বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন নিয়ে দেশের বাজারে ওয়ানপ্লাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা
স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের স্মার্টফোন বাজারে যাত্রা শুরু করেছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মে) ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি করা স্মার্টফোন ‘নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’ উন্মোচন করা হয়।
আনুষ্ঠানিক এই যাত্রার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সব ব্যবহারকারীর জন্য ব্যতিক্রমধর্মী বিক্রয় পরবর্তী সেবা, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম নিশ্চিত করবে ওয়ানপ্লাস।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাশাপাশি, ওয়ারেন্টি স্ট্যাটাস বিবেচনায় না নিয়ে ওয়ানপ্লাসের গ্লোবাল ভার্সনের স্মার্টফোনে ভার্টিকাল লাইনের সমস্যার ক্ষেত্রে বিনামূল্যে রিপেয়ার সেবা দিবে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রথম পর্যায়ে সারা দেশের ৩৫টি স্থানে (২২টি সার্ভিস সেন্টার ও ১৩টি সার্ভিস পয়েন্ট) বিক্রয় পরবর্তী সেবা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি গ্লোবাল ভার্সনের পণ্যের ক্ষেত্রে ৭ দিনের স্মার্টফোন রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি ও ১২ মাসের স্মার্টফোন সার্ভিস দেবে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র আফটার সেলস সার্ভিস ডিরেক্টর মো. রুবায়েত ফেরদৌস চৌধুরী বলেন, ‘আমরা নির্ভরযোগ্য বিক্রয় পরবর্তী সেবার গুরুত্ব বুঝি। তাই, দেশের সব ওয়ানপ্লাস ব্যবহারকারীর জন্য ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের গ্লোবাল ভার্সন স্মার্টফোনের ডিসপ্লের ভার্টিকাল লাইনের সমস্যায় ফ্রি রিপেয়ার সার্ভিস দিব।’
স্থানীয় উৎপাদনের শুরুতেই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন ‘বিগার, লাউডার, ফাস্টার’ ওয়ানপ্লাস নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে টিকটকের মামলা
৫৯২ দিন আগে
২-৩ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে: শাহজাহান মাহমুদ
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে এবং ২-৩ বছরের মধ্যে চালু করা হবে।
দ্বিতীয় স্যাটেলাইট বাংলাদেশ আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট হবে বলে জানান তিনি।
রবিবার (১২ মে) রাতে ঢাকা ক্লাবে দেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর সফল উৎক্ষেপণের ষষ্ঠ বার্ষিকীতে তিনি এ কথা বলেন।
স্যাটেলাইটটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ, কৃষি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত পরিবর্তন মূল্যায়নসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে।
কার্যকর উৎক্ষেপণের ফলে প্রথম স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল তিন বছর থেকে ১৮ বছর বাড়ানো সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শাহজাহান।
২০১৮ সালের মে মাসে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের আওতায় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
এখন বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ৪০টি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন এবং রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনের তিনটি চ্যানেল অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট সেবা প্রদান শুরু করেছে।
এছাড়া ২৬টি বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের জন্য বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ব্যবহার করে।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এবং এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস এসএএস, ফ্রান্সের মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট সিস্টেমের বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
সে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে এবং এটির উৎক্ষেপণ বাংলাদেশকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সাহায্য করবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান।
৫৯৪ দিন আগে
সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে টিকটকের মামলা
অনলাইন ভিডিও বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টিকটকের চীনের নাগরিকের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে।
টিকটকের মতো অতি জনপ্রিয় অ্যাপটি বিক্রি করতে বা দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে বাইটড্যান্সকে বাধ্য করার আইনের বৈধতা নিয়ে মঙ্গলবার এ মামলা করে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে গত মাসে মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষে টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি বিলে সই করে একে আইনে পরিণত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া সার্কিটের আপিল আদালতে দায়ের করা আবেদনে টিকটক জানিয়েছে, ‘কংগ্রেস টিকটককে স্পষ্টভাবে একঘরে করা এবং নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে। ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান ভিডিও তৈরি-অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করা ও মত প্রকাশের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে থাকে। আইন প্রণয়নের মাধ্যমে টিকটককে স্থায়ী ও দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মাধ্যমে প্রত্যেক আমেরিকানকে বিশ্বজুড়ে ১ বিলিয়নেরও বেশি মানুষের সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্ম শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়।’
'প্রোটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভার্সারি কন্ট্রোল্ড অ্যাপ্লিকেশন্স অ্যাক্ট' আইনটি অসাংবিধানিক বলে টিকটক আবেদনে উল্লেখ করেছে।
টিকটক কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘টিকটক নিষিদ্ধ করা এতটাই অসাংবিধানিক যে এই আইনের স্পনসররাও এই বাস্তবতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাই আইনটিকে মোটেও নিষেধাজ্ঞা হিসেবে নয়, বরং টিকটকের মালিকানার নিয়ন্ত্রণ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।’
আইনটির মাধ্যমে বাইটড্যান্সকে চীনের বাইরের কোনো ক্রেতার কাছে টিকটক বিক্রি করতে ২৭০ দিনের সময় দেওয়া হয়। আর বলা হয় যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন মনে করেন, তবে আরও ৯০ দিন বাড়ানো হতে পারে।
টিকটক জানায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক চালু রাখতে এই আইন অনুযায়ী ‘যোগ্য বিভাজন’ সম্ভব নয়। সেটা বাণিজ্যিকভাবে, প্রযুক্তিগতভাবে বা আইনতই হোক না কেন।
‘বাস্তবতা হলো, কোনও বিকল্প নেই’ উল্লেখ করে টিকটক বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনত ‘যোগ্য বিভাজন’সম্ভব নয়। যা বাণিজ্যিকভাবে, প্রযুক্তিগতভাবে কিংবা আইনতও সম্ভব নয়।
চীনা মালিকানার কারণে ভিত্তিহীন জাতীয় সুরক্ষা উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষযে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এবং বাইরের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। কী কারণে ওয়াশিংটন জনপ্রিয় এই অ্যাপটি বন্ধে উঠেপড়ে লেগেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে সাংবিধানিক অধিকার এবং সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার নীতি লঙ্ঘনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
৫৯৯ দিন আগে
হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের এশিয়া প্যাসিফিক পর্বে রুয়েট তৃতীয়
হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশন-এর এশিয়া প্যাসিফিক (এপিএসি) পর্বে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীদের একটি দল তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এপিএসি অ্যাওয়ার্ড সিরিমনিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত বছর শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারেরও বেশি স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক ট্র্যাক, ক্লাউড ট্র্যাক, কম্পিউটিং ট্র্যাক ও ইনোভেশন ট্র্যাকের চারটি গ্রুপে অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল।
প্রতিটি ট্র্যাক থেকে ১০ জন শিক্ষার্থীকে তাদের অধ্যয়ন ও পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
পরে তাদের মধ্য থেকে শীর্ষ ১২জন চারটি দলে ভাগ হয়ে এপিএসি পর্বে যোগ দেয়। রুয়েটের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি একটি দল যোগ দেয় নেটওয়ার্ক ট্র্যাকে এবং আরেকটি দল যোগ দেয় কম্পিউটিং ট্র্যাকে। এই ট্র্যাকে প্রতিযোগিতা করে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আরও একটি দল। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি দল যোগ দেয় ক্লাউড ট্র্যাকে। এই চার দলের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্র্যাক গ্রুপে অংশগ্রহণকারী রুয়েটের তিনজনের দলটি এপিএসি পর্বের ১৪টি দেশের ৬ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে শীর্ষ তিনে জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের ৪ পুরস্কার অর্জন
বিজয়ী দলে রয়েছে রুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শুভাম আগারওয়ালা, রাকেশ কার এবং মো. মাজহারুল ইসলাম। আজ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় তাদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়। আগামী মাসে দলটি চীনের শেনজেনে অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল রাউন্ডে অংশ নেবে।
রুয়েটের বিজয়ী দলের সদস্য শুভাম আগারওয়ালা বলেন, ‘এই প্রতিযোগিতা আমাদের আইসিটি এবং নেটওয়ার্ক সেক্টর সম্পর্কে নতুন কিছু শেখার অনেক সুযোগ দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মেও আসতে পেরেছি। ষ্টেজে সবার সামনে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দাঁড়ান আমাদের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা ছিল। এমন অভাবনীয় সুযোগ তৈরি করার জন্য আমরা হুয়াওয়ের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আমরা গ্লোবাল রাউন্ডে আরও ভালো কিছু অর্জনের চেষ্টা আমাদের থাকবে।’
হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার বোর্ড সদস্য লিজংশেং (জেসন) বলেন, ‘হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, তরুণরা যেকোনো দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে যে বিশাল সংখ্যক তরুণ রয়েছে তাদের সম্ভাবনা অসীম। আর সেই বিশ্বাস নিয়েই হুয়াওয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আইসিটির জ্ঞান বৃদ্ধি করতে নানা ধরনের উদ্যোগের নিয়ে আসছে। বিজয়ী দলকে আমি অভিনন্দন জানাই। আমরা বাংলাদেশে প্রতিভা বিকাশের জন্য একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাব।’
জাকার্তার অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা রুয়েটের সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আজমাইন ইয়াক্কীন সৃজন বলেন, ‘আমার ছাত্ররা এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শুধু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বই করছে না, তারা সকলের মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করে নিয়েছে। এতে আমি খুবই গর্ববোধ করছি।’
তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ফলে তাদের জ্ঞান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমন আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তাদেরকে এমন একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য আমি হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।
গ্লোবাল রাউন্ডে প্রায় ৪০টি দেশের পাঁচশ’র বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে তৈরি ১৭০টিরও বেশি দল অংশগ্রহণ করবে। শুরুর পর এটি হুয়াওয়ে আইসিটি প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় অফলাইন গ্লোবাল ফাইনালে পরিণত হতে যাচ্ছে।
‘কানেকশন, গ্লোরি, অ্যান্ড ফিউচার’ থিমের এই ইভেন্টে দ্বিতীয় বারের মতো বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ৭২টিরও বেশি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে হুয়াওয়ে
৬১৯ দিন আগে
মে মাসের মধ্যে ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী মে মাসের মধ্যে ৫০০টি ডাকঘর এবং পর্যায়ক্রমে দেশের ৯ হাজার ৯৭০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।
আজ শনিবার (৩০ মার্চ) টুঙ্গিপাড়ার প্রধান ডাকঘর, কোটালীপাড়া উপজেলা ডাকঘর, রংপুরের পীরগঞ্জ ডাকঘর এবং যশোরের প্রধান ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরের উদ্বোধন উপলক্ষে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রূপান্তরের লক্ষ্যে শতাব্দীর প্রাচীন ডাক আইন পরিবর্তনসহ ডাকঘরের বিশাল অবকাঠামো, সুবিস্তীর্ণ জনপদ ও জনবলকে কাজে লাগাতে পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
পলক বলেন, স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট অব পো্স্ট অফিসের মাধ্যমে নিয়মিত ডাকসেবার পাশাপাশি দেশের দুর্গম এলাকাসহ প্রতিটি গ্রামের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্মার্ট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে। এর ফলে একদিকে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাস পাবে, অন্য দিকে গ্রামে বসেই ৩২৫টিরও বেশি ই-গভর্নমেন্ট সেবা, ই-কমার্স ও ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাবে। এই লক্ষ্যে সরকার দেশের প্রতিটি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তরে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় প্রচলিত ডাক ব্যবস্থাকে স্মার্ট ডাক ব্যবস্থায় রূপান্তর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪টি ডাকঘরের স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট উদ্বোধন করা হচ্ছে। এর আগে ১৯ মার্চ খুলনার কয়রা ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হয়। আগামী মে মাসের মধ্যে ৫০০টি ডাকঘর এবং পর্যায়ক্রমে দেশের বিদ্যমান ৯ হাজার ৯৭০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, ‘১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে প্রযুক্তি নির্ভর জাতিতে আমারা পরিণত হয়েছি। অগ্রগতির অগ্রযাত্রার এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জাতিতে আমরা পরিণত হবই।’
আরও পড়ুন: সব ডাকঘর স্মার্ট সার্ভিসে রূপান্তর করা হবে: পলক
স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট (এসএসপি) উদ্যোগ, প্রথাগত ডাক পরিষেবাগুলোর সঙ্গে ডিজিটাল সমাধানগুলোকে একীভূত করার একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পার্সেল ট্র্যাকিং, বিল পেমেন্ট এবং ই-কমার্স সুবিধার মতো সুযোগ-সুবিধার আয়োজন নিয়ে এই সার্ভিস পয়েন্ট বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অভিগম্যতা ও দক্ষতার বিপ্লব ঘটাবে।
তিনি ডাকঘরকে মেইল ডেলিভারি থেকে সার্ভিস ডেলিভারিতে রূপান্তরের এই পথচলাকে সহজ করতে ডাক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিদের যে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুশিয়ার উচ্চারণ করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, দক্ষিণাঞ্চল খুলনার পোস্ট মাস্টার জেনারেল সামসুল আলম,উত্তরাঞ্চল রাজশাহীর পোস্ট মাস্টার জেনারেল কাজী আসাদুজ্জামান, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম এবং রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান এবং পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ৪টি স্মাট সার্ভিস পয়েন্ট অব পোস্ট অফিসের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন।
আরও পড়ুন: জনগণের প্রতি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির দায় রয়েছে: পলক
৬৩৮ দিন আগে
সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেওয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না
সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা। গত বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিচারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফেসবুকে ২০১৯ সালে চালু হওয়া নিউজ ট্যাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি ছোট ও স্থানীয় প্রকাশনাগুলোর শিরোনামগুলো ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করেছে।
মেটা বলছে, ব্যবহারকারীরা সংবাদ নিবন্ধের লিংক দেখতে সক্ষম হবেন। সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের লেখা ও ওয়েবসাইটগুলো পোস্ট ও প্রচার করতে পারবে, যেমনটি অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ফেসবুকে করতে পারে।
ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ানো হয় এবং এটি রাজনৈতিক মেরুকরণে অবদান রাখে কি না, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পরে মেটা তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে সংবাদ ও রাজনৈতিক উপাদান হ্রাস করার চেষ্টার পরে এই পরিবর্তন আসে।
মেটার মুখপাত্র ড্যানি লিভার বলেছেন, ‘এই পরিবর্তন গ্রাহকের অনুসরণ করা অ্যাকাউন্টের পোস্টে প্রভাব ফেলবে না। এটি সিস্টেমের সুপারিশগুলোকে প্রভাবিত করে এবং ব্যবহারকারীরা যদি আরও বেশি চায়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’ ‘ঘোষণাটি এমন সময় আসছে, যখন ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে আমরা কীভাবে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুগুলো পরিচালনা করি তার উপর ভিত্তি করে।’
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজ ট্যাবে এই পরিবর্তন তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক এবং ভুল তথ্যের পর্যালোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কিন্তু ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েই গেছে, বিশেষ করে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা চলছে।
কর্নেল ব্রুকস স্কুল অব পাবলিক পলিসির টেক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রযুক্তি নীতি গবেষক সারাহ ক্রেপস বলেছেন, ‘ফেসবুক নিজেকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে মনে করে না। এটি চালান প্রযুক্তিবিদরা। তারপর হঠাৎ এটি মূল্যায়ন শুরু করে এবং তারা নিজেদের রাজনীতিতে নিমজ্জিত দেখতে পায় এবং তারা নিজেরাই শিরোনাম হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এই বছর অনেকগুলো বড় নির্বাচন আসছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ফেসবুক রাজনীতি থেকে আরও এক ধাপ দূরে সরে যাচ্ছে, যাতে তারা অসাবধানতাবশত নিজেরাই রাজনৈতিক শিরোনাম হতে না পারে।’
পয়েন্টারের মিডিয়া বিশ্লেষক রিক অ্যাডমন্ডস বলেন, নিউজ ট্যাবের বিলুপ্তি সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য আশ্চর্যজনক নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ফেসবুক ট্র্যাফিক হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সংস্থাগুলোকে দর্শকদের আকৃষ্ট করার অনুসন্ধান ও নিউজলেটারের মতো অন্যান্য উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করছে।
অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘আমি বলব আপনি যদি খেয়াল করতেন, তাহলে আপনি দেখতে পেতেন এটি আসছে। তবে এটি সংবাদের ব্যবসার জন্য আরও একটি খুবই দুঃসংবাদ।’
আরও পড়ুন: কিছু ফিলিস্তিনি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর বায়োতে 'সন্ত্রাসী' উল্লেখ করায় ক্ষমা চেয়েছে মেটা
মেটা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ফিডে যা দেখেন তার চেয়ে তিন শতাংশেরও কম সংবাদ তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক সংবাদ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছর ৮০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।
তবে ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের অর্ধেক অন্তত মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য মাধ্যমকে ছাড়িয়ে গেছে।
পিউ জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিকের মধ্যে তিনজন বলেছেন যে তারা নিয়মিত ফেসবুক থেকে খবর পান এবং ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন নাগরিক বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম থেকে খবর পান। এই দুটো মাধ্যমেরই মালিকানা মেটার।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করেন না এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ‘সক্রিয়ভাবে’ সুপারিশ করা বন্ধ করার জন্য অ্যাপটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ফিল্টার বন্ধ করার অপশন সবসময় ইউজার সেটিংসে থাকলেও মেটা যে এই পরিবর্তন করেছে তা অনেকেই জানতেন না।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
৬৩৯ দিন আগে
হোয়াটসঅ্যাপে আরও সহজে অডিও বার্তা যেভাবে পাঠাবেন
অফিসের কাজে বা পরিবার-বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ একটি অন্যতম অনুষঙ্গ। ছবি ও ভিডিওর পাশাপাশি যে কোনো ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে অডিও বার্তা বেশ কাজের। দীর্ঘ অডিও বার্তা এখন আরও সহজে পাঠানো যায় ফেসবুকের প্রধান কোম্পানি মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপের মুঠোফোন অ্যাপে।
আগে অডিও বার্তা পাঠানোর জন্য কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা গ্রুপে মাইক্রোফোন আইকনটি চেপে ধরে প্রয়োজনীয় বার্তা রেকর্ড করতে হতো। এরপর আইকন ছেড়ে দিলেই তা চলে যেত। রেকর্ড করার সময় যদি তা বাদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তাহলে মাইক্রোফোনের আইকনটি ঠিক বাম দিকে স্লাইড করলেই তা মুছে যেত। সুবিধাটি এখনও আছে। তবে যোগ করা হয়েছে নতুন কিছু।
আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে এইচডি ছবি যেভাবে পাঠাবেন
৬৪৮ দিন আগে
টিকটক নিষিদ্ধ করতে পারে এমন বিল পাস মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে একটি বিল পাস করেছেন ওয়াশিংটনের আইন প্রণেতারা। এর ফলে দেশব্যাপী নিষিদ্ধ হতে পারে টিকটক।
পাস করা এই বিলে বলা হয়েছে, এটি কার্যকর হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে যদি এই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির চীনভিত্তিক মালিক বাইটড্যান্স তার অংশীদারিত্ব বিক্রি না করে, তাহলে টিকটক নিষিদ্ধ করা হবে।
বুধবার পাস হওয়া এই বিলে বাইটড্যান্সকে বলা হয় টিকটক বিক্রি করে দিতে হবে অথবা নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হবে।
যদি বাইটড্যান্স তার অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেয় তাহলে টিকটক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ চালিয়ে যাবে। বলা হয়, যদি প্রেসিডেন্ট এটি নিশ্চিত হন যে টিকটক প্ল্যাটফর্মটি ‘আর কোনো বিদেশি প্রতিপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না, তাহলে এটি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।’
আরও পড়ুন: পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, বাইটড্যান্সকে টিকটকের সুপরিচিত অ্যালগরিদমের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে, যা ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দের ভিত্তিতে কন্টেন্ট ফিড করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাইটড্যান্সের পক্ষে কয়েক মাসের মধ্যে টিকটক বিক্রি করা কঠিন হবে।
যদি কোম্পানিটি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বিল অনুসারে টিকটক অ্যাপল ও গুগলসহ অন্যান্য অ্যাপ স্টোর থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।
টিকটক ব্যবহারকারী ১৭০ মিলিয়ন আমেরিকান নাগরিকের তথ্য দিতে চীনা কর্তৃপক্ষ বাইটড্যান্সকে বাধ্য করতে পারে বলে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের উভয় পক্ষের আইনপ্রণেতাসহ আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
তবে টিকটক এ দাবি অস্বীকার করে জানায়, সংস্থাটি কখনও চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে মার্কিন ব্যবহারকারীদের তথ্য সরবরাহ করেনি এবং করবেও না। অন্যদিকে মার্কিন সরকারও এমন কোনো প্রমাণ পায়নি।
গত সোমবার ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, চীন সরকার সাম্প্রতিক মার্কিন নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে টিকটক ব্যবহার করেছে।
আইন প্রণেতারা বিলটি পাস করলে স্বাক্ষর করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এর আগেও ২০২০ সালে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক নিষিদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
৬৫৪ দিন আগে
পবিত্র রমজান মাসে প্রয়োজনীয় ১০টি মোবাইল অ্যাপস
প্রতিটি মুসলমানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। আল্লাহর একজন খাঁটি বান্দায় পরিণত হওয়ার সর্বোচ্চ প্রশিক্ষণ চলে এই মাসে। সেই সঙ্গে থাকে পুরোনো সব ভুল-ত্রুটি শুধরে এক নিষ্পাপ মানুষে পরিণত হওয়ার অফুরন্ত সুযোগ। তাই মাসের প্রত্যেকটি দিনের কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। এই ধর্মীয় জীবনধারণকে সাবলীল করতে সহায়ক হতে পারে উন্নত প্রযুক্তি। কেননা রোজার মাসটিকে সঠিকভাবে ইবাদতপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু মোবাইল অ্যাপ। চলুন, সেগুলোর মধ্য থেকে সেরা ১০টি রমজান মোবাইল অ্যাপ্সের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স
আল কুরআন (তাফসির এ্যান্ড বাই ওয়ার্ড)
রমজানে সুশৃঙ্খলভাবে ইবাদত বন্দেগীর জন্য সহায়তাকারী মোবাইল অ্যাপ্স আল কুরআন (তাফসির অ্যান্ড বাই ওয়ার্ড) কুরআন বোঝা এবং মুখস্থের জন্য একটি নিবেদিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ২০১৬-এর ২৬ অগাস্ট এই অ্যাপটি তৈরি করে গ্রিনটেক অ্যাপ্স ফাউন্ডেশন। এতে রয়েছে বাংলাসহ ৩৫টিরও বেশি ভাষায় প্রতিটি শব্দের অনুবাদ এবং ৭০টিরও বেশি তাফসির। কুরআন তেলাওয়াত শোনার জন্য রয়েছে ৩০ টিরও বেশি তেলাওয়াতকারীর অডিও।
রোজার মাসে কুরআন খতমের জন্য এটি হতে পারে সর্বোৎকৃষ্ট অ্যাপ। কেননা এখানে প্রতিবার তেলাওয়াতের সময় আগে শেষ করা আয়াতগুলোর একটা পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। আয়াত বুকমার্কের সুযোগটির কারণে এর স্বয়ংসম্পূর্ণ লাইব্রেরিটি কার্যকর ভাবে ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: যেসব কারণে রোজা রাখা ডায়েট করা থেকে বেশি উপকারী
বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজেশনের উপায়সহ এই যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে একদম ফ্রিতে। এমনকি অ্যাপ চালানোর সময় কোনও বিজ্ঞাপন দেখার বিড়ম্বনাও নেই।
২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ আপডেটকৃত এই অ্যাপের বর্তমান সংস্করণ ১ দশমিক ২৬ দশমিক ১। অ্যাপ চালানোর জন্য স্মার্টফোনের ওএস (অপারেটিং সিস্টেম) হতে হবে নূন্যতম অ্যান্ড্রয়েড ৫। ২১ এমবি (মেগাবাইট)-এর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে ৫০ লক্ষাধিকবার।
২ লাখ ৮৪ হাজার রিভিউ দাতাদের কাছ থেকে এটি গড়পড়তায় ৪ দশমিক ৮ তারকা রেটিং পেয়েছে।
অন্যদিকে, ২৬ দশমিক ২ এমবির আইওএসের অ্যাপটি ৩৪৮ জনের কাছ থেকে পেয়েছে ৪ দশমিক ৯ তারকা। আইওএস ১৪ দশমিক ২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে অ্যাপটি চালানো যাবে।
আরও পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
তার্তীলঃ কুরআন মেমোরাইজেশন
সরাসরি কুরআন শরীফ দেখে তেলাওয়াতের থেকেও দারুণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে তার্তীল। অ্যাপটি এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তেলাওয়াতকারির ভয়েস ট্র্যাক করে। প্রতিবার তেলাওয়াত শোনার সময় স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয় সংশ্লিষ্ট আয়াতটি। এটি বিনামূল্যে কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই ব্যবহার করা যায়। তবে এর প্রিমিয়াম সংস্করণ আছে, যেখানে তেলাওয়াতে ত্রুটি সংশোধনের মতো নানা ধরনের অ্যাডভান্সড ফিচার আছে।
২০১৬-এর ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত হওয়া তার্তীল অ্যাপের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তার্তীল ইনকরপোরেশন। অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ফোন ভেদে এর জন্য স্টোরেজ প্রয়োজন ১০৮ থেকে ১২০ এমবি। ওএস থাকতে হবে অ্যান্ড্রয়েড ৫ বা তার বেশি। ২০২৪-এর ৬ মার্চ আপডেটের পর এর সর্বশেষ সংস্করণ ৫ দশমিক ৩৮ দশমিক ১। এখন পর্যন্ত ১০ লক্ষাধিকবার ডাউনলোডকৃত অ্যাপটির ৩৮ হাজার রিভিউ থেকে প্রাপ্ত রেটিং ৪ দশমিক ৭ তারকা।
আর আইওএসের জন্য বানানো অ্যাপটির সাইজ ১৯৮ দশমিক ৭ এমবি। ওএস হিসেবে কমপক্ষে আইওএস ১৩ দশমিক ৪ থাকা প্রয়োজন। আড়াই হাজারেরও বেশি রেটিং দাতা অ্যাপটিকে ৪ দশমিক ৭ তারকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সেহরি ও ইফতারে খেতে পারেন যেসব স্বাস্থ্যকর দেশি ফল
কুরআন মাজিদ - রমজান ২০২৪
পাকডাটা নির্মিত এই অ্যাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিকটি হচ্ছে এর ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস। এখানে কুরআন পড়া বা মুখস্ত করার সময় বিনামূল্যে আয়াতের পুনরাবৃত্তি, বিরতি এবং গতি কমবেশি করা যায়। অ্যাপটির আরও একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এর কিবলার দিক নির্ণয়ের কম্পাস। এছাড়া মক্কা ও মদিনা থেকে লাইভ স্ট্রিমিং, হিজরি ক্যালেন্ডার, এবং কুরআনিক এনগেজমেন্ট মিটার অ্যাপটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে।
২০১৪-এর ১৮ আগস্ট নির্মিত অ্যাপটি সর্বশেষ হালনাগাদ হয়েছে ২০২৪ সালের ৮ মার্চ। সংস্করণ ৭ দশমিক ৩ দশমিক ২ সংস্করণটি চালাতে ওএস প্রয়োজন অ্যান্ড্রয়েড ৫ কিংবা তার বেশি। ৫৪ এমবি থেকে ১২০ এমবি স্টোরেজ ক্ষমতার অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে ১ কোটিরও বেশিবার। ৭ লাখ ৯৩ হাজার রিভিউ থেকে রেটিং এসেছে ৪ দশমিক ৭ তারকা।
অন্যদিকে আইওসের অ্যাপে ২ লাখেরও বেশি রেটিং থেকে এসেছে ৪ দশমিক ৮ তারকা। ১৩৭ দশমিক ৫ এমবি সাইজের অ্যাপটি আইওএস ১২ বা তার পরবর্তী সংস্করণগুলোতে চলবে।
আরও পড়ুন: চিনির কিছু স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক বিকল্প
৬৫৮ দিন আগে
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
কারিগরি দিক থেকে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোন কেনার সময় সিদ্ধান্তে গ্রাহকের ব্যক্তিগত পছন্দ যুগপৎ ভূমিকা রাখে। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে ব্র্যান্ডের নিজস্বতা এবং মূল্য সংযোজন পরিষেবার ভিত্তিতে বিশেষায়িত হয় ফোনের নির্ভরযোগ্যতা। আর এখানেই প্রশ্ন আসে গ্রাহকের ক্রয়ক্ষমতার। ব্যয়কৃত অর্থের বিনিময়ে সঠিক সেবাটি মিলছে কিনা, এখানে সেটিই মুখ্য বিষয়। হোক সেটা দামি ফ্ল্যাগশিপ অথবা মিডরেঞ্জার; সবক্ষেত্রেই মূল্যের ন্যায্যতা যাচাই আবশ্যক। তবে প্রথম সারির ব্র্যান্ডের ফোনগুলো স্বভাবতই একটু সংবেদনশীল। কেননা এর সঙ্গে জড়িত থাকে বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাওয়ার আগে চলুন ফ্ল্যগশিপ ফোনগুলো কেনার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা
অনন্য গুণগত গঠন
শক্তিশালী ও টেকসই গঠন ফ্ল্যাগশিপ ফোনের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি। গ্লাস এবং ধাতুর মতো মানসম্পন্ন অনেক উপকরণ এগুলোকে মসৃণ ও আকর্ষণীয় লুক দেয়। এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত যে কোনও ধাক্কায় প্রতিরোধী হওয়ায় এগুলো বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। এমনকি এই গুণাগুণের ধারা বজায় রেখে ফোনের নতুন মডেলগুলোকে আরও উন্নত করা হয়।
নিয়মিত হালনাগাদকৃত সফটওয়্যার
যুগোপযোগী প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটা যে কোনও স্মার্টফোনের প্রদামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধাতি গ্রাহকের নির্ভরতা ও আগ্রহ বাড়ায়। ফোনের অপারেটিং সিস্টেমসহ এর সঙ্গে সম্পর্কিত ডিফল্ট সফটওয়্যারগুলো নিয়মিত আপগ্রেড ফোনকে উন্নত প্রযুক্তির জন্য সহায়ক করে তোলে। এতে ফোনের ব্যবহার আরও সহজ এবং নিরবচ্ছিন্ন হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে অটুট থাকে ফোনের নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলোও।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো চালুর পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে সফটওয়্যার আপগ্রেড সরবরাহ করে।
ভাল হার্ডওয়্যার
হার্ডওয়্যারের দিক থেকে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলো বিশ্ব জুড়ে সর্বস্বীকৃত। প্রসেসর, স্ক্রিন, র্যাম, ক্যামেরা, এবং স্টোরেজ-এর বিচারে সর্বশ্রেষ্ঠ ফোন খোঁজা হলে ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর নামই আসবে। ব্র্যান্ডগুলো সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এই হার্ডওয়্যারগুলোর সন্নিবেশ ঘটিয়ে থাকে।
গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি
শুধু উৎপাদন করেই শেষ নয়; প্রথম সারির ব্র্যান্ডগুলো তাদের বিক্রি-পরবর্তী পরিষেবার প্রতিও বেশ যত্নশীল। এই গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টির জন্যই মূলত নির্ভরতার জায়গাটি তৈরি হয়। এতে হঠাৎ কোনও সমস্যা হলে তার সমাধান নিয়ে গ্রাহকদের দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না। কেননা তারা জানেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য ইতোমধ্যে দক্ষ কর্মীরা নিবেদিত রয়েছেন।
যারা ঘন ঘন মোবাইল ফোন পরিবর্তনের বিড়ম্বনায় পড়তে চান না তাদের জন্য এই ব্র্যান্ডগুলো এক বিশাল কমফোর্ট জোন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন হ্যাকিং প্রতিরোধে করণীয়
রিসেলিং বা এক্সচেঞ্জের সময় ভালো দাম পাওয়া
দীর্ঘ দিন ধরে বাজার ধরে রাখা ও মৌলিকতা এই ফোনগুলোতে কিছুটা অ্যান্টিক আবহ সংযোজন করে। ফলে অন্যান্য স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় এগুলোর ডেপ্রিসিয়েশন কস্ট বা অবচয় খরচ অনেক কম থাকে। তাই অনেক দিন ব্যবহারের পরেও বিক্রি বা বিনিময় করে অন্য ফোন কেনার সময় বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়। এই রিসেলিং মূল্যের কারণে গ্রাহকরা নিশ্চিন্তে দামি ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগ করতে আকৃষ্ট হন।
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার অসুবিধা
গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার অন্তরায়
উচ্চ-মানের ব্র্যান্ডের ফোনে বিনিয়োগকারীদের এই পরিধিটা বেশ সংকীর্ণ। স্বভাবতই এগুলোর দাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আকাশচুম্বী হতে থাকে। তাই সেই সীমিত শ্রেণীর বাইরে পড়ে যান বাজেট ফোন ক্রেতা থেকে শুরু করে নতুন প্রযুক্তি উৎসাহীরা। প্রায়ই দেখা যায় নতুন কোনও সিরিজ চালু করার সময় তাতে নতুন প্রযুক্তির ফিচার যোগ করা হয়। সময়ের সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশ গতিশীল হয়ে ওঠায় প্রতি বছরই কিছু না কিছু নতুন ফাংশনের আগমন ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে এগুলোর সঙ্গে পরিচিত এবং অভ্যস্ত হওয়া মানেই বিশাল খরচের ধাক্কা।
একই ফিচারের উৎকৃষ্ট বিকল্প
নিজস্বতা এবং মৌলিকতাকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র ব্যবহারের দিকে দৃষ্টিপাত করলে বেশ বড়সড় প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয় ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলো। অপারেটিং সিস্টেম, ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানারসহ যাবতীয় উন্নত সুবিধা এখন কম দামের ফোনেই পাওয়া যাচ্ছে। পছন্দমতো উচ্চ রেজুলেশনের সেলফি থেকে শুরু করে প্যানোরামা শট সবকিছু নেয়া যায়। শুধু তাই নয়, ইচ্ছেমতো সম্পাদনা করে তা তাৎক্ষণিকভাবে পোস্ট করা যায় সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
আরও পড়ুন: অ্যাপেল আইফোন ১৫ রিভিউ: নতুন কী থাকছে?
স্ট্যান্ডার্ডের নিচে ক্যামেরা-সম্বলিত মোবাইল ফোন এখন বাজারে প্রায় নেই বললেই চলে। বিগত ৫ বছরে মিডরেঞ্জের ফোনগুলোতে ক্যামেরা এতটাই উন্নত হয়েছে যে তা দিয়ে যে কোনও পেশাদার ভিডিও কন্টেন্ট বানানো সম্ভব। বর্তমানে ফটোগ্রাফি উৎসাহীদের এই সেরা পছন্দগুলো ফ্ল্যাগশিপ সেটগুলোর মতোই কাজ করতে পারে। ফলশ্রুতিতে, দামি ব্র্যান্ডের ফোন কেনা আসলেই লাভজনক কিনা- তা নিয়ে সন্দেহের উদ্রেক করে।
ব্যাটারি বিড়ম্বনা
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে কল করা, বার্তা পাঠানো, ওয়েব ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া চেক করা, ভিডিও স্ট্রিমিং, ছবি তোলা, গান শোনা এবং গেম খেলা। বর্তমানে সবচেয়ে কম দামের স্মার্টফোনটিতেও এর সবগুলোই সম্ভব। মিডরেঞ্জের ফোনগুলো এই অভিজ্ঞতার উদ্দীপনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
তবে দীর্ঘক্ষণ ভিডিও রেকর্ড ও গেম খেলার মতো ভারী কাজগুলোর বেলায় সর্বাধিক চাপ পড়ে ব্যাটারির উপর। এ ক্ষেত্রে সাধারণত ব্যাটারি তেমন বেশি সময় স্থায়ী হয় না।
আরও পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
অন্যদিকে ফ্ল্যাগশিপের ফোনগুলোর ব্যাটারি অনেক ক্ষণ ব্যাক-আপ দেয়। কেননা এগুলোর ক্ষমতা থাকে বেশি, সেই সঙ্গে এগুলোর আকারও বেশ বড়। একারণে এগুলো কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণও থাকে। বিশেষ করে কোনও কাজে ফোন খুলে ব্যাটারি বের করায় দুর্ঘটনাজনিত আকস্মিক বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা দূর করতেই অধিকাংশ ব্র্যান্ডগুলোতে এখন আর রিমুভেবল ব্যাটারি দেওয়া হয় না।
বিভিন্ন দিক থেকে এটি সুবিধাজনক হলেও একটা বড় সমস্যা থেকে যায়। আর সেটি হচ্ছে ফোনগুলো আগের তুলনায় কম মেরামতযোগ্য হবে। অর্থাৎ একবার কোনও ত্রুটি ধরা পড়লেই পুরো ফোন পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়বে। আর যেগুলোতে রিমুভেবল ব্যাটারি রয়েছে সেগুলোতে নিরাপত্তার ঝুঁকি তো থাকছেই।
ফোনের সঙ্গে চার্জার সরবরাহ না করা
পণ্যকে পরিবেশবান্ধব করা এবং ফোনের বাক্সের আকার ছোট ও হাল্কা করা। মূলত এই দুই কারণে প্রথম সারির ফোন কোম্পানিগুলো পাওয়ার অ্যাডাপ্টার বাদ দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এই ব্যবসায়িক কৌশলটি দীর্ঘ দিন ধরে অব্যাহত থাকা ফোনের স্ট্যান্ডার্ডকে বিনষ্ট করছে।
আরও পড়ুন: ইসরো চন্দ্রযান-৩: ভারতের চন্দ্র বিজয়ে নারী বিজ্ঞানীদের সাফল্য
কেননা প্রথমত, কেনার সময় যে চার্জারটি দেওয়া হয় সেটি ফোনের জন্য নিক্ষুঁতভাবে সঙ্গতিপূর্ণ করা থাকে। এটি ছাড়া গ্রাহকরা বাইরে অন্য কোথাও থেকে নতুন কোনও চার্জার কিনলে তা ব্যাটারির ক্ষতি করতে পারে। এখনকার ফোনগুলোতে সাধারণভাবেই ফাস্ট চার্জিং প্রয়োজন হয়। ধরা যাক, ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং-এর কোনও ফোনে ১৫ ওয়াটের খুব ভালো কোনও চার্জার দিয়ে চার্জ করা হলো। এখানে চার্জার ভালো হওয়ায় কোন ত্রুটির আশঙ্কা না থাকলেও ফোন চার্জ হতে অনেক সময় লেগে যাবে।
দ্বিতীয়ত, আলাদাভাবে একটি ফাস্ট চার্জার কেনা হলে সেটিও একটি বাক্সেই আসবে। তাই কার্বন নির্গমন এবং বর্জ্য তৈরির সম্ভাবনা এখানেও থেকে যাচ্ছে।
মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট না থাকা
স্বনামধন্য স্মার্টফোনগুলোর স্ট্যান্ডার্ডগুলোর মধ্যে আরও একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাইক্রোএসডি কার্ড স্লট। স্মার্টফোনের ভেতরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর জায়গা সংকুলানের জন্য এই স্লটটিও বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার মানে দামি ফোনগুলোর কেনার পরে আলাদাভাবে এক্সটারনাল স্টোরেজ কিনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
ফোনের সাধারণ কাজগুলোর জন্য ১২৮ জিবি (গিগাবাইট) বিল্ট-ইন বা ইন্টারনাল স্টোরেজই যথেষ্ট। কিন্তু গেম খেলা, সিনেমা ডাউনলোড করে দেখা, এবং ছবি ও ভিডিও সম্পাদনের জন্য আরও বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ চালু থাকা অবস্থায় কোনও প্রতিবন্ধকতা ছাড়া নিরবচ্ছিন্ন কাজের নিশ্চয়তা দেয় মাইক্রোএসডি কার্ড।
পরিশিষ্ট
দামী ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার এই সুবিধা ও অসুবিধাগুলো ফোনের মূল্যের ন্যায্যতা যাচাইয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। খুব সংকীর্ণ শ্রেণী হলেও ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর ক্লাসিক নকশায় গ্রাহকদের একরকম কমফোর্ট জোন থাকে। এখানে মুখ্য বিষয় হচ্ছে- দীর্ঘ সময় ধরে ফোনটির ব্যবহার যোগ্যতা, যেটি প্রাধান্য পায় বাজেটনির্ভর ফোন ক্রেতাদের কাছেও।
অন্যদিকে ইলেক্ট্রনিক পণ্যে ফ্যাশন সচেতনতার সঙ্গে যুক্ত হয় উন্নত প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাগশিপ ও মিডিরেঞ্জারগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার শেষ গন্তব্য থাকে ফোন ব্যবহারকারীদের ক্রয়ক্ষমতা। এখানে চূড়ান্ত ফলাফল গড়ে দিতে পারে ব্যবহার-পরবর্তী রিসেলিং ভ্যালু এবং কেনার মূহুর্তে ফোনের সঙ্গে থাকা প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১৩ কোটি ১০ লাখে পৌঁছেছে
৬৭২ দিন আগে