বিশ্ব
ইসরায়েলকে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র দেবে বাইডেন প্রশাসন
বাইডেন প্রশাসন মেয়াদের শেষপ্রান্তে এসে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র হিসেবে দেশটির কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে অস্ত্র বিক্রির জন্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেট কমিটির অনুমোদন লাগবে।
এসব অস্ত্রের চালানের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র ১৫ দিন আগে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। গাজায় যুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার কারণে ইসরায়েলকে সামরিক সমর্থন স্থগিত করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ওয়াশিংটন।
এর আগে গত বছরের আগস্টে ইসরায়েলের কাছে ২ হাজার কোটি ডলারের যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সর্বশেষ ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের চালানটিতে এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র, হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি শেল এবং বোমা থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র শনিবার(৪ জানুয়ারি) বিবিসিকে জানিয়েছে, 'প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করার এবং ইরান ও এর মদদপুষ্ট সংগঠনগুলোর আগ্রাসন প্রতিহত করার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা প্রদান অব্যাহত রাখব।’
বাইডেন বরাবরই ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সমর্থনকে দৃঢ় বলে বর্ণনা করে আসছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। এটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে সহায়তা করে আসছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে প্রধান প্রচলিত অস্ত্রের ৬৯ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করেছে।
২০২৪ সালের মে মাসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করেছিল, ইসরায়েল দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে একটি বড় স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এমন উদ্বেগের কারণে তারা ২ হাজার পাউন্ড এবং ৫০০ পাউন্ড বোমার একক চালান স্থগিত করেছে। কিন্তু বাইডেন তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াশিংটনে রিপাবলিকান এবং নেতানিয়াহুর কাছ থেকে প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হন। তারা এটিকে ‘অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার’ সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এরপরই বাইডেন স্থগিতাদেশ আংশিক তুলে নিয়েছেন এবং এর পুনরাবৃত্তি করেননি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটে দ্বি- রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে সমর্থন ইতালির
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাইডেন প্রশাসন যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার মধ্যে এই পরিকল্পিত চালানটি অন্যতম। এর মাধ্যমে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তার উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নেওয়া চেষ্টা করছেন।
২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে এটি সম্ভবত ইসরায়েলের কাছে শেষ পরিকল্পিত অস্ত্র বিক্রি হতে পারে। এরপরই তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পুনঃনির্বাচনের সময় ও এর আগে বৈদেশিক সংঘাত বন্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা কমানোর কথা বলেছেন।
নিজেকে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হিসেবে তুলে ধরলেও গাজায় সামরিক অভিযান দ্রুত শেষ করতে মার্কিন মিত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ইসরায়েল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে গোষ্ঠীটির অভূতপূর্ব হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করার জন্য একটি অভিযান শুরু করো। হামাসের অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাজার ২ স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় ১৭ জন নিহত
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ৪৫ হাজার ৫৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ ছাড়াও লেবাননভিত্তিক সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গেও যুদ্ধে জড়িয়েছে। সম্প্রতি একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে উভয় পক্ষ। এছাড়া সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়া নিয়ন্ত্রিত গোলান মালভূমির দখল নিয়েছে আইডিএফ।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেই গোলান মালভূমি পরিদর্শনও করেছেন। সিরিয়ার বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে দেশটির সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করার চেষ্টাও করেছে ইসরায়েলের আইডিএফ। সম্প্রতি সিরিয়ার অভ্যন্তরে ইরানের মিসাইল প্ল্যান্ট ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েল।
তথ্যসূত্র: বিবিসি ও অন্যান্য
৩৫৮ দিন আগে
২০২৪ সালে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ২.১ শতাংশ: এফএও
খাদ্যশস্য ও চিনির দাম কমার কারণে ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম আগের বছরের গড়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সংস্থাটির প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের পুরো বছরের জন্য এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স দাঁড়িয়েছে ১২২ পয়েন্ট, যা ২০২৩ সালের গড় মূল্যের চেয়ে ২ দশমিক ৬ পয়েন্ট কম।
যদিও ২০২৪ সালের সূচকটিতে দুগ্ধ, মাংস এবং উদ্ভিজ্জ তেলের দামের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি স্থির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল তবুও এই বৃদ্ধি ধারাবাহিকতা এবং চিনির দামের পতনকে পুরোপুরি ভারসাম্যের জন্য অপর্যাপ্ত ছিল। ২০২৪ সালের জন্য এফএও ধারাবাহিক মূল্য সূচক ২০২৩ সালের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। এতে, এফএও চিনির মূল্য সূচক বছরে ১৩ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে।
এফএওর মতে, ২০২৪ সালে খাদ্যশস্যের দাম কমেছিল মূলত গম এবং মোটা শস্যের দাম কম হওয়ার কারণে হয়েছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের জন্য এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স গড়ে ১২৭ পয়েন্ট ছিল। যা মাসভিত্তিক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, তবে বছরভিত্তিক তা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
৩৫৯ দিন আগে
গোপন লেনদেন, ট্রাম্পের মামলার রায় ১০ জানুয়ারি
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজে প্রবেশের মাত্র কয়েকদিন আগে ১০ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে ঘুষের মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন বিচারক। তবে ট্রাম্পকে জেলে যেতে হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই বিচারক।
এই সিদ্ধান্তের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক কাজের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন প্রথমবারের মতো ট্রাম্প। ম্যানহাটনের বিচারক জুয়ান এম মার্চেনে এই বিচার কাজের নেতৃত্ব দিয়েছেন। একটি লিখিত রায়ে বলেছেন, তিনি তাকে ‘নিঃশর্ত অব্যাহতি’ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এর অর্থ ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টি রেকর্ডে থাকবে, তবে তাকে জেল, জরিমানা বা প্রবেশনের মুখোমুখি হতে হবে না। সাজা ঘোষণার সময় ট্রাম্পকে ভার্চুয়িালি যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিচারক মারচান প্রেসিডেন্টের দায়মুক্তি এবং তার আসন্ন দ্বিতীয় মেয়াদের ভিত্তিতে রায় খারিজ করার ট্রাম্পের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি আইনের সামনে সমতা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে জুরির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধার জনসাধারণের প্রত্যাশার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ না করে ট্রাম্পের শাসন করার ক্ষমতার ভারসাম্য রেখে বিষয়টি শেষ করার চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এই রায়কে রাজনৈতিক আক্রমণ এবং ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের পরিকল্পিত ‘কারচুপিপূর্ণ প্রতারণা’ বলে অভিহিত করেছেন। এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখলে প্রেসিডেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
ব্র্যাগের অফিস মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তবে আইন বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, ট্রাম্প তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। তবে মামলাটি রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় পড়ায় তিনি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে গোপনে অর্থ প্রদানের বিষয়টি গোপন করার পরিকল্পনা থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ট্রাম্প কীভাবে তার প্রাক্তন অ্যাটর্নি মাইকেল কোহেনকে অর্থ প্রদানের জন্য সরবরাহ করেছিলেন সেটিকে কেন্দ্র করেই মামলাটি শুরু হয়েছিল। একটি কথিত সম্পর্কের দাবিকে গোপন থামানোর জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়েছিল, যা ট্রাম্প অস্বীকার করেছেন।
প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর উভয় পক্ষই তার আসন্ন প্রেসিডেন্ট হওয়ার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা তার শাসন ব্যবস্থায় বিঘ্নের কথা উল্লেখ করে মামলাটি খারিজের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, অন্যদিকে প্রসিকিউটররা এখনও সাজা বহাল রাখার পক্ষে।
মার্চান মামলাটি খারিজ করার বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বলেছেন, একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে এই জাতীয় দায়মুক্তি দেওয়া আইনের শাসনকে ক্ষুণ্ন করবে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের দায়মুক্তির রায়কে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করার যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে উল্লেখ করেছেন, ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলো প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদের আগে এবং সময়ে ঘটেছিল।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা চারটি ফৌজদারি অভিযোগের মধ্যে এটিই একমাত্র মামলা যা চূড়ান্ত বিচার পর্যন্ত গড়িয়েছে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং শ্রেণিবদ্ধ নথি সম্পর্কিত ফেডারেল অভিযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে জর্জিয়ার একটি রাজ্য নির্বাচনের মামলা অমীমাংসিত রয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দিয়েছেন, এই পর্যায়ে নিউইয়র্কের মামলাটি খারিজ করার দিকে পরিচালিত করা উচিত। তবে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর স্বতন্ত্র পর্যায়ে এ জাতীয় সমাধানের কোনো ভিত্তি খুঁজে পাননি বলেও জোর দেন মার্চেন।
আরও পড়ুন: ইলন মাস্কের নজর দক্ষিণ এশিয়ায়, বড় সুযোগ বাংলাদেশের
৩৫৯ দিন আগে
নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি, মহামারীর আতঙ্ক
নতুন আতঙ্ক দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) দৌরাত্ম্য বেড়েছে চীন ও জাপানে। এরইমধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।পাঁচ বছর হলো করোনাকাল পার হয়েছে। এবার নতুন মহামারী নিয়ে বার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই শঙ্কা, ২০২৫ সালে ফের করোনার মতো নতুন কোনো মহামারীর উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারী আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেয়া সম্ভব না। তবে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।যুক্তরাজ্যের সাউথ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র গবেষক ড. মাইকেল হেড বলেন, 'একটি মহামারীর আশঙ্কা করা হচ্ছে, ‘তবে এখনো কোন রোগটি মহামারী আকার ধারণ করবে, সেটি নিশ্চিত না বলে আগাম মহামারীর নাম দেয়া হয়েছে ডিজিস-এক্স।’হাম, কলেরা, বার্ড-ফ্লু এবং স্ক্যাবিসের মতো প্রায় ১১টি রোগকে সম্ভাব্য মহামারীর তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে এইচএমভির সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে চিকিৎসকদের কপালে।চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, করোনার সময়ে হাসপাতালে যেভাবে ভিড় তৈরি হয়েছিল, একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাবেও। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে জাপানের। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, চলতি মৌসুমে দেশটিতে ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ ছাড়িয়েছে ৭ লাখেরও বেশি।হেড বলেন, ‘আগামীর মহামারীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হবে মারাত্মক ছোঁয়াচে এবং মানুষের মৃত্যুহার পৌঁছাবে সর্বোচ্চে।’চীনের বর্তমান অবস্থাচীনে প্রতিনিয়ত এইচএমপিভি প্রকট হয়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা দেশটির সরকার সতর্কতা জারি করেনি। তবে যেভাবে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে, তাতে করে যেকোনো সময়ে দেশটির সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে পারে বলে দাবি বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের।দেশটিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে শিশু এবং বৃদ্ধরা। বিশেষ করে আগে যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল, তারা এই ভাইরাসের আক্রমণে নাজুক অবস্থায় আছেন।জ্বর, নাকবন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও এই ভাইরাসের তীব্রতায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় রোগের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে সক্ষম বলে অভিমত চিকিৎসকদের।সতর্ক অবস্থানে ভারতএইচএমপিভি ভাইরাস চীন থেকে যাতে করোনার মতো ভারতেও ছড়িয়ে না পরে, তাই আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে আছে দেশটি। ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক ড. অতুল গয়াল জানিয়েছেন, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোনো সমস্যা এখন থেকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। এ ধরনের জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।গয়াল বলেন, ‘আপাতত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রাথমিকভাবে এটিকে সাধারণ ফ্লু ভাইরাস বলেই মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শঙ্কাজনক কোনো বার্তা আমাদের কাছে আসেনি। তবে যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নির্দেশ দেয়া আছে।’প্রতিরোধ ও প্রতিকারপ্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস উপস্থিতি জানান দিলেও এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়নি কোনো টিকা। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা মোকাবেলায় যেসব সতর্কতা নেয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব।২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে এইচএমপিভি থেকে নিরাপদ থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের।করোনা মহামারীতে বিশ্বে মোট ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ কোটিরও বেশি। এ অবস্থায় নতুন এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে জনসাধারণের মনে।
৩৫৯ দিন আগে
ইলন মাস্কের নজর দক্ষিণ এশিয়ায়, বড় সুযোগ বাংলাদেশের
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের চোখ এবার দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। এ অঞ্চলের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলাদা করে ভাবছেন তিনি। এতে বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের টেক প্রতিষ্ঠানে বিদেশিদের চাকরির ব্যাপারে নানা বাধা ও সমালোচনা রয়েছে। বিদেশি অভিজ্ঞ কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সুযোগ দেওয়ায় মাস্কের ঘোরবিরোধী আমেরিকান সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।কিন্তু ভারত থেকে সস্তায় কর্মী নিচ্ছেন মাস্ক, যারা কিনা অদক্ষ—এমন অভিযোগ তুলেছেন তিনি। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত থেকে এতটুকু নড়েননি স্পেসএক্সের সাবেক এই প্রধান নির্বাহী।মূলত এইচ-ওয়ানবি ভিসার আওতায় বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি দেওয়া হয়। এই ভিসা অপব্যবহার করে নিজ দেশের কর্মীদের চাকরি না দিয়ে মাস্ক দক্ষিণ এশিয়ার কর্মীদের দিকে জোর দিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্যান্ডার্সের। কিন্তু সেসবে পাত্তা দিচ্ছেন না এই ব্যবসায়ী।ক্ষুদেব্লগ এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্যান্ডার্স দাবি করেছেন, মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলা থেকে আমেরিকানদের বাদ দিয়ে বিদেশিদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি টেসলা থেকে সাড়ে সাত হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে, যাদের সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। কিন্তু বিদেশি কর্মীরা এখনো কাজ করছেন বহাল তবিয়তে। এখানে বিদেশি কর্মী বলতে স্যান্ডার্স মূলত দক্ষিণ এশীয় কর্মীদের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।এইচ-ওয়ানবি ভিসার ব্যাপারে এক্সে এক পোস্টে মাস্ক জানিয়েছেন, তার পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকার অধিবাসী ছিল এবং এই ভিসার আওতায়ই মাস্ক এত সফলতা পেয়েছেন। স্পেসএক্স এবং টেসলার মতো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে মজবুত করেছে এই ভিসার কল্যাণে।মাস্কের এ নীতিতে সবচেয়ে বেশি সমর্থন দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প ভিসাবরোধী হলেও এবার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী হয়েছেন তিনি। নতুন বছরে দেওয়া এক ভাষণে এইচ-ওয়ানবি ভিসাকে সমর্থন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বিদেশি কর্মী নিয়োগের ওপর জোর দেন ট্রাম্প।তিনি বলেন, 'আমি সবসময় ভিসার পক্ষে ছিলাম। আমাদের দক্ষ লোক দরকার। আমরা চাই, প্রচুর মানুষ আমাদের দেশে আসুক।'এদিকে ট্রাম্পের দক্ষিণ এশিয়া প্রীতি আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশিদের মনেও। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ইলন মাস্কের।তিনি বাংলাদেশে এলে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজাত চাকরিগুলোতে বাংলাদেশিদের সুযোগ বিস্তৃত হবে, অন্যদিকে দেশে প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের।
৩৬০ দিন আগে
বাইডেনের পাওয়া উপহারের তালিকা প্রকাশ, সবচেয়ে দামি মোদির হীরা
চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ শেষ হবে জো বাইডেনের। বিদায়ের আগে ২০২৩ সালে তিনি ও তার স্ত্রী জিল বাইডেনের বিশ্বনেতা ও কূটনীতিকদের কাছ থেকে পাওয়া উপহারের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।এতে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে ফার্স্ট লেডি জিলকে সবচেয়ে দামি উপহারটি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের সাড়ে সাত ক্যারেটের হীরা উপহার দিয়ে আর্থিক মূল্যমানের দিক থেকে সবার চেয়ে এগিয়ে মোদি।
বাইডেন দম্পতিকে দামি উপহার দেওয়ায় মোদির পরই রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এবং যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওকসানা মারাকোভা।
জো বাইডেনকে প্রায় আড়াই হাজার ডলার মূল্যমানের একটি ছবির কোলাজ দিয়েছেন জেলেনস্কি এবং জিল বাইডেনকে একটি ব্রুচ বা শৌখিন পোশাক আটকানোর পিন দিয়েছেন ওকসানা, যার দাম ১৪ হাজার ডলার।
এর বাইরে জিল বাইডেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও ফার্স্ট লেডি এন্তিসার আমিরের কাছ থেকে সাড়ে চার হাজার ডলার মূল্যের একটি ব্রুচ এবং ছবির অ্যালবাম উপহার পেয়ছেন। অন্যদিকে, জো বাইডেনকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ডলারের রূপার বাটি দিয়েছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান।
এছাড়া, বাইডেনকে ছবির অ্যালবাম দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল, যার দাম ৭ হাজার ডলারের বেশি।
তবে এই তালিকার শেষ এখানেই নয়, মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ডলার মূল্যের যোদ্ধাদের ভাস্কর্য আর ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট দিয়েছেন ৩ হাজার ১০০ ডলারেরে রূপার ট্রে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদ অনুযায়ী, বাইডেন পরিবার যেসব উপহার পেয়েছেন তার বেশিরভাগই জমা হবে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আর্কাইভে। কিছু কিছু উপহার থাকবে প্রদর্শনীর জন্য। মোদির দেওয়া জিল বাইডেনের উপহারটি থাকবে হোয়াইট হাউসের ইস্ট উইংয়ের জিম্মায়।
শুধু বাইডেন নন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিভাগ ও গোয়েন্দাসংস্থা সিআইএ পর্যন্ত বিদেশিদের থেকে দামি দামি উপহার পেয়েছে। এর মধ্যে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্ন্স ১৮ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি অ্যাস্ট্রোগ্রাফ পেয়েছেন উপঢৌকন হিসেবে। এটি প্রশাসন বিভাগে জমা দেওয়া হবে। এর বাইরে তিনি ১১ হাজার ডলার মূল্যমানের একটি ওমেগা ঘড়িও পেয়েছেন, যেটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা রিপোর্ট দিয়েছেন বার্ন্স।
এখন পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ডলার মূল্যমানের উপহার পেয়েছে সিআইএ, যার অধিকাংশ ধ্বংস করে ফেলা হবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
৩৬০ দিন আগে
ঘরের বাইরে ধূমপান নিষিদ্ধ করল মিলান
শহরের জনস্বাস্থ্য ও বাতাসের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে তামাকজাত দ্রব্য সেবনে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইতালির মিলান পৌর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১ জানুয়ারি) থেকে শহরটির বিভিন্ন স্কয়ার, সড়ক ও পার্কিং এলাকাসহ সব উন্মুক্ত স্থানে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ বলেছে, ধূমপান করতে হলে একেবারেই নির্জন, লোকসমাগম নেই এবং জনসাধারণের সংস্পর্শ থেকে অন্তত ১০ মিটার দূরে- এমন স্থানে করতে হবে।
নতুন ঘোষণায় মূলত ধূমপান নিয়ে আগের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আওতা সম্প্রসারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ধূমপানে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়: এ মালিক
২০২১ সালে প্রথম ঘরোয়া জনসমাগমের স্থানের (ইনডোর পাবলিক প্লেস) পাশাপাশি ট্রানজিট স্টপ, পার্ক, কবরস্থান ও খেলাধুলার জায়গার মতো উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। এবার তার পরিসর আরও বাড়ল।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে মিলানের সিটি কাউন্সিলর এলেনা গ্রান্দি বলেছেন, এই পদক্ষেপের ফলে নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শহরের জনস্বাস্থ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, আমি জানি, এই পদক্ষেপটির বাস্তবায়ন সহজ হবে না। রাতারাতিও এটি বাস্তবায়ন করা যাবে না। তবে (শহরের) সত্যিকারের সাংস্কৃতিক পরিবর্তনে যে এটি সহায়ক হবে, এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
তামাকজাত পণ্যের ওপর এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও ইলেক্ট্রনিক সিগারেটের মতো পণ্যসামগ্রী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
৩৬০ দিন আগে
হামাসের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
দক্ষিণ গাজায় হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান হুসাম শাহওয়ানকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ গাজার একটি মানবিক অঞ্চলে রাতভর ড্রোন হামলা চলাকালে তিনি নিহত হন বলে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
খান ইউনিসের একটি মানবিক অঞ্চলে থাকা অবস্থায় শাহওয়ানকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় নিহত ২৯
ওই হামাস নেতা ছাড়াও বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিমে আল-আইয়ুন ও আল-লাবাবিদি স্টেশনের আশপাশে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৮ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, খান ইউনিসের কেন্দ্রস্থলে একটি ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
এদিকে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খান ইউনিস পৌর ভবনের ভেতরে অবস্থিত হামাসের কমান্ড সেন্টারে অবস্থান করা জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে (ইসরায়েলি) বিমান বাহিনী।
অপরদিকে, হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খান ইউনিসের পশ্চিমে মাওয়াসি এলাকায় (শরণার্থী) তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এই হামলায় গাজার পুলিশ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহমুদ সালাহ ও হামাসের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হাসাম শাহওয়ান নিহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা করে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
বৃহস্পতিবার গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ হাজার ৫৮১ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের অর্ধের বেশি নারী ও শিশু।
৩৬০ দিন আগে
বাংলাদেশ থেকে গুন্ডা ঢোকানো হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, দাবি মমতার
বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডা ও অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ তাদের (ভারতে) অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যভবন নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে আলোচনার সময় এমন দাবি করেন তিনি। এসব কারণে রাজ্যজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে বলেও অভিযোগ তার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন প্রকাশিত ওই বৈঠকের ভিডিওতে তাকে এ দাবি করতে শোনা যায়।
পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশের পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে অভিযোগ করে ভারতের ক্ষমতাসীন দলটির নেতাদের উদ্দেশে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘বিএসএফের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট (সমন্বয়) করে অনুপ্রবেশকারীদের ঢোকাচ্ছেন আপনারা।… ইসলামপুর, সিতাই, চোপড়াসহ অনেক জায়গা দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে বিএসএফ। আমাদের কাছে খবর আছে। আপনারা এর প্রতিবাদ করছেন না।’
‘এখানে গুন্ডা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বর্ডার (সীমান্ত) দিয়ে খুন করে আবার (বাংলাদেশে) চলে যাচ্ছে- এমন লোক পাঠানো হচ্ছে। এটি বিএসএফের অনেক ভেতরের কাজ। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি ব্লুপ্রিন্ট (নীলনকশা) আছে। তা না থাকলে এমনটি হতো না।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডকে 'নির্মমতা' বললেন ইউনূস
সীমান্ত তৃণমূলের নয়, বিএসএফের হাতে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলায় (পশ্চিমবঙ্গে) অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে কেউ যদি তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনামের পরিকল্পনা করে, তাহলে বলব- এটি তৃণমূল কংগ্রেস করছে না; তৃণমূল কংগ্রেসের সেই অধিকার কিংবা সাধ্য নেই।’
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কোনো সমস্যা নেই বলেও এ সময় জানান এই তৃণমূল নেতা।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘আমরা চাই, ওখানেও (বাংলাদেশে) শান্তি থাক, এখানেও শান্তি থাক। দুই বাংলার মধ্যে আমাদের কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই। চিরকালই আমরা এক ভাষায় কথা বলি, এক ভাষায় পথ চলি।’
‘চিকিৎসার কারণে কেউ আসতেই পারে; মানবিকতার কারণেও কেউ আসতে পারে। কিন্তু (ভারত সরকারকে) আমাদের তা জানাতে হবে।’
মমতা বলেন, ‘আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছি, বাংলাদেশ নিয়ে যা আপনারা করবেন সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু যদি দেখি, কেউ মদদ দিচ্ছে সেক্ষেত্রে আমরা প্রতিবাদ করব। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আমরা প্রতিবাদপত্র পাঠাব।’
সূত্র: এএনআই
৩৬১ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সে দেশটির সামরিক বাহিনীর সাবেক এক সদস্য বর্ষবরণ উৎসবে একটি পিকআপ ট্রাক উঠিয়ে দিলে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। গাড়িটিতে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের পতাকা খচিত ছিল। খবর এপির।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে মানুষ যখন বর্ষবরণের উৎসবে মেতে ওঠে, তখন পিকআপটি চালিয়ে তাদের ওপর উঠিয়ে দেন ওই মার্কিন নাগরিক। পরে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন। নিহতদের বাইরে আরও কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। এটা একজন গাড়িচালকের একক কর্মকাণ্ড না বলে মনে করেন তারা।
সংস্থাটি বলছে, ৪২ বছর বয়সী শামসুদ্দিন জাব্বার নামের টেক্সাসের এক বাসিন্দা এই হত্যাকণ্ড চালিয়েছে। তার সহযোগীদেরও খুঁজে বের করা হবে।
গাড়িতে বন্দুক ও হাতে তৈরি বোমা পেয়েছেন তদন্তকারীরা। বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ইসলামিক স্টেটের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা জানিয়েছে হামলাকারী গাড়িচালক। এতে সে হত্যার সংকল্পও প্রকাশ করে। এফবিআইয়ের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
এ ঘটনার পর বর্ষবরণ উৎসবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জিয়ন পারসনস নামের এক ব্যক্তি বলেন, গাড়িটি উৎসবমুখর মানুষের ওপর দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। সামনে থাকা লোকজনকে এমন ভয়ঙ্করভাবে শূন্যে ছুড়ে মারা হয়েছে, যা কেবল চলচ্চিত্রের দৃশ্যে দেখা যায়। আতঙ্কে সবাই চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন।
নিউ অরলিন্সের পুলিশ সুপারইনটেনডেন্ট অ্যান্নে কার্কপ্যাট্রিক বলেন, এটা কেবল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডই না, ভয়ঙ্কর দানবীয় ঘটনা। এই হত্যাকাণ্ড ঘটাবে বলে অঙ্গীকার করেই এসেছিল ওই গাড়িচালক। ট্রাক থেকে বের হয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করলে পুলিশ তার জবাব দিয়েছে। এতে সে নিহত হয়।
এফবিআইয়ের অ্যাসিস্টেন্ট স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ অ্যালেথিয়া ডানকান বলেন, ‘শামসুদ্দিন একাই এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে আমরা মনে করছি না।’
৩৬১ দিন আগে