বিশ্ব
যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাকের পেছন থেকে ১ লাখ ডিম চুরি
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যে একটি ট্রাকের পেছন থেকে ১ লাখ ডিম চুরি করে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চুরি হওয়া এই ডিমের বাজারমূল্য ৪০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৯ লাখ টাকা। দেশটির সম্প্রতি ডিমের দাম আকাশ ছোঁয়ার মাঝেই এমন ঘটনা ঘটল।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টার দিকে পিট অ্যান্ড গেরি’স অর্গানিকসে একটি ট্রাকের পেছন থেকে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পেনসিলভেনিয়া পুলিশের মুখপাত্র মেগান ফ্রেজার জানান, এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
পুলিশের ধারণা, দেশটিতে সম্প্রতি ডিমের দাম আকাশচুম্বী হয়ে যাওয়ার কারণেই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
ফ্রেজার বলেন, ‘আমি এর আগে কখনও এভাবে হাজার হাজার ডিম চুরিরি ঘটনা শুনিনি। এটি অবশ্যই একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই চুরির রহস্য সমাধানে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে সূত্র বের করতে চেষ্টা করছে পুলিশ। এছাড়া আশপাশের সিসি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার রহস্যভেদ করবে বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেছে পুলিশ।
সম্প্রতি বার্ড ফ্লু মহামারির কারণে দেশটিতে গত বছরের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ডিমের দাম। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, দেশটিতে চলতি বছর ডিমের দাম আরও ২০ শতাংশ বাড়তে পারে।
৩২৬ দিন আগে
সাময়িকভাবে গাজাবাসীদের সরাতে চান ট্রাম্প: রুবিও
ফিলিস্তানিদের অন্যত্র পুনর্বাসিত করার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দখল নেওয়ার বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদে কিংবা স্থায়ীভাবে নয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনের জন্য উপত্যকাটি থেকে সাময়িকভাবে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
গুয়েতেমালা সফরকালে স্থানীয় সময় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুবিও বলেন, প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) প্রস্তাবটি ‘শত্রুভাবাপন্ন’ নয়, বরং গাজাবাসীর প্রতি এটি একটি ‘উদার পদক্ষেপ’। উপত্যকার পুর্নগঠনে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ দেখাতে চেয়েছেন তিনি।
‘গাজাকে বসবাসযোগ্য করতে সেখান থেকে যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ সরানো প্রয়োজন। সে সময়ে গাজার বাসিন্দারা সেখানে থাকতে পারবেন না।’
এর আগে, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র পুনর্বাসিত করে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার দখল নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তার এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিষ্ঠানসহ আরব দেশগুলোর নেতারা।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিটও একই ধরনের কথা বলেছেন। তার ভাষ্যে, ট্রাম্পের বক্তব্যের উদ্দেশ্য গাজায় ‘সেনা মোতায়েন করে’ উপত্যকাটির দখল নেওয়া নয়। ওই অঞ্চলটি বর্তমানে মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় কাউকে সেখানে বসবাস করতে দেওয়াটাও অমানবিক।
আরো পড়ুন:গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা ও সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব ট্রাম্পের
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতা গ্রহণের পর গাজা থেকে বর্জ্য সরানোর নামে উপত্যকার বাসিন্দাদের অন্যত্র স্থানান্তর করে ‘ক্লিন গাজা’ মিশন পূরণ করতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ লক্ষ্যে তিনি ফিলিস্তানিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য মিসর ও জর্ডানকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবকে ‘অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে ওই দুই দেশ ছাড়াও অন্যান্য আরব দেশগুলো তা প্রত্যাখ্যান করে।
এরপর মঙ্গলবার শুধু গাজাবাসীদের সরানোই নয়, গাজার ওপর অধিকার নিতে চান বলেই ঘোষণা দেন ট্রাম্প। গাজাকে তিনি ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরিয়া’ বানাতে চান বলেও সে সময় জানান তিনি।
ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মিসর, জর্ডান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা এর তীব্র নিন্দা জানান।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) জানিয়েছে, দীর্ঘমেয়াদে কিংবা সাময়িক—কোনোভাবেই গাজাবাসীদের নিজ ভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য করার পক্ষপাতী নন তারা।
তবে নিন্দিত হলেও ট্রাম্পের প্রস্তাবে ‘দোষের কিছু’ দেখছেন না ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনার মধ্যে নিজের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
৩২৬ দিন আগে
শতাধিক অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে পৌঁছে দিল মার্কিন উড়োজাহাজ
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শতাধিক ভারতীয়কে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিবহন বিমান পাঞ্জাবে অবতরণ করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিনের শেষভাগে সামরিক উড়োজাহাজটি টেক্সাস থেকে রওনা দিয়েছে। বর্তমানে উড়োজাহাজটি অমৃতসরে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।-খবর বিবিসির
কাগজপত্রহীন বিদেশি নাগরিকদের স্ব স্ব দেশে ফেরত পাঠাতে পদক্ষেপ নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তার নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল এটি। মার্কিন প্রশাসন বলছে, তারা ১৮ হাজার ভারতীয় অভিবাসীকে শনাক্ত করতে পেরেছেন, যারা অবৈধভাবে দেশটিতে ঢুকেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে আশ্বস্ত করেছেন যে যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে যুক্তরাষ্ট্র বিতাড়িত করছে, তাদের বিষয়ে যেটা সঠিক, সেটিই তিনি করবেন।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গ্রহণ করতে একটি বিশেষ কাউন্টার খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাঞ্জাব কর্তৃপক্ষ। তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
অমৃতসরে ভারতীয় বিমান বাহিনী ভবনের কাছে পুলিশি ব্যারিকেডের বাইরে সাংবাদিকদের জড়ো হতে দেখা গেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, মার্কিন সামরিক উড়োজাহাজে ১০৪ ভারতীয় অভিবাসনপ্রত্যাশী আছেন। নিয়মিত যাত্রীদের থেকে আলাদাভাবে বিশেষ কাউন্টারের মাধ্যমে তাদের গ্রহণ করা হবে। এরপর বাসযোগে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ ও গুজরাটে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দেশে ফেরত পাঠাতে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে উড়োজাহাজে করে অভিবাসীদের ভারতে ফেরত পাঠানোর ঘটনা নতুন কিছু না। ২০২৪ রাজস্ব বছরে, যা সেপ্টেম্বরে শেষ হয়েছে, এক হাজারের বেশি ভারতীয়কে চার্টার ও বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রিন্স আগা খান চতুর্থ আর নেই
অক্টোবরে শতাধিক ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক সংস্থা আইসিই। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের কাছে ছিল না। তবে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বেশিরভাগই শিখপ্রধান পাঞ্জাব ও প্রতিবেশী হরিয়ানা রাজ্যের। এসব অঞ্চল থেকেই বিদেশে পাড়ি জমানোর ঘটনা বেশি ঘটছে। এছাড়া মোদির রাজ্য গুজরাট থেকেও বহু মানুষ দেশ ছেড়ে অন্যত্র যাচ্ছেন।
অক্টোবরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বার্নস্টেইন মুরেই বলেন, গেল কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের তাড়ানোর ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশের ঘটনাও আগের চেয়ে বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি হিসাব বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পাঁচ হাজার ৪৭৭ ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করেছে আইসিই। সবচেয়ে বেশি বিতাড়নের ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালে—দুই হাজার ৩০০ জন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে কত সংখ্যক অবৈধ ভারতীয় আছেন, সেই সংখ্যা সুস্পষ্টভাবে জানা সম্ভব হয়নি। পিউ রিসার্চ সেন্টার বলছে, ২০২২ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যাটা সাত লাখ ২৫ হাজার হবে। তার মানে মেক্সিকো ও এল সালভাদরের পরেই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন।
মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউট বলছে, এই সংখ্যাটা তিন লাখ ৭৫ হাজার হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীর দিকে থেকে ভারত পঞ্চম স্থানে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীদের মধ্যে তিন শতাংশেরই কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ২২ শতাংশের জন্ম বিদেশে। আইসিইর নথি বলছে, নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না, এমন ১৪ লাখ ৪০ হাজার মানুষের তালিকা আটক হয়নি এমন ব্যক্তিদের ডকেটে দেখা গেছে। তাদের বিতাড়িত করার চূড়ান্ত আদেশ রয়েছে। তালিকায় ১৭ হাজার ৯৪০ ভারতীয় রয়েছেন।
৩২৭ দিন আগে
প্রিন্স আগা খান চতুর্থ আর নেই
বিশ্বখ্যাত দানশীল ও শিয়া ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ইমাম প্রিন্স করিম আল হুসেইনি (আগা খান চতুর্থ ) ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ ইউরোপীয় দেশ পর্তুগালের লিসবনে তার জীবনাবসন হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
তার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা আগা খান ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (একেডিএন) এক বিবৃতিতে এমন খবর নিশ্চিত করেছে।
প্রিন্স করিম আগা খান ছিলেন শিয়া ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ৪৯তম পুরুষানুক্রমিক ইমাম। ১৯৩৬ সালে সুইজারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি ছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক। দানশীলতার জন্য তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বজুড়ে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বহু হাসপাতাল, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি।
বিশ্বের ৩৫টি দেশে অবস্থানরত প্রায় দেড় কোটি ইসমাইলি সম্প্রদায়ের ইমাম ছিলেন তিনি। ১৯৫৭ সালে মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তার দাদার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন আগা খান।
আরো পড়ুন:পর্তুগালে জাতিসংঘ সভ্যতা জোটের দশম গ্লোবাল ফোরামে যোগ দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা নিয়ে লেখাপড়া করেন তিনি। একই বছর ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে বংশগত নয় এমন ‘হিজ হাইনেস’ খেতাব দিয়েছেন।
ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং তার প্রয়াত মা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আগা খান। বিবিসির খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বন্ধুর এই মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত রাজা চার্লস। তিনি ব্যক্তিগতভাবে আগা খানের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত ছিলেন প্রিন্স আগা খান। বাহামাসে একটি ব্যক্তিগত দ্বীপ, একটি সুপার-ইয়ট এবং ব্যক্তিগত বিমান ছিল তার। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তার সম্পদ আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল ব্যবসা, বিশেষ করে ঘোড়া পালন ও রেসিং শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে।
কেন একটি প্রজন্মকে বাদ দিয়ে তাকে ইমাম করা হয়েছিল, সেই ব্যাখ্যা দিয়ে তার দাদা সুলতান মোহাম্মদ শাহ অছিয়তনামায় লিখেছেন, ওইসময়ে বিশ্বে একটা মৌলিক পরিবর্তন এসেছিল। বিশেষ করে পরমাণু বিজ্ঞানের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছিল। যে কারণে তখন একজন তরুণ নেতার প্রয়োজন ছিল, যিনি নতুন একটি যুগে বেড়ে উঠেছেন এবং নিজেকে বিকশিত করেছেন। তিনি তার অফিসে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে পারবেন।
আরো পড়ুন:পর্তুগালে দাবানলে নিহত ৭
৩২৭ দিন আগে
গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা ও সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব ট্রাম্পের
গাজা যুদ্ধে উদ্বাস্তু হওয়া ফিলিস্তিনিদের উপত্যকাটির বাইরে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চলটি নতুন করে নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি মালিকানা নেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এমনকি ভূখণ্ডটিতে সেনা মোতায়েনের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। এ সময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়েও দুই নেতার কথা হয়েছে।-খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
ট্রাম্পের এই প্রগলভ প্রস্তাবে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি দীর্ঘায়িত করার আলোচনার পরবর্তী ধাপে আরও ক্ষোভ তৈরি হতে পারে। দুইপক্ষের হাতে বন্দিদের মুক্তির বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।
গাজায় মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন নিয়ে যখন কথা হচ্ছে, তখন এসব উসকানিমূলক কথাবার্তাও বাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। গেল ১৫ মাসের যুদ্ধে পুরো গাজা অঞ্চল মাটিতে মিশে গেছে। সেখানে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে বলে খবরে উঠে এসেছে।
এখন গাজার ১৮ লাখ মানুষকে উপত্যকাটির বাইরে নিয়ে পুনর্বাসনের কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট। অথচ এ অঞ্চলটি তাদের মাতৃভূমি, এখানেই তাদের জন্ম ও বেড়ে উঠেছেন। অঞ্চলটিকে ট্রাম্প এখন যুক্তরাষ্ট্রের বলে দাবি করছেন, সম্ভবত সেনা মোতায়েনের কথাও ভাবছেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি না, লোকদের ফিরে যাওয়া উচিত। তারা তো এখন গাজায় বসবাস করতে পারবেন না। আমি মনে করি, তাদের জন্য আরেকটি জায়গা দরকার। এটি এমন একটি জায়গা হওয়া উচিত, যা লোকজনকে সুখি করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সইতে হবে: ট্রাম্প
‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত গাজার মালিকানা নিয়ে নেওয়া। এরপর ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করে উপত্যকাটি পুনর্নির্মাণ করতে হবে, যাতে সেটি‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেয়ারায়’ রূপান্তর হয়ে যায়, যেখানে ‘পৃথিবীর মানুষ’—ফিলিস্তিনিসহ—বসবাস করবেন,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ইতালীয় শব্দ রিভেয়ারা বলতে উপকূলীয় অঞ্চল বোঝায়।
তিনি বলেন, ‘আমি আশ্বস্ত করতে পারি, এটা বিশ্বমানের হবে। লোকজনের জন্য এটা খুবই চমৎকার হবে—ফিলিস্তিনিদের, আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনিদের নিয়েই আলোচনা করছি।’
ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়ে মিসর, জর্ডান ও অন্য মার্কিন মিত্ররা বলছেন, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও পুনর্বাসন করলে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা হুমকিতে পড়বে, সংঘাত দীর্ঘায়িত হয়ে যাবে। পাশাপাশি কয়েক দশক ধরে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের যে কথা যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা বলে আসছে, সেটিও দুর্বল হয়ে যাবে।
কিন্তু এই ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য কোথাও যাওয়ার বিকল্প নেই বলে দাবি করছেন ট্রাম্প। আর তার শীর্ষ সহযোগী বলছেন, পুরো অঞ্চলটি পুনর্নির্মাণে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।
গেল সপ্তাহে গাজাবাসীকে অন্য কোথাও পুনর্বাসনে ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, মিসর-জর্ডান ও অন্য কয়েকটি দেশ এ বিষয়ে তার সঙ্গে একমত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, কয়েক দশক ধরে দেখছেন যে গাজায় সবাই মারা যাচ্ছেন। বছরের পর বছর ধরে এমনটা ঘটছে। এখানের সবাই মৃত। লোকজনকে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করে আমরা একটি সুন্দর এলাকা পেতে পারি, সুন্দর বাড়িঘর, যেখানে তারা সুখে থাকতে পারবেন। কোনো গোলাগুলি হবে না, কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে না, কেউ ছুরিকাঘাতে মরবে না, যেটা গাজায় এখন ঘটছে।
গাজা পুনর্গঠনে সেনা মোতায়েনের কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তিনি। অঞ্চলটি নতুন করে গড়ে তুলতে দীর্ঘমেয়াদি মার্কিন মালিকানার স্বপ্ন দেখছেন ট্রাম্প। নিরাপত্তা ঘাটতি পূরণে আমেরিকান সেনা মোতায়েনের সম্ভাব্যতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেটা করা দরকার, সেটিই আমরা করবো।’
এমন এক সময় গাজা নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, যখন ভূখণ্ডটিতে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
৩২৭ দিন আগে
উগান্ডায় ইবোলা টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু
উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাস শনাক্তের পরে রোগীদের পরীক্ষামূলক টিকা দিতে শুরু করেছে দেশটি। উগান্ডায় ভাইরাসটির সুদান প্রজাতির বিস্তারে ১ জনের মৃত্যু ও দুইজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
প্রথম পর্যায়ে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মী ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী কাম্পালাতে একজন নার্সের মৃত্যু ও পরিবারের আরও দুজন সদস্য আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করা হয়।
ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের উৎস জানতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, ইবোলা সংক্রমিত ব্যক্তির শরীরের যেকোনো তরল কিংবা মলমূত্রের সংস্পর্শে অন্যরা সংক্রমিত হতে পারেন। ভাইরাসটির উপসর্গ হিসেবে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে দেখা দিতে পারে জ্বর। হতে পারে বমি, ডায়রিয়া, শরীর ব্যথা। এছাড়াও কিছুক্ষেত্রে শরীরের অভ্যন্তরে ও বাইরে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
কাম্পালার বিশাল ও ভ্রাম্যমাণ ৪০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে সংক্রমণ মোকাবিলা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
উগান্ডার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, ভাইরাসে প্রাণ হারানো সেই নার্স একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি আক্রান্ত হওয়ার আগে দেশের পূর্বঞ্চলের এমবেলাতে গিয়েছিলেন। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আগে তিনি কবিরাজের চিকিৎসাও নিয়েছিলেন।
তিনি আনুমানিক ২৩৫ জন মানুষের সংস্পর্শে এসেছেন বলে ধারণা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। উগান্ডা একটি ঘনবসতিপূর্ন দেশ হওয়ায় ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আন্তজার্তিক এইডস ভ্যাকসিন ইনিশিয়েটিভের দেওয়া ২০০০ টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতি ইবোলা ভাইরাসের প্রতিরোধমূলক টিকা পরীক্ষাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার গুরুত্বকেও তুলে ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন:দেশে প্রথমবারের মতো ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ট্রাম্প প্রশাসন সরে আসার পর এবং বিদেশি সহায়তা বন্ধের পর ইবোলায় এটিই প্রথম আক্রান্তের ঘটনা। উগান্ডায় ইতোপূর্বে ইবোলার বেশ কয়েকটি ধরণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০০০ সালে দেশটিতে ইবোলায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণে সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ভাইরাসটি একটি ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বর হিসেবে মানব শরীরে দেখা দেয়।
২০১৮ থেকে ২০২০ সালে পূর্ব কঙ্গোর জায়ার প্রজাতির ভাইরাসটি প্রতিরোধে কার্যকর হয়েছিল আরভিএসএফ-জেইবিওভি ভ্যাকসিন। এর মাধ্যমে দেশটির প্রায় ৩ হাজার ব্যক্তির প্রাণ রক্ষা পেয়েছিল। উগান্ডায় ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়ার মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকায় ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের প্রাদুর্ভাবের ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি করেছে। গত মাসে তানজানিয়ায় মারবার্গ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করে। এর আগে দেশে মারবার্গ প্রাদুর্ভাব শেষ হওয়ার ঘোষণা দেয় রুয়ান্ডা।
ছড়িয়ে পড়া ইবোলা ভাইরাসটি ঠিক কিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তা নিশ্চিত করতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন সংক্রমিত কোনো পশুর কাঁচা মাংস খাওয়ার কারণে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন প্রথম সংক্রমিত ব্যক্তি।
ইবোলা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। দক্ষিণ সুদান ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের ইবোলা নদীর তীরে ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল ভাইরাসটি। ইবোলা নদীর নামানুসারে ভাইরাসটির নামকরণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:কোভিড ল্যাবসৃষ্ট ভাইরাস: আস্থা কম সিআইএ’র সিদ্ধান্তে
৩২৮ দিন আগে
মার্কিন পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ চীনের, গুগলের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা
চীনা পণ্যতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্কারোপ করার পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করেছে চীন। একই সঙ্গে গুগলসহ অন্যান্য বাণিজ্য ব্যবস্থার বিষয়ে তদন্তেরও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
মঙ্গলবার চীন এই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বলে বার্তা সংস্থা অ্যাসেসিয়েটেড প্রেস(এপি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
চীন বলেছে, তারা কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও বড় ইঞ্জিনের গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করবে। আগামী সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে এই শুল্কহার কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সইতে হবে: ট্রাম্প
দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মকে মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করেছে। ‘এটি কেবল নিজের সমস্যা সমাধানে অসহযোগিতাই নয়, বরং চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।’
মঙ্গলবার চীনের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর মার্কেট রেগুলেশন বলেছে, ‘অ্যান্টিট্রাস্ট ল’ লঙ্ঘনের সন্দেহে তারা গুগলের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে। ঘোষণায় শুল্কের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে চীনের উপর ট্রাম্পের ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরেই এই ঘোষণাটি এসেছে।
কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের উপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক মঙ্গলবার কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সীমান্ত সুরক্ষা এবং মাদক পাচার সম্পর্কে ট্রাম্পের উদ্বেগ নিরসনে দেশ দুটি কাজ করবে— এমন আশ্বাসে ট্রাম্প মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যের ওপর শুল্কারোপের তার সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করতে সম্মত হয়েছেন। এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের।
চীন শুল্কারোপ ছাড়াও আধুনিক উচ্চ প্রযুক্তির পণ্য উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উপাদানের উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টাংস্টেন, টেলুরিয়াম, বিসমাথ, মলিবডেনাম এবং ইন্ডিয়াম। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিতর্কিত খনিজ হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। এর অর্থ হলো— উপাদানগুলো মার্কিন অর্থনৈতিক বা জাতীয় সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়, যেগুলোর নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটি।
ডিসেম্বরে চীন উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যালিয়ামের মতো মূল উপাদানগুলোতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়াও অন্যান্য পণ্যে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুটি আমেরিকান সংস্থাকে একটি অনির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো— কেলভিন ক্লেইন এবং টমি হিলফিগারের মালিকানার পিভিএইচ গ্রুপ এবং চীনে অফিসসহ একটি জৈবপ্রযুক্তি সংস্থা ইলুমিনা। চীনের এই তালিকাভুক্তির ফলে তারা দেশটিতে আমদানি বা রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা এবং নতুন বিনিয়োগ করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
৩২৮ দিন আগে
আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সইতে হবে: ট্রাম্প
মেক্সিকো-কানাডা ও চীনের ওপর শুল্কারোপের পর আসন্ন বাণিজ্য যুদ্ধে আমেরিকানদেরও ‘কিছু যন্ত্রণা’ সহ্য করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, তারা যদি খেলতে চান, আমার কোনো আপত্তি নেই।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফ্লোরিডায় তার রিসোর্ট থেকে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এরআগে উত্তর আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে ২৫ শতাংশ ও চীনের বিরুদ্ধে ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। এ ঘটনায় ক্ষোভ, দুঃখ ও অনিশ্চয়তার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এতে মেক্সিকো ও কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের অংশীদারত্বে ফাটল ধরার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চীনের সঙ্গেও সম্পর্কে নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছাড়া কানাডা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন—এমনকি যুক্তরাজ্যকেও আমদানি কর দিতে হবে।’
এ সময়ে কানাডার কাছ থেকে পাল্টা পদক্ষেপের প্রশ্ন এলে তিনি তাতে পাত্তা না দিয়ে বলেন, ‘যদি তারা খেলতে চান, আমি কিছু মনে করবো না। তারা যে খেলা খেলতে চান, আমরাও সেটা পারি।’
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লোদিয়া সেইনবামের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু শুল্কারোপ নিয়ে নিজের অঙ্গীকার পূরণ করতে গিয়ে দ্রুত মূল্যস্ফীতি কমানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা আর রাখতে পারছেন না তিনি।
সামাজিকমাধ্যম পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এতে কী কিছু যন্ত্রণা সইতে হবে? হ্যাঁ, সম্ভবত (এবং সম্ভবত না!)। কিন্তু আমেরিকাকে আবার আমরা মহান করে তুলবো। এবং এটি যথার্থ মূল্য পাবে, যা তাকে দিতে হবে।’
সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতির ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সম্ভবত অল্পসময়ের জন্য আমাদের একটু ব্যথা হবে, কিন্তু জনগণ বিষয়টি বুঝতে পারছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে বিশ্বের প্রতিটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে কার্যত ঠকিয়েছে।’
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
৩২৯ দিন আগে
ভূমধ্যসাগরে নৌদুর্ঘটনা: ২৩ বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ দাফন
লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌদুর্ঘটনার শিকার ২৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ দাফন করা হয়েছে। তাদের অবয়ব দেখে বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হয়েছে। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় এমন তথ্য দিয়েছেন লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার।
তিনি বলেন, ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে একটি নৌকা ৫৬ জন যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়। খুব সম্ভবত এদিন রাতেই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উপকূলে মরদেহ ভেসে আসতে থাকে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ২৮ জানুয়ারি সাতজন, ২৯ জানুয়ারি ১১ জন, ৩০ জানুয়ারি ৩ জন ও ৩১ জানুয়ারি ২ জন—মোট ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো আজদাদিয়া এলাকায় সমাহিত করা হয়েছে।
‘লাশগুলো পচে গিয়েছিল। এগুলো রাখার কোনো উপায় ছিল না। লাশ উদ্ধার ও দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লোকজন। তারা জানিয়েছেন, অববয়ব দেখে তাদের মনে হয়েছে, লাশগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের। লাশগুলোর সঙ্গে কোনো ডকুমেন্ট ছিল না,’ বলেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এছাড়াও মুমুর্ষু অবস্থায় আরও দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে সম্ভবত সেনাবাহিনী বা পুলিশের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ পাইনি। বাকি যারা এখনো নিখোঁজ, তাদেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
৩২৯ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অবস্থান মজবুত করতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু
হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয়, ইরানকে মোকাবিলা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের উদ্দেশে তেল-আবিব ছেড়েছেন নেতানিয়াহু।
নিউ ইয়র্ক সময় মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তার। এর মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথম কোনো বিদেশি নেতার সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
এদিকে গাজা যুদ্ধ বন্ধে ও হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির বিষয়ে পরবর্তী ধাপের চুক্তি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী আরব দেশগুলো।
যুদ্ধবিরতির পরপরই গাজা উপত্যকায় নিজেদের আধিপত্য ও নিয়ন্ত্রণ পুনর্বহাল করেছে হামাস। যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ ও উপত্যকাটি থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার করা না হলে দ্বিতীয় ধাপে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতাকামী সংগঠন।
অপরদিকে, গাজায় ফের যুদ্ধ শুরু করতে সরকারে থাকা উগ্রপন্থিদের চাপে মুখে পড়েছেন নেতানিয়াহু।
গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হয়। তবে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয় ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল অঙ্গীকারাবদ্ধ বলেও মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালিয়ে বহু ইসরায়েলিকে জিম্মি করে হামাস। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের পাঁড় সমর্থক হিসেবে বিবেচনা করা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখার দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: দেশগুলো ট্রাম্পের শুল্কারোপের পাল্টা জবাব দেবে কীভাবে?
১৫ মাসের যুদ্ধ শেষে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৭ ইসরায়েলি জিম্মি ও শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছেন।
এর মধ্যে আজ (রবিবার) আবার মধ্য গাজায় একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। আল-আওদা হাসপাতাল এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, গাড়িটি একটি তল্লাশি চৌকি অতিক্রমের চেষ্টা করা হলে ওই হামলা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে হামাসের বিরুদ্ধে বিজয়, জিম্মিদের মুক্তি ও ইরানি সন্ত্রাসী অক্ষ মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘একসঙ্গে কাজ করে দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার, শান্তির পরিসর আরও বিস্তৃত ও শক্তির মাধ্যমে শান্তির এক অসাধারণ যুগে আমরা প্রবেশ করতে পারি।’
৩২৯ দিন আগে