বিশ্ব
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭ শিশুসহ নিহত ২৮
গাজা উপত্যকায় সর্বশেষ ইসরায়েলি বিমান হামলায় সাত শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মকর্তারা।
দাইর আল-বালাহ শহরের আল-আকসা শহিদ হাসপাতাল জানিয়েছে, বুধবার রাত থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত হামলায় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়ি ধসে পড়েছে।
এছাড়া অন্য দুটি পৃথক হামলায় আরও ১৫ জন নিহত হয়েছে। নিহতরা ত্রাণবাহী গাড়িবহরের নিরাপত্তায় গঠিত কমিটির সদস্য ছিলেন। হামাস পরিচালিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা এসব কমিটি গঠন করেছে।
খান ইউনুসের নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী শহর রাফাহর কাছে বিমান হামলায় অন্তত ৮ জন এবং এর আধঘণ্টা পরে খান ইউনিসের কাছে বিমান হামলায় আরও ৭ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা করে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৮০০ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের অর্ধের বেশি নারী ও শিশু।
এছাড়া, যুদ্ধে ১৭ হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে এই তথ্যের কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি তারা।
৩৮২ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর আত্মহত্যার চেষ্টা দ. কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা প্রধানের
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিতর্কিত সামরিক আইন ঘোষণায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর আটক অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
আটক কেন্দ্রের কর্মীরা তার আত্মহত্যাচেষ্টা প্রতিরোধ করেছেন এবং সাবেক এই মন্ত্রী এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং হিউনকে বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হলেন প্রথম ব্যক্তি যাকে ৩ ডিসেম্বর জারি করা সামরিক আইন আদেশের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে আটক করা হয়।
এই ডিক্রি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও অর্থনীতিকে সাময়িকভাবে অচল করে দিয়েছিল এবং সারা দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ তাদের তদন্ত জোরদার করছে। পুলিশ ইয়ুনের অফিসে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়েছে। অন্যদিকে দেশটির বিরোধী আইনপ্রণেতারা গত শনিবার ব্যর্থ চেষ্টার পর প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের জন্য পুনরায় একটি প্রস্তাব জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অভিযোগ করেছে, ইউনের সামরিক আইন জারি অসাংবিধানিক ছিল। তিনিসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের জন্য অভিযুক্ত করে দলটি।
সামরিক কমান্ডাররা সাক্ষ্য দিয়েছেন,আইনপ্রণেতারা যাতে আদেশ উল্টাতে না পারে সেজন্য তাদের বাধা দিতে সৈন্যদের সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন ইউন। অন্যদিকে পাল্টা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, রাজনৈতিক বিরোধীদের আটক করার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। সাংবিধানিক ধারাকে পাশ কাটিয়ে এবং গণতান্ত্রিক রীতিনীতি লঙ্ঘনের দায়ে গত ৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে বাতিল হওয়া এই আদেশ ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়ে।
অভিশংসন প্রক্রিয়া সফল হলে সাংবিধানিক আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত ইয়ুনের ক্ষমতা স্থগিত করা হবে। পদ থেকে বরখাস্ত হলে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দেবে।
এই অস্থিরতা আন্তর্জাতিকভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম অস্থিরতা সম্পর্কে প্রতিবেদন করেছে। এতে বলা হয়, এটি একটি বিরল পদক্ষেপ যা দক্ষিণ কোরিয়ার অস্থিতিশীলতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা।
এদিকে, সমালোচকরা যুক্তি দেখান, চলমান রাজনৈতিক বিরোধের মধ্যে ইউনের সামরিক আইন জারি একটি বাড়াবাড়ি ছিল, যা এশিয়ার অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গণতন্ত্রের বিভক্তিকে আরও গভীর করেছিল।
৩৮৩ দিন আগে
নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীরা ৫০ জনকে অপহরণ করেছে
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা রাজ্যে বন্দুকধারীরা নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জনকে অপহরণ করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দেশটির পুলিশ ও বাসিন্দারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সর্বশেষ গণ অপহরণের ঘটনাটি এই অঞ্চলে চলমান নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে তুলে ধরেছে। ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো সামান্য প্রতিরোধের মধ্যে এসব কাজ করছে।
কমিউনিটি নেতা হালিরু আত্তাহিরু জানান, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অভিযান চালানো হয়। এসময় ‘বেশ কয়েকজন নারী ও ছোট শিশুকে অপহরণ করা হয়েছে।’
আত্তাহিরু বলেন, কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও পদক্ষেপ নেয়নি।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২
তাসিউ হামিদু নামে আরেক বাসিন্দা জানিয়েছেন, বন্দুকধারীরা বিনা প্রতিরোধের মধ্যে একটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে অপহরণ করেছে।
জামফারা পুলিশের মুখপাত্র ইয়াজিদ আবুবকর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানাননি। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও স্থানীয়রা সন্দেহ করছে যে, গণহারে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির সঙ্গে পরিচিত ডাকাত দলগুলো জড়িত। এই গোষ্ঠীগুলো, প্রায়শই বসতি স্থাপনকারী প্রাক্তন পশুপালক সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে। এর ফলে সংঘাত-প্রবণ উত্তরাঞ্চলে একটি স্থায়ী হুমকি হয়ে উঠেছে তারা।
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ বেড়ে গেছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দুর্বল নিরাপত্তার সুযোগ নিয়ে গ্রাম ও পর্যটকদের লক্ষ্যবস্তু করছে। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীকে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দেওয়ার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রতিবেশী কাদুনা রাজ্যে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকার পর ১৩০ জনেরও বেশি স্কুলশিক্ষার্থীকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতা মোকাবিলায় সামরিক বাহিনী প্রচেষ্টা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেনাপ্রধান ওলুফেমি ওলুয়েদে সংকট মোকাবিলায় নতুন করে অভিযানের ওপর জোর দিয়েছেন। তবে, ২০১৪ সালের কুখ্যাত চিবোক স্কুলছাত্রী অপহরণসহ অপহরণের ধারাবাহিকতা এই চ্যালেঞ্জের মাত্রাকে তুলে ধরে। চিবোক থেকে অপহৃত ২৭৬ জন মেয়ের মধ্যে প্রায় ১০০ জন এক দশক পরেও বন্দী অবস্থায় রয়েছে।
তারপর থেকে দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অন্যান্য অপরাধের জন্য মুক্তিপণ ব্যবহার করে। দুর্বল নিরাপত্তার ব্যবস্থার কারণে নাইজেরিয়া সম্পদ-সমৃদ্ধ উত্তরাঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তার করে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে ২৭ জন নিহত, নিখোঁজ শতাধিক
৩৮৩ দিন আগে
কায়রোয় ভবন ধসে নিহত ৮
মিসরের কায়রোতে একটি ছয়তলা আবাসিক ভবন ধসে অন্তত আটজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
দেশটির রাজধানীর আল-ওয়াইলি জেলার আব্বাসিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিসরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ৯টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্থদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল-গাফফার জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ অপসারণে সহায়তা করতে এবং আরও জীবিত বা মৃতদের সন্ধানে কাজ করছে উদ্ধারকারীরা।
কায়রোর গভর্নর ইব্রাহিম সাবের খলিল সতর্কতার অংশ হিসেবে আশপাশের ভবনগুলো খালি করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং ধসের কারণ অনুসন্ধানে একটি প্রকৌশল কমিটি গঠন করেছেন।
৩৮৩ দিন আগে
আসাদের পতন: সিরীয়দের এখনই আশ্রয় দেবে না ইউরোপের একাধিক দেশ
বাশার আল আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় অস্পষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশটির নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে জার্মানিসহ একাধিক ইউরোপীয় দেশ।
এ বিষয়ে সোমবার জার্মানির অভিবাসন ও রিফিউজি বিষয়ক দপ্তর জানিয়েছে, (সিরিয়া থেকে) ৪৭ হাজারের বেশি (আশ্রয়ের) আবেদন এসেছে, যেগুলো অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে দেশটির পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে আবেদনগুলো পুনর্মূল্যায়ন করে ফের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোনিয়া কক বলেছেন, (বিদেশিদের) আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে প্রতিটি ঘটনা আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর দেশের পরিস্থিতিও মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। সিরিয়ার বর্তমান অবস্থার মতো পরিস্থিতি যদি অস্পষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের আবেদনগুলো অগ্রাধিকার পায়।
জার্মান কর্মকর্তারা বলছেন, আসাদের পতন ২০১০ দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া সিরীয়দের ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা বলার সময় এখনও আসেনি।
জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশটিতে ৯ লাখ ৭৪ হাজার ১৩৬ জন সিরীয় নাগরিক রয়েছেন। তাদের বেশিরভাগেরই কোনো না কোনো শরণার্থী বা অন্য ধরনের সুরক্ষিত মর্যাদা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নান্সি ফায়েজার বলেছেন, (আসাদ ক্ষমতায়) ফিরে আসবেন কিনা, সে সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা এখনই সম্ভব নয় এবং এই ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এটি অনুমান করাও ঠিক হবে না।
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ
এদিকে, জার্মানির প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহামারও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিরীয়দের আশ্রয় আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখতে বলেছেন।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার শালেনবেয়ার্গ বলেন, ‘আশ্রয় ও পরিবারের পুনর্মিলন কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রথমে সত্য প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ। (সিরিয়ায়) পরিস্থিতি শান্ত হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, যাতে আমরা দেখতে পারি কী ঘটছে এবং পরবর্তীতে এর কী প্রভাব পড়ে।
সিরিয়া থেকে পাওয়া আশ্রয় আবেদনগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানিয়েছে সুইডেনও। দেশটির অভিবাস সংস্থা বলেছে, আবেদনকারীদের নিরাপত্তা চাওয়ার কারণগুলো এই মুহূর্তে মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।
এই বিরতি কতদিনের জন্য, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার সময়ও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে তারা।
এছাড়া, সিরীয়দের বিষয়ে ফিনল্যান্ডও তাদের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার কথা জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ফিনল্যান্ডের সরকারি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির অভিবাসন পরিষেবার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক আন্টি লেহটিনেন বলেছেন, এ (সিরীয়দের) বিষয়ে আবার কবে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি।
একই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে নরওয়ের অভিবাসন অধিদপ্তর বলেছে, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা সিরিয়া থেকে আসা আশ্রয়ের আবেদন স্থগিত রেখেছে।
এ ছাড়াও, জার্মানির কার্যক্রম পদাঙ্ক অনুসরণ করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আমরা সিরিয়া থেকে আসা আশ্রয়ের আবেদনগুলো স্থগিতের বিষয়ে কাজ করছি। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাব।
ফ্রান্সে সিরিয়ার নাগরিকদের ৪৫০টি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
৩৮৪ দিন আগে
ইতালিতে তেলের ডিপো বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪
ইতালির তুস্কানি অঞ্চলের একটি জ্বালানি তেলের ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর মঙ্গলবার আরও দুটি লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়াল।
ফ্লোরেন্সের উত্তরে ইএনআইয়ের একটি তেলের ডিপোতে সোমবার বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরনের পর বাতাসে ধোঁয়ার কুণ্ডলী এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে কয়েক মাইল দূর থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড় ধরনের বিস্ফোরণ ও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
বিস্ফোরণে একটি ভবন ধসে পড়ে, যেখানে একটি অফিস ছিল। ভবনটির একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও ১৪ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তুস্কানির গভর্নর ইউজেনিও জিয়ানি।
বিস্ফোরণের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরের জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয় প্রশাসন। চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় আঞ্চলিক ট্রেন চলাচলও সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয়।
কালেনসানো শহরের ডিপোতে বিস্ফোরণের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ইএনআই তেল কোম্পানি।
৩৮৪ দিন আগে
নেপালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৮
নেপালের মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলীয় রাউতাহাট জেলায় একটি স্পোর্টস ইউটিলিটি গাড়ি মহাসড়ক থেকে উল্টে খাদে পড়ে আটজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ১৩ জন আরোহী নিয়ে গাড়িটি বারা জেলার একটি মন্দির দর্শন শেষে তীর্থযাত্রীদের বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিল।
রাউতাহাট জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা রাম কুমার মাহাতো বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বেপরোয়া গতির কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান।’
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর এবং হতাহতরা সবাই সিরাহা জেলার একই গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান মাহাতো।
পাহাড়বেষ্টিত নেপালে প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষ প্রাণ হারায়।
৩৮৪ দিন আগে
মুম্বাইয়ে বাসচাপায় নিহত ৬
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে একটি সরকারি বাস বেশ কয়েকটি যানবাহন ও পথচারীকে চাপা দিলে অনন্ত ছয়জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
সোমবার গভীর রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে মঙ্গলবার স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বাসের চালকও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তদন্ত চলছে।
৩৮৪ দিন আগে
দেশ ছেড়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদ
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদুররহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। দামেস্কে বিরোধী পক্ষের নাটকীয়ভাবে অগ্রসরের পর তিনি দামেস্ক ছাড়েন।
রবিবার ভোরে বিরোধী গোষ্ঠীগুলো ঘোষণা দেয়, তারা ২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মতো সিরিয়ার রাজধানীতে প্রবেশ করেছে। বিরোধীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমে শেয়ার করা ফুটেজে দেখা গেছে, একটি কেন্দ্রীয় চত্বরে একটি ট্যাংক রয়েছে, মসজিদ থেকে "আল্লাহু আকবর" স্লোগানের সঙ্গে উদযাপন শুরু হয়।
বিদ্রোহীরা দ্রুত অগ্রসর হয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করেছে। এর মধ্যে আলেপ্পো, হোমস, হামা শহর এবং দক্ষিণ সিরিয়ার বড় একটি অংশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর ওপর বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ৮৯
দামেস্ক ও উপকূলীয় দুর্গগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল হোমস দখল করাকে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকারি বাহিনী হোমসের বাইরের এলাকাগুলোতে পিছু হটেছে। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো দামেস্কের নিকটবর্তী সাইদনায়া সামরিক কারাগারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে এবং এর বন্দিদের মুক্ত করছে বলে জানা গেছে।
যদিও সরকার আসাদের প্রস্থানের বিষয়টি অস্বীকার করেছে, দামেস্কের বাসিন্দারা সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দোকানগুলোতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র শেষ হয়ে গেছে এবং হাজার হাজার লোক লেবাননের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।সেখানে সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গ্রুপের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীরা অগ্রসর হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাশিয়া, ইরান ও হিজবুল্লাহর মতো মিত্রদের কাছ থেকে আসাদের সমর্থন ধীরে ধীরে কমে যাওয়ায় তার অবস্থান দুর্বল হয়ে গেছে।
রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান জোরালোভাবে জোরালো হচ্ছে। সিরিয়াবিষয়ক জাতিসংঘের দূত গিয়ার পেডারসেন রাজনৈতিক উত্তরণের জন্য অবিলম্বে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা সম্ভাব্য সমাধানগুলো নিয়ে আলোচনা করতে কাতারে মিলিত হয়েছেন, মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা এবং যুদ্ধ অবসানের উপর জোর দিয়েছেন।
এদিকে, এইচটিএস এবং এর সহযোগীরা রাজধানী ও অন্যান্য এলাকায় নিয়ন্ত্রণ সুদৃঢ় করেছে। ২০১১ সালে সংঘাত শুরু হওয়ার পর আসাদের শাসনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি এটি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে ১২ জন উদ্ধারকর্মী এবং সিরিয়ায় ১৫ জন নিহত
৩৮৬ দিন আগে
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই শনিবার ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জাবেইল জেলার বেইত লিফ গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, দক্ষিণ লেবাননের দেইর সিরিয়ান গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এনএনএ আরও জানায়, ২৪ নভেম্বর বৈরুতের বাস্তা এলাকায় একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার সিরীয় নাগরিক নিহত হন। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো সেসব লাশ উদ্ধার করে।
ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ২৭ নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
চুক্তির অধীনে, উভয় পক্ষ ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল ধীরে ধীরে দক্ষিণ লেবানন থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ লিতানি নদীর উত্তর দিকে সরে যাবে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে চুক্তির স্থায়িত্ব সম্পর্কে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
৩৮৬ দিন আগে