বিশ্ব
আগুন আতঙ্কে ট্রেন থেকে লাফিয়ে ১২ জনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের গুজবে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে অন্তত ১২ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আতঙ্কিত যাত্রীরা লাফ দিলে অন্য একটি ট্রেনের বগির সঙ্গে ধাক্কা লেগে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা দত্তাত্রয়া করালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, আহত আরও অন্তত ৬ জনকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্র রাজ্যের রাজধানী মুম্বাই থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পারধাদে রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুম্বাই ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবেও পরিচিত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হতাহতরা পুষ্পক এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। তবে কয়েকজন যাত্রী জরুরি চেন টানতে টানতে ট্রেনটি থামিয়েছিলেন।
রেলওয়ের মুখপাত্র স্বপ্নিল নীলা জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে যারা নেমেছিলেন তারা পাশের রেললাইনে থাকা অন্য একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা খেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য হলো- পুষ্পক এক্সপ্রেসের একটি কামরায় 'হট অ্যাক্সেল' বা 'ব্রেক বাইন্ডিং' (জ্যামিং) এর কারণে আগুন দেখা দিয়েছিল। এতে কিছু যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। তারা শিকল টানেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন রেললাইনে ঝাঁপ দেন। রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেসময় কর্নাটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি পাশের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল।’
রেল নিরাপত্তার উন্নয়নে সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ভারতের রেলপথে প্রতি বছর শত শত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিশ্বে এটি একক ব্যবস্থাপনায় বৃহত্তম ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
২০২৩ সালে পূর্ব ভারতে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় ২৮০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। কয়েক দশকের মধ্যে দেশের অন্যতম মারাত্মক রেল দুর্ঘটনায় শত শত লোক আহত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগের রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। ভারত ১৪২ কোটি মানুষ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
৩৪০ দিন আগে
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: পশ্চিমতীরে দখলদারদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট
অধিকৃত পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনিদের গ্রামগুলোতে ঢুকে বসতবাড়ি, দোকানপাট, গাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইহুদিরা। এসময়ে গাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগও করা হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিনের শেষভাগে পশ্চিমতীরে হানা দিয়ে সহিংসতায় মেতে ওঠে তারা।এরআগে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আরোপ করা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলা ও সংঘাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ইসরাইলকে উদারভাবে সমর্থন দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবারও তাকে ঘিরে যেসব সহযোগী রয়েছেন, তাদের সবারই ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অবৈধ বসতিস্থাপনে সমর্থন রয়েছে।নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ট্রাম্পকে ব্যাপক প্রশংসায় ভাসান দখলদার নেতারা। বছরখানেক আগে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীদের ওপর যখন বাইডেন নিষেধাজ্ঞা দেন, তখন গাজা যুদ্ধঘিরে ব্যাপক সহিংসতা চলছিল। পরে মৌলবাদী ও কট্টরপন্থি ইসরাইলিদেরও নিষেধাজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এমন খবর দিয়েছে।বাইডেনের নিষেধাজ্ঞাকে ভয়াবহ বিদেশি হস্তক্ষেপ আখ্যায়িত করে ইসরাইলের প্রতি অবিচল ও আপসহীন সমর্থন দেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালের স্মোট্রিচ।পশ্চিমতীরের ৩০ লাখ বাসিন্দাকে এমনিতেই ইসরাইলের প্রকাশ্য সামরিক শাসনের অধীনে বসবাস করতে হচ্ছে। ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডকে ইসরাইলের সঙ্গে একীভূত করতে চান বেজালের মতো উগ্রপন্থি ইসরাইলিরা।তারা গাজা উপত্যকায়ও অবৈধ বসতি নির্মাণ করতে চান। ইসরাইলিদের এই দখলদারিত্বকে অবৈধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় অন্তরায় হিসেবে বিবেচনা করে আসছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। পশ্চিমতীরে পাঁচ লাখ অবৈধ বসতিস্থাপনকারী আছে, যারা ইসরাইলের নাগরিক।জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকান সদস্য এলিস স্টেফ্যানিককে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কংগ্রেসের শুনানিতে তিনি বলেন, ইসরাইলকে বাইবেল অধিকার দিয়েছে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করতে।জিনসাফুত ও আল-ফুনদুক এলাকার কর্মকর্তারা বলেন, গেল সোমবার ফিলিস্তিনিদের অন্তত দুটি গ্রামে হানা দিয়ে বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করেছে মুখোশপরা কয়েক ডজন অবৈধ বসতিস্থাপনকারী।তাদের হামলায় আহত ১২ ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসা দিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলছে, ‘হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তাদের ওপর পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।’গাজাযুদ্ধ চলাকালে পশ্চিমতীরে ইসরাইলিদের সহিংসতা বেড়েছে। তবে এসবের সঙ্গে ট্রাম্পের অভিষেকের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা; তা পরিষ্কার না। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জেনিন শরণার্থী শিবিরে প্রাণঘাতী অভিযান চালিয়েছে ইসরাইল।জিনসাফুত গ্রামের কাউন্সিল প্রধান জালাল বশির বলেন, ‘মুখোশধারীরা তিনটি বাড়ি, একটি নার্সারি ও একটি কাঠমিস্ত্রির দোকানে হামলা চালিয়েছে। এগুলো সবই গ্রামের প্রধান সড়ক লাগোয়া অবস্থিত।আল-ফুন্দুক গ্রামের স্থানীয় কাউন্সিলের প্রধান লাওয়ি তায়েম বলেন, কয়েক ডজন দখলদার এসে গুলি করেছে, পাথর ছুড়েছে, গাড়িতে আগুন দিয়েছ এবং দোকান ও বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছে।‘তারা মাস্ক পরা ছিল, আর হাতে ছিল অগ্নিসংযোগের সরঞ্জামাদি। হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল অনেক বেশি এবং নজিরবিহীন।’
৩৪১ দিন আগে
ট্রাম্পের শুল্কারোপের জবাব দেবে কানাডা, মেক্সিকোর ধীরে চলার নীতি
কানাডীয় পণ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্কারোপ করলে যে কোনো পরিস্থিতির জবাব দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। মঙ্গলবার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প খুবই ভালো আলোচক, তিনি তার আলোচনার অংশীদারকে কিছুটা বিভ্রান্তিতে ফেলে দিতে চান।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরআগে সোমবার কানাডা ও মেক্সিকান পণ্য আমদানিতে ব্যাপক শুল্কারোপের আভাস দিয়েছেন তিনি, যা আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই কার্যকর হতে পারে।-খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের।
যদিও স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকার করলেও শুল্কারোপের বিষয়ে ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম। আর ট্রাম্পের সঙ্গে নিয়মিত কথা হয় জানিয়ে ট্রুডো বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের আচরণ অনিশ্চয়তা ডেকে আনে, পরবর্তী আনুষ্ঠানিক আলাপচারিতার অপেক্ষায় থাকুন।’
আমেরিকায় যে সমৃদ্ধির অঙ্গীকার ট্রাম্প করেছেন, সে জন্য কানাডীয় সম্পদের প্রয়োজন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ট্রুডো বলেন, আমেরিকান অর্থনীতিতে অনেক প্রয়োজনীয় যোগান কানাডা সরবরাহ করে। কাজেই দেশটির অর্থনীতির সমৃদ্ধি ও সম্প্রসারণের জন্য তা অপরিহার্য।
এদিকে দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছেন মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে সংলাপে বসার কথাও বলেছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্পের কিছু পদক্ষেপ আগের মেয়াদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জানিয়ে ক্লাউদিয়া বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে দেশের স্বার্থ সুরক্ষা করবো।’
‘গতকাল ট্রাম্প যেসব ডিক্রিতে সই করেছেন, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমি বলতে চাই: মেক্সিকোর জনগণ নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার সুরক্ষা দেব।’
তিনি যখন এমন অঙ্গীকার করেন, তখন দেশটির পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার দুই পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ক্লাউদিয়া বলেন, ‘মাথা ঠান্ডা রাখা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।’
গেল অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন মেক্সিকোর এই বামপন্থি নেতা। ক্লাউদিয়া দেশটির প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট। তবে মেক্সিকান পণ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কারোপের যে আভাস ট্রাম্প দিয়েছেন, পাল্টা জবাবে মার্কিন পণ্যে কোনো শুল্কারোপের হুমকি তিনি দেননি। ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন ক্লাউদিয়া।
এরআগে যদি মেক্সিকান পণ্যে মার্কিন সরকার শুল্কারোপ করে, তাহলে সমানভাবে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ক্লাউদিয়া ও তার অর্থমন্ত্রী। দেশটির আশি শতাংশ রফতানির গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
৩৪১ দিন আগে
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরই যুক্তরাষ্ট্রে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিতর্কিত এই পদক্ষেপটি তাৎক্ষণিকভাবে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, এই সিদ্ধান্তটি চতুর্দশ সংশোধনীর পর থেকে ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রচলিত সাংবিধানিক ব্যাখ্যার বিপরীত।
‘প্রোটেকটিং দ্য মিনিং অ্যান্ড ভ্যালু অব আমেরিকান সিটিজেনশিপ’ শীর্ষক ওই আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, যদি তাদের মা অবৈধভাবে দেশটিতে থাকেন বা অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য অনুমোদিত হন এবং বাবা মার্কিন নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দা না হন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) ওভাল অফিসে ওই আদেশে সই করার সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এটি একটি বড় বিষয়। দশকের পর দশক ধরে মানুষ এটি করতে চাইছে।’
এ সময় প্রশাসনের আইনি অবস্থানের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নীতি রক্ষার জন্য তাদের কাছে ‘খুব ভালো যুক্তি’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটসহ ৩ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলছেন ট্রাম্পের সহযোগীরা
তবে এই পদক্ষেপটি চতুর্দশ সংশোধনীর প্রচলিত ব্যাখ্যা থেকে একটি ‘উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতি’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নিশ্চয়তা দেওয়া হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী বা নাগরিকত্বপ্রাপ্ত সমস্ত ব্যক্তিই নাগরিক। দেশটির আইন বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে এই ধারাটিকে পিতামাতার মর্যাদা নির্বিশেষে জন্মগত নাগরিকত্বের ভিত্তি হিসাবে সমর্থন করে আসছেন।
আইনি ও সামাজিক জটিলতা
ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তের পর নীতিটির সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকরা যুক্তি দেখিয়েছেন, এটি অনিবন্ধিত দম্পতির নবজাতকদের আইনি অচলাবস্থায় ফেলে দেবে এবং যাদের অনেকেরই (আইনি ভিত্তি) ইতোমধ্যে দুর্বল, তাদের আরও অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলতে বাধ্য করবে।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইনের অধ্যাপক সারাহ মিলার বলেন, ‘এই নির্বাহী আদেশটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত নীতিগুলোকে ক্ষুণ্ন করে।’
তিনি বলেন, ‘এটি শুধু অনিবন্ধিত পরিবারের ওপর আঘাত নয়, এটি আমেরিকান সমাজকে আবদ্ধ করে—এমন আইনি কাঠামোকে অস্থিতিশীলতার হুমকিতে ফেলবে।’
অভিবাসন আইনজীবীরা এই আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বেশ কয়েকটি সংস্থা ইতোমধ্যে মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছে।
তারা যুক্তি দিয়েছেন যে, নির্বাহী পদক্ষেপের মাধ্যমে জন্মগত নাগরিকত্ব পরিবর্তন করা অসাংবিধানিক। এ জাতীয় যেকোনো পরিবর্তনের জন্য সংবিধানের সংশোধনী প্রয়োজন। একইসঙ্গে এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যাতে উল্লেখযোগ্য আইনি এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের সমর্থন প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: দাঙ্গাকারীসহ ১৫০০ আসামিকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক ঘণ্টা পরই এই আদেশে সই করেন তিনি। এটি তার প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। নির্বাচনি প্রচারের সময় তিনি বারবার জন্মগত নাগরিকত্বের ‘অপব্যবহারের’ সমালোচনা করে বিষয়টিকে ‘জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়’ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।
ডেমোক্র্যাটসহ কিছু মধ্যপন্থী রিপাবলিকানও এটিকে রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্বের বাড়াবাড়ি হিসেবে বিরোধিতা করেছেন। তারা বলছেন, নির্বাহী আদেশটি ওয়াশিংটনে পক্ষপাতমূলক বিভাজনকে আরও গভীর করতে পারে।
অন্যদিকে, নীতিটি অভিবাসন সম্পর্কে দীর্ঘদিনের উদ্বেগের সমাধান করবে বলে পাল্টা যুক্তি দিচ্ছেন ট্রাম্পের সমর্থকরা।
এগিয়ে যাওয়ার পথ
মার্কিনীরা যখন দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন জন্মগত নাগরিকত্বের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। আপাতত নির্বাহী আদেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে সমস্যজর্জর অভিবাসন বিতর্কে জটিলতার আরও একটি স্তর যুক্ত করল।
১৮৬৮ সাল থেকে আমেরিকান নাগরিকত্বের মূল ভিত্তি হয়ে থাকা সাংবিধানিক নিশ্চয়তাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টাকে আদালত কীভাবে ব্যাখ্যা করবে—তা এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা
আরও পড়ুন: টিকটক ডুবালেন ট্রাম্প, ত্রাতাও হলেন তিনি
৩৪২ দিন আগে
জাকার্তায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ৫০০ ঘরবাড়ি
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার কেমায়োরান সাব-ডিস্ট্রিক্টে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গেছে। এতে বাস্তুচ্যুত হয়ে ৬ শতাধিক পরিবার অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয় বলে জানিয়েছে জার্কাতা নগরীর কর্মকর্তারা।
নগরীরর দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মুখপাত্র মোহাম্মদ ইয়োহান জানান, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। লোকজন বর্তমানে নিকটবর্তী উপাসনালয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভূমিধসে নিহত ৫
‘প্রচুর কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন’ উল্লেখ করে ইয়োহান বলেন, নগর প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা হিসেবে তাৎক্ষণিকভাবে খাবার, কম্বল এবং বোতলজাত পানি বিতরণ করেছে।
প্রায় ১৭০ জন দমকলকর্মী এবং ৩৪টি দমকল ইঞ্জিনের প্রায় ছয় ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
সেন্ট্রাল জাকার্তার পুলিশ প্রধান সুসাত্ও পূর্ণোমো কন্দ্রো বলেন, একটি বাড়িতে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে কর্মকর্তারা সন্দেহ করছেন।
তিনি বলেন, ‘তবে এটা প্রাথমিক অনুমান মাত্র। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ নির্ধারণে আমরা ন্যাশনাল পুলিশের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি সেন্টারের সহযোগিতায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করব।’
কন্ড্রো আরও জানান, সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে কিছু রাস্তা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: তাইওয়ানে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭
৩৪২ দিন আগে
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ভূমিধসে নিহত ৫
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের একটি গ্রামে ভূমিধসে অন্তত পাঁচ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় গণমাধ্যকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বালির প্রাদেশিক রাজধানী ডেনপাসারের উবুং কাজা গ্রামে তাদের আবাসনে সোমবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। আরও তিনজন শ্রমিক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন। তারা এখন নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বালির তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান নিয়োমান সিদাকারিয়া জানান, হতাহতদের সরিয়ে নিতে উদ্ধারকারীরা একটি এক্সক্যাভেটর দিয়ে কাজ শুরু করেছেন।
নিহতদের পরিচয় শনাক্তের জন্য লাশ নিকটবর্তী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সিদাকারিয়া আরও বলেন, ভূমিধসের মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে রবিবার এই অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বর্ষাকালে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ইন্দোনেশিয়া এই মৌসুমে প্রায়ই অতিবৃষ্টির কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
৩৪২ দিন আগে
দাঙ্গাকারীসহ ১৫০০ আসামিকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করার প্রথম দিনেই ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার ঘটনায় অভিযুক্ত দেড় হাজারের বেশি ব্যক্তির সবাইকে ক্ষমা বা দায়মুক্তি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত ছিল এই ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। এমনকি তারা রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্র এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ওপর আক্রমণ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
এই পদক্ষেপটি ক্যাপিটলে হামলার পরে বিস্তৃত বিচারিক কার্যক্রমকে কার্যকরভাবে উল্টে দিলো। একই সঙ্গে কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশন এবং শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করার বিচারকেও ব্যাহত করল।
আরও পড়ুন: বার্নিকাটসহ ৩ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলছেন ট্রাম্পের সহযোগীরা
অ্যাটর্নি জেনারেলকে দেওয়া ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের মধ্যে ক্যাপিটল দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ৪৫০টি বিচারাধীন মামলা খারিজ করার আদেশও রয়েছে। এমনকি অভিযুক্তদের 'দেশপ্রেমিক' এবং অন্যায় বিচার বিভাগের শিকার হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প এই ক্ষমাকে 'জাতীয় পুনর্মিলন' হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তার কর্মকাণ্ড সমর্থক এবং প্রতিরক্ষা অ্যাটর্নিরা উদযাপন করেছেন। তবে ডেমোক্র্যাটিক নেতা এবং আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ সমালোচকরা এটিকে ন্যায়বিচার ও জননিরাপত্তার অবমাননা আখ্যা দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ক্ষমার মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত ১৪ ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিল। আর বাকিরা সম্পূর্ণ নিঃশর্ত ক্ষমা পান। তবে এই ঘোষণাটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এতে একদিকে সমর্থকরা কৃতজ্ঞতা এবং আশাবাদ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, বিরোধীরা সংঘটিত সহিংস কাজ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপর প্রভাবকে তুলে ধরছেন— যাদের মধ্যে অনেকেই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা রয়েছেন।
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টেরর বিচারের বিরুদ্ধে নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ট্রাম্পের পুনঃনির্বাচনের পর বিচার বিভাগ তার বিরুদ্ধে ফেডারেল ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করে। এর পরই দায়ীদের এই ব্যাপক ক্ষমার ঘোষণা এলো।
গত চার বছরে, ব্যাপক তদন্ত এবং বিচারের ফলে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যাদের অনেকেই দাঙ্গায় তাদের ভূমিকার জন্য যথেষ্ট কারাদণ্ডের সম্মুখীন হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানাল বাংলাদেশ
৩৪২ দিন আগে
তাইওয়ানে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প, আহত ২৭
তাইওয়ানের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন অন্তত ২৭ জন।
তাইওয়ানের সেন্ট্রাল ওয়েদার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল চিয়াই কাউন্টি হল থেকে ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
অন্যদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬ ছিল বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তীব্র ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও উদ্ধারকারী দল ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চালাচ্ছে।
তাইওয়ানের দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ২৭ জনকে সামান্য আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশুসহ ছয়জন তাইনান শহরের নানসি জেলায় একটি ধসে পড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া প্রাদেশিক মহাসড়ক বরাবর ঝুওয়েই সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত এপ্রিলে তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলীয় হুয়ালিয়েন অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়। সেসময় ১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছিল। ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পে শত শত আফটারশক হয়েছিল।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ বরাবর অবস্থিত। তাইওয়ান প্রায়শই প্রধান টেকটোনিক ফল্ট লাইনে অবস্থানের কারণে ভূমিকম্প আঘাতের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫, আহত ১৩০
৩৪২ দিন আগে
অবশেষে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি কার্যকর
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অবশেষে কার্যকর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ১৫ মাস ধরে চলা ধ্বংসাত্মক গাজা যুদ্ধের অবসান হয়েছে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও যথাসময়ে তিন নারী জিম্মির তালিকা দিতে ব্যর্থ হয় হামাস। ফলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে তিন ঘণ্টা দেরি হয়।
মাজেদ আল-আনসারি বলেন, গাজায় জিম্মি তিন ইসরায়েলি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে।র তাদের মধ্যে একজন রোমানীয়, অন্য দুজন ব্রিটিশ নাগরিক।
আল-জাজিরার খবর বলছে, অস্ত্রবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে যেটুকু সময়ক্ষেপণ হয়, ওই সময়ে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩৯ জন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাহমুদ বাশাল এ তথ্য দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মুখপাত্র বলেন, রাফায় একজন, খান ইউনিসে ৬ জন, গাজা সিটিতে ৯ জন ও উত্তর গাজায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা। সাত দিনের মধ্যে জীবিত আরও চার নারী জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আল-জাজিরার খবর অনুসারে, ছয় সপ্তাহের প্রাথমিক যুদ্ধবিরতির সময়ে মধ্য গাজা থেকে ধীরে ধীরে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আর উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরাও নিজেদের ভূমিতে ফিরে যাবেন।
যুদ্ধবিরতির শর্তের মধ্যে আরও রয়েছে, প্রতিদিন ৫০ ট্রাক জ্বালানিসহ মানবিক সহায়তাবাহী মোট ৬০০ ট্রাক গাজায় ঢোকার অনুমতি দেবে ইসরায়েল।
উত্তর গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এসব ট্রাকের অর্ধেকই ওই অঞ্চলটিতে পাঠানো হবে।
৩৪৪ দিন আগে
বার্নিকাটসহ ৩ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলছেন ট্রাম্পের সহযোগীরা
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনবল ও অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের দেখভাল করা তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে সরে যেতে বলেছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগীরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাতে দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমন খবর উঠে এসেছে।
দেশটির কূটনৈতিক অঙ্গনে যে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে, জ্যেষ্ঠ তিন কূটনীতিককে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তারই আভাসই মিলছে।
খবরে জানা যাচ্ছে, ডেরেক হোগান, মার্শিয়া বার্নিকাট ও আলিনা টেপলিটসকে পদত্যাগ করতে বলেছে দ্য এজেন্সি রিভিউ টিম। নতুন প্রশাসনের হাতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হস্তান্তরের তদারকি করছে দলটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে যারা রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পান, নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণের সময় সাধারণত তারা নিজ ইচ্ছায় সরে যান। তবে সরকার পরিবর্তন হলেও ক্যারিয়ার কূটনীতিকরা দায়িত্ব চালিয়ে যান।
বহু বছর ধরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান প্রশাসনের হয়ে কাজ করেছেন এই তিন কূটনীতিক। বিভিন্ন দেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।
দুদিন পর আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারকালে মার্কিন প্রশাসনকে শেকড় থেকে পরিচ্ছন্ন করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, ‘এর মধ্য দিয়ে একটি খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।’
অবশ্য, সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলেও কূটনীতিকদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা ওই তিনজনের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্ভবত আরও সংঘাতমূলক পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যেও শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। এ ছাড়াও কিছু অপ্রচলিত পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে গ্রিনল্যান্ডকে যুক্তরাষ্ট্রের অংশ করার পরিকল্পনা এবং ন্যাটোর প্রতিরক্ষা খরচ বাড়ানোর মতো কিছু পদক্ষেপ। কাজেই নিজের লক্ষ্য পূরণে ট্রাম্পের এমন কূটনীতিক দরকার যারা দায়িত্বশীলভাবে তার নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন ট্রাম্প। তখন নেতৃত্ব পর্যায়ে থাকা বেশ কিছু কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার আগে এই তিন কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলা সেই সময়ের পরিস্থিতির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাজনৈতিক নিয়োগের সংখ্যা বাড়াতে চাচ্ছেন ট্রাম্প সহযোগীরা। এরইমধ্যে বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে।পদত্যাগ করতে যাওয়া তিন কূটনীতিকের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছেন হোগান। হোয়াইট হাউসের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ব্যুরোর মধ্যে তথ্যপ্রবাহের ব্যবস্থা করে আসছেন তিনি।
অন্যদিকে, তিন দশকের বেশি সময় ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আলিনা টেপলিটস।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে আছেন বার্নিকাট। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মানোন্নয়ন, অ্যাসাইনমেন্ট ও নিয়োগের কাজ করে তার বিভাগ।
২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন বার্নিকাট।
৩৪৫ দিন আগে