
· ভিসা ফি রশিদ
এগুলোর কোনো একটি নথি বাংলা ভাষায় থাকলে তা অবশ্যই জাতীয়ভাবে স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
৪৫৪ দিন আগে
বাংলাদেশকে ক্লিন এয়ার প্রকল্পে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রজেক্টে (বিসিএপি) ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক।
এ প্রকল্পে আইডিএ ক্রেডিটের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে, পাশাপাশি জাতীয় বায়ু মান নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরিচ্ছন্ন রান্নার উদ্যোগগুলোর জন্য সম্ভাব্য অনুদানও দেওয়া হবে।
রবিবার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ বিষয়ক কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস
বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা 'ব্লু নেটওয়ার্ক' তৈরিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার খালগুলো পুনরুদ্ধারে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার আহ্বান জানান।
তিনি ক্ষয়ক্ষতি তহবিলে সহায়তার পাশাপাশি জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়নে সহায়তার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন।
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে সমন্বিত পদ্ধতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন রিজওয়ানা।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার উন্নত পরিবেশ নীতি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে বৈশ্বিক সেরা অনুশীলনের সঙ্গে এই প্রচেষ্টার সমন্বয়ে তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে তুলতে পারিনি: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
আবদৌলায়ে সেক দীর্ঘমেয়াদি টেকসই লক্ষ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং কৌশলগত বিনিয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছিলেন।
বৈঠকে পরিবেশ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যতের দিকে কাজ করার পারস্পরিক লক্ষ্য নিয়ে পরিবেশগত শাসন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় গভীর সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলোচনা শেষ হয়।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
৪৫৫ দিন আগে
বেসরকারি ব্যাংকের তারল্য সংকট নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর: আব্দুল আউয়াল মিন্টু
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চলমান তারল্য সংকট স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাতে নানা সমস্যা রয়েছে। এসব বিষয়ে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সহযোগিতা চেয়েছি। ব্যাংকগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সেজন্য গভর্নর আমাদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক শেষে ব্যাংকিং খাতের বর্তমান সংকট নিয়ে কথা বলেন মিন্টু।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) চেয়ারম্যান মিন্টু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে যতটা সম্ভব তারল্য সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক এই সহায়তা দিলে ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের তারল্য সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
ব্যাংকগুলোর সামনে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে মিন্টু স্বীকার করেন, এনবিএলসহ অনেক প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণ ও নগদ প্রবাহ সমস্যায় হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য ব্যাংকও যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, এনবিএলেরও একই সমস্যা রয়েছে।’
মিন্টু আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ আদায়ে এনবিএলের কৌশল তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এনবিএলের খেলাপি ঋণ আদায়ে আদালতে যাওয়াসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সুদ মওকুফের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিন্টু বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ মওকুফ করেছে, কিন্তু আমরা সম্ভাব্য এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথাও বলেছি। ব্যাংকিং প্রবিধান মেনেই যে কোনো রেজোলিউশন করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির আব্দুল আউয়াল মিন্টুর হাইকোর্টে আগাম জামিন
৪৫৮ দিন আগে