বিশ্ব
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা মঙ্গলবার
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) তাদের মধ্যে এই আলোচনা হতে যাচ্ছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটন যেতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘দেখি আমরা মঙ্গলবারের মধ্যেই কোনো ঘোষণা দিতে পারি কিনা। এদিন আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে কথা বলবো।’
শিগগিরই সংঘাত বন্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে এই সপ্তাহে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। অনেক কাজ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ফের মার্কিন সামরিক সহায়তা পাচ্ছে ইউক্রেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে দুই নেতার কথোপকথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি নিজের মতো ঢেলে সাজাচ্ছেন ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে আলোচনা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের সেই পদক্ষেপকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
যদিও ট্রাম্প-পুতিনের সম্প্রীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের উদ্বেগের শেষ নেই। শুরু থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন তারা।
বছরতিনেক আগে অভিযানের শুরুতে ইউক্রেনকে পরাস্ত করতে রাশিয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য ব্যর্থ হলেও প্রতিবেশী দেশটির বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছে মস্কো। যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় এসব ভূমি ও বিদ্যুৎকেন্দ্রও থাকবে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘এই সম্পদগুলো ভাগাভাগি হতে পারে।’
ইউরোপের এই যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে বেশ ঘটনাবহুল কয়েকটি দিন পার হয়েছে। শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার অঙ্গীকার করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ৫৭তম দিনে এসে তিনি কেবল আশার কথা শোনাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি যুবরাজের বৈঠক
নির্বাচনী প্রচারের সময় বেশ কয়েকবার তাকে এই ঘোষণা দিতে শোনা গেলেও রসিকতা করেই এমনটা বলেছিলেন বলে এখন দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, ‘তিনি রসিকতা করে এটা বলেছিলেন।’
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের বৈঠকে ওয়াশিংটনের দেওয়া এক মাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয় ইউক্রেন। একই প্রস্তাব রাশিয়াকেও দেওয়া হবে বলে বৈঠক শেষে জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, জেদ্দার বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, তার নানা দিক তুলে ধরতে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।
তিনি বলেন, ‘পুতিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। তবে বেশ কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠায় এসব জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পুতিন।’
২৮৭ দিন আগে
ইসরায়েলি হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া শহরে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে দুইজন স্থানীয় সাংবাদিকও রয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ মার্চ) একটি গাড়িতে ইসরায়েলের হামলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মিসরে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলার মধ্যেই এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।—খবর ডনের।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকর্মী সাংবাদিকরা জানান, গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা বেইত লাহিয়ার ‘আল-খায়ের ফাউন্ডেশন’ নামে একটি দাতব্য সংস্থার কাজে নিয়াজিত ছিলেন। হামলার সময় তাদের সঙ্গে সাংবাদিক ও ফটোগ্রাফাররাও ছিলেন।
ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে তিনজন স্থানীয় সাংবাদিক রয়েছেন। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সিন্ডিকেট। এতে সংঘাতের সময় সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রণীত জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে সংগঠনটি অভিযোগ করে।
এ ঘটনায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি আরও হুমকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: এক মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, ইসরায়েলের সন্দেহ
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি ভেস্তে দিতেই ইসরায়েল এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে হামাস।
এ সময় চুক্তি মেনে ধাপে ধাপে যু্দ্ধবিরতির আলোচনায় অগ্রসর হতে ইসরায়েলকে বাধ্য করতে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় হামাস। এ সময় বর্তমানে আলোচনার স্থবিরতার জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করে হামাস।গত ১ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এ ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান মতানৈক্য দূর করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ছয় সপ্তাহের জন্য প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন উইটকফ।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, সুপেয় পানির সংকটে পড়তে যাচ্ছেন গাজাবাসী
এরপর শনিবার (১ মার্চ) রাতে মুসলমানদের পবিত্র রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার (বসন্ত) উৎসব উপলক্ষে আগামী ছয় সপ্তাহের জন্য ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সাময়িকভাবে বাড়ানোর বিষয়টি অনুমোদন করে ইসরায়েল সরকার।
তবে এই প্রস্তাব মানতে অস্বীকৃতি জানায় হামাস। হামাদের মুখপাত্র জানায়, তারা চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।
বর্তমানে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যত নিয়ে কায়রোতে আলোচনা করছে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধি দল। গাজায় পুনরায় হামলা বন্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা করতে এগিয়ে এসেছিলেন হামাস প্রধান খলিল আল হায়া।এরপর শুক্রবার ( ১৪ মার্চ) স্থায়ী যুদ্ধবিরতির শর্তে ইসরাইলের বংশোদ্ভূত এক মার্কিন সেনা এদান আলেকজান্ডারকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেয় হামাস।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
২৮৮ দিন আগে
উত্তর মেসিডোনিয়ায় নাইটক্লাবে আগুন, নিহত ৫১
উত্তর মেসিডোনিয়ার একটি নাইটক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়াও শতাধিক আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৬ মার্চ) বলকান অঞ্চলটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে স্থানীয় একটি বার্তা সংস্থা এমন তথ্য দিয়েছেন। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ওই নাইটক্লাবটিতে একটি কনসার্টে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এতে এডিএন নামের একটি ব্যান্ড দল গান পরিবেশন করছিলেন।
রাজধানী স্কপিয়ে থেকে ৬০ কিলোমিটার পূর্বের শহর কোকানিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। শহরটিতে ৩০ হাজারের মতো মানুষ বাস করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে গায়ে আগুন লাগিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
শনিবার (১৫ মার্চ) মধ্যরাতে কনসার্ট শুরু হয়েছিল। এতে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ভবনটিকে আগুন গ্রাস করে নিয়েছে। রাতের আকাশে কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া উড়ছে।
আতশবাজির যন্ত্র থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৮৮ দিন আগে
হুতিদের ওপর মার্কিন হামলা শুরু, নিহত ৩১
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে হুতিদের উপর মার্কিন হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার ( ১৬ মার্চ) হুতি-সমর্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।—খবর ডনের।
খবরে বলা হয়, দেশটির রাজধানী সানায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে শনিবার (১৫ মার্চ) থেকে হুতিদের ওপর জোরালো হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী।
লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরের কৌশলগত অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলার কড়া জবাবে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: খলিল মাহমুদকে আটক: ট্রাম্প টাওয়ারে ইহুদিদের বিক্ষোভ
ইরান-সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি সমুদ্রপথে হামলা বন্ধ না করলে ‘ভয়াবহ প্রাণঘাতী অস্ত্র’ চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বীর যোদ্ধারা সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। সমুদ্রপথে শত্রুদের মোকাবিলায় এই হামলা চালাচ্ছে তারা।’
সমুদ্রপথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হুতিদের ওপর হামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময়ে ইরানকেও সতর্ক করেন ট্রাম্প। হুতিদের কোনোভাবে সহায়তা করলে হুতিদের হামলার জন্য ইরানকে সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সানা ও সাদা প্রদেশের হুতিদের ঘাঁটিগুলোতে মুহুর্মুহু মার্কিনি হামলার খবর নিশ্চিত করেছে গোষ্ঠীটির সদস্যরা। রবিবার সকালেও অঞ্চলগুলোতে বিমান হামলা চালোনো হয়েছে জানান তারা।
এই হামলা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি অ্যাক্টিভিস্ট আটক: যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন
এদিকে হুতি মিডিয়া অফিসের উপপ্রধান নাসিরউদ্দিন আমির বলেছেন, এই হামলা তাদের কোনোভাবেই নিরস্ত্র করতে পারবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রেকে তারা পাল্টা জবাব দেবেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, সানা বরাবরের মতোই গাজার ঢাল হয়ে থাকবে। কোনো পরিস্থিতিতেই গাজাকে উপেক্ষা করা হবে না বলে জানান তিনি।
হুতিদের আরেক মুখপাত্র মোহাম্মদ আব্দুলসালাম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, হুতিরা সমুদ্রপথে আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে ট্রাম্পের দাবি ‘মিথ্যা ও ভ্রান্ত’।
সম্প্রতি ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়াতে গাজায় মানবিক সহায়তা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল। এর জবাবে পুনরায় জাহাজে হামলা শুরু করার ঘোষণা দেয় হুতিরা। তবে ঘোষণা দিলেও হুতিদের হামলার কোনো খবর পাওয়া না গেলেও হুতিদের ঘাঁটিতে হামলা শুরু করে মার্কিন বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর জবাবে পরদিন থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল।
ওই বছরের শেষ দিক থেকে লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে ইরান সমর্থিত হুতিরা। গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এসব হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তারা।
ইয়েমেনে মার্কিনি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের চরম অবমাননা’ বলে অভিহিত করেছে হামাস। এছাড়াও ইয়েমেনের ‘সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতার’ ওপর এই হামলাকে হুমকি বলে ঘোষণা দিয়েছে তারা।
২৮৮ দিন আগে
গণমাধ্যমকর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপ ট্রাম্পের
ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ), রেডিও ফ্রি এশিয়া, রেডিও ফ্রি ইউরোপ এবং অন্যান্য গণমাধ্যমের আউটলেটের শত শত কর্মীকে ছাটাই করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি ইমেল করা হয়েছে এসব কর্মীদের। একই সঙ্গে তাদের প্রেস পাস এবং সরঞ্জাম জমা দিতে বলা হয়েছে। শনিবার(১৫ মার্চ) স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার(১৪ মার্চ) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়াকে (ইউএসএজিএম) 'অপ্রয়োজনীয়' ফেডারেল আমলাতন্ত্রের অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকার মূল সংস্থা ইউএসএজিএম। সংস্থাটিতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মী রয়েছে। কংগ্রেসে পেশ করা সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংস্থাটির জন্য ২০২৪ সালে ৮৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ ছিল।
স্থানীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রেডিও ফ্রি ইউরোপ ও রেডিও ফ্রি এশিয়াসহ বেসরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রচারকদের সব চুক্তি বাতিল করেছে সংস্থাটি।
ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিৎজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, তার ১৩০০ সাংবাদিক, প্রযোজক ও সহকারীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, এই কাটছাঁট নিশ্চিত করবে যে ‘করদাতারা আর উগ্রবাদী প্রচারণার শিকার হবেন না।’
প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই সিদ্ধান্তটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ কংগ্রেস, প্রেসিডেন্টর হাতে নয়, কংগ্রেসের হাতে সাংবিধানিক ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঝড়ে ৩২ জনের মৃত্যু
২৮৮ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ ঝড়ে ৩২ জনের মৃত্যু
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে স্কুলগুলো এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যে সেমিট্রাক্টর-ট্রেইলার উল্টে গেছে।
দেশটির কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় শনিবার গভীর রাতে আরও তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা করছে বলে বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেস(এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
শুক্রবার(১৪ মার্চ) শেরম্যান কাউন্টিতে ধূলোঝড়ের কারণে ৫০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াসহ ৮ জনের মৃত্যুর পর হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যায় বলে জানিয়েছে কানসাস হাইওয়ে পেট্রোল।
মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস জানিয়েছেন, তিনটি কাউন্টিতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ রাত্রিকালীন একটি পোস্টে তিনি আরও জানান, গোটা রাজ্যে ২৯ জন আহত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মিসৌরি অন্য যেকোনো রাজ্যের চেয়ে বেশি প্রাণহানির নথিভুক্ত করেছে। কারণ, এটি রাতভর থেমে থেমে বয়ে যাওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়। এতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে এক ব্যক্তিও রয়েছেন যার বাড়ি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
ডাকোটা হেন্ডারসন জানান, শুক্রবার রাতে তিনি ও অন্যরা বাড়িতে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মিসৌরির ওয়েইন কাউন্টিতে তার খালার বাড়ির বাইরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পাঁচটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছেন।
গত রাতটি খুবই কঠিন ছিল উল্লেখ করে শনিবার তিনি বলেন, ‘গত রাতে লোকজনের সঙ্গে যা ঘটেছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক।’ তিনি বলেন, গাছপালা উপড়ে ঘরবাড়ির উপর পড়েছিল।
হেন্ডারসন বলেন, তারা তার খালাকে একটি শয়নকক্ষ থেকে উদ্ধার করেছিল। ঝড়ের পর তার বাড়িতে একমাত্র অবশিষ্ট ঘর ছিল এটি। তাকে জানালা দিয়ে বাইরে নেওয়া হয়। তারা আরও একজন লোককে উদ্ধার করেছেন—যার হাত-পা ভেঙে গেছে।
আরকানসাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে ইন্ডিপেন্ডেন্স কাউন্টিতে ৩ জন নিহত ও আটটি কাউন্টিতে ২৯ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝড়ের কারণে মার্সিসাইড ডার্বি স্থগিত
আরকানসাসের গভর্নর সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স এক্সে বলেন, 'গত রাতের ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে আমাদের দল কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য উদ্ধারকর্মীরা মাঠে রয়েছে।’
তিনি এবং জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প নিজ নিজ রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। কেম্প বলেন, শনিবারের শেষের দিকে খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাসের কারণে তিনি এই ঘোষণা দিচ্ছেন।
এদিকে গত শুক্রবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টেক্সাস প্যানহ্যান্ডেলের আমারিলোতে ধুলোঝড়ের সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
২৮৮ দিন আগে
এসিড বর্জ্যে জাম্বিয়ার বৃহত্তম নদীটি এখন প্রাণহীন
চীনা-মালিকানাধীন খনি থেকে এসিড ছড়িয়ে পড়ে দূষিত হয়েছে জাম্বিয়ার সবচেয়ে বড় নদীটি। এতে লাখ লাখ মানুষের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশবিদরা।
নদীর ভাটিতে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূষণ শনাক্ত করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশটির উত্তরাঞ্চলের তামার খনি থেকে এসিডিক বর্জ্যের একটি টেইলিং ড্যাম (বাঁধ) ভেঙে গেলে এই দূষণ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটে। খনিজ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বর্জ্য রাখার জন্য এই টেইলিং ড্যাম ব্যবহার করা হয়।
দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, ঘনীভূত এসিড, দ্রবীভূত কঠিন বস্তু ও ভারী ধাতবের অন্তত পাঁচ কোটি লিটার বর্জ্য কাফু নদীর স্রোতে মিশে গেছে। জাম্বিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথ এই নদীটি।
দেশটির কপারবেল্ট প্রদেশের পরিবেশকর্মী চিলিকওয়া মুম্বা বলেন, ‘এটি একটি পরিবেশগত দুর্যোগ যা ভয়াবহ বিপর্যয় নিয়ে আসবে।’
দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে তামার খনি উত্তোলনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে চীন। বিশ্বের শীর্ষ ১০ তামা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে জাম্বিয়া একটি। স্মার্টফোন উৎপাদনের ক্ষেত্রে তামা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
বিশেষজ্ঞদের সহায়তার আহ্বান জানিয়ে জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হাকাইন্দি হিচিলেমা বলেন, ‘এটি এমন একটি সংকট, যা কাফু নদীর আশপাশের লাখ লাখ মানুষ ও বন্যপ্রাণীর জন্য হুমকি তৈরি করছে।’
দেশটির ভেতর দিয়ে দেড় হাজার কিলোমিটারজুড়ে প্রবাহিত এই নদী। বর্তমানে পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতির পরিধি নির্ণয়ে তদন্ত করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
২৮৯ দিন আগে
৪৩ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ৪৩টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথা ভাবছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্টের আগের মেয়াদের চেয়ে নতুন এই নিষেধাজ্ঞার পরিধি বড় হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস এমন খবর দিয়েছে।
কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এরইমধ্যে ‘লাল’, ‘কমলা’ ও ‘হলুদ’—এই তিন ক্যাটাগরিতে খসড়া তালিকা তৈরি করেছে। এতে তিনটি ধাপে ৪৩টি দেশের নাম রয়েছে।
তালিকায় প্রথম ধাপের ১১টি দেশ হলো—আফগানিস্তান, ভুটান, কিউবা, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও ইয়েমেন। এসব দেশের নাগরিকদের পূর্ণাঙ্গ ভিসা বাতিল হতে পারে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মুখে অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণে অনুমতি দিল কলোম্বিয়া
দ্বিতীয় ধাপের দেশগুলোর—বেলারুশ, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার, পাকিস্তান, রাশিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ সুদান ও তুর্কমেনিস্তান—ওপর আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া এসব দেশের পর্যটন ভিসা, শিক্ষার্থী ভিসা, অভিবাসন ভিসায় প্রভাব পড়তে পারে।
অর্থাৎ বিধিনিষেধ আরোপ হলেও এসব দেশের ভিসা পুরোপুরি বাতিল করা হবে না। এই ১০ দেশের ধনী ব্যবসায়ীরা ভ্রমণ করতে পারলেও ভ্রমণ কিংবা অভিবাসন ভিসায় সাধারণ নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না।
শেষ গ্রুপে থাকা দেশগেুলোর সরকার নিরাপত্তা তথ্য সংক্রান্ত ঘাটতি মেটাতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নিলে এসব দেশের নাগরিকদের ভিসায় আংশিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন।
দেশগুলো হলো, অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগা ও বার্বুডা, বেলারুশ, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, কেপ ভার্দে, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, চাদ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র অব দ্য কঙ্গো, ডোমেনিকা, বিষুবীয় গিনি, গাম্বিয়া, লাইবেরিয়া, মালাউই, মৌরিতানিয়া, রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো, সেন্ট কিট্স ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি, সিয়েরা লিওন, পূর্ব তিমুর, তুর্কমেনিস্তান, লাইবেরিয়া, মালি, জিম্বাবুয়ে ও ভানুয়াতু।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই তালিকা তৈরি করেছেন। হোয়াইট হাউসে পৌঁছার আগে তালিকায় কিছুটা রদবদল হতে পারে এবং এখনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদন মেলেনি।’
এখন খসড়া তালিকা পর্যালোচনা করছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দূতাবাস, আঞ্চলিক ব্যুরো, বিভিন্ন বিভাগ ও গোয়েন্দা সংস্থার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদেও ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। তার ওই পদক্ষেপ অনেক আইনি লড়াই পেরিয়ে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদন পায়।
দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি শনাক্তে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ইচ্ছুক সব বিদেশির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাই জোরদারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন ট্রাম্প
ওই নির্দেশে ‘নিরাপত্তা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে না’ এমন দেশগুলো শনাক্তে করে সেগুলোর মধ্যে কোনগুলোর ওপর পূর্ণাঙ্গ, কোনগুলোর ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যায় তার তালিকা ২১ মার্চের মধ্যে জমা দিতে মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যকে বলাও হয়েছিল।
এ দফায় ক্ষমতায় আসার পর রিপাবলিকান ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী একের পর এক কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে দেওয়া এক বক্তৃতায় তিনি গাজা ভূখণ্ড, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি যে কারও’ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আটকে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন।
২৮৯ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম রসুলকে আর ‘স্বাগত জানানো হবে না’ বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। এমন এক সময় এই সিদ্ধান্ত এসেছে, যখন আফ্রিকান দেশগুলোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মার্কো রুবিও বলেন, ‘ইব্রাহিম রসুল একজন ‘জাতি-বিদ্বেষী’ রাজনীতিবিদ, যিনি আমেরিকা ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন। তার সঙ্গে আমাদের আলোচনার কিছু নেই, এখন থেকে তাকে পারসোনা নন গ্রাটা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’-খবর এপি ও নিউ ইয়র্ক টাইমসের
এরমধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার ভূমিকার ইতি ঘটেছে। গেল ১৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে নিজের পরিচয়পত্র দেন ইব্রাহিম রসুল। যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন তিনি।
এরআগে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত একই পদে দায়িত্ব পালন করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই রাজনীতিবিদ।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গেছে ট্রাম্প ও তার মিত্র ইলন মাস্ককে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকায়ই বেড়ে উঠেছেন ইলন মাস্ক। তাদের দাবি, দেশটিতে নতুন ভূমি আইনে শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের ঘটনা খুবই অস্বাভাবিক। কখনো-কখনো নিম্ন পদ-মর্যাদার কূটনীতিকদের ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করা হয়।আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসার অফিস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই বহিষ্কারের ঘটনা দুঃখজনক।’ এতে এ ঘটনায় প্রচলিত কূটনৈতিক রীতিনীতি অনুসরণ করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়তে দক্ষিণ আফ্রিকা অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
শৈশবে কেপ টাউনের একটি গ্রাম থেকে ইব্রাহিম রসুলের পরিবারকে উচ্ছেদ করে সেখানকার শ্বেতাঙ্গরা। পরবর্তীতে তিনি বর্ণবাদবিরোধী প্রচারে নামেন। দেশটির বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা তাকে ‘বন্ধু’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। ম্যান্ডেলার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ইব্রাহিম রসুল।
শুক্রবার জোহানেসবার্গের একটি ইনস্টিটিউটের ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে ইব্রাহিম রসুল বলেন, ‘ক্ষমতার বিরুদ্ধে, দক্ষিণ আফ্রিকায় যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার ওপর শ্রেষ্ঠত্ববাদী হামলা—আমরা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি হিসেবে দেখি, এমএজিএ আন্দোলন, দ্য মেইক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন আন্দোলন—কেবল শ্রেষ্ঠত্বাবাদী প্রবৃত্তি থেকেই আসছে না, সুস্পষ্ট উপাত্ত বলে দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জনমিতিক পরিবর্তনের কথা, যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ নির্বাচকমণ্ডলীর সংখ্যা ৪৮ শতাংশ হতে যাচ্ছে।’
সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও প্রিটোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। গেল ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। শ্বেতাঙ্গদের কাছ থেকে ভূমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষকদের যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানানো হচ্ছে।’
সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো কৃষক নিরাপত্তার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পালিয়ে আসতে চান, তাকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগত জানানো হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।’
২৮৯ দিন আগে
এক মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, ইসরায়েলের সন্দেহ
ইসরাইলের বংশোদ্ভুত এক মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এছাড়া আরও চার দ্বৈত নাগরিকের মৃতদেহ হস্তান্তর করতে মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সংগঠনাটি। তবে শুক্রবার (১৪ মার্চ) হামাসের এই ঘোষণাটিকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির পরবর্তী পর্যায়ে কাতারে চলমান আলোচনাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হিসেবে দেখছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে হামাসের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী হামাস এখনো নিশ্চিত করেনি সৈন্য এদান আলেকজান্ডারকে কখন মুক্তি দেবে এবং মৃতদেহ চারটি কখন হস্তান্তর করবে—আর জিম্মি মুক্তি ও লাশ হস্তান্তরের বিনিময়ে তারা কী আশা করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের সময় ১৯ বছর বয়সি সৈনিক আলেকজান্ডারকে দক্ষিণ ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে তার ঘাঁটি থেকে জিম্মি করা হয়। ওই অভিযানটির পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের শুরু হয়।
তবে কোন মধ্যস্থতাকারী কী প্রস্তাব করেছে এবং হামাস কী নিয়ে আলোচনা করছে—তা যেমন স্পষ্ট নয়। মিশর, কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার দিকনির্দেশনা দিচ্ছে এবং শুক্রবার রাত পর্যন্ত কেউই এই পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
আরও পড়ুন: ১ মার্কিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, ইসরায়েলের সন্দেহ
রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফসহ মার্কিন কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, তারা বুধবার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও কয়েক সপ্তাহ বাড়ানোর প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামাস প্রকাশ্যে নমনীয়তা দাবি করছে। তবে এটি ব্যক্তিগতভাবে ‘সম্পূর্ণ অবাস্তব’ দাবি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ইসরায়েল ‘উইটকফের রূপরেখা গ্রহণ করেছে এবং নমনীয়তা দেখিয়েছে’, কিন্তু হামাস তা করেনি।
জিম্মি পরিবারগুলোরে কাছে সরকারের পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘একই সময়ে, এটি কারসাজি এবং স্নায়ুযুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। আমেরিকান জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসের ইচ্ছার প্রতিবেদনগুলো আলোচনাকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
২৮৯ দিন আগে