বিশ্ব
টরন্টোতে উল্টে পড়ল বিমান, বেঁচে গেলেন যাত্রীরা
কানাডার টরন্টোর পিয়ারসন বিমান বন্দরে অবতরণের সময় একটি বিমান উল্টে গেছে। তবে সৌভাগ্যক্রমে বিমানে থাকা ৮০ জন যাত্রীর সবাই প্রাণে বেঁচে গেছেন।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটড প্রেস (এপি) জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট এই দুর্ঘনায় পড়ে।
মিনিয়াপোলিস থেকে ৭৬ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিমানটি যাত্রা করেছিল। স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ২টার দিকে তুষারপাত ও ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে শুকনো রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করছিল। তবে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে এখনো তদন্ত চলছে। বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিশ্চিত করেছেন যে, যাত্রীরা তুলনামূলকভাবে কম আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: অ্যারিজোনা বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মিতসুবিশি সিআরজে-৯০০এলআর উল্টে গেছে। বিমানটির কাঠামো অনেকাংশেই অক্ষত রয়েছে। যাত্রীরা বিমান থেকে বেড়িয়ে টারম্যাক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় দমকলকর্মীরা বাকী আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
এই দুর্ঘটনায় যাত্রীরা সামান্য আহত হওয়া ছাড়া কোনো প্রাণহানি না হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন গ্রেটার টরন্টো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেবোরাহ ফ্লিন্ট।
টরন্টো পিয়ারসন ফায়ার চিফ টড আইটকেন জানিয়েছেন, ১৮ জন যাত্রীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর আগে, অর্ঞ্জ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স একজন শিশু রোগীকে সিককিডস হাসপাতালে এবং দু'জন প্রাপ্তবয়স্ককে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রানওয়ে শুরু হওয়ার খুব কাছেই বিমানটি রানওয়ে ২৩ এবং ১৫এল এর সংযোগস্থলে পড়ে রয়েছে। নিয়ন্ত্রকরা দুর্ঘটনায় সহায়তা করার জন্য আসা একটি মেডিকেল হেলিকপ্টারের ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেরত পাঠিয়েছেন। সেই সময়ের আবহাওয়ায় তুষারপাত এবং বাতাসের দমকা হাওয়া ছিল। তাপমাত্রা প্রায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (-৮.৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) ছিল।
সেফটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন কক্স এই ঘটনাকে বিরল বলে অভিহিত করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, মাঝে মাঝে অবতরণের সময় বিমান উল্ডে যেতে দেখা গেলেও এই জাতীয় ঘটনাগুলো অস্বাভাবিক।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, সিআরজে-৯০০ একটি উন্নত বিমান, যা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় চলতে সক্ষম। তবে তিনি নিখোঁজ ডান পাখা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, যা বিমানটির উল্টে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
পিয়ারসনে সর্বশেষ বড় দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৫ সালের আগস্টে। সেসময় একটি এয়ার ফ্রান্স এয়ারবাস এ৩৪০ ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছিল। তবে বিমানের ৩০৯ জন আরোহীর সবাই বেঁচে গিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের সহায়তা নিয়ে কানাডার ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড এই সর্বশেষ ঘটনার তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: নতুন এয়ারফোর্স ওয়ান পেতে দেরি, বোয়িং বিমান পরিদর্শন করলেন ট্রাম্প
গত এক মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, ফিলাডেলফিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনা এবং আলাস্কায় আরেকটি বিমান দুর্ঘটনার পর উত্তর আমেরিকায় এটি চতুর্থ উল্লেখযোগ্য বিমান দুর্ঘটনা।
অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড কোনো প্রাণহানি না হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে সহানুভূতি জানিয়েছেন ডেল্টা সিইও ইডি বাস্তিয়ান।
২ ঘণ্টা আগে
বলিভিয়ায় বাস খাদে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু
বলিভিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় মহাসড়ক থেকে একটি বাস খাদে পড়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়ছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পোটোসি ও ওরুরো বিভাগের মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
পোটোসির বিভাগীয় পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র কর্নেল লিমবার্ট চক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ ঘটনায় ৩১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আমরা এখনও মৃতদেহগুলো উদ্ধার করছি।’
পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গণপরিবহনটি মহাসড়ক থেকে ছিটকে ৮০০ মিটার গভীর একটি খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: বলিভিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে মৃত্যু বেড়ে ২৮
লিমবার্ট চক বলেন, সড়কটির দুর্ঘটনাস্থলে তীক্ষ্ণ বাঁক এবং খাড়া ঢাল রয়েছে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আহতদের মধ্যে চারজন শিশু রয়েছে—তাদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং নিবিড় পরিচর্যা চলছে। আর আহত বাকী ১১ জন প্রাপ্তবয়স্ক— যাদের মধ্যে দু'জনের গুরুতর জখম হওয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
আইরিশ পর্যটককে ধর্ষণ-হত্যার দায়ে ভারতে ১ জনের যাবজ্জীবন
প্রায় আট বছর আগে জনপ্রিয় একটি পর্যটন রিসোর্টে এক আইরিশ নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গোয়া রাজ্যের একটি আদালত এই আদেশ দেন।
২০১৭ সালের মার্চে গোয়ায় ছুটি কাটাতে আসা ২৮ বছর বয়সী ড্যানিয়েল ম্যাকলাফলিনের লাশ পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতে এক কৃষক দেখতে পান। একটি ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, মস্তিষ্ক ও ঘাড়ের আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন বিকাশ ভগত।
রায়ের পর ম্যাকলাফলিনের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এবং তার বন্ধুরা ‘ন্যায়বিচারের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটর এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ।’
সাধারণত ভারতীয় আইনে ধর্ষণের শিকার নারীর নাম প্রকাশ করা হয় না। এক্ষেত্রে নির্যাতিতার পরিবার মামলার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে পৌঁছে দিল মার্কিন উড়োজাহাজ
২০১২ সালে নয়া দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণীর মৃত্যুর পর যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আইন পাস করে ভারত। এর পরও দেশটিতে নারীদের বিরুদ্ধে অব্যাহত সহিংসতা বন্ধ হয়নি।
গোয়া ভারতের পর্যটকদের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক এর অসংখ্য সমুদ্র সৈকতের রিসোর্টগুলো পরিদর্শন করেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
পশ্চিমতীরে এক হাজার অবৈধ বসতি নির্মাণ করবে ইসরায়েল
ফিলিস্তিন ভুখন্ডের অধিকৃত পশ্চিমতীরে প্রায় এক হাজার অতিরিক্ত ইহুদি বসতি নির্মাণ করতে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে তারা দরপত্রও ডেকেছে সেখানে। হামাসের সাথে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাঝেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পিস নাউ নামের অবৈধ বসতিস্থাপনবিরোধী একটি সংস্থা।
শান্তিবাদী এই সংগঠনটির তথ্যমতে, ইসরায়েলের এই পরিকল্পনাতে অঞ্চলটিতে তাদের অবৈধ বসতি ৪০ শতাংশ বাড়বে। নতুন করে ৯৭৪টি আবাসন ইউনিট স্থাপনের ফলে ফিলিস্তিনি শহর বেথেলহামের উন্নয়নে আরও বাধা সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বসতিস্থাপন পরিকল্পনার পর্যবেক্ষণ শাখার প্রধান হাগিত ওফরান বলেন, ‘নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তিটি অনুমোদন শেষে কাজ শুরু হবে। এতে অন্তত আরও এক বছর সময় লাগতে পারে।’
আরও পড়ুন: গাজায় ‘জাহান্নামের সব দরজা’ খুলে দেওয়ার হুমকি ইসরায়েলের১৯৬৭ সালে তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে পশ্চিমতীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের জন্য এই তিন অঞ্চলের অধিকার ফিরে পেতে চায়। এই বসতিগুলোকে তারা শান্তির পথে বড় বাধা হিসেবে গণ্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন এই অবৈধ বসতি স্থাপনে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছেন। বাইডেন প্রশাসনের সময়েও বসতিস্থাপন অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দ্বিতীয় মেয়াদে শুধু ইসরায়েলকে সমর্থনই নয় বরং কয়েক ধাপ এগিয়ে নিজেই গাজা দখল করতে চেয়েছেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল এরইমধ্যে পশ্চিমতীরে শতাধিক নতুন বসতি স্থাপন করেছে। পাহারের চূড়ার সামরিক ঘাঁটি থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক বসতি স্থাপনে কিছুই বাদ রাখেনি তারা।
আরও পড়ুন: চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ: জিম্মিদের ফেরত দিচ্ছে না হামাস
পশ্চিমতীরে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনির বসতি রয়েছে। তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এখানে ইহুদিরা বাস করতে শুর করে। বর্তমানে ৫ লাখের বেশি অবৈধ ইহুদি বাস করছে অঞ্চলটিতে। এই অবৈধ অধিবাসীরা ইসরায়েলের নাগরিক সুবিধা ভোগ করে। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনিরা পশ্চিমাদের সমর্থিত ইসরায়েলের সামরিক শাসনের অধীনে রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের এই আচরণকে বৈষম্যমূলক দাবি করলেও তা মানছে না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
এই পরিকল্পনা সফল হলে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক যে সমাধানের কথা বলা হচ্ছে; তা কখনোই বাস্তবায়ন হবে না বলে মনে করছে পিস নাউ। এমনকি চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে। এজন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করে সংস্থাটি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে হামাস। এ সময়ে বহু বিদেশি শ্রমিকসহ ২৫০ ইসরাইলি নাগরিক ও সেনাসদস্যকে তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এর জবাবে গেল পনেরো মাস ধরে গাজায় নির্বিচারে সামরিক হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৪৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হন, যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যস্থতায় ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়, যা কার্যকর হয় গত ১৯ জানুয়ারি।
তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে স্থানীয় সময় সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আর কোনো ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানায় হামাসের সামরিক শাখা কাশেম ব্রিগেডের এক মুখপাত্র। পরবর্তীতে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় বন্দিবিনিময় কার্যকর হয়।
হামাসের এই কার্যক্রমে ক্ষিপ্ত হয়ে সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি না দিলে গাজায় ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়া হবে’ এমন হুমকি দেয় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ হুমকি দেন তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে
যুদ্ধ বন্ধে ‘কার্যকর আলোচনায়’ থাকবে ইউক্রেন ও ইউরোপীয়রা
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা ‘কার্যকর হলে’ পরবর্তীতে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় দেশগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
তিনি বলেন, সৌদি আরবে রাশিয়ার সাথে বৈঠকে শান্তি চুক্তিতে রাশিয়ার আগ্রহ পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ এটি।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন টেলিভিশন সিবিসিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন রুবিও। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে তারা যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা খতিয়ে দেখবে বলে মত দেন মার্কিন এই রাজনীতিবিদ।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) একজন মার্কিন আইনপ্রণেতা ও বৈঠকের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে কয়েকদিনের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে কাউকে এই আলোচনায় রাখা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে বসতে যাচ্ছে রুশ-যুক্তরাষ্ট্র
এছাড়াও ইউক্রেনে নিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত কেইথ কেলগ জানিয়েছেন, ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় ইউরোপের কোনো ভূমিকা থাকবে না। এর আগে ইউরোপীয় দেশগুলোকে ওয়াশিংটন একটি প্রশ্নাবলি পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তারা কী কী অবদান রাখতে পারে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি ) এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। বৈঠকটি আয়োজন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। ইতোমধ্যে বৈঠকে অংশ নিতে সৌদি পৌঁছেছেন রুবিও।
তবে রুবিও জানান, ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সফরে তিনি আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেন স্থানীয় সময় রবিবারই (১৬ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে অংশ নিতে সৌদি আরব যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।
ইউক্রেন-ইউরোপীয়দের বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ
তবে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের এই আলোচনায় খোদ ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ না জানানোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে কিয়েভ। এর পাশাপাশি আলোচনায় ইউরোপকে অর্ন্তভুক্ত না করায় তাদের পাশ কাটিয়ে শান্তি চুক্তির আলোচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইউরোপীয় নেতারা।
এর আগে, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করতে একমত হওয়ার কথা জানায় ট্রাম্প। তাদের মধ্যে ফোনালাপের বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপে ইউরোপীয় দেশগুলো আশঙ্কা করেছে, তাদের বাদ দিয়েই হয়তো এমন একটি শান্তি চুক্তি হতে যাচ্ছে, যা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলবে। বিশেষত সেটি যদি রাশিয়ার অনুকূলে হয়।
তবে তাদের এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, সৌদিতে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার কেবল সূত্রপাত হতে যাচ্ছে। অগ্রগতি হলে অবশ্যই ইউক্রেন ও ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানানো হবে।
রুবিও সিবিসিকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ হয়েছে। সেখানে শান্তির আলোচনায় পুতিনের আগ্রহ দেখতে পেয়েছেন তিনি। সে সময় প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্প) এই সংঘাত বন্ধে ও ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিজের ইচ্ছা পোষণ করেন।’
তিনি জানান, ‘একটি ফোনকল কখনো যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি আনতে পারে না। আগামী কয়েকদিনের আলোচনা ও বৈঠকটি নিশ্চিত করবে আদৌ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে কিনা।’
আরও পড়ুন: শান্তির পথে ফিরতে চায় ইউক্রেন: জেলেনস্কি
রুবিও নিশ্চিত করেছেন যুদ্ধ বন্ধের যেকোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা ইউক্রেন কিংবা ইউরোপীয় দেশগুলোকে বাদ দিয়ে হবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পুতিনের ফোনালাপের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও টেলিফোনে কথা বলেছেন। একটি দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের প্রস্তুতির জন্য একে অপরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে সিবিসিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানতে চাওয়া হলে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান রুবিও। তবে তিনি বলেন, বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার ওপর যে একতরফা নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়েছে, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে তাদের। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে কিনা; তা নিশ্চিত করেননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রৗ।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর গেল তিন বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলছে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১৭ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ বন্যা ও ঝড়ে ৯ জনের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপূর্বাঞ্চলে বন্যা ও ঝড়ে অন্তত ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ভারী বৃষ্টিতে নদী উপচে পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে এক হাজারেরও বেশি লোককে উদ্ধার করা হয়েছে এবং প্রায় ৩৯ হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখোমুখি হচ্ছে। এছাড়াও শত শত মানুষ বন্যায় আটকে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনে বন্যায় নিহত ৩, নিখোঁজ ২
কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, তার রাজ্যে অন্তত আটজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে রাস্তার পানিতে গাড়ি আটকে। তীব্র বাতাসের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
গেল এক দশকে এটিকে সবচেয়ে বৈরী আবহাওয়া বলে উল্লেখ করেছেন এই মার্কিন রাজনীতিবিদ। এ সময়ে লোকজনকে রাস্তাঘাট থেকে দূরে থেকে ঘরে অবস্থান করতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অ্যান্ডি বেশিয়ার বলেন, সবাই রাস্তাঘাট থেকে দূরে থাকুন। এখন উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সময়।
ঝড় শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্যোগ ত্রাণ তৎপরতার জন্য তার অনুরোধ অনুমোদন করেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ এলাকা নতুন করে ভয়াবহ শীতের কবলে পড়েছে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানিয়েছে, ফ্লোরিডা ও জর্জিয়ার কিছু অংশে প্রচণ্ড ঝড় বয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৭
কেন্টাকি ও টেনেসির বিভিন্ন অংশে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। তারা বলেন, কিছু সময়ের জন্য এটা অব্যাহত থাকবে। প্রচুর স্রোত প্রবাহিত হবে এবং বন্যা হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উন্নয়নে মার্কিন তহবিল বাতিল
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও উন্নত করতে দেওয়া মার্কিন সহায়তা বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমন তথ্য জানিয়েছে ডিপার্টমেন্ট অব গভার্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে দেওয়া ২ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন এয়ারফোর্স ওয়ান পেতে দেরি, বোয়িং বিমান পরিদর্শন করলেন ট্রাম্প
১ দিন আগে
নতুন এয়ারফোর্স ওয়ান পেতে দেরি, বোয়িং বিমান পরিদর্শন করলেন ট্রাম্প
নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান সরবরাহে বিলম্বের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে একটি বোয়িং বিমান পরিদর্শন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউস এমন খবর দিয়েছে।
পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পার্ক করে রাখা তেরো-বছর-পুরোনো একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ পরিদর্শন করেন ট্রাম্প। কাতারের রাজপরিবারের সাবেক এই বিমানটি বর্তমানে আইলস অব ম্যান নামের একটি কোম্পানি পরিচালনা করছে।
প্রেসিডেন্ট হেসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একজোড়া ৭৪৭-৮ বিমানের জন্য বোয়িংয়ের সঙ্গে আলোচনা করেন ট্রাম্প। কিন্তু এই বিমান পেতে এখনো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে মার্কিন প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: ট্রাম্প
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবর বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বিমান দুটো সরবরাহের জন্য তাগিদ দেওয়া হলেও অন্তত ২০২৭ সালের আগে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে বোয়িং।
হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ বিষয়ক পরিচালক স্টিভেন চুয়াং বলেন, ‘নতুন কলকব্জা ও প্রযুক্তি যাচাই করে দেখতে একটি নতুন বোয়িং বিমানে ভ্রমণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। প্রতিশ্রুতি অনুসারে নতুন একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান সরবরাহ করতে ব্যর্থতার বিষয়টিই এখানে ফুটে উঠেছে।’
শত শত কোটি মার্কিন ডলার লোকসানের কথা বলে নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান দিচ্ছে না বোয়িং। মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, ২০২৪ সালে নতুন একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহের কথা থাকলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর দ্বিতীয় আরেকটি সরবরাহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৮ সাল।
এই প্রকল্পের খরচ ও সরবরাহে সময়ক্ষেপণ নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে। ২০২০ সালে সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক অনলাইন আলাপে টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ককে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে এই প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার কাটছাঁট করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একমত ট্রাম্প-পুতিন, বসবেন সৌদিতে
গেল মাসে বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেলি অর্টবার্গ বলেন, এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে তাদের সহায়তা করছেন ইলন মাস্ক।
এছাড়া এয়ার ফোর্স ওয়ানের রঙ পরিবর্তন করে হালকা নীল থেকে গাঢ় নীল করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এরআগে ট্রাম্পের এই ধারণা নাকচ করে দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কারণ এতে নতুন করে পরীক্ষা দরকার পড়ায় এয়ার ফোর্স ওয়ান সরবরাহে আরও বিলম্ব হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
১ দিন আগে
সাইবার অপরাধ: ১০ হাজার শ্রমিককে থাইল্যান্ড পাঠাচ্ছে কারেন বিদ্রোহীরা
মিয়ানমারে বলপূর্বক সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়া ১০ হাজারের বেশি মানুষকে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি মিলিশিয়া গোষ্ঠী। শনিবার ( ১৫ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জাতিগত মিলিশিয়া কারেন বর্ডার গার্ড ফোর্সের (বিজিএফ) মুখপাত্র মেজর নাইং মাউং জো এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমারের থাই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ব্যাপকভাবে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতারণা কেন্দ্র। এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পাচার করে আনা কর্মীদের দিয়ে জোর করে নানা ধরনের অবৈধ কাজ করানো হয়। সাইবারজগত ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারিত করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রগুলো।
পাকিস্তানভিত্তিক ডনের খবরে বলা হয়, থাই সীমান্তে গড়ে ওঠা ওই অবৈধ ভবনগুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের হাতে জিম্মি এসব মানুষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বিজিএফ। এখন তাদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিজিএফ মুখপাত্র জো বলেন, ‘আমাদের ভুখন্ড থেকে সব প্রতারককে বিতাড়িত করার ঘোষণা দিয়েছি। এখন সেটি বাস্তবায়নে কাজ করছি।’
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের বেপরোয়া মাদক সাম্রাজ্য বিপদ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের
একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ধীরে ধীরে থাইল্যান্ডে স্থানান্তর করা হবে।’
তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিদিন ৫০০ জন করে শ্রমিককে স্থানান্তর করা হবে বলে জানান তিনি। এরইমধ্যে ৬১ জনকে থাই সীমান্ত পার করে দেওয়া হয়েছে।
থাইল্যান্ডের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দেশটির তাক প্রদেশে সীমান্ত নিরাপত্তায় নিয়োজিত একটি সামরিক টাস্কফোর্স মিয়ানমারের বিজিএফের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রায় ৭ হাজার শ্রমিককে গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবার মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় মেয়াওদি শহরতলিতে গড়ে ওঠা ‘শাও কোক্কো’ নামের একটি ভবনে টহল দিতে দেখা গেছে বিজিএফ সেনাদের। কারেন রাজ্যের সাইবার অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয় এই ভবনটিকে।
১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা ব্রাজিলের
যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রেডিও ক্লাব ক্লুবাদো পারাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সব ধরনের পারস্পরিক সহযোগিতা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যদি ব্রাজিলের আমদানি করা ইস্পাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্র কর আরোপ করে, তবে আমরা বাণিজ্যিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। আমাদের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অভিযোগ দেব অথবা সেখান থেকে আমদানি করা পণ্যগুলোর ওপর কর আরোপ করব।’
এই সপ্তাহের শুরুতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এটি ব্রাজিলের ইস্পাত খাতকে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো অ্যালকমিন বলেছেন, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পণ্যের বাণিজ্য 'ভারসাম্যপূর্ণ'।
তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্য হলো সংলাপ, বোঝাপড়া ও বিকল্প খোঁজার পথ। সেটাই করা হবে।
১ দিন আগে