বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: শনিবার উৎক্ষেপণের দ্বিতীয় চেষ্টা
পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের জন্য শনিবার আবারও নতুন চন্দ্রযান রকেটটির উৎক্ষেপণ করবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা (নাসা)। সোমবার উৎক্ষেপণের প্রথম চেষ্টা ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণে বাধাগ্রস্ত হয়।
রকেটটির ইঞ্জিনের জ্বালানি ট্যাংক ও সেন্সরের ত্রুটির জন্যই সমস্যায় পড়তে হয় নাসাকে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপকরা জানিয়েছেন, সমস্যাটির সমাধানে মঙ্গলবার জ্বালানি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
৩২২ ফুট উচ্চতার নাসার এ যাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটটি কেনেডি স্পেস সেন্টারের স্টেশনেই নভোচারীবিহীন দাঁড়িয়ে আছে।
স্পেস লঞ্চ সিস্টেম নভোচারীবিহীন ক্যাপসুলটিকে (কক্ষ) চাঁদের কক্ষপথে পাঠানোর চেষ্টা করবে। ক্যাপসুলে নভোচারী না থাকলেও থাকবে মানব আকৃতির তিনটি ডামি। এই উৎক্ষেপণ যদি সফল হয় তাহলে নাসার ‘অ্যাপোলো’ প্রোগ্রামের ৫০ বছর পর চাঁদের চারিদিকে প্রদক্ষিণের সফলতা আসবে।
নাসার রকেট প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপক জন হানিকাট বলেন, ‘আমাদের টেকনিকাল টিমের কাছ থেকে যা জানতে পারলাম, তাতে আমাদের কাছে যা ডেটা আছে সেগুলোতে বারবার চোখ বুলাতে হবে এবং আমাদের পরিকল্পনাকে ঘষামাজা করে উৎক্ষেপণের যৌক্তিক ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে হবে।’
আরও পড়ুন: নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
রকেটটিতে যে চারটি ইঞ্জিন রয়েছে তার একটি উৎক্ষেপণের আগে ইঞ্জিন চালু করার সময় পর্যাপ্ত ঠান্ডা হচ্ছিল না। হানিকাটের মতে হাইড্রোজেন জ্বালানির তাপমাত্রা প্রয়োজন ছিল মাইনাস ২৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু তারচেয়েও পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল। তবে অন্য ইঞ্জিনগুলো ঠিক ছিল।
হানিকাট বলেন, শনিবারের চেষ্টায় সকালের দিকে জ্বালানি ভরা হলে উৎক্ষেপণের আধা ঘণ্টা আগেই শীতলীকরণ প্রক্রিয়া চালানো হবে। গতবছরের সফল পরীক্ষায় শীতলীকরণের বিষয়টি পূর্বেই করা হয়েছিল। তাই এবার সেটা তাড়াতাড়ি প্রয়োগ করতে হবে।
হানিকাট একটি ইঞ্জিনের সেন্সর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে সেন্সরটি যথাযথ ডেটা দিতে পারেনি।
গ্রীক পুরাণ অনুসারে ৪১০ কোটি মার্কিন ডলারের এই পরীক্ষামূলক অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস। যার সফলতার ওপর নির্ভর করছে নভোচারীদের ২০২৪ সালে চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ এবং ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে এফটিসি’র মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আইডাহোভিত্তিক কোম্পানি কোচাভা ইনকরপোরেটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সোমবার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চক্রটি কয়েক লাখ মুঠোফোন থেকে সংবেদনশীল ভৌগোলিক অবস্থানসহ নানা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা বিক্রি করেছে। অবস্থানগত এই তথ্য ব্যবহার করে একজন মুঠোফোন ব্যবহারকারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ক্লিনিক, গৃহহীনদের আশ্রয়স্থল এবং উপাসনালয় কোথায় গিয়েছেন তা দেখা হয়েছে।
মামলায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে গর্ভপাত করতে চান এমন একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি আলোচিত হয়।
এফটিসির কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার বিষয় এটিই প্রথম নয়। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে এই প্রথম।
আরও পড়ুন: চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
গোপনীয়তা বিষয়ক ওকালতি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসির নির্বাহী পরিচালক জেফ চেস্টার বলেন, সম্ভবত এটি বেশ বড় একটি ঘটনা। এফটিসির এই মামলাকে তিনি বড় ধরনের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর তথ্য হাতিয়ে নেয়ার এই বিষয়টি কংগ্রেস ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের কাছে পরবর্তী তদন্তের আওতায় আসে। আইন প্রণেতারা বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি ও তথ্যফাঁস সংক্রান্ত ছোট সংস্থাদের কাছে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চেয়েছে। বিশেষ করে মুঠোফোন থেকে ভৌগোলিক অবস্থানের তথ্য ব্যবহার করে গর্ভপাতের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে কি-না তাতে গুরুত্ব দেয়া হয়।
এফটিসি এ মাসে ঘোষণা দেয়, তারা প্রযুক্তি ও অন্যান্য কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যিক নজরদারি এবং তথ্য নিরাপত্তায় ক্ষতিকর দিকগুলো সড়িয়ে নিতে খসড়া নীতির বিষয়ে আলোচনা করছে।
আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
নাসার পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযান: জ্বালানি ত্রুটির কারণে রকেট উৎক্ষেপণে বাধা
জ্বালানি ট্যাংকে ছিদ্র থাকার কারণে সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থার (নাসা) পরীক্ষামূলক চন্দ্রাভিযানের রকেট উৎক্ষেপণ বাধাগ্রস্ত হয়।
ত্রুটি টের পেয়ে উৎক্ষেপণ নিয়ন্ত্রণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকটি বন্ধ করে দেন।
উপকূলে বজ্রপাতের কারণে ইতোমধ্যে তাদের ঘণ্টাখানেক দেরি হয়ে যায়। এরপর ফের পুরো প্রক্রিয়া চালু করলে অ্যালার্ম বেজে ওঠায় আবারও তাদের থামতে হয়।
মহাকাশ সংস্থাটির দাবি ৩২২ ফুট এই রকেটটি এপর্যন্ত নাসার তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট। এমনকি ‘স্যাটার্ন ভি’ নামের যে রকেটটিতে করে অর্ধ শতাব্দী আগে নভোচারীরা চাঁদে গিয়েছিল সেটির চেয়েও শক্তিশালী।
এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ যদি সফল হয় তাহলে রকেটে নভোচারী বিশিষ্ট ক্যাপসুল (কক্ষ) স্থাপন করা হবে। যা ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবার চাঁদের কক্ষপথ (লুনার অরবিট) প্রদক্ষিণ করবে।
আরও পড়ুন: ৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
পরীক্ষামূলক এই উৎক্ষেপণ প্রস্তুতিতে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে অবস্থিত রকেটটির ক্যাপসুলে কোনো নভোচারী ছিল না। এর পরিবর্তে মানব আকৃতির তিনটি ডামি রাখা হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে সেগুলো ছয় সপ্তাহ স্থায়ী হবে।
এখনও কোনো উৎক্ষেপণ না করা হলেও স্পেস লঞ্চ সিস্টেম দেখতে হাজার হাজার মানুষ ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে ভিড় করছে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার স্বামীর সঙ্গে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে এসেছিলেন নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হতে। কিন্তু উৎক্ষেপণে বাধা পড়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করতে হয়।
জানা যায়, আগামী শুক্রবারের আগে পরবর্তী উৎক্ষেপণ চেষ্টা করা হবে না।
আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ। নগদ সম্পর্কে বিশেষ মহলের ‘অপতৎপরতার বিষয়ে’ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেছেন।
রবিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৬ মার্চ থেকেই একটা বিষয় লক্ষ্য করে আসছি, ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ। যেখানে নগদ এর কারণে দেশের মোবাইল আর্থিক সেবার মান বেড়েছে এবং খরচ গত এক দশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে সেখানে কার স্বার্থে আঘাত লাগছে সেটি অনুমেয়? যেখানে নগদ এর কারণে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কোটি কোটি মানুষ অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে আসতে পারলো, যার ফলশ্রুতিতে আজ দেশের শিশু-মহিলা-বয়স্ক- বিধবাসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা ঘরে বসে সমস্ত সরকারি ভাতা পাচ্ছে ডিজিটালি, ১০০ ভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে, তাহলে এতে কার ক্ষতি হলো?
তিনি আরও বলেন, এটি স্পষ্ট করে বলা দরকার যে নগদ এর জন্য ডাক বিভাগের কোন ক্ষতি হয়নি বা হবেও না। ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে নগদ তার জাতীয় দায়িত্ব পালন করছে। অনুগ্রহ করে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না বা গুজবে কান দেবেন না। এছাড়া নগদ এর প্রতিটি পদক্ষেপ রাষ্ট্রের সমস্ত আইন এবং নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে, এতে কোন অনিয়মের স্থান নেই, তাই নিজ স্বার্থে কেউ জল ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২০২৩ সালেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ক্ষেপণাস্ত্র কোম্পানির তথ্যচুরি খতিয়ে দেখছে ন্যাটো
উচ্চ পর্যায়ের গোপনীয় সামরিক কিছু নথি একটি হ্যাকার চক্র হ্যাক করে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দলটি ওই নথিগুলোর তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। পুরো বিষয়টির প্রভাব কী হতে পারে তা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো) খতিয়ে দেখছে।
নথিগুলোর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো মিত্রদের মাধ্যমে ব্যবহৃত অস্ত্রের নীলনকশাও রয়েছে।
অপরাধী হ্যাকাররা নথিগুলো বিক্রি করছে, একটি প্রধান ইউরোপীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকের সাথে যুক্ত ডেটা চুরি করার পরে।
ইউরোপীয় এক অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি এমবিডিএ মিসাইল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ একটি লিংক হাতিয়ে নেয়ার পর থেকেই নথিগুলো বিক্রি শুরু করেছে উক্ত হ্যাকার চক্র।
এমবিডিএ স্বীকার করেছে যে, ওই লিংকে নথিগুলো ছিল। তবে গোপনীয় কোনো নথিই তাদের সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়।
কোম্পানিটির সদরদপ্তর ফ্রান্সে অবস্থিত। তারা জানায়, এই তথ্যচুরির ঘটনা একটি তথ্য সংরক্ষণ করার এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ থেকে হয়েছে। তারা আরও বলেন, কোম্পনিটি ইতালিতে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছিল। যেখানে ঘটনাটি ঘটে।
এটি বোঝা যাচ্ছে তদন্তের বিষয়টি ঘটছে এমবিডিএর সরবরাহকারীদেরকে ঘিরে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো: আমেরিকার নেতৃত্বে এ সামরিক জোট কি এখনো প্রয়োজন?
এক বিবৃতিতে ন্যাটোর একজন মুখপাত্র বলেন, এমবিডিএ থেকে চুরি যাওয়া তথ্যের অভিযোগ নিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। ন্যাটোর কোনো নেটওয়ার্কে কোনোধরনের প্রবেশের ইঙ্গিত আমরা এখনও পাইনি।
রুশ ও ইংরেজি নানা ফোরাম থেকে অপরাধী চক্র তাদের কাজ চালাচ্ছে। ১৫ বিটকয়েনের বিনিময়ে ৮০ গিগাবাইট সমপরিমাণ তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে তারা। যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় দুই লাখ ৭৩ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। তারা এও দাবি করছে, ইতোমধ্যে একজন তাদের থেকে তথ্য কিনেছে।
বিবিসি ৫০ মেগাবাইটের বিনামূল্যের নমুনা তথ্য দেখেছে। যার নাম দেয়া ছিল, ‘ন্যাটো কনফিডেনিশিয়াল’, ‘ন্যাটো রেস্ট্রিকটেড’ ও ‘আনক্লাসিফাইড কন্ট্রোলড ইনফরমেশন’। পাশাপাশি হ্যাকার চক্রটি মেইলের মাধ্যমে ‘ন্যাটো সিক্রেট’ নামে তথ্য সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো সম্মেলনে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টের
দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার উপায়
নানা কাজের সূত্রে বিদেশে যাওয়ার সময় দেশে ব্যবহৃত মোবাইল সিমটি সাথে নেয়ার প্রয়োজন হয়। অর্থ বিড়ম্বনাসহ বিভিন্ন কারণে অনেকেই বিদেশি সিম নেয়ার বদলে দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করতে চান। এর জন্য প্রথমেই জানতে হবে মোবাইল নেটওয়ার্কের একটি কারিগরি দিক, যা আন্তর্জাতিক রোমিং নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে দেশীয় সিমটিতে রোমিং সিস্টেম সক্রিয় করে দেশের বাইরে সিমটি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার সাথে বিভিন্ন ধরনের শর্ত এবং পূর্বপ্রস্তুতি মূলক কার্যকলাপ রয়েছে। চলুন, দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহারের সেই দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
আন্তর্জাতিক রোমিং সিস্টেম কি
আন্তর্জাতিক মোবাইল রোমিং হল এমন একটি পরিষেবা যা স্মার্টফোন সহ অন্যান্য মোবাইল ডিভাইস ব্যবহারকারীদের অন্য দেশে যাওয়ার সময় ভয়েস কল এবং টেক্সট মেসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ, ইন্টারনেট ব্রাউজ এবং ইমেল পাঠানো ও গ্রহণ করতে সহায়তা করে।
রোমিং দেশীয় অপারেটরের খুচরা ভয়েস এবং এসএমএস পরিষেবাগুলোর কভারেজ প্রসারিত করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়াটি সমাধা করে। একটি মোবাইল ব্যবহারকারীর দেশীয় অপারেটর এবং বিদেশি অপারেটর নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি পাইকারি রোমিং চুক্তির মাধ্যমে কভারেজের বিরামহীন প্রসারণ সম্ভব করা হয়েছে।
পড়ুন: মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোর ১০টি উপায়
আন্তর্জাতিক রোমিং সিস্টেম কিভাবে কাজ করে
যখন একজন মোবাইল ব্যবহারকারী বিদেশে যেয়ে তার মোবাইল ডিভাইসটি চালু করেন, তখন সেটি সেখানকার স্থানীয় মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। বিদেশি নেটওয়ার্কটি নবাগত ব্যবহারকারীর মোবাইল থেকে সংযোগ গ্রহণ করে। অতঃপর এটি তার সিস্টেমের সাথে নিবন্ধিত কিনা তা সনাক্ত করে ব্যবহারকারীর দেশীয় নেটওয়ার্ক সনাক্ত করার চেষ্টা করে।
যদি দেশ দুটির মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে একটি রোমিং চুক্তি থাকে, তাহলে কলটি বিদেশি নেটওয়ার্কটি দ্বারা একটি আন্তর্জাতিক ট্রানজিট নেটওয়ার্কের দিকে রুট করা হয়। আন্তর্জাতিক ট্রানজিট নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার গন্তব্য নেটওয়ার্কে কল ডেলিভারি সম্পন্ন করে। এটি হয়ে গেলে অন্যদিকে গন্তব্য নেটওয়ার্কটি কলটি সংযুক্ত করে।
বিদেশি নেটওয়ার্কটি দেশীয় নেটওয়ার্ক থেকে ব্যবহারকারী সম্পর্কে পরিষেবার তথ্যও অনুরোধ করে, যেমন ব্যবহৃত ফোনটি হারিয়ে গেছে বা চুরি হয়েছে কিনা এবং মোবাইল ডিভাইসটি আন্তর্জাতিক ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত কিনা।
পড়ুন: চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
ফোনটি ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হলে বিদেশি নেটওয়ার্ক ডিভাইসটির জন্য একটি অস্থায়ী গ্রাহক রেকর্ড তৈরি করে। একই সাথে দেশীয় নেটওয়ার্ক ডিভাইসটি কোথায় অবস্থিত তার গ্রাহক রেকর্ড আপডেট করে, যাতে ফোনে কল করা হলে এটি যথাযথভাবে রাউট করা যায়।
এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটির উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ধরা যাক কোন এক বাংলাদেশি আমেরিকায় গেলেন। তখন তার মোবাইল সিমটি যদি আমেরিকার মোবাইল নেটওয়ার্ক কর্তৃক অনুমোদিত হয়, তবে আমেরিকার সবচেয়ে শক্তি শালি নেটওয়ার্ক সিস্টেমের সাথে সেটি সংযুক্ত হয়ে যাবে।
অতঃপর বাংলাদেশ ও আমেরিকা উভয় দেশের অপারেটর গ্রাহকটির যাবতীয় তথ্য হালনাগাদ করবে। বাংলাদেশি সিমটির সেবা ব্যবহারের চার্জ ধার্য হবে আমেরিকার কল রেট অনুযায়ী। এ সময় সিমটিতে যাবতীয় ইনকামিং-আউটগোয়িং-এর জন্য চার্জ ধার্য হবে।
পড়ুন: চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করে বাড়তি আয়ের উপায়
দেশের সীম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার নিয়মসমূহ
রোমিং সার্ভিস সক্রিয় করার উপায়
সিম কার্ডে আন্তর্জাতিক রোমিং সক্রিয় করতে হলে ব্যবহৃত মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানির অফিসে যেতে হবে। এ সময় যা যা প্রয়োজন হবে তা হলো-
→ ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড (উভয় দিকের ফটোকপি)
→ প্রিপেইড সিমের জন্য সঠিকভাবে পূরণকৃত আইআরএফ (আন্তর্জাতিক রোমিং ফর্ম)
→ আইএসডি(আন্তর্জাতিক সাবস্ক্রাইবার ডায়ালিং) সংযোগসহ প্রিপেইড সংযোগের সাবস্ক্রিপশন নথির ফটোকপি
→ পাসপোর্টের ফটোকপি(প্রথম পাঁচ পৃষ্ঠা)
→ ব্যবহারকারির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
→ আন্তর্জাতিক কারেন্সি অ্যাকাউন্ট-এ শুরুতে স্ট্যান্ডার্ড প্রিপেইড রোমিং সার্ভিসের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২৫ ডলার জমা রাখতে হবে। পরবর্তীতে প্রতিবার ১০ ডলার জমা করা যাবে।
এই সকল কাগজপত্র জমাদানের পর সিম কোম্পানি থেকে আন্তর্জাতিক রোমিং সার্ভিস চালু করে দিবে।
পড়ুন: এটিএম বুথে কার্ড আটকে গেলে কি করবেন ? এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
দুই দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের মধ্যে সামঞ্জস্যতা
মোবাইল এর নেটওয়ার্কের ধরন তথা জিএসএম ৯০০/১৮০০/১৯০০/অন্যান্য সংস্করণগুলো অবশ্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে বিদেশী নেটওয়ার্কের ধরনের সাথে। এর জন্য বিদেশ যাত্রার পূর্বে সঠিক মোবাইল নেটওয়ার্ক বা সিম কোম্পানি নির্বাচন করে নিতে হবে। এই কাজটি দুটি উপায়ে করা যায়-
প্রথমত, মোবাইল নেটওয়ার্ক বা অপারেটর সিলেকশন অপশনটি যদি অটোমেটিক করা থাকে, তাহলে মোবাইল নিজে থেকেই বিদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়ে যাবে। চলাফেরার সময় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নেটওয়ার্কের ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে হ্যান্ডসেটটি নিজে থেকেই নেটওয়ার্ক পরিবর্তন করে নিবে। অতএব আশেপাশে যেখানেই নেটওয়ার্ক সিস্টেম ভালো হবে সেটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ত, মোবাইল নেটওয়ার্ক বা অপারেটর সিলেকশন অপশনটি ম্যানুয়েল হলে ব্যবহারকারিকে একটি নেটওয়ার্ক বেছে নেবার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক রোমিং সিস্টেম সক্রিয় করতে হবে।
পড়ুন: পণ্য, সেবা ক্রয়ে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনে অভিযোগ করার উপায়
আন্তর্জাতিক রোমিং সিস্টেম চালু করার পদ্ধতি
মোবাইল অপারেটরের ওপর নির্ভর করে প্রথমে এর নেটওয়ার্ক সিলেকশন, ফোন সেটআপ বা সেটিংস মেনুতে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সার্চ করলে বেশ কিছু সময় ধরে মোবাইল নেটওয়ার্ক বিভিন্ন নেটওয়ার্ক খুঁজতে থাকবে। আশেপাশে কোন নেটওয়ার্ক থাকলে তা মোবাইলের স্ক্রিণে দেখাবে এবং সেগুলোর মধ্যে থেকে যে কোনটিতে প্রেস করে নেটওয়ার্কটির সাথে সংযুক্ত হওয়া যাবে।
আন্তর্জাতিক অ্যাক্সেস কোড
এবার সিমটি ব্যবহার অর্থাৎ বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বা অন্যান্য দেশে কল করতে প্রয়োজন হবে আন্তর্জাতিক অ্যাক্সেস কোড। এর মাধ্যমে সহজেই সিমটি ব্যবহার করে অন্যান্য দেশগুলোতে কথা বলা যাবে। অধিকাংশ দেশের অ্যাক্সেস কোড হলো- + (প্লাস) বা ০০। এই আন্তর্জাতিক অ্যাক্সেস কোড (+ ০০)-এর পর কাঙ্ক্ষিত দেশের কান্ট্রি কোড দিয়ে ফোন নাম্বারটি ডায়াল করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে- + তারপর ৬০(কান্ট্রি কোড) এবং সবশেষে (ফোন নাম্বার) ০০ ৬০(ফোন নাম্বার)। নিম্নে বিভিন্ন দেশের অ্যাক্সেস কোড উল্লেখ করা হলোঃ
যুক্তরাষ্ট্র- ০১১, কানাডা- ০১১ +, জর্জিয়া- ৮১০ +, হংকং- ০০১ +, সিঙ্গাপুর- ০০১(সিংটেল); ০০২(মোবাইলওয়ান); ০০৮(স্টারহাব), কাতার- ০০, সৌদি আরব- ০০, থাইল্যান্ড- ০০১, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস- ০১১, সেন্ট লুসিয়া- ০১১, সেইন্ট ভিনসেন্ট- ০১১, জার্মানি- ০০, মালয়শিয়া- ০০, ক্যামেরুন- ০০৭ ০০১, আবখাযিয়া- ৮১০ +, অ্যাঙ্গুইলা- ০১১, ক্যাম্বোডিয়া- ০০৭ ০০১, কেম্যান আইল্যান্ড- ০১১, গ্রানাডা- ০১১ +, ইন্দোনেশিয়া- ০০১ / ০০৭ / ০০৮, কেনিয়া- ০০০, নাইজেরিয়া- ০০৯, প্যারাগুয়ে- ০০২ +, ব্রাজিল- ০০১৪, দক্ষিণ আফ্রিকা- ০৯, তানজানিয়া- ০০০, তাজিকিস্তান- ৮১০, উগান্ডা- ০০০ +, উজবেকিস্তান- ৮১০|
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আন্তর্জাতিক রোমিং সার্ভিস এর মাধ্যমে এসএমএস পাঠানো
বিদেশে যাবার পর দেশীয় সিম দিয়ে সেই দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ম্যাসেজ পাঠানোর জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।
প্রথমে যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে, যার কাছে এসএমএসটি যাবে তার মোবাইল নম্বর যেন অবশ্যই আন্তর্জাতিক ফর্ম্যাটের হয়। সুতরাং আন্তর্জাতিক অ্যাকসেস কোড + অথবা ০০, তারপর কান্ট্রি কোড এবং সবশেষে মোবাইল ফোন নম্বর দিন। এখানে যেসব দেশের কান্ট্রি কোডের শেষে শূন্য এবং মোবাইল ফোন নাম্বার শূন্য দিয়ে শুরু, সেসব দেশের জন্য কান্ট্রি কোডের শূন্যের পর মোবাইল ফোনের শূন্য দেয়া যাবে না। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের গ্রামীণফোনের কোন নাম্বারে এসএমএস পাঠাতে হলে, +৮৮০-এর পর মোবাইল ফোন নাম্বারের বাকি দশটি ডিজিট দিতে হবে।
এমনকি এসএমএস সেন্টারের নাম্বারও আন্তর্জাতিক ফর্ম্যাটে সেইভ করে রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক রোমিং সিস্টেম সার্ভিস-এর বদৌলতে একবার এসএমএস সেন্টারের নাম্বার আন্তর্জাতিক ফর্ম্যাটে সেইভ করার পর তা আর পরিবর্তন হয় না। পরবর্তীতে সেই দেশ থেকে অন্য দেশে বা নিজের দেশে ফেরত এলেও ম্যাসেজ পাঠানোর জন্য নতুন করে আর নাম্বারটি পরিবর্তন করতে হয় না। বাংলাদেশে যেভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে এসএমএস লেনদেন হতো, ঠিক সেভাবেই সব জায়গাতেই এসএমএস পাঠানো যাবে।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
পরিশিষ্ট
দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহারের পূর্বে উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা জরুরি। সদ্য দেশ থেকে বিদেশে যাওয়া লোকদের জন্য আর্থিক দিকটিকে বেশি আমলে নিয়ে তুলনামুলক ভাবে ভালো কোন বিকল্পের দিকে লক্ষ্য দেয়া উচিত। কেননা উপরোক্ত তথ্যগুলো এ বিষয়টি নিশ্চিত করে যে, আন্তর্জাতিক রোমিং ব্যবস্থা নিয়ে ঝামেলাহীন সেবা দিতে বাংলাদেশের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রির এখনো বেশ সময় লাগবে।
‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
শুক্রাণু ও ডিম্বানু ছাড়াই ‘স্টেম সেল’ থেকে ইঁদুরের কৃত্রিম (সিন্থেটিক) ভ্রূণ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বৃহস্পতিবারে নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপতত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যার গবেষক হচ্ছেন ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ম্যাগডালেনা জের্নিকা-গোয়েটজ ও তার সহকর্মীরা।
স্টেম সেল হচ্ছে প্রাণীদেহের আদি কোষ। যা ব্যবহার করে নতুন কোষ তৈরি করা যায়।
পরীক্ষাগারে তৈরি করা এই ভ্রূণ নিষিক্তকরণের সাড়ে আটদিন পর্যন্ত একটি প্রাকৃতিক ইঁদুর ভ্রুণের মতো কাঠামো বহন করে যা অনেকটা স্পন্দিত হৃদয়ের মতো।
বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক বিকাশ পর্ব ও বিস্তার সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা এই কৃত্রিম ভ্রুণ ব্যবহার করবেন বলে আশা করছেন। এতে জীবিত প্রাণী হত্যার প্রয়োজন পরবে না। তাছাড়া এটি ভবিষ্যতে গবেষণার জন্য কৃত্রিম মানব ভ্রুণ তৈরির ভিত্তি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের
স্পেনের ন্যাশনাল বায়োটেকনোলজি সেন্টারের একজন গবেষক অধ্যাপক লুইস মন্টোলিউ বলেন,‘নিঃসন্দেহে আমরা একটি নতুন প্রযুক্তিগত বিপ্লবের মুখোমুখি হচ্ছি,যদিও এখন তা অপ্রতুল। তবে রয়েছে অবারিত সম্ভাবনা।’
গবেষণাপত্রটিতে কৃত্রিক ইঁদুর ভ্রুণ সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য দেয়া আছে।
ইসরায়েলের উইজম্যান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের জ্যাকব হানা ও তার সহকর্মীদের অনুরূপ একটি গবেষণাপত্র সেল জার্নালে মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত হয়। নেচারে প্রকাশিত গবেষণা পত্রের একজন সহলেখক হচ্ছেন হানা।
আরও পড়ুন: মা আক্রান্ত হলেও গর্ভের সন্তানের করোনা হওয়ার সম্ভাবনা কম: গবেষণা
৫০ বছর পর চাঁদে রকেট পাঠাচ্ছে নাসা
আগামী সপ্তাহে নতুন চন্দ্রাভিযান রকেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা, যা পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেবে। তবে আপাতত রকেটটিতে কোনো নভোচারী থাকবে না।
৩২২ ফুট উঁচু রকেটটি প্রাথমিকভাবে খালি ক্যাপসুল (নভোচারীদের জন্য) নিয়ে দূরবর্তী চন্দ্র কক্ষপথ দিয়ে প্রদক্ষিণের চেষ্টা করবে। নাসার বিখ্যাত ‘অ্যাপোলো’-এর ৫০ বছর পর এই চেষ্টা করা হবে। পুরো পরিকল্পনায় বড় আকারের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সাল নাগাদ নভোচারীরা চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে পারবে এবং ২০২৫ সালে চাঁদের পৃষ্ঠে নামতে সক্ষম হবে।
সোমবার সকালে নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বিষয়টি জানানো হয়। নাসার কর্মকর্তারা সতর্ক করেন, ছয় সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষামূলক এই উড্ডয়ন ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো বিষয় ব্যর্থ হলে সময় কমিয়ে আনতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
বুধবার নাসার প্রশাসক বিল নেলসন এপিকে বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি নিবো এবং পরীক্ষা চালাবো। আমরা যতটা পারি নিরাপদ করার জন্য কোনো নভোচারীকে রাখছি না।’
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পেস পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা (অবসরপ্রাপ্ত) জন লংসডন বলেন, যদি কোনো ব্যত্যয় ঘটে তাহলে ক্রম বর্ধমান খরচ ও দুটি উড্ডয়নের মাঝে দীর্ঘ বিরতি পুরো প্রক্রিয়া কঠিন করে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদ, মঙ্গল ও এর চেয়েও বড় কোনো অভিযানের টেকসই পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে এটি। তবে বড়ধরনের ত্রুটির সম্মুখীন হলে যুক্তরাষ্ট্র কি চালিয়ে নিতে প্রস্তুত থাকবে?
একক অভিযানের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি। এক দশক আগে নানা পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ২০২৫ সালে চাঁদে অবতরণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
ফেসবুক নিউজফিডে অনাকাঙ্ক্ষিত পোস্টে সয়লাব
বিশ্বের হাজার হাজার ফেসবুক ব্যবহারকারী বুধবার তাদের নিউজফিডে সমস্যা দেখা দেয়ার অভিযোগ করে। ব্যবহারকারীরা নিউজফিডের ওপরের দিকে বিভিন্ন তারকাদের ‘ফ্যান পেজ’ ও গ্রুপের বুস্ট (বিজ্ঞাপন) পোস্ট দেখতে পায়।
ডাউনডিটেকটর নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট (অভিযোগ) করতে থাকলে বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। ডাউনডিটেকটর বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অনলাইন সেবা সম্পর্কে তাৎক্ষণিক বিশ্লেষণ দিয়ে থাকে। ডাউনডিটেকটরের কাছে যতগুলো রিপোর্ট এসেছিল তার মধ্যে ৮১ শতাংশই ছিল নিউজফিড সম্পর্কে। এরপর থেকেই ব্যবহারকারীরা নানাধরনের ছবি ও মিম প্রকাশ করে সমস্যাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকে।
আরও পড়ুন: নাম পরিবর্তন করে ফেসবুক ইনক এখন ‘মেটা’
ঘটনাটির জন্য ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটা, ব্যবহারকারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে বলে জানায়।
বিবিসিকে কোম্পানিটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘আজ (বুধবার) দিনের শুরুর দিকে কনফিগারেশন পরিবর্তনের কারণে কিছু ব্যবহারকারী তাদের নিউজফিডে সমস্যা দেখতে পায়। সমস্যাটি আমরা দ্রুত সমাধান করেছি।’
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে যাওয়া পরিসেবা পুনরুদ্ধার করেছে ফেসবুক
সাইবার নিরাপত্তায় অবহেলা, অভিযোগ টুইটারের সাবেক নিরাপত্তা প্রধানের
টুইটারের সাবেক নিরাপত্তা প্রধান পিটার জাটকো মাধ্যমটির দুর্বল সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ভুল ব্যাখ্যা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। ভুয়া অ্যাকাউন্ট যেগুলোতে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে থাকে, তা সরানোর পদক্ষেপ নিতেও অবহেলা করেছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে দাখিল করা এক অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটিকে গুরুতর আইনি ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এতে টুইটার বেশি করে চাইবে ইলন মাস্কের সঙ্গে চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তিটি যাতে সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন সদস্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অভিযোগটি তদন্ত করতে বলেছেন।
পিটার অভিযোগটি যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশন, ফেডারেল ট্রেড কমিশন এবং বিচার বিভাগের কাছে গত মাসে দাখিল করেন। অভিযোগের বিষয়ে পিটারের সঙ্গে কাজ করেছে আইনবিষয়ক অলাভজনক সংস্থা ‘হুইসেলব্লোয়ার এইড’। নিশ্চিত করে, ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনে পোস্ট করা অভিযোগের একটি সংশোধিত অনুলিপির সত্যতা। পিটারের অভিযোগটি ওয়াশিংটন পোস্ট অনলাইনে ছেড়েছে এবং এর সত্যতা হুইসেলব্লোয়ার এইড নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
সংস্থাটির সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান উন্মোচন কর্মকর্তা জন টাই মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটিই তাঁর (পিটার) জন্য শেষ আশ্রয় ছিল’। পিটারকে এবছরের জানুয়ারিতে বরখাস্ত করা হয়।
পিটারের গুরুতর অভিযোগ হচ্ছে, টুইটার ২০১১’র এফটিসি (ফেডারেল ট্রেড কমিশন) শর্তাবলী লঙ্ঘন করে। টুইটার মিথ্যা দাবি করেছিল যে কোম্পানিটি এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। পিটারের আরও অভিযোগগুলোর একটি হল, স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কোম্পানিটি প্রতারণা করেছে। ঠিক এ কারণেই ইলন মাস্ক চেষ্টা করছে টুইটার কিনে নেয়া থেকে পিছিয়ে আসতে।
এ ঘটনার পর মঙ্গলবার টুইটার ইনকরপোরেটেডের শেয়ার সাত শতাংশের বেশি কমেছে।
আরও পড়ুন: জ্যাক ডরসিকে আদালতের তলবের জন্য ইলন মাস্কের রিট
৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক