বিশ্ব
মার্কিন অভিবাসী ফ্লাইট অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান, নিষেধাজ্ঞার মুখে কলোম্বিয়া
অভিবাসীবাহী মার্কিন উড়োজাহাজ অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করায় কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসে ফিরে যাওয়ার পর বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেন যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন প্রেসিডেন্ট। দেশটিতে প্রবেশে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিরস্ত করতে চাচ্ছে তার প্রশাসন। পাশাপাশি লাখ লাখ কাগজপত্রহীন অভিবাসীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, জো বাইডেন প্রশাসন আমলে লাখ লাখ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন। কাজেই তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এরআগে অভিবাসীবাহী মার্কিন সামরিক বিমান অবতরণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দুই দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আর দক্ষিণ আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার কলোম্বিয়া। দেশটির পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। জবাবে কলোম্বিয়ার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো এক এক্স পোস্টে বলেন, মার্কিন আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করতে বাণিজ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি।
বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শাস্তিমূলক পদক্ষেপে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি আরও বেশি পেশিশক্তি প্রয়োগের দিকে যাচ্ছে; এছাড়াও ট্রাম্পের ইচ্ছার কাছে নত হতে দেশগুলোকে বাধ্য করার অভিপ্রায়ই ফুটে উঠেছে।
নিজের সামাজিকমাধ্যম ট্রুথে ট্রাম্প লিখেছেন, ফ্লাইট অবতরণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে মার্কিন নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছেন গুস্তাভো পেট্রো।
কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, দেশটির যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে, সেগুলোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির কর্মকর্তাদের ভিসা বাতিল ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি জরুরি রাজস্ব, ব্যাংকিং ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে পারে কলোম্বিয়া।
ট্রাম্প বলেন, সীমান্তে কলোম্বিয়ার নাগরিক ও কার্গোতে তল্লাশি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হবে। এটা কেবল শুরু।
৩৩৬ দিন আগে
ইসরাইলি অবরোধ, বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না ফিলিস্তিনিরা
যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা উত্তর গাজায় নিজেদের বসতবাড়িতে ফিরতে চাইলেও ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবরোধ করে রাখায় সড়কেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। এদিকে জর্ডান ও মিসরসহ অন্য আরব দেশগুলো আরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে গ্রহণ করবে, সেটিই দেখতে চাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তা সন্দেহের চোখে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা।
বসতবাড়িতে ফিরতে না পেরে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রাস্তায় রাত যাপন করেছেন। হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ তুলে অবরুদ্ধ সড়ক খুলে দিতে অস্বীকার করছে ইসরাইল।-খবর এপি ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের।
এই অচলাবস্থার কারণে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে একটা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মধ্য গাজায় উত্তর দিকের সড়ক বরাবর সারি সারি ফিলিস্তিনি অপেক্ষার প্রহর গুণছেন—কখন বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন। তাদের মধ্যে কেউ গাড়িতে বসে, কেউ আছেন দাঁড়িয়ে।
তামের আল-বুরাই নামের এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, গাজায় ফিরে যেতে এক বিশাল জনসমুদ্র অপেক্ষা করছেন। তাদের আর তর সইছে না।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
কিন্তু ইসরাইলি বাহিনী সড়ক অবরোধ তুলে নিচ্ছে না। সবাই বিরক্ত ও হতাশ।
গাজা যুদ্ধে বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন তামের। তিনি বলেন, ‘এখানের অনেকেই জানেন না তারা যে বসতবাড়ি রেখে এসেছেন, তা কী আগের মতো আদৌ দাঁড়িয়ে আছে, নাকি ইসরাইলের বোমায় মাটিতে মিশে গেছে। কিন্তু এসব সত্ত্বেও তারা ফিরতে চাচ্ছেন।’
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সালাউদ্দিন সড়কে রাত কাটিয়েছেন। উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার মূলসড়ক এটি। গাজা উপত্যকার কেন্দ্রস্থল বরাবর নেৎজারিম করিডরে অবস্থান নিয়ে আছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এই পথ দিয়েই বসতবাড়িতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।
জাজিম, খাবার ও তাঁবুভর্তি গাড়ি, ট্রাক ও রিকশা নিয়ে তারা অপেক্ষা করছেন। যুদ্ধের সময় আশ্রয়ের জন্য তাদের এসব দিয়েছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় ও মার্কিন সমর্থনে দুই পক্ষের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথাও আছে।
কিন্তু ইসরাইল বলছে, জীবিত ইসরাইলি জিম্মিদের তালিকা দিতে ব্যর্থ হয়েছে হামাস। এছাড়াও আরবেল ইহুদ নামের এক নারীকেও তারা ফেরত দিতে পারেননি। ফলে উত্তর গাজায় যাওয়ার ক্রসিংগুলো খুলে দিতে অস্বীকার জানিয়েছে তারা।
এদিকে শনিবার দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা ইসরাইলের হাতে হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় নিরপরাধ মানুষের ওপর এই বোমা দিয়ে হামলা হতে পারে ভেবে এটির হস্তান্তর স্থগিত করে দিয়েছিলেন জো বাইডেন প্রশাসন।
ডর্জান ও মিসরকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান
গাজা থেকে আরও বেশি ফিলিস্তিনিকে অস্থায়ী কিংবা স্থায়ীভাবে আশ্রয় দিতে মিসর ও জর্ডানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহর সাথে কথা বলার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমাদের স্রেফ পুরো জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলা উচিত। আক্ষরিক অর্থে এটি একটি ধ্বংসস্তূপ, সেখানের প্রায় সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে এবং লোকজন মারা যাচ্ছেন।
‘আমি চাই, মিসর লোকজন নিয়ে যাক। তারা সম্ভবত ১৫ লাখ লোক নিতে যাচ্ছেন এবং পুরো জায়গাটা পরিষ্কার করে ফেলুন,’ বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত
ট্রাম্পের এই মন্তব্যকে সন্দেহের চোখে দেখছেন হামাসের এক নেতা। এটিকে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করার আভাস হিসেবেই বিবেচনা করছেন তিনি।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম বলেন, পুনর্গঠনের আড়ালে ভালো উদ্দেশ্য থাকলেও এ ধরনের প্রস্তাব কিংবা সমাধান আমরা গ্রহণ করবো না।
আল-আওদা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরাইলি গুলিতে চার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। তারা যাতে সড়ক ক্রসিংয়ের কাছে ঘেঁষতে না পারে, সে জন্যই এই গুলি করা হয়েছে।
৩৩৬ দিন আগে
সুদানে হাসপাতালে হামলায় নিহত ৭০
সুদানের দারফুর অঞ্চলের অবরুদ্ধ শহর এল ফাশেরে চালু থাকা একমাত্র হাসপাতালে নৃশংস হামলায় প্রায় ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। তিনি সৌদি টিচিং ম্যাটারনাল হাসপাতালে হামলার ঘটনাকে ‘আতঙ্কজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
পোস্টে টেড্রোস বলেন, হাসপাতালটি রোগীতে পূর্ণ থাকা অবস্থায় হামলাটি চালানো হয়েছে। এতে ১৯ জন আহত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আল মালহার নামে আরও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার কথাও জানিয়েছেন টেড্রোস।
আরও পড়ুন: সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় ৩ দিনে নিহত ৪২
স্থানীয় কর্মকর্তারা এই বর্বরোচিত হামলার জন্য সুদানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত থাকা আধাসামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করেছেন।
২০২৪ সালের মে মাস থেকে এল ফাশের অবরোধসহ সংঘাতের সময় অসংখ্য নৃশংস ঘটনার জন্য আরএসএফকে দায়ী করা হয়।
চলমান সংঘাতের কারণে শহরটির প্রায় ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক নাগরিকরা বাস্তুচ্যুত। তারা মাসের পর মাস সহিংসতা ও বঞ্চনা সহ্য করে চলেছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া এই সংঘাতের ফলে ২৮ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে। লাখ লাখ লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া জাতিগত আফ্রিকান গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা ও নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ডাব্লুএইচও এবং অন্যান্য বিশ্বব্যাপী সংস্থাগুলো স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
জরুরি ভিত্তিতে সুদানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সুদানে আধাসামরিক বাহিনীর হামলায় আরও ৪৫ জন নিহত
৩৩৭ দিন আগে
ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
ভানুয়াতু দ্বীপপুঞ্জে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
বেইজিং সময় রবিবার ২টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড সময় (ভানুয়াতুর সময় বিকাল ৫টা ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস ভূমিকম্প সংক্রান্ত এই তথ্য জানিয়েছে।
১০ কিলোমিটার গভীরতার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল প্রাথমিকভাবে ১৭ দশমিক ৭০ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ এবং ১৬৭ দশমিক ৮৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ছিল বলে নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দেশটিতে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানলে সুনামি সতর্কতা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ।
ফিজি, টোঙ্গা এবং ভানুয়াতুর মতো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো প্রশান্ত মহাসাগরীয় রিং অফ ফায়ারের উপর অবস্থিত, ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অঞ্চলগুলোর একটি বৃত্তচাপ যেখানে মহাদেশীয় প্লেটগুলো সংঘর্ষ হয়, ঘন ঘন ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে।
৩৩৭ দিন আগে
কোভিড ল্যাবসৃষ্ট ভাইরাস: আস্থা কম সিআইএ’র সিদ্ধান্তে
কোভিড-১৯ মহামারির জন্য দায়ী ভাইরাসটি সম্ভবত কোনো পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে এখন বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)। তবে তারা এও স্বীকার করেছে যে, গুপ্তচর সংস্থার নিজস্ব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাদের ‘কম আস্থা’ রয়েছে।
এই অনুসন্ধানটি কোনো নতুন গোয়েন্দা তথ্যের ফলাফল নয়। প্রতিবেদনটি বাইডেন প্রশাসন ও সিআইএ'র সাবেক পরিচালক উইলিয়াম বার্নসের নির্দেশে তৈরি করা হয়েছে। সংস্থাটির প্রধান হিসেবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনীত জন র্যাটক্লিফের নির্দেশে শনিবার এটি প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সিআইএ’র পরিচালক হিসেবে র্যাটক্লিফ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সূক্ষ্ম অনুসন্ধান থেকে বোঝা যায়, সংস্থাটি বিশ্বাস করে ভাইরাসটির উৎপত্তির বিষয়ে প্রমাণের সামগ্রিকতা প্রাকৃতিক উৎসের চেয়ে ল্যাব উৎসের সম্ভাবনা বেশি। তবে, সংস্থাটির মূল্যায়ন এই সিদ্ধান্তে কম আস্থা প্রকাশ করেছে। এটি এমন ধারণাও দেয় যে— প্রমাণগুলো ত্রুটিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ বা পরস্পরবিরোধী।
করোনাভাইরাসটি চীনের ল্যাব থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। সম্ভবত ভুল করে বা এটি প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভূত হয়েছিল কিনা তা নিয়েও কোভিড-১৯ এর উৎপত্তি সম্পর্কিত আগের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে মতভেদ রয়েছে। নতুন মূল্যায়নে বিতর্কের নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।
আসলে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, চীনা কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে এর সমাধান হয়তো কখনোই করা যাবে না।
সংস্থাটি তাদের নতুন মূল্যায়ন সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘সিআইএ ‘কোভিড-১৯ মহামারির গবেষণা সম্পর্কিত এবং প্রাকৃতিক উৎস উভয় পরিস্থিতিই যুক্তিসঙ্গত বলে মূল্যায়ন অব্যাহত রেখেছে।’
নতুন প্রমাণের পরিবর্তে, ভাইরাসটির বিস্তার, এর বৈজ্ঞানিক বৈশিষ্ট্য এবং চীনের ভাইরোলজি ল্যাবগুলোর কাজ এবং অবস্থা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্যের নতুন বিশ্লেষণের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয়েছে।
আইনপ্রণেতারা ভাইরাসটির উৎপত্তি সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থাগুলোকে চাপ দিয়েছেন। এর ফলে লকডাউন, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ব যখন মহামারির ধারাবাহিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে— তখন এটির উল্লেখযোগ্য অভ্যন্তরীণ এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন কোভিড ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ সংক্রমণের অর্ধেকই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে
সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান আরকানসাসের রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন শনিবার বলেছেন, তিনি ‘বাইডেন প্রশাসনের শেষ দিনগুলোতে সিআইএ এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ল্যাব থেকে ছড়ানো তত্ত্বটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা’ এবং তিনি মূল্যায়নটি প্রকাশ করার জন্য র্যাটক্লিফের প্রশংসা করেছেন।
এক বিবৃতিতে কটন বলেন, 'এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিশ্বে মহামারিটি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চীনকে মূল্য দিতে হবে।’
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের কোনো জবাব দেয়নি। চীনা কর্তৃপক্ষ অতীতে কোভিডের উৎপত্তি সম্পর্কে জল্পনা-কল্পনাকে অসহায়ক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভাইরাসটির উৎপত্তি এখনও অজানা। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সম্ভবত অন্য প্রজাতি, সম্ভবত র্যাকুন কুকুর, সিভেট বিড়াল বা বাঁশের ইঁদুরকে সংক্রামিত করার আগে এটি করোনভাইরাসের মতো অনেক বাদুড়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে সংক্রমণটি উহানের একটি বাজারে এই প্রাণীদের জবাই করার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে প্রথম মানবদেহে এর সংক্রমণ দেখা যায়।
তবে কিছু সরকারি তদন্তে প্রশ্ন উঠেছে, উহানের ল্যাব থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে কিনা। দুই বছর আগে জ্বালানি বিভাগের একটি প্রতিবেদনে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে, এটি একটি ল্যাব থেকে সম্ভবত ছড়িয়েছিল। যদিও সেই প্রতিবেদনটিও অনুসন্ধানের ওপর কম আস্থা রাখা হয়।
একই বছরে এফবিআইয়ের তৎকালীন পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বলেন, তার সংস্থা বিশ্বাস করে ল্যাব থেকে বের হওয়ার পর ভাইরাসটি 'খুব সম্ভবত' ছড়িয়ে পড়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা র্যাটক্লিফ বলেছেন, তিনিও ল্যাব লিকের পরিস্থিতির পক্ষে।
র্যাটক্লিফ ২০২৩ সালে বলেছিলেন, ‘ল্যাব লিকই বিজ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা এবং সাধারণ ধারণায় সমর্থিত একমাত্র তত্ত্ব।’
সিআইএ বলেছে, তারা মূল্যায়নে পরিবর্তন আনতে পারে— এমন যেকোনো নতুন তথ্য মূল্যায়ন অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘমেয়াদি কোভিড-১৯ রোগে ভুগছেন বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মানুষ: গবেষণা
৩৩৭ দিন আগে
পাকিস্তানে সেনা অভিযানে নিহত ৩০
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনাবাহিনীর পৃথক তিনটি অভিযানে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী প্রদেশের লাক্কি মারওয়াত, কারাক ও খাইবার জেলায় অভিযান চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: অক্টোবর পর্যন্ত ৩৪১ সন্ত্রাসী হত্যা করেছে পাকিস্তান
এতে আরও বিবৃতিতে বলা হয়, লাক্কি মারওয়াতে অভিযানে ১৮ সন্ত্রাসী নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছেন। কারাক জেলায় আরও ৮জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
সেনাবাহিনী আরও বলেছে, তাদের তৃতীয় অভিযানটিতে গোষ্ঠীটির নেতাসহ ৪ সন্ত্রাসী নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
অভিযানে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এলাকায় অন্যান্য সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি নির্মূল করতে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হচ্ছে।
সেনাবাহিনী বলেছে, দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদের বিপদ নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন:আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সেনাসহ নিহত ২২
৩৩৭ দিন আগে
অভিবাসীবাহী মার্কিন ফ্লাইট অবতরণের অনুমতি দেয়নি মেক্সিকো
অভিবাসীদের তাড়িয়ে দিতে ব্যবহার করা মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি পরিবহন উড়োজাহাজ অবতরণে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর কর্মকর্তাদের বরাতে এনবিসি নিউজে এমন খবর উঠে এসেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালায় এমন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে মার্কিন সামরিক বিমান, প্রতিটি ফ্লাইটে প্রায় ৮০ জনের মতো অভিবাসী ছিলেন। অনুমতি না মেলায় সি-১৭ পরিবহন উড়োজাহাজটি পরিকল্পনা অনুসারে মেক্সিকোয় অবতরণ করতে পারেনি।
ট্রাম্প প্রশাসনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি মেক্সিকো সরকার। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর সম্পর্ক এখন আলোচনায়। দুই দেশের যৌথ সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। সীমান্তে অতিরিক্ত দেড় হাজার সেনা মোতায়েনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এছাড়াও আরও কয়েক হাজার সেনা সীমান্তে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
মেক্সিকোর মাদক চক্রকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মেক্সিকো উপসাগরের নাম বদলে আমেরিকা উপসাগর করা হয়েছে। এছাড়াও মেক্সিকোর সব পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প, যা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর করা হতে পার।
তবে পরিস্থিতি যাতে উত্তপ্ত না হয়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম। এমনকি ফিরে আসা মেক্সিকোর নাগরিকদের পুনর্বাসনের বিষয়েও তার মনোভাব খোলামেলা।
কিন্তু এই বামপন্থি নেতা বলেন, ‘অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে তাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে তার সম্মতি নেই। মার্কিন অর্থনীতির জন্য মেক্সিকোর অভিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ।’
সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্থানান্তরিত করতে মার্কিন সামরিক বাহিনী ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এরআগে লোকজনকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী পরিবহন উড়োজাহাজ ব্যবহার করতো, যেমনটা ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনাপ্রত্যাহারের সময় ঘটেছে।
কিন্তু স্মরণাতীতকালে এই প্রথমবারের মতো অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যত্র সরিয়ে দিতে উড়োজাহাজ ব্যবহার করতে দেখা গেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীকে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়া, সান দিয়াগো, টেক্সাস ও এল পাসো থেকে পাঁচ হাজার অভিবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে ফ্লাইট পরিচালনা করবে সেনাবাহিনী।
গুয়েতেমালা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার ৮০ অভিবাসী বহনকারী তিনটি মার্কিন ফ্লাইট সেখানে অবতরণ করেছে।
৩৩৮ দিন আগে
নতুন করে হামাসে যোগ দিল ১৫ হাজার যোদ্ধা
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার যোদ্ধা নিয়োগ দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। মার্কিন গোয়েন্দা বরাতে এমন খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এতে ইসরাইলের জন্য ক্রমাগত হুমকি হিসেবেই থেকে যাচ্ছে ইরান সমর্থিত হামাস।
তবে এই যুদ্ধে একই পরিমাণ হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে আভাস দিয়েছে গোয়েন্দারা। রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতিতে যায় হামাস ও ইসরাইল। গেল ১৫ মাসের যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত গাজা উপত্যকা, পুরো মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
খবরে বলা হয়—হামাসে যোগ দেওয়া নতুন সদস্যরা বয়সে তরুণ ও অপ্রশিক্ষিত। তাদের এখন কেবল নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলায় নারী ও শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নিহত
এ বিষয়ে জানতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের অফিসে যোগাযোগ করা হলে সাড়া মেলেনি। গত ১৪ জানুয়ারি তখনকার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, গাজায় যতজন যোদ্ধা হারিয়েছে হামাস, ততজনই তারা নতুন করে নিয়োগ দিয়েছে। এটি একটি চিরস্থায়ী বিদ্রোহ ও যুদ্ধেরই প্রস্তুতি।’
এ বিষয়ে তার কাছ থেকে আর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ইসরাইল বলছে, ‘গাজা যুদ্ধে প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।’
অ্যান্থনি ব্লিংকিন বলেন, ‘যখনই গাজায় ইসরাইল কোনো সামরিক অভিযান চালিয়ে ফিরে এসেছে, হামাস তখনই নতুন করে পুনর্গঠিত ও আবিভূত হয়েছে।’
হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরাইল। গেল বছরের জুলাইয়ে হামাসের সামারিক শাখার প্রধান আবু ওবায়দা বলেন, ‘তারা কয়েক হাজার নতুন যোদ্ধা নিয়োগ দিতে সক্ষম।’
এবারের যুদ্ধে ইসরাইল হামাসকে ধ্বংস করে দেওয়ার অঙ্গীকার করলেও গাজা উপত্যকায় গভীরভাবে নিজের অবস্থান জারি রেখেছে হামাস। গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে হামাস সেখানে নিরাপত্তা কার্যক্রম পুনর্প্রতিষ্ঠা করে। পাশাপাশি নাগরিকদের মৌলিক সেবাগুলোও তারা পুনর্বহাল করতে সক্ষম হয়েছেন।
গাজা যুদ্ধে কতজন হামাস যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তারা কেবল বলছেন, ‘ফিলিস্তিনি এই প্রতিরোধ বাহিনীর ব্যাপক শক্তি ক্ষয় হয়েছে—সম্ভবত কয়েক হাজার যোদ্ধা খুইয়েছে।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এতে এক হাজার ২০০ ইসরাইলি অবৈধ বসতিস্থাপনকারী নিহত হন। এছাড়াও ২৫০ ইসরাইলিকে তারা জিম্মি করেছিল। পরবর্তীতে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ৪৬ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লেবানন-গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান সৌদি যুবরাজের
৩৩৮ দিন আগে
এরদোগানের সমালোচনায় পোস্ট, তুরস্কে বিরোধী দলীয় নেতা গ্রেপ্তার
তুরস্কের উগ্র-ডানপন্থি দল ভিক্টরি পার্টির নেতা উমিত ওজদাগকে কারাগারে আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশ্যে ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে তার বিচার চলছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিচার স্থগিত রেখে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে নিয়ে অসম্মানজনক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সোমবার তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এরদোগান তুরস্কের যে পরিমাণ ক্ষতি করেছেন, কোনো ক্রুসেডেও তা হয়নি।’
সামাজিকমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে উমিত ওজদাগ বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তার করার অর্থ হচ্ছে, জনগণের একজন প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা। এসব মানুষ দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর বিরোধিতা করছেন।’
‘ন্যূনতম মজুরি নিয়ে যেসব শ্রমিক জীবন ধারণ করছেন, অভাব-অনটন নিয়ে যেসব অবসরপ্রাপ্ত মানুষ বেঁচে আছেন, তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আপনি আমাকেও গ্রেপ্তার করতে পারবেন, কিন্তু আমাকে নীরব করিয়ে দিতে পারবেন না।’
ভিক্টরি পার্টির নেতার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা অজগুর ওজেল। ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অজগুরকে সমর্থন দিয়েছিলেন উমিত।
অজগুর ওজেল বলেন, এভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা ন্যায়বিচারকে হত্যার শামিল। এতে দেশের গণতন্ত্র ও বিচারিক স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে যাবে।
এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন ইস্তানবুলের মেয়র একরাম ইমামোগলু। তিনি বলেন, এটা বিচারবিভাগে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।
৩৪০ দিন আগে
লস অ্যাঞ্জেলেসে ফের দাবানল, ৯৪০০ একর ভূমি আগুনের গ্রাসে
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে নতুন করে আবার দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ৯ হাজার ৪০০ একরেরও বেশি ভূমি গ্রাস করে ফেলেছে আগুন।
জোরালো বাতাস ও শুষ্ক ঝোপ-ঝাড়ের কারণে খুবই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল। সেখান থেকে ৩১ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় পৌনে ১১টায় লেক হিউজেস রোড থেকে শুরু হয় দাবানল। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই ৫০০ একর এলাকায় সেটি ছড়িয়ে পড়ে।
দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এরআগেও মহানগর এলাকার দুটি বড় দাবানল তারা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিলেন।
আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানলে মৃত্যু বেড়ে ১৬
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার অল্প কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইয়াটন ফায়ারের দুই-তৃতীয়াংশের আকারের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। লস অ্যাঞ্জেলেসে ছড়িয়েপড়া সবচেয়ে বিধ্বংসী দাবানলের একটি ইয়াটন ফায়ার।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির ক্যাসটেইক লেক এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, তীব্র শুষ্ক ঝোড়ো বাতাসের কারণে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ব্যাপক অগ্নিঝুঁকি রয়েছে। এতে নাগরিকদের জন্য শঙ্কা তৈরি করছে, তারা যাতে অন্য কোথাও চলে যান।
এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে দাবানল এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আরও ২১ হাজারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, তাদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়া লাগতে পারে।
গেল ৯ মাসে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় কোনো উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়নি। এতে পুরো অঞ্চলটিতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শনিবার থেকে সোমবারের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যদি সেটা ঘটে, তাহলে দমকলকর্মীরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন।
আরও পড়ুন: দাবানলে লস অ্যাঞ্জেলেসে ১২ হাজার স্থাপনা বিধ্বস্ত, নিহত ১১
৩৪০ দিন আগে