বিশ্ব
বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী আহত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস দেশ ছেড়েছেন।
হামলার পর সরিয়ে নেওয়া আহত কর্মীর কথা উল্লেখ করে তেদ্রোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা এখন জর্দানে রয়েছি। সেখানে তাকে আরও চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) টেড্রোস ও জাতিসংঘের অন্য কর্মকর্তারা যখন ইয়েমেন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হুথিদের হাতে আটক জাতিসংঘের ১৩ কর্মীর মুক্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিতে দেশটিতে যাওয়া টেড্রোস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সব জায়গায় বেসামরিক নাগরিক ও মানবতাবাদীদের ওপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ইরানি অস্ত্র চোরাচালানে ব্যবহৃত হুথিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বিমান হামলায় হতাহতের কথা জানিয়ে বলেছে, এতে বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থানের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিমাণ এবং হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
৩৬৬ দিন আগে
আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সেনাসহ নিহত ২২
আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৯ পাকিস্তানি সেনা এবং তিন বেসামরিক আফগান নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে তোলো নিউজ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত ও পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পাকতিয়া প্রদেশে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে।
আফগান সীমান্তরক্ষী বাহিনী খোস্ত প্রদেশের আলি শির জেলায় বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক পোস্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এছাড়া পাকতিয়া প্রদেশের দান্দ-ই-পাতান জেলায় দুটি পাকিস্তানি পোস্ট দখল করেছে তারা।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৪ জন নিহত
সূত্রটি জানিয়েছে, দান্দ-ই-পাতান জেলায় পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া মর্টার শেলে তিন আফগান নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানি সেনাদের বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ৫১ জন নিহত হওয়ার পর এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩৬৬ দিন আগে
মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন
রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির স্থপতি হিসেবে খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
বৃহস্পতিবার ৯২ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পর শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সকালে প্রয়াত এই প্রধানমন্ত্রীর লাশ নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও পরিবারের সদস্যরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তার কফিন ফুল দিয়ে সজ্জিত এবং ভারতীয় পতাকায় মোড়ানো ছিল। নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে আনুষ্ঠানিক গান স্যালুট দিয়ে সম্মানিত করেন।
পরে সেনাবাহিনীর ঢাকঢোল পিটিয়ে শেষকৃত্যের জন্য তার দেহ শ্মশানে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন
কংগ্রেস নেতা অভিষেক বিষ্ণোই বলেন, ‘মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু দেশের জন্য বড় ক্ষতি। তিনি খুব কম কথা বলতেন, কিন্তু তার প্রতিভা ও কাজ তার কথার চেয়ে জোরে কথা বলত।’
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বেশ কয়েকজন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে শেষকৃত্যে অংশ নিতে দেখা যায়।
শ্মশানে মনমোহন সিংয়ের দেহ একটি চিতায় তোলা হয়। সে সময় পাশ থেকে ধর্মীয় স্তোত্র বাজানো হয় এবং লাশের দাহ সম্পন্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু, ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩৬৬ দিন আগে
মনমোহন সিংয়ের মৃত্যু, ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে দেশটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ৯২ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।
ভারতের অর্থনৈতিক উদারীকরণের স্থপতি হিসেবে পরিচিত মনমোহন সিং রূপান্তরমূলক অর্থনৈতিক সংস্কারের পথপ্রদর্শক। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাত দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবারের নির্ধারিত সমস্ত সরকারি কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে কংগ্রেস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনসহ সকল অনুষ্ঠান আগামী সাত দিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রবিবার সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীকে দাফন করা হবে: মেয়ে সামিরা
রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা
শনিবার সকাল ১১টায় দিল্লির শক্তি স্থলের কাছে সিং-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাকে আনুষ্ঠানিক ২১ বার বন্দুকের স্যালুটসহ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়া হবে। তার লাশ জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হবে এবং তার শেষ যাত্রায় সামরিক ব্যান্ড ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা একটি ঐতিহ্যবাহী পদযাত্রার সঙ্গী হবেন।
জাতির প্রতি তার অবদানকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি বিশেষ প্রোটোকল পালন করা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক সীমারেখার ঊর্ধ্বে উঠে তার প্রতি শ্রদ্ধাকে চিহ্নিত করে।
একজন দূরদর্শী নেতার মৃত্যু
হাসপাতালের অফিসিয়াল একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৬ ডিসেম্বর বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তাকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (এইমস) ভর্তি করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতার জন্য তার চিকিৎসা চলছিল এবং বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল। পরে রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাকে দিল্লির এইমসের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও রাত ৯টা ৫১ মিনিটে মারা যান তিনি।
কর্ণাটকের বেলাগাভিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের সময় সিং-এর মৃত্যু হয়। এই খবর পেয়েই দলের শীর্ষ নেতারা দিল্লি ছুটে যান।
অর্থনীতির সংস্কারক
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওয়ের অধীনে অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন মনমোহন সিং ভারতের ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক সংস্কারের স্থপতি হিসাবে আবির্ভূত হন। তার নীতিগুলো ভারতকে অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের পর্যায় থেকে উদ্ধার করে উদারীকরণ ও প্রবৃদ্ধির যুগের ভিত্তি গড়ে তোলে,যা দেশের অর্থনৈতিক গতিপথকে রূপান্তরিত করেছিল।
২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সিং দ্রুত উন্নয়নের সঙ্গে ভারতকে পরিচালনা করেছিলেন। সেসময় তিনি তার শান্ত আচরণ এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য প্রশংসিত হন।
তার মৃ্ত্যুতে ভারতীয় রাজনীতি ও অর্থনীতির একটি যুগের অবসান হলো। তার প্রতি সারা দেশের শ্রদ্ধা ভারতের ইতিহাস এবং এর ভবিষ্যতের উপর তার কাজের গভীর প্রভাবকে প্রতিফলিত করে।
সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম ও অন্যান্য
আরও পড়ুন: ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন
৩৬৭ দিন আগে
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন
ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সই করা ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তির স্থপতি হিসেবে পরিচিত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২।
হাসপাতালের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বাড়িতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায়’ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে তাকে নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, 'বাড়িতে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা শুরু করা হয়েছিল। রাত ৮টা ৬ মিনিটে তাকে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু ‘সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি এবং রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বয়সজনিত অসুস্থতা' নিয়ে সিংয়ের চিকিৎসা চলছিল।
একজন মৃদুভাষী টেকনোক্র্যাট, মনমোহন সিং ১০ বছরের জন্য ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং দুর্দান্ত ব্যক্তিগত সততার মানুষ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ২০০৪ সালে নিহত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিধবা স্ত্রী সোনিয়া গান্ধী তাকে এই দায়িত্ব পালন করার জন্য বেছে নিয়েছিলেন।
কিন্তু মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত সিং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর ফলে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে কংগ্রেস পার্টির শোচনীয় পরাজয় হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পর সিং সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন।
২০১৪ সালে মনমোহনের স্থলাভিষিক্ত হওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে ভারতের অন্যতম 'বিশিষ্ট নেতা' বলে অভিহিত করেন, যিনি নম্র উৎস থেকে উঠে এসেছেন এবং 'বছরের পর বছর ধরে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিতে একটি শক্তিশালী ছাপ রেখে গেছেন'।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে মোদী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি(মনমোহন সিং) মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।’ তিনি একজন আইনপ্রণেতা হিসাবে সংসদে মনমোহনের হস্তক্ষেপকে ‘অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেছিলেন যে ‘তার প্রজ্ঞা এবং নম্রতা সর্বদা দৃশ্যমান ছিল।’
৩৬৭ দিন আগে
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ কর্মকর্তা নিহত, আহত ১০
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় দেশটির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তারতুস প্রদেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল রহমান।
স্থানীয় আল-ওয়াতান সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে মন্ত্রী হামলাকারীদের সাবেক আসাদ সরকারের 'অংশ' বলে বর্ণনা করেছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত কর্মকর্তারা নিরাপত্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা দেশটিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
বুধবার, আলেপ্পোতে আলাউয়ি উপাসকদের দ্বারা সম্মানিত একটি মাজারে কথিত হামলার একটি ভিডিও প্রচারিত হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং জবাবদিহির আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা।
বেশ কয়েকটি প্রধানত আলাউয়ি অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে নতুন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় প্রতীক রক্ষায় যথেষ্ট কাজ করছে না।
এদিকে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই ধরনের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে, পতিত সরকারের অবশিষ্টাংশগুলো বিভেদ ছড়াতে সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় এক সপ্তাহে নিহত অন্তত ৩৭০: জাতিসংঘ
৩৬৮ দিন আগে
কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত
কাজাখস্তানে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) আকতাউয়ের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলে লাগা আগুন নেভাতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের পরিচালিত বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের গ্রোজনিতে যাচ্ছিল। কিন্তু, গ্রোজনিতে ঘন কুয়াশার কারণে কাজাখস্তানের দিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তবে আজারবাইজান এয়ারলাইন্স এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।
স্থানীয় কাজাখ গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিমানটিতে ১০৫ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
বিমানটিতে কতজন আরোহী ছিলেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে বলা হয়েছে, বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও পাঁচজন ক্রু ছিলেন।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান ও এপি
৩৬৯ দিন আগে
হাইতিতে হাসপাতালে বন্দুকধারীদের হামলায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ নিহত ৩
হাইতির সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালে বন্দুকধারীর হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। নিহতদের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশ রয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দেশটির সবচেয়ে বড় হাসপাতালটি পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সশস্ত্র ব্যক্তিরা গুলি চালালে সাংবাদিক, পুলিশ ও চিকিৎসাকর্মীদের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবারের ওই হামলায় আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারে ট্রাকের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, রাজস্থানে নিহত ৯
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এই ঘটনার এক প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায় ভবনের ভেতরে বেশ কয়েকজনকে আহত বা মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
শহরের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গ্যাং দলের দখল ও ধ্বংস হওয়ার পরে জুলাইতে হাইতির সরকার অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করেছিল।
অস্ত্রধারীরা এমন সময় গুলি চালিয়েছিল যখন সাংবাদিকরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী লর্থ ব্লেমার আগমনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
খবরে বলা হয়, দুই সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
সহিংসতার প্রত্যক্ষদর্শী ফটো সাংবাদিক দিউগো আন্দ্রে হাইতিয়ান টাইমসকে বলেন, ‘এটি একটি ভয়ানক সিনেমার মতো দৃশ্য ছিল এটি।’
তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকজন আহত সাংবাদিকের রক্ত আমার পোশাকে লেগে আছে।’
জানা গেছে, ভিভ আনসানাম গ্যাংয়ের সদস্যরাই এই হামলা চালিয়েছে।
এক ভিডিও বিবৃতিতে হাইতির প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান লেসলি ভলতেয়ার বলেন, 'আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, বিশেষ করে হাইতি ন্যাশনাল পুলিশ এবং সকল সাংবাদিক সংগঠনের প্রতি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের গ্যারান্টি দিচ্ছি যে এই কাজটির জন্য আমরা শাস্তির ব্যবস্থা না নিয়ে বসে থাকব না।’
এপ্রিলে একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা এবং ছয় মাস আগে কেনিয়ার পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন করা সত্ত্বেও হাইতির জনগণ অসহনীয় মাত্রার দলবদ্ধ অস্ত্রধারীদের দ্বার হামলার শিকার হচ্ছেন।
২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে হত্যার পর থেকে হাইতিতে গ্যাং সহিংসতা চলছে।
পোর্ট-অ-প্রিন্সের আনুমানিক ৮৫ শতাংশ এখনও গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে।
জাতিসংঘ বলছে, শুধু এ বছরই হাইতিতে সহিংসতায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশটি এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৫
৩৬৯ দিন আগে
গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কারে ট্রাকের ধাক্কায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, রাজস্থানে নিহত ৯
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে গ্যাসবাহী ট্যাঙ্কার ও ট্রাকের সংঘর্ষে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজস্থানের জয়পুর জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের সংখ্যার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাদের অধিকাংশের পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আরও প্রায় ৪০ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জয়পুরের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আজকালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিএনজি-ভর্তি ট্যাঙ্কারটি পেট্রোল পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় হঠাৎ একটি ট্রাক এসে সেটিকে ধাক্কা মারলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে তা পেট্রোল পাম্পের আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পলকে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বেশ কয়েকটি গাড়ি।
পরে ফায়ার সর্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কতগুলো গাড়ি পুড়ে গেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে জয়পুরের জেলা প্রশাসক জীতেন্দ্র সোনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৪০টি গাড়ি পুড়ে গেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের খোঁজখবর নেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
৩৭৩ দিন আগে
নাইজেরিয়ায় উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত বেড়ে ৩৫
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়ো রাজ্যের রাজধানী ইবাদানে আয়োজিত শিশুদের উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র আদেওয়ালে ওসিফেসো সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত ৩৫ শিশু-কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আরও ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
উৎসবের আয়োজক হিসেবে চিহ্নিত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মামলাটি ইয়াগানকুতে (ইবাদান) রাজ্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের হোমিসাইড বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার।
বুধবার সকালে বেসরকারি আয়োজকরা ৫ হাজার শিশুকে নগদ অর্থ বিতরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর উৎসব শুরু হলেও পরে তা শোকে পরিণত হয়।
৩৭৩ দিন আগে