বিশ্ব
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হচ্ছে রবিবার: কাতার
আগামী রবিবার গ্রিনিচ মান সময় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা একটি চুক্তি অনুমোদন করায় গাজায় যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত হয়। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি সহজ করা। একইসঙ্গে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে দুপক্ষের মধ্যে চলা প্রাঘাতী ও বিধ্বংসী এ যুদ্ধের অবসান।
ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর পূর্ণ মন্ত্রিসভার বৈঠক করে সরকার যুদ্ধবিরতির সময় নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী
সাধারণত জরুরি অবস্থা দেখা না দিলে সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলি সরকারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।
কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর গত বুধবার প্রাথমিকভাবে তা ঘোষণা করা হয়।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তের চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে হামাসের জটিলতাকে দায়ী করে এটি চূড়ান্ত করতে আরও নেন। এরপর শুক্রবার ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা চুক্তিটি অনুমোদনের সুপারিশ করে এটি এগিয়ে নেয়।
চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গাজায় আটক তিন ইসরায়েলি নারী ও ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ররিবার মুক্তি দেওয়া হবে।
চ্যানেল১২ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে নেতানিয়াহু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন যে, তার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইলে ফের অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা যদি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারি, তবে যুদ্ধের জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত সরঞ্জাম থাকবে না।’
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুথি
এদিকে চুক্তি লঙ্ঘন না করতে ট্রাম্প ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিলেও দেশটির দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির বিরোধিতা এবং চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পর গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দাবি করেছেন।
চুক্তি অনুযায়ী এ সময়ে হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। চুক্তির পূর্ণ শর্তাবলীর প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার হামাস এ কথা জানায়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত হন। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। মানুষ বিভিন্ন মৌলিক সহায়তা পেতে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ ও নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়াদের মধ্যে ৯৪ জন এখনও হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যুদ্ধের আগে অপহৃত চার ইসরায়েলি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: জিম্মিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের
৩৪৫ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে ২০০ রোগীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে চিকিৎসক অভিযুক্ত
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ২০০ জনেরও বেশি সাবেক রোগীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একজন চিকিৎসককে অভিযুক্ত করেছে ম্যাসাচুসেটসের একটি গ্র্যান্ড জুরি।
অভিযুক্ত ডা. ডেরিক টডের বিরুদ্ধে ২০১০ সাল থেকে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের করা মামলায় অপ্রয়োজনীয় পেলভিক ফ্লোর থেরাপি, স্তন পরীক্ষা, টেস্টিকুলার পরীক্ষা এবং অন্যান্য অযৌক্তিক পদ্ধতি সম্পাদনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'দুই নারীকে যৌন নিপীড়ন ও দুটি ধর্ষণের অভিযোগে' টডকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তবে শুক্রবার ১০ হাজার ডলারের জামিনে শুনানির সময় টড নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা, পাসপোর্ট জমা না দেওয়া, সব মেডিকেল লাইসেন্স জমা দিতে, চিকিৎসা না দিতে এবং নতুন পাসপোর্ট বা লাইসেন্সের জন্য আবেদন না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অফিস আরও জানিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ও ২০২৩ সালের জুনে দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং চিকিৎসক টডের আচরণ নিয়ে আরও তদন্ত চলছে।
বোস্টন ফার্ম লুবিন অ্যান্ড মেয়ারের ১৮০ জনেরও বেশি অভিযোগকারীর অ্যাটর্নি উইলিয়াম থম্পসন বলেছেন, টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা সম্ভবত বাড়বে।
থম্পসন বলেন, ‘এটি ডা. টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার কেবল শুরু মাত্র। তবে এটি লুবিন ও মেয়ার তার প্রাক্তন রোগীদের পক্ষে যে ফৌজদারি অভিযোগগুলো তুলেছে তা প্রমাণে সহায়তা করে।’
‘অভিযোগগুলো মূলত একজন চিকিৎসকের পদের অপব্যবহার সম্পর্কে। নিজের ব্যক্তিগত যৌন পরিতৃপ্তির জন্য যাদের উপর আস্থা রেখেছিলেন, তিনি তাদের কাছে সুযোগ নিয়েছেন।’
থম্পসন আরও বলেছেন, টডের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাটি বর্তমানে আবিষ্কারের জন্য প্রক্রিয়াধীন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস ফৌজদারি মামলায় টডের প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নি অ্যান্টনি আবেলন এবং টডের প্রতিনিধিত্বকারী ফৌজদারি আইনজীবী ইনগ্রিড মার্টিনকে একটি টেলিফোন বার্তা দিয়েছেন।
টড বোস্টনের ব্রিগহাম অ্যান্ড উইমেনস হসপিটালের প্রাক্তন রিউম্যাটোলজিস্ট। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় হাসপাতালসহ আরও বেশ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে নির্যাতনের বিষয়টি জানার এবং এটি বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ব্রিগহাম এবং উইমেনস ২০২৩ সালের এপ্রিলে টড সম্পর্কে বেনামে অভিযোগ পান। এরপরই নিজস্ব তদন্ত শুরু করা হয়। গত জুলাইতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুত করে।
এরপরে টড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো জায়গায় মেডিসিন অনুশীলন বন্ধ যাতে না হয় সেজন্য মেডিসিনে বোর্ড অব রেজিস্ট্রেশনের সঙ্গে একটি স্বেচ্ছাসেবী চুক্তি করেন।
আরও পড়ুন: টিকটক বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে!
অভিযোগ ওঠার পর থেকে টডের প্রাক্তন কর্মস্থলগুলো তার মাধ্যমে সেবা প্রদান থেকে বিরত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে কিশোরী থেকে শুরু করে ষাটোর্ধ্ব নারীও রয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের আইনজীবী এবং ম্যাসাচুসেটস আইনি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জাস্টিস ল কোলাবোরেটিভের অংশীদার পলা ব্লিস শুক্রবার বলেছেন, এই অভিযোগ ‘যেসব রোগীদের যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল এবং যারা এই তথাকথিত চিকিৎসকের নিন্দনীয় আচরণের সত্যকে তুলে ধরতে এগিয়ে এসেছেন, এটি তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত।’
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে প্যারাবনে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গ্রেপ্তার ৩
৩৪৫ দিন আগে
ভানুয়াতুর জনবহুল দ্বীপে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘোষণা
ভানুয়াতুর রাজধানী পোর্ট ভিলার একটি হাসপাতালে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পর দেশটির সবচেয়ে জনবহুল দ্বীপ ইফাতে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
শনিবার(১৮ জানুয়ারি) ডেইলি পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ নজরদারিতে ৩৬০ জন নিশ্চিত ফ্লু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ইফা দ্বীপে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসাধারণকে নিয়মিত হাত ধোয়া, কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় মুখ ও নাক ঢেকে রাখা এবং জনসমাগমস্থলে গেলে মাস্ক পরাসহ উন্নত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
জনগণকে জনবহুল স্থানে চলাচল সীমিত করতে এবং প্রতিবন্ধী, শিশু ও বয়স্কদের প্রতি অতিরিক্ত যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ সম্পর্কেও সচেতন থাকার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয় ওই নির্দেশনায়। একই সঙ্গে যাদের এই ধরনের লক্ষণ রয়েছে, তাদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা সহায়তা নিতে উৎসাহিত করছে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনামে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মরছে চিড়িয়াখানার বাঘ
৩৪৫ দিন আগে
জিম্মিদের মুক্ত করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের
দীর্ঘ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর গাজা উপত্যকায় আটক জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি সরকার। স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এই চুক্তিতে দেশটির মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৪ জন মন্ত্রী পক্ষে এবং ৮ জন বিপক্ষে ভোট দেন।
রবিবার(১৯ জানুয়ারি) থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গাজায় আটক তিন ইসরায়েলি নারী ও ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ররিবার মুক্তি দেওয়া হবে।
চ্যানেল১২ এর একটিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৈঠকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরাইলে বন্ধ থাকা অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা যদি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারি, তবে যুদ্ধের জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত সরঞ্জাম থাকবে না।’ এদিকে চুক্তি লঙ্ঘন না করতে ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি জিম্মিদের উদ্ধারে চুক্তির পক্ষে ভোট দেওয়ার পর মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হয়।
দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির বিরোধিতা করেছেন এবং চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরে গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দাবি করেন।
চুক্তি অনুযায়ী এসময়ে হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
চুক্তির পূর্ণ শর্তাবলীর প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার হামাস এ কথা জানায়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর একটি অভূতপূর্ব আন্তঃসীমান্ত হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলে হামাসের ওেই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। আর ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়েছিল।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৮৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানুষ বিভিন্ন চাহিদার সহায়তা পেতে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়াদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যুদ্ধের আগে অপহৃত চার ইসরায়েলি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।
সূত্র: সিনহুয়া ও অন্যান্য নিউজ এজেন্সি
আরও পড়ুন: গাজায় ১৫ মাসের বিয়োগান্তক উপাখ্যান শেষে যুদ্ধবিরতির বার্তা
৩৪৫ দিন আগে
গাজায় ১৫ মাসের বিয়োগান্তক উপাখ্যান শেষে যুদ্ধবিরতির বার্তা
টানা ১৫ মাস ধরে গাজাবাসী অপেক্ষায় ছিলেন যুদ্ধ বন্ধের। শত-সহস্র প্রাণ ঝড়ে যাওয়ার পর অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।যুক্তরাষ্ট্র, মিসর আর কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে হামাস আর ইসরাইল। রোববার থেকে গাজার আকাশে দেখা যাবে না আর কোনো ইসরাইলি বোমারু বিমান।আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো বলছে, ২০২৪ সালের মধ্যভাগ থেকে চলছিল যুদ্ধবিরতির আলোচনা। একদিকে গোলটেবিল বৈঠক আর অন্যদিকে গাজার ওপর মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ। ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত এক হাজার ২০০ ইসরাইলির লাশের কাফফারা দিতে হয়েছে ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনির জীবনের বিনিময়ে।মা হারিয়েছেন তার সন্তান, সন্তান হারিয়েছেন বাবা-মাকে, মৃত সন্তানের কফিন কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে পিতাকে, বাস্তুচ্যুত হয়ে থাকতে হয়েছে ক্যাম্পে ক্যাম্পে। অনাহারে অর্ধাহারে বেঁচে থাকা। সকালে যার সঙ্গে নাস্তা করেছেন, দুপুরে হয়তো সেই প্রিয়জনের লাশ কাঁধে নিয়ে যেতে হয়েছে গোরস্থানে। এইতো ছিল ১৫ মাস ধরে গাজাবাসীর জীবন।সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে গাজার আর্তনাদ। প্রতিটি মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, এটা আর কিছু না, নিরাপত্তার ধোয়া তুলে রীতিমতো প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠেছে ইসরাইল। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, স্রেফ গণহত্যা চালানো হয়েছে গাজায়। যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে।অবশেষে সেই খুশির খবর। প্রায় অর্ধলক্ষ নিরীহ ফিলিস্তিনির লাশের ওপর দাঁড়িয়ে বোধোদয় হলো বিশ্ব মোড়লদের, ঘোষিত হলো যুদ্ধবিরতি।রোববার থেকে গাজার রাতের আকাশে হয়তো আর যুদ্ধবিমান না, দেখা মিলবে জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের। হয়তো স্বজনহারা গাজাবাসী আবারও নতুন উদ্যোমে বাঁচতে শুরু করবে। সব ভুলে হয়তো ফিলিস্তিনের ধ্বংসস্তূপের ওপর ফুটবে নতুন দিনের লাল গোলাপ।পাঁচ দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের শেষ মুহূর্তে মুখ রক্ষা করলেন জো বাইডেন। জানালেন, রোববার থেকেই ইসরাইলের সৈন্যরা ছাড়তে শুরু করবে গাজার মাটি। যারা বাড়িছাড়া হয়ে এতদিন উদ্বাস্তুর মতো বেঁচে ছিলেন, তারা ফিরে যাবেন নিজ গৃহে। আবারও আন্তর্জাতিক সাহায্য আসবে গাজার মাটিতে, শিশুর শূন্য থালায় জায়গা করে নিবে শুকনো রুটি।জাতিসংঘেরও জোর সেদিকেই। যুদ্ধ তো শেষ হলো, এবার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামলানোর আহ্বান সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতারেসের।হামাসের হাতে এখনো বন্দি ৯৪ জন ইসরাইলের নাগরিক, চুক্তি মোতাবেক যাদের মুক্তি দিতে হবে শিগগিরই। যদিও ইসরাইল সরকারের ধারণা এদের মধ্যে ৩৪ জন হয়তো আর বেঁচেই নেই। তবে হামাস জানিয়েছে, যারা বেঁচে আছেন, তাদের সবাইকেই ফেরত পাঠানো হবে ইসরাইলে।বুধবার গাজার রাত ছিল ভিন্নরকমের। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিমান হামলায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনি। শেষবেলায়ও শোধ তুলে নিতে ভুল করেনি আগ্রাসী ইসরাইল। তবুও রাতের আঁধার আর বোমার আঘাতকে তুচ্ছ করে তাবু ছেড়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পড়ে গাজাবাসী। সবচেয়ে অবাককাণ্ড এত ক্ষয়, এত মৃত্যু, এত রক্ত; এরপরও ফিলিস্তিনিদের সৃষ্টিকর্তঅর প্রতি বিশ্বাসে ভাটা পড়েনি এতটুকু। রীতিমতো আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে আনন্দ উদযাপন করেছেন তারা।এই আনন্দ ঘরে ফেরার, নিজের টেবিলে বসে আহার করার, নিজের বিছানায় ঘুমানোর। হয়তো যে সন্তানকে কোলে নিয়ে মা ঘুমাতো সেই বুকের ধন বেঁচে নেই। হয়তো যে বাবার আঙুল ধরে স্কুলে যাতায়াত বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে তার শরীর। যে ঘরে হয়তো প্রতিদিন বসতো চাঁদের হাট সেখানে ফিরতে হবে একা। তারপরও বেঁচে থাকাই যেন অনেক কিছু গাজাবাসীর জন্য। আর এই বেঁচে থাকার উদ্যোম নিয়েই এত আঘাতের পরেও মেরুদণ্ড সোজা করে মানচিত্র আঁকড়ে ধরে টিকে আছে ফিলিস্তিন, স্বপ্ন তাদের স্বাধীনতার।
৩৪৭ দিন আগে
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক গ্রেপ্তার
বিদ্রোহের অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়লকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কয়েক সপ্তাহের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে দেশটির পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।তাকে আটক করতে তিন হাজারেরও বেশি পুলিশ তার বাসা ঘেরাও করে রাখে। পরে রক্তপাত এড়াতে তদন্তে সহায়তা করতে সম্মত হওয়ার কথা জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার এই রাজনীতিবিদ। ইয়ন সুক বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তিনি নিজেকে সমর্পণ করেছেন।দক্ষিণ কোরিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামাদি দিয়ে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলতে দেখি, তখন রক্তপাত এড়াতে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। যদিও এই জিজ্ঞাসাবাদ অবৈধ।বুধবার সকালে মোটরশোভাযাত্রা নিয়ে তদন্তকারীদের অফিসে যেতে দেখা গেছে তাকে। অভিশংসিত এই প্রেসিডেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদে কর্তৃপক্ষের কাছে এখন ৪৮ ঘণ্টা সময় আছে। এরপর আদালতের কাছে তাকে ২০ দিনের মতো আটকে রাখার পরোয়ানা চাইবেন তারা অথবা ছেড়ে দেওয়া হবে।ইয়ন সুকের গ্রেপ্তারকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে তাকে জনসমক্ষে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা আইনজীবীরা। স্থানীয় একটি সম্প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে, গ্রেফতারের সময় ইয়ন সুকের অশ্রুসিক্ত সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের হালকা ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।গেল বছরের ৩ ডিসেম্বর স্বল্প-সময়ের জন্য দেশে সামরিক আইন জারি করেন তিনি, যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। এরপরই তাকে সরে দাঁড়াতে বলে ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে।ছোট্ট একদল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রহরায় পাহাড়ের পদদেশে নিজের বাসস্থানে ছিলেন ইয়ন সুক। এরআগেও তাকে গ্রেপ্তার করতে এলে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে ফিরে যেতে হয়েছে তদন্তকারীদের।এশিয়ার সবচেয়ে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র ও চতুর্থ বড় অর্থনীতির দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। সামরিক শাসন জারি করার পর দেশটিতে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। দেশটিতে এই প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার হলেন। যদিও আগে সেখানকার সাবেক নেতাদের কারাবন্দি ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার দৃষ্টান্ত আছে।
৩৪৮ দিন আগে
অবশেষে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
ক্রমাগত চাপ ও বিতর্কের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করেছেন যুক্তরাজ্যের ট্রেজারি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক (৪২)। গণঅভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ভাগনি মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।শেখ হাসিনার সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি যুক্তরাজ্যে খবরের শিরোনাম হয়ে আসছিলেন। তবে তিনি পদত্যাগ করলেও ভুল কিছু করেননি বলে দাবি করেন।গেল সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ‘টিউলিপের ওপর তার পূর্ণ আস্থা আছে।’ তবে দুই মাসের মধ্যে সরকারের দ্বিতীয় কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের ঘটনা কিয়ার স্টারমারের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে শ্যাডো ইকোনমিক সেক্রেটারি হলেন টিউলিপ সিদ্দিকগেল বছরের জুলাইয়ে সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে লেবার পার্টি ক্ষমতার আসার পর কিয়ার স্টারমারের জনপ্রিয়তায়ও ধস নেমেছে।ট্রেজারি মিনিস্টার হিসেবে অর্থপাচারের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব ছিল টিউলিপের। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার অর্থনৈতিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্তে যদিও কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ মেলেনি, কিন্তু তার অবস্থানের কারণে সরকারি কাজ থেকে মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হতে পারে। আর এ কারণেই মন্ত্রীত্বের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।তাৎক্ষণিকভাবে দেশটির পেনশন বিষয়ক মন্ত্রী এমা রেনল্ডসকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে তদন্ত চলছে।বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত থেকে অর্থ পাচারে শেখ হাসিনার পরিবার জড়িত কিনা, সেই তদন্তের মধ্যেই গেল ডিসেম্বরে টিউলিপের নাম উঠে আসে। ওই অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।২০১৩ সালে শেখ হাসিনার মস্কো সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের সময় টিউলিপ সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন। তার ওই ছবি এ সময় ফলাও করে প্রচার করে বেশ কয়েকটি ব্রিটিশ গণমাধ্যম।টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতা। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিয়মিত খবর, সম্পাদকীয় প্রকাশিত হতে থাকে।এর মধ্যে শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সম্পত্তি টিউলিপের ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।এই প্রেক্ষাপটে টিউলিপ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অন মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি (রেফারেল) লিখেছিলেন। মন্ত্রীদের আচার-আচরণ, নীতিনৈতিকতা বিষয়ে ম্যাগনাস যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে উপদেশ দিয়ে থাকেন। ওই তদন্ত চলার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক।
৩৪৮ দিন আগে
এমপক্স শনাক্ত: সিয়েরা লিওনে জরুরি অবস্থা জারি
মাত্র চার দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হওয়ার পর জরুরি অবস্থা জারি করেছে আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটি এই জরুরি অবস্থা জারি করে বলে এক প্রতিবেদনে বলেছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস(এপি)।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আক্রান্তদের কারোরই সম্প্রতি সংক্রমিত প্রাণী বা ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার রেকর্ড নেই। প্রথম যে ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত হয়, তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারির মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় পোর্ট লোকো জেলার একটি বিমানবন্দর শহর লুঙ্গিতে সম্প্রতি ভ্রমণ করেছিলেন।
এখন পর্যন্ত আক্রান্ত দুই রোগীকেই রাজধানীর ফ্রিটাউনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এমপক্স ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
এমপক্স ভাইরাসটিকে মাঙ্কিপক্সও বলা হয়। ১৯৫৮ সালে বানরের মধ্যে ‘পক্সের মতো’ রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবে, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় বেশিরভাগ মানব শরীরে এসব সংক্রমণ হয়েছে। সাধারণত সংক্রামিত প্রাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ লোকদের মধ্যে এটির সংক্রমণ ঘটে থাকে।
তবে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো যৌন সংক্রমণের মাধ্যমে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। এর ফলে ৭০ টিরও বেশি দেশে প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। এর আগে আগে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের হার কঙ্গোতে। এই বছর আফ্রিকায় আনুমানিক ৪৩ হাজার মানুষের শরীরে সন্দেহভাজন ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে আফ্রিকাতে।
সিরেয়ার লিওনে ২০১৪ সালে ইবোলা প্রাদুর্ভাব হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। এটি ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাস। মূলত পশ্চিম আফ্রিকাকে প্রভাবিত করা এই প্রাদুর্ভাবটি। সারা বিশ্বের মোট ১১ হাজার মৃত্যুর মধ্যে সিয়েরা লিওনেই ৪ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ভাইরাসটি। ওই মহামারিতে দেশটি তার ৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে তৃতীয় ব্যক্তির শরীরে এমপক্স শনাক্ত
৩৪৯ দিন আগে
গাজায় বিমান হামলার সময় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল হুথি
মঙ্গলবার ভোরে মধ্য ইসরায়েলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এসময় সতর্কতামূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সাইরেন বেজে উঠলে ইসরায়েলিরা বোমা আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। হামাসের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছানো সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় যখন ইসরায়েলি বাহিনী রাতভর ও মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়, ঠিক তখনি হুথিদের এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে একাধিক বাধা দেওয়ার চেষ্টার কথা জানিয়ে বলেছে যে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘সম্ভবত প্রতিহত করা হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
ক্ষেপণাস্ত্র বা এর ধ্বংসাবশেষ থেকে কেউ আহত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা বিভাগ ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় কিছু লোক আহত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসরায়েলি আকাশসীমায় ঢোকার আগেই একটি ক্ষেপণাস্ত্রও প্রতিহত করা হয় বলে জানিয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে ইয়েমেনের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণকারী ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে ইসরায়েল ও প্রায় ১০০টি বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। বিদ্রোহীরা এখনও সর্বশেষ হামলার দায় স্বীকার করেনি। যা তারা কখনও কখনও কয়েক ঘণ্টা বা দিন দেরি করে।
মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় দুই নারী, তাদের চার সন্তান (এক মাস থেকে ৯ বছর বয়সী) এবং এক অনাগত শিশুসহ ছয়জন বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এক নারী দুই সন্তানের জননী এবং অন্যজন তার ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে নিহত হয়েছেন।
দেইর আল-বালাহর আল আকসা মার্টারস হাসপাতাল লাশগুলো গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী
৩৪৯ দিন আগে
আইসিজে’র প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালাম লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী
নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) প্রেসিডেন্ট নওয়াফ সালামকে লেবাননের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য সোমবার (১৩ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের ঘোষণা দেন।
প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউনের পরিচালিত বাধ্যতামূলক পরামর্শ গ্রহণের সময় ১২৮টি সংসদীয় ভোটের মধ্যে সালাম ৮৪টি ভোট পেলে তাকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আউন সালামকে তলব করে তাকে এই দায়িত্ব দেন। তবে সালাম বর্তমানে বিদেশে আছেন এবং মঙ্গলবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
লেবাননের প্রচলিত রাজনৈতিক রীতিনীতির অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পদে ঐতিহ্যগতভাবে একজন সুন্নি মুসলমান আসীন থাকেন। আর প্রেসিডেন্ট সর্বদা একজন ম্যারোনাইট খ্রিস্টান এবং সংসদীয় স্পিকার একজন শিয়া মুসলিম।
১৯৫৩ সালে একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণকারী সালাম একজন সুন্নি মুসলিম। লেবাননের ১৯৭৫-১৯৯০ সালে লেবাননের গৃহযুদ্ধের আগে তার চাচা সায়েব সালাম দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একাধিকবার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তার চাচাতো ভাই তাম্মাম সালাম ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একই পদে ছিলেন।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১০৫ বাংলাদেশি
সালাম হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং সরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে দুটি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে লেবাননের রাষ্ট্রদূত এবং স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ১৪ মাস ধরে চলা সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে সালামকে এই নিয়োগ দেওয়া হলো।
সংঘাত-পরবর্তী পুনর্গঠন ছাড়াও দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটসহ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
৩৪৯ দিন আগে