বিশ্ব
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে ইসরায়েলে ইরানের হামলা, নিহত ৪
যুদ্ধবিরতের আলোচনা চলার মধ্যেই ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। দক্ষিণ ইসরায়েলের বেয়ার শেভা শহরের একটি আবাসিক ভবনে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে চারজন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ)।
এর আগে প্রায় ৪০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, প্রায় ৩০ বছর বয়সী একজন নারী ও প্রায় ২০ বছর বয়সী এক তরুণ মারাত্মকভাবে আহত হন বলে জানায় এমডিএ।
সংস্থাটির এক মুখপাত্র জানান, আরও ছয়জনকে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার আঘাত নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে তারা এবং বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে, সোমবার (২৩ জুন) সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল যদি তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে আমরা আর পাল্টা হামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখি না।’
সূত্র: সিএনএন
১৮৮ দিন আগে
ইসরায়েলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়নি: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরায়েলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোরে এসব জানান তিনি।
তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েল যদি তেহরানের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৪টার মধ্যে ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ আগ্রাসন বন্ধ করে, তাহলে আমরা আর পাল্টা হামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা রাখি না।’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক অভিযান বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরাগচি আরও জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসনের জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, অর্থাৎ রাত ৪টা পর্যন্ত, তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য সামরিক অভিযান চালিয়েছে। আমি ইরানের সব জনগণের সঙ্গে আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা তাদের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত এবং শত্রুর প্রতিটি হামলার জবাব দিয়েছেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি: ট্রাম্প
এর আগে, সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা ডেভিড ডেস রোচেস আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য সত্ত্বেও দুই দেশ যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
ইরানের আপাত আপত্তি প্রকৃতপক্ষে কোনো মৌলিক বিরোধ নয় বরং শর্ত নিয়ে বলে মনে করেন তিনি।
ডেভিড ডেস বলেন, ‘এটা মূলত তাদের নিজেদের শ্রোতাদের উদ্দেশে বলা, যেন তারা দেখাতে পারে যে—এই প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব আমাদের হাতে। আমাদের ওপর কেউ যুদ্ধবিরতি চাপিয়ে দিচ্ছে না, আমরা নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’
তবে বাস্তবতা ভিন্ন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সাবেক এই পেন্টাগন কর্মকর্তা বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা ঠিক কখন থেকে শুরু হবে, এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলো নিয়ে আপত্তি জানিয়ে তারা এমন বক্তব্য দিতে পারছে। আমি মনে করি, ইরানের পক্ষে এই মাত্রায় সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’
তার ভাষ্যে, কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ ঘাঁটিতে ইরানের হামলা ছিল সুপরিকল্পিত, যাতে আরও বড় ধরনের সামরিক প্রতিক্রিয়া না আসে।
আরও পড়ুন: ইরানে ফের ইসরায়েলের বিমান হামলা, ইরানের পাল্টা
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই হয়তো নিশ্চিতভাবে জানতে পারবো না, তবে কয়েক মাস পর হয়তো বুঝতে পারব—তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন এক ধরনের অকার্যকর আঘাত হেনেছে, নাকি তাদের অস্ত্রাগারের সীমাবদ্ধতার কারণে এটাই তাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য ছিল।’
ডেভিড ডেস আরও বলেন, ‘তবে এটা স্পষ্ট যে, অভ্যন্তরীণ বৈধতা রক্ষার জন্য; সেটি নিজেদের মধ্যেই হোক বা শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে, তাদের কিছু না কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাতেই হতো।’
১৮৮ দিন আগে
ইরান-ইসরায়েল সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে রাজি: ট্রাম্প
ইরান ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ ও পুরোপুরি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে কার্যকর হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ জুন) সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এমন দাবি করেন। এটি কার্যকর হলে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান ১২ দিনের সংঘাতের অবসান ঘটবে।
সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্রাম্প লেখেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হবে। আনুষ্ঠানিকভাবে ইরান ১২তম ঘণ্টায় এবং ইসরায়েল ২৪তম ঘণ্টায় এ যুদ্ধ শেষ করবে। সবকিছু ঠিকভাবে চললে ১২ দিনের এ যুদ্ধ শেষ হবে, যাকে স্বাগত জানাবে বিশ্ব। যুদ্ধবিরতির সময় উভয় পক্ষ শান্তি বজায় রাখবে ও শ্রদ্ধাশীল থাকবে।
এর আগে তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল তার ইরানবিরোধী সামরিক অভিযান শিগগিরই শেষ করতে চায় এবং সে বার্তা যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে।
তবে সবকিছু নির্ভর করছে তাদের প্রতিপক্ষ ইরানের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর।
আরও পড়ুন: ইরানে ফের ইসরায়েলের বিমান হামলা, ইরানের পাল্টা
আরও দুই কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি নেতারা এখন এমন একটি নির্ভরযোগ্য ‘এগজিট স্ট্র্যাটেজি’ নিয়ে কাজ করছেন, যার মাধ্যমে অভিযান শেষ করা যাবে এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাও থেমে যাবে—ফলে পাল্টা-পাল্টি হামলার চক্রে পঙ্গু হয়ে পড়ার ঝুঁকি কমবে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মনে করছে, তারা তাদের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণ করার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
ইসরায়েল ইরানে হামলার সময় নিজে বেছে নিয়েছিল, কিন্তু সংঘাত কখন শেষ হবে তা তাদের ইচ্ছার ওপর হয়ত নির্ভর করবে না। তেহরান যদি লড়াই দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ইসরায়েল একটি ব্যয়বহুল যুদ্ধের ফাঁদে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
১৮৮ দিন আগে
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বিশ্ববাজারে কী প্রভাব পড়তে পারে?
দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলে দুদিনের মাথায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নজিরবিহীন এই পদক্ষেপে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুনে বেড়েছে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর এটাই ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে মিলিত হয়ে পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান।
এক বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, এ হামলার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তার নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন।
গত সপ্তাহে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন খামেনি। তিনি বলেন, এই সংঘাতে যেকোনো সামরিক হস্তক্ষেপ আমেরিকানদের জন্য ‘অপূরণীয় ক্ষতির’ কারণ হবে। পুরো বিশ্ব এখন তার তথা ইরানের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে বসতে রাশিয়া যাচ্ছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্য থেকে সারা বিশ্বে তেল পরিবহনে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বাণিজ্যিক পথ। হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে ব্যবহৃত তেল সরবরাহের এক-পঞ্চমাংশ, অর্থাৎ ২ কোটি ব্যারেল তেল এবং বিপুল পরিমাণ তরল গ্যাস পরিবাহিত হয়।
ইরান অতীতেও এই প্রণালী বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে, তবে তারা কখনোই সেই হুমকি কার্যকর করেনি। হরমুজ প্রণারী বন্ধ হলে তা বৈশ্বিক বাণিজ্যকে নতুন সংকটে ফেলবে। এর প্রভাবে বিশ্ববাজারে তেলের দামে বড়সড় প্রভাব পড়বে।
হরমুজ প্রণালী কী?
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন পথ বা ‘চোক পয়েন্ট’ হিসেবে পরিচিত হরমুজ প্রণালী। কৌশলগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের জন্য অত্যন্ত এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বৈশ্বিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা অনেকটাই এই পথে তেল পরিবহনের ওপর নির্ভরশীল।
প্রণালীটি ওমান ও ইরানের মাঝখানে অবস্থিত এবং এটি ওমান উপসাগর ও আরব সাগরকে সংযুক্ত করে।
আরও পড়ুন: মার্কিন হামলার শিকার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পর্কে যা জানা প্রয়োজন
এই প্রণালীর সবচেয়ে সরু স্থান মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া, যার মধ্যে শিপিং লেন বা জাহাজ চলাচলের পথ মাত্র ৩ কিলোমিটার প্রশস্ত।
কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
বিশ্বের মোট জ্বালানি তেলের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এই প্রণালী দিয়ে যায়। বিশ্লেষণ সংস্থা ভরটেক্সার (Vortexa) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের শুরু থেকে গত মাস পর্যন্ত প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ থেকে ২ কোটি ৮ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল, কনডেনসেট (একটি হালকা ধরনের হাইড্রোকার্বন তরল) ও অন্যান্য জ্বালানি এই প্রণালী দিয়ে পরিবাহিত হয়েছে।
সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও ইরাকসহ ওপেকভুক্ত অধিকাংশ দেশ তাদের অপরিশোধিত তেল এ পথেই রপ্তানি করে, বিশেষ করে এশীয় দেশগুলোতে।
এই অঞ্চলজুড়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল রক্ষা করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের, যার ঘাঁটি বাহরাইনে অবস্থিত।
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে কী হবে?
প্রণালীটি বন্ধ করে দেওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরাসরি চাপ দেওয়ার একটি উপায় হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর ফলে তেলের দাম বাড়বে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাপী দ্রুত মুদ্রাস্ফীতির কারণ হবে।
তবে এটি ইরানের জন্যও একটি চরম আত্মঘাতী অর্থনৈতিক পদক্ষেপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ইরান নিজেও এই পথ ব্যবহার করেই তেল রপ্তানি করে। তাছাড়া হরমুজ বন্ধ করে দিলে উপসাগরীয় আরব দেশগুলো—যারা ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের হামলার সমালোচক, তারাও নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: আদর্শ নাকি নমনীয়তা, কোন পথে যাবেন খামেনি
এই পদক্ষেপ বিশেষ করে চীনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ ইরানের মোট তেল রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই কিনে থাকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ট্রাম্প সমর্থিত ফক্স নিউজে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি চীন সরকারকে অনুরোধ করছি, তারা যেন ইরানের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করে। কারণ তাদেরও তেলের জন্য হরমুজ প্রণালীর ওপর বড় মাত্রায় নির্ভরশীলতা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরান যদি হরমুজ বন্ধ করে, সেটি হবে আরেকটি ভয়ানক ভুল। সেটি হবে তাদের জন্য অর্থনৈতিক আত্মহত্যার সামিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এরই মধ্যে কিছু সুপারট্যাঙ্কার হরমুজ প্রণালীতে ইউটার্ন নিয়েছে বলে খবরে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ইরান কী বলেছে?
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইরানের পার্লামেন্টে হরমুজ প্রণালী বন্ধের একটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ইরানের শীর্ষ নেতাদের ওপরই নির্ভর করছে।
রবিবার (২২ জুন) ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ট্রাম্পের ইরানে বোমা হামলার সিদ্ধান্ত চিরস্থায়ী পরিণতি বয়ে আনবে।’
আরও পড়ুন: ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে এখন পর্যন্ত কার কী ক্ষয়ক্ষতি হল
তার এই বক্তব্য থেকে প্রতিশোধের স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি প্রথম প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ইসরায়েল একটি মারাত্মক ভুল করেছে এবং তাদের শাস্তি পেতে হবে।’
তবে হরমুজ প্রণালী নিয়ে তিনি এখনও সরাসরি কিছু বলেননি।
১৮৯ দিন আগে
ইরানে ফের ইসরায়েলের বিমান হামলা, ইরানের পাল্টা
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর এবার ইরানের পশ্চিমাঞ্চলীয় কেরমানশাহ শহরের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জবাবে ইরানও পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (২৩ জুন) সকালে ইরানে বিমান হামলার চালানোর কথা জানায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
এর আগে, ইরানের রাষ্ট্র সমর্থিত সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ জানায়, আজ ভোরে তেহরানের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত বৃহৎ সামরিক কমপ্লেক্স পারচিনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
জবাবে, ইরানও ইসরায়েলের দিকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তবে সেটি ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা মাঝপথেই প্রতিহত করা হয় বলে দাবি করেছে আইডিএফ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে বড় পরিসরে হামলা ইরানের, জাতিসংঘে চিঠি
গত ১৩ জুন প্রথম ইরানের শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর থেকেই দুই দেশ নিজেদের প্রতিশোধের নেশায় মত্ত। শক্তির প্রদর্শন করে লক্ষ্য অর্জনে মরিয়া দুপক্ষই।
এর সঙ্গে গতকাল রবিবার (২২ জুন) যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।
হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফলভাবে হামলা পরিচালনা করেছি, যার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান।’
এই হামলারও প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। বিশ্লেষকদের ধারণা, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারে ইরান। তবে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা আসেনি এখনও।
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টির সমাধান করতে চীনকে অনুরোধ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
১৮৯ দিন আগে
সিরিয়ায় গির্জায় আত্মঘাতীর হামলায় নিহত ২২
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গ্রিক অর্থোডক্স গির্জায় ঢুকে প্রার্থনাকারীদের ওপর গুলি চালান এক বন্দুকধারী। পরে তার নিজের শরীরে বাঁধা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন। এ ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং ৬৩ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার (২২ জুন) দামেস্কের মার এলিয়াস গির্জায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার এক প্রতিবেদনে হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়েছে।
এদিকে, ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং আরও অনেক আহত হয়েছেন। তবে আহতদের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা জানায়নি তারা।
কিছু স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
বহু বছর পর সিরিয়ায় গির্জায় এই ধরনের হামলা হলো। এমন এক সময়ে এ হামলা ঘটনা হলো যখন দেশটি ইসলামপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তারা সেখানকার সংখ্যালঘুদের সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় ১২ সেনাসদস্য নিহত
এই প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে আবারও উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলোর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কোনো গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নূরুদ্দিন আল-বাবা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলার পেছনে উগ্রবাদী ইসলামিক স্টেট (আইএস) জড়িত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এক বন্দুকধারী গির্জায় ঢুকে প্রার্থনারতদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পরে শরীরের বাঁধা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেই নিজেকে উড়িয়ে দেন।’
এই মুখপাত্রের দাবি, উপাসনালয়গুলোর নিরাপত্তা তাদের জন্য একটি রেড লাইন। তবে আইএস ও উৎখাত হওয়া আসাদ সরকারের অবশিষ্ট সদস্যরা সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।
সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী হামজা মোস্তাফা এটিকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘এই কাপুরুষোচিত কাজ আমাদের নাগরিক মূল্যবোধের পরিপন্থী, যা আমাদের একসূত্রে বেঁধে রাখে। আমরা সমান নাগরিকত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাষ্ট্র সব অপরাধী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করে সমাজের রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাব।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুখ ঢাকা এক বন্দুকধারী গির্জায় ঢুকে গুলি চালান। তখন উপস্থিত জনতা তাকে থামাতে ধাক্কা দিলে তিনি গির্জার প্রবেশপথে বিস্ফোরণ ঘটান।
ঘটনার পর ওই দিন সন্ধ্যায় সিরিয়ার সমাজকল্যাণ ও শ্রমমন্ত্রী হিন্দ কাবাওয়াত গির্জায় গিয়ে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে শোক প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৭
গির্জার ফাদার ফাদি ঘাট্টাস বলেন, ‘সবাই তখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছিল। আমি নিজ চোখে অন্তত ২০ জনের লাশ দেখেছি। গির্জায় তখন ৩৫০ জন প্রার্থনারত ছিল।’
তবে আরেক যাজক, মেলেটিয়াস শাহাতি বলেন, ‘হামলাকারী একজন ছিলেন না, দ্বিতীয় আরেক বন্দুকধারীও গির্জার দরজার দিকে গুলি ছুঁড়েছিলেন, এরপর প্রথম হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটান।’
ঘটনার পর হতাহতদের সহায়তায় সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল দ্রুত গির্জায় ছুটে যায়।
১৮৯ দিন আগে
দুই সপ্তাহের কথা বলে দুদিনের মাথায় হামলা চালানো ছিল ট্রাম্পের ‘রণকৌশল’
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর আবার নিজের অস্থিতিশীল আচরণের জন্য আলোচনায় এসেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরানে হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুদিন না যেতেই তেহরানে হামলা চালিয়ে বসেন ট্রাম্প। মূলত হামলার পরিকল্পনা গোপন রাখতেই ওই তিনি ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানে সামরিক অভিযানের ব্যাপারে কয়েকদিন ধরেই দৃঢ়ভাবে আগ্রহী ছিলেন ট্রাম্প। হামলার বিষয়ে তার প্রকৃত চিন্তাভাবনা গোপন রাখতেই তিনি তার জ্যেষ্ঠ সহকারীদের একটি নির্দেশ দেন— প্রেসকে জানিয়ে দেওয়া হোক, দুই সপ্তাহের মধ্যে অভিযান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প!
তার মানে দাঁড়ায়, দুই সপ্তাহের ঘোষণা দিয়ে দুদিনের মাথায় হামলা চালানো কোনো অস্থিতিশীল আচরণ নয়, বরং এটি ট্রাম্পের সুপরিকল্পিত রণকৌশল।
সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন বলছে, ইতোমধ্যেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন— কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প। এ কারণে দুই সপ্তাহের সময়সীমার ঘোষণা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: শান্তি স্থাপন করুন, নইলে আরও হামলা আসছে: ইরানকে ট্রাম্প
ইরানিদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি এবং তার পরিকল্পনা গোপন রাখার অভিপ্রায়েই এই কৌশল অবলম্বন করেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়ানোর ব্যাপারে দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের ভাষ্যে, ওই দিন তিনি তার সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে দুপুরের খাবারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। ব্যানন প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
এরপরই তার প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট হোয়াইট হাউস ব্রিফিং রুমে গিয়ে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুসারে ওই দুই সপ্তাহের সময়সীমার ঘোষণা দেন।
যদিও হামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এসেছিল শনিবার (২১ জুন), তবে ট্রাম্পের আশপাশের মানুষের বিশ্বাস, ইরানে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্টের মন অনেক আগেই স্থির হয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইরানের আকাশসীমার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি ট্রাম্পের
সূত্র আরও জানায়, ট্রাম্পকে আগেই হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং তিনি প্রতিদিনই জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক করছিলেন। এর পাশাপাশি দিনে একাধিকবার ফোনালাপও চলছিল বলে বিশ্বাস তার আশেপাশের লোকেদের।
এরপর, রবিবার (২২ জুন) ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় অত্যন্ত সফলভাবে হামলা পরিচালনা করেছি, যার মধ্যে রয়েছে ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান।’
১৮৯ দিন আগে
ইরানে হামলার পর বিশ্বজুড়ে মার্কিন নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি
ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালানোর পর বিশ্বজুড়ে নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় রবিবার (২২ জুন) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সতর্কতা জারি করা হয়। এতে বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ভ্রমণব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে এবং আকাশসীমা কখনো কখনো বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্বার্থের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বা অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।’
আরও পড়ুন: শান্তি স্থাপন করুন, নইলে আরও হামলা আসছে: ইরানকে ট্রাম্প
‘এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সারা বিশ্বে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে।’
এ ছাড়া, ভ্রমণ পরিকল্পনার আগে পররাষ্ট্র দপ্তরের ভ্রমণসংক্রান্ত পরামর্শ, সংশ্লিষ্ট দেশের তথ্য ও সাম্প্রতিক নিরাপত্তা সতর্কতাগুলো দেশটির নাগরিকদের মনোযোগ দিয়ে পড়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১৮৯ দিন আগে
পুতিনের সঙ্গে বসতে রাশিয়া যাচ্ছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন।
আব্বাস আরাগচি বলেন, রবিবার (২২ জুন) দিন শেষে তিনি মস্কোর উদ্দেশে রওনা দেবেন। সেখানে পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। আমাদের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারত্ব রয়েছে। আমাদের অবস্থান নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কথা হয় এবং আমাদের অবস্থান নিয়ে সমন্বয় করি।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন কোনো চূড়ান্ত সীমা নেই, যেটা যুক্তরাষ্ট্র লঙ্ঘন করেনি। সর্বশেষ তারা যেটা করেছে, সেটা খুবই বিপজ্জনক। আমাদের পরমাণু স্থাপনায় হামলার মধ্য দিয়ে তারা আরেকটি বড় চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে।’
আরও পড়ুন: ওভালকাণ্ড: পুতিনের পৌষমাস, জেলেনস্কির সর্বনাশ!
এদিকে ইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বাহিনীর বড় ধরনের হামলা চালানোর পর ইসরায়েলে প্রায় ২০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো তেল আবিব, হাইফাসহ ইসরায়েলের অন্তত ১০টি এলাকায় আঘাত হেনেছে। আর এতে ৮৬ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, রবিবার সকালে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে ইরান থেকে ছোড়া প্রায় ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে তারা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, এ সময় ইসরায়েলজুড়ে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
১৯০ দিন আগে
ইসরায়েলে বড় পরিসরে হামলা ইরানের, জাতিসংঘে চিঠি
নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইসরায়েলে বড় পরিসরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে তেল আবিবের বেশ কয়েকটি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদম (এমডিএ)। এই হামলায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার (২২ জুন) এক বিবৃতিতে ইরানের হামলার বিষয়টি জানায় এমডিএ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তেহরানের হামলায় বেশ কয়েকটি দ্বিতল আবাসিক ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু ভবন ধসে পড়েছে।’
এর আগে, ইরানের হামলার পর ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার খবর পেয়ে অন্তত ১০টি স্থানে উদ্ধারকাজের জন্য রওনা দেওয়ার কথা জানায় এমডিএ।
সংস্থাটির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত কয়েক মিনিটে সতর্কতামূলক সাইরেন শোনার পর যেসব স্থানে হামলার খবর পাওয়া গেছে, সেসব জায়গার উদ্দেশে উদ্ধারকারী দল রওনা দিয়েছে।’
সংস্থাটির সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ভবনের অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং আশপাশের অন্যান্য ভবনেরও উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সে সময় ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক উদ্ধারকারী ও জরুরি সেবাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নাগরিক ও সেনারা এখন বৈধ লক্ষ্যবস্তু: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির হুঁশিয়ারি
ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলে গোলাবারুদ পড়ার ঘটনাস্থলে কর্মকর্তারা ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট কাজ করছে।
উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফার এক কর্মকর্তাও ওই শহরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
জেরুজালেমে অবস্থানরত মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রযোজক জানিয়েছেন, তিনি শহরের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং ভিডিওতে আকাশে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রও দেখা গেছে।
১৯০ দিন আগে