বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
টি২০ বিশ্বকাপ দেখতে স্মার্ট টিভি খুঁজছেন? জেনে নিন ফিচার ও দাম
মারকুটে টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের জ্বরে ভাসছে গোটা দেশ। আর স্মার্ট টিভিতে বিশ্বকাপ দেখা মানে ঘরের মধ্যেই রীতিমতো মিনি স্টেডিয়ামের আমেজ পাওয়া। এইচডি (হাই-ডেফিনিশন) ডিসপ্লে, কালার কন্ট্রাস্ট এবং ডলবি সাউন্ড সিস্টেমে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ব্যাট ও বলের যুদ্ধে দামামা। শুধু কি তাই! নজরকাড়া ভঙ্গিমায় প্রিয় খেলোয়ারের ছক্কা হাকানো বা উইকেট নিয়ে বোলারের উল্লাস নৃত্য স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে স্মার্ট টিভি। বিশ্বকাপের উত্তেজনা বেড়ে ওঠার সঙ্গে সমান তালে বাড়তে থাকে অত্যাধুনিক এই টিভি কেনার প্রবণতা। এগুলোর মধ্য থেকে সেরাটা বাছাই করতে হলে টিভি সংক্রান্ত কিছু কারিগরি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। চলুন, সেই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জেনে নেওয়া যাক এ সময়ের মার্কেট কাঁপানো কয়েকটি স্মার্ট টিভির দাম ও ফিচার।
স্মার্ট টিভি কেনার আগে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি
স্ক্রিন সাইজ
টিভি ঠিক কত বড় জায়গায় কত দর্শকের জন্য রাখা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করতে হয় স্ক্রিন সাইজ। খুব ছোট জায়গায় অতিকায় টিভি যেমন অসঙ্গতিপূর্ণ, ঠিক তেমনি বিশাল ড্রইং রুমে ছোট্ট স্ক্রিনে কোনো কিছু ভালোভাবে দেখা যায় না। অবশ্য এখানে বাজেটকেও আমলে আনা আবশ্যক। স্মার্ট টিভির সর্বাধিক জনপ্রিয় মাপগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৪ থেকে ৫৫ ইঞ্চির স্ক্রিন।
ডিসপ্লে
বাংলাদেশে এলইডি এবং কিউএলইডি ডিসপ্লের জনপ্রিয়তার রেশ ধরে নতুন ওএলইডিগুলোও বাজারে বেশ ভালো চলছে। এলইডি (লাইট-এমিটিং ডায়োড) প্রযুক্তির টিভিতে মূলত লাখ লাখ ক্ষুদ্র লাইট অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে টিভির চিত্রগুলো তৈরি করে।
কিউএলইডি (কোয়ান্টাম ডট লাইট এমিটিং ডায়োড) টিভিতে সেই এলইডির ক্ষুদ্র লাইটের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় কোয়ান্টাম ডট। এই ডটগুলো এলইডিগুলোর তুলনায় আরও উজ্জ্বল চিত্র তৈরি করে।
আরো পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
এরপরেই সব থেকে উন্নত প্রযুক্তির ওএলইডি (অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড) চিত্র প্রদর্শনের ব্যবহার করে ছোট ছোট বিন্দু, যেগুলো সাব-পিক্সেল নামে পরিচিত। সাব-পিক্সেলগুলোর প্রতিটিই স্বাধীনভাবে চিত্র তৈরি করতে সক্ষম। স্বভাবতই ওএলইডিতে বাকি দুটোর তুলনায় সর্বাধিক প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে এগুলো বেশ ব্যয়বহুলও বটে। মাঝারি মূল্যের মধ্যে কিউএলইডি সেরা ভিজ্যুয়াল প্রদান করে। ভিডিওর মানের দিক থেকে সবার নিচে এলইডি, আর তাই এগুলোর দাম একটু কম হয়ে থাকে।
রেজ্যুলেশন
সেরা ভিজ্যুয়াল পেতে স্ক্রিন সাইজ ও ডিসপ্লের সঙ্গে যে বৈশিষ্ট্যটির সামঞ্জস্য করতে হয় তা হচ্ছে স্ক্রিন রেজ্যুলেশন। বাংলাদেশে সাধারণত ১ হাজার ৮০পি ও ফোরকে রেজ্যুলেশন বেশি দেখা যায়। অপরদিকে বাজারে এইটকে-এর প্রবেশটা অনেকটা ধীর গতির। কারণ এখন পর্যন্ত এত উচ্চ রেজ্যুলেশনের চলচ্চিত্র বা কন্টেন্টের সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। তাছাড়া এগুলোর দামও আকাশচুম্বী।
তবে মার্কেট সবচেয়ে বেশি দখলে রয়েছে ফোরকে বা আল্ট্রা এইচডি স্ক্রিনগুলোর। কেননা অধিকাংশ স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলো ফোরকে’তেই কন্টেন্ট দিচ্ছে। গুণগত মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকলেও ১ হাজার ৮০পি বা ফুল এইচডিগুলো এখনও টিকে আছে।
রিফ্রেশ রেট
একটি দৃশ্যের প্রতিটি সুক্ষ্ম সুক্ষ্ম উপাদান কত নিখুঁতভাবে প্রদর্শিত হবে তার একটা নিত্যতা হচ্ছে রিফ্রেশ রেট। প্রতি সেকেন্ডে রিফ্রেশের পুনরাবৃত্তিকে হার্ট্জ দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ফোরকে স্মার্ট টিভির জন্য একটি আদর্শ রিফ্রেশ রেট হল ৬০ হার্ট্জ। এর অর্থ হচ্ছে- প্রতি সেকেন্ডে ৬০ বার ছবি রিফ্রেশের মাধ্যমে স্ক্রিনটি মসৃণ দৃশ্য প্রদর্শন করতে পারে। সামাজিক মাধ্যমজুড়ে বিশদ চর্চার কারণে এখন অনেকেই ৫০ বা ৬০ হার্ট্জ এবং আগের ৩০ বা ৪০ হার্টজের পার্থক্য ধরতে পারেন। ক্রিকেট খেলায় কোনো উইকেট যাওয়ার সময় ৪০ হার্টজের তুলনায় ৬০ হার্টজে প্রতিটি দৃশ্য সুক্ষ্ম ভাবে লক্ষ্য করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
এইচডিআর সাপোর্ট
ছবির উজ্জ্বল এবং অন্ধকার অংশের মধ্যে অধিকতর স্পষ্ট বৈসাদৃশ্য ধরা পড়ে এইচডিআর (হাই ডাইনামিক রেঞ্জ)-এর মাধ্যমে। এতে করে ছায়াতে কিংবা অন্ধকারে এবং অধিক সূর্যালোকে ঘটা দৃশ্যগুলো স্বাভাবিক দৃশ্যের মতোই ভালোভাবে বোঝা যায়।
শুধু তাই নয়, এইচডিআর-এর রঙের ভারসাম্যতার জন্য দৃশ্যে থাকা বিভিন্ন খুটিনাটি বস্তুর উপর আলাদা ভাবে ফোকাস করা যায়। এরকম আলো-আধারীর দৃশ্যগুলো দেখার ক্ষেত্রে এইচডিআর না থাকা টিভিগুলোতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়।
অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ সুবিধা
একের সঙ্গে দুই বা ততোধিক ডিভাইসের সংযোগ সুবিধার মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরও বেশি উন্নত হয়ে ওঠে এলইডি টিভি। এইচডিএমআই ও ইউএসবি পোর্ট, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ব্যবস্থা গেমিং কন্সোল, বাহ্যিক সাউন্ড সিস্টেম এবং কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগের সুবিধা দেয়। পূর্বে শুধু বাহ্যিক স্পিকার সংযোগ করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল এই সংযোগ বৈশিষ্ট্য।
কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মোবাইল ডিভাইস সংযুক্ত করা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এমনকি অতিরিক্ত পাওয়ার অ্যাডাপ্টারেরও প্রয়োজন পড়ে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, অল্প অল্প করে এমন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি টিভির দামটাও বাড়তে থাকে।
আরো পড়ুন: আপনার মোবাইলটি অবৈধ নয়তো? অফিসিয়াল ফোন যাচাই করার উপায়
বিল্ট-ইন সাউন্ড সিস্টেম
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারী সিআরটি মনিটরের জায়গায় স্থান পেয়েছে এলইডি স্ক্রিন। টিভির এই ওজন কমার সঙ্গে ভিজ্যুয়াল কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই; কিন্তু ক্ষতি হয়েছে সাউন্ড সিস্টেমের দিক থেকে। এখন সাধারণত ডিসপ্লের ফিজিক্যাল ফ্রেমের ভেতরে সাদামাটা স্পিকার দেওয়া হয়। এতে করে টিভি দেখার অভাবনীয় অভিজ্ঞতার কাছে শোনার অভিজ্ঞতা নিছক নগণ্য বনে যায়।
বিশেষ করে মিউজিক সাউন্ডট্র্যাক এবং মুভি সাউন্ড এফেক্টগুলো ভালোভাবে বোঝা যায় না। তাই টিভি কেনার সময় সাউন্ড সিস্টেমের দিকেও নজর দেওয়া উচিৎ।
ন্যূনতম ডলবি অডিও হলে প্রাথমিকভাবে আলাদা করে স্পিকার লাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। আর বিল্ট-ইন ডলবি ডিজিটাল প্লাস সম্পূর্ণ না হলেও এর বর্ধিত সাউন্ড ঘর জুড়ে কিছুটা হোম থিয়েটারের আমেজ দিবে।
উন্নত প্রযুক্তি
এখন স্মার্ট টিভি মানেই পুরোদস্তুর একটি কম্পিউটার, যেখানে আছে অপারেটিং সিস্টেম, আভ্যন্তরীণ অ্যাপ এবং ইন্টারনেট-ভিত্তিক পরিষেবা। বর্তমানে ভয়েস কন্ট্রোল বৈশিষ্ট্যও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গ্রাহকদের মাঝে। এছাড়া ফেসবুক ব্রাউজের পাশাপাশি নেটফ্লিক্স মুভি স্ট্রিমিং এখনকার অ্যান্ড্রয়েড টিভিগুলোর সাধারণ বৈশিষ্ট্য।
আরো পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
৫৬৭ দিন আগে
ঈদুল আজহায় ডিপ ফ্রিজ খুঁজছেন? যেসব বিষয় জানা প্রয়োজন
ঈদুল আজহায় কুরবানি পরবর্তী সময়ে সবারই দুশ্চিন্তা থাকে মাংস সংরক্ষণ নিয়ে। তাই, এই ঈদ আসার আগেই হিড়িক পড়ে যায় ফ্রিজ কেনার। ক্রেতারা বিশেষ করে ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ কেনার দিকে ঝুঁকে পড়েন। কেননা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় মাংস সতেজ রাখার উৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে এই ফ্রিজার। আর এই চাহিদাকে উদ্দেশ্য করেই নিজেদের সেরা অফারগুলোর নিয়ে প্রস্তুতি নেয় দেশের প্রসিদ্ধ ফ্রিজার ব্র্যান্ডগুলো। এ সময় সঠিক পণ্যটি কেনার জন্য একজন ক্রেতাকে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। বিষয়গুলো বিশ্লেষণের পাশাপাশি চলুন, বর্তমান সময়ের সেরা কিছু ফ্রীজারের দাম ও ফীচার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ডিপ ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখে নেওয়া জরুরি
ফ্রিজারের ধরন
চেস্ট ফ্রিজার
এই ডিপ ফ্রিজগুলো বেশ চওড়া হয় এবং খোলা হয় উপরের দিক থেকে। সাধারণত উচ্চ কর্মদক্ষতাসম্পন্ন এই ইলেক্ট্রনিক পণ্যে সামগ্রী রাখার জায়গা থাকে অনেক বেশি। স্বভাবতই বড়, ভারী বা অমসৃণ খাদ্য সামগ্রী রাখার জন্য এগুলো উপযুক্ত। সেই সঙ্গে পরিষেবা প্রদানের দিক থেকেও এগুলো বেশ দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে এই ফ্রিজারগুলোর জন্য সাধারণত বেশি জায়গার প্রয়োজন হয়। তাছাড়া ফ্রিজারের ভেতরে একদম নিচের অংশে সামগ্রী রাখা বা বের করা নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়।
আপরাইট ফ্রিজার
হুবহু রেফ্রিজারেটরের মতো দেখতে এই ফ্রিজারগুলো খোলা হয় সামনের দিক থেকে। চেস্ট ফ্রিজারে খাবার রাখার জন্য যেখানে সাধারণত শুধু ১টি ঝুড়ি থাকে, সেখানে আপরাইট ডিপ ফ্রিজে থাকে একাধিক তাক। এতে করে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখার পাশাপাশি খাবারগুলো খুব সহজেই ভেতরে রাখা বা বের করা যায়।
তাছাড়া লম্বা হওয়ায় ঘরের ভেতরে এগুলো তুলনামূলকভাবে কম জায়গা নেয়। তবে ঝামেলা হচ্ছে চেস্ট ফ্রিজারের থেকে এখানে কম খাবার রাখা যায় এবং এগুলোর কর্মদক্ষতা কম হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
ধারণক্ষমতা
ডিপ ফ্রিজগুলো সাধারণত কমপক্ষে ১০০ লিটার থেকে শুরু করে ৭০৮ লিটার পর্যন্ত হতে পারে। এর মধ্যে-
- ছোটগুলো হয়ে থাকে ১৪২ থেকে ২৫৫ লিটারের, যেগুলো ছোট পরিবার বা মাঝে মাঝে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত।
- মাঝারিগুলো ২৮৪ থেকে ৫১০ লিটারের। এগুলো মাঝারি আকারের পরিবার বা যারা প্রায়শই বেশি পরিমাণে কেনাকাটা করেন তাদের জন্য।
- আর ৫৩৮+ লিটারেরগুলো ব্যবহৃত হয় একদম বড় পরিবার এবং বৃহৎ পরিসরে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য।
চাহিদা মতো ফ্রিজার কেনার পর সেটিকে ঘরের এমন স্থানে স্থাপন করতে হবে, যেখানে যথেষ্ট বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে।
এনার্জি এফিসিয়েন্সি
ফ্রিজারের এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলতে এর সর্বোত্তম হিমায়িত অবস্থার জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমাণকে বোঝায়। একটি এনার্জি এফিসিয়েন্ট বা দক্ষ ফ্রিজার অল্প বিদ্যুৎ খরচ করেই দ্রুত ঠান্ডা করে ফেলতে পারে। এই দক্ষতার জন্য পণ্যের ফিচার থেকে এনার্জি স্টার লেবেলটি দেখে নেওয়া যেতে পারে। এটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা (কেডব্লিউএইচ)-তে প্রকাশ করা থাকে, যার মাধ্যমে আনুমানিক বার্ষিক বিদ্যুৎ খরচ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই সংখ্যা যত কম হবে ফ্রিজার ততই উচ্চতর দক্ষতা সম্পন্ন হবে। এছাড়া এনার্জি এফিসিয়েন্সি রেট (ইইআর) দিয়েও এই বৈশিষ্ট্যটি যাচাই করা যায়। এখানে ইইআর বেশি হওয়া ভালো।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত দাবদাহে যেভাবে ঘরের ছাদ ঠান্ডা রাখবেন
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক
ফ্রিজারে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকলে বিভিন্ন ধরনের খাবারের গুণমান ঠিক রাখতে প্রয়োজন মতো তাপমাত্রা বাড়ানো-কমানো যায়। যেমন আইসক্রিমের টেক্সচার বজায় রাখার জন্য সামান্য উষ্ণ তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়।
অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি রোধ করার জন্য মাংসের জন্য দরকার হয় অতিরিক্ত ঠান্ডা পরিবেশের। বর্তমানে অধিকাংশ মডেলগুলোতে অ্যানালগ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটর দেখা যায়।
ম্যানুয়াল/অটো ডিফ্রস্ট
ফ্রিজারে জমে থাকা বরফগুলোর গলে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ডিফ্রস্ট বলা হয়। এখানে অটো বা স্বয়ংক্রিয় ডিফ্রস্ট ফ্রস্ট-ফ্রি বা নন-ফ্রস্ট নামেও পরিচিত। অটো ডিফ্রস্টে দীর্ঘ সময় ধরে জমে ওঠা বরফগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই গলে যেয়ে বরফ গলা পানি সিঙ্কহোল দিয়ে অপসারিত হয়।
আর ম্যানুয়াল ডিফ্রস্টে ফ্রিজারটি প্রথমে বন্ধ করে খাবারের সঙ্গে জমা বরফগুলো গলতে দিতে হয়। বরফ গলে গেলে খাবারগুলো বের করে পুরো ফ্রিজারের মেঝে ও দেয়ালে জমে থাকা বরফগুলো অপসারণ করতে হয়। এটি বেশ সময়-সাপেক্ষ এবং ঝামেলার ব্যাপার।
আরও পড়ুন: ওমেগা-৩ ডিম কি আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি?
খাবার সুবিন্যস্ত করে রাখার ব্যবস্থা
তাঁক, ঝুঁড়ি বা ডিভাইডারের মাধ্যমে ফ্রিজারে হিমায়িত পণ্যগুলো সুবিন্যস্তভাবে সংরক্ষণ করা যায়। যেমন মাছ-মাংস, শাক-সবজি এবং সান্ধ্যকালীন নাস্তা রাখার জন্য এই সরঞ্জামগুলো বেশ কাজে লাগে। যে খাবারগুলো বারবার বের করতে হয়, সেগুলো সামনে বা উপরে হাতের নাগালের মধ্যে রাখার প্রয়োজন হয়। আপরাইট ফ্রিজারে বেশি তাঁক পাওয়া গেলেও এখানে বড় বড় খাদ্য সামগ্রীর জায়গা সংকুলান হয় না।
অন্যদিকে, মাঝারি আকারের চেস্ট ফ্রিজারে বড় খাবারের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকলেও ঝুঁড়ি পাওয়া যায় সর্বোচ্চ দুটি।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নির্দেশক
ঘন ঘন লোডশেডিং বা বাড়িতে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ লাইনের কোনো ত্রুটির কারণে অনেক সময় ভোল্টেজ কম-বেশি হয়ে থাকে। এ অবস্থায় গৃহস্থালী বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য একটি সতর্কীকরণ লাইট ফ্রিজারের ভেতরের তাপমাত্রার ব্যাপারে সতর্ক করে তোলে। অধিকাংশ মডেলে একটি ভিজ্যুয়াল ইন্ডিকেটরের মাধ্যমে এই বৈশিষ্ট্যটি যুক্ত করা থাকে। এটি খাবার সংরক্ষণের একটি অগ্রীম সতর্কতা হিসেবে কাজ করে।
লক সিস্টেম
যৌথ পরিবারে ফ্রিজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বা শিশুদের নাগালের বাইরে রাখার জন্য ফ্রিজারে লক সিস্টেম থাকা প্রয়োজন। মেস, হোস্টেল এবং বাণিজ্যিক জায়গাগুলোতে এটি সবচেয়ে বেশি দরকারি। এছাড়া একসঙ্গে অনেকে ব্যবহার না করে এক হাতে যত্নের সঙ্গে ব্যবহারের জন্যও লক থাকা জরুরি। তবে ছোট পরিবারের ক্ষেত্রে এটি ঐচ্ছিক বিষয়।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
৫৬৮ দিন আগে
বিটিসিএলের সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ ভবন মিলনায়তনে বিটিসিএলের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্পদের লাভজনক ব্যবহার নিশ্চিতের এই লক্ষ্যে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে বিটিসিএলের অব্যবহৃত জমির সুষ্ঠু ব্যবহার, কলিং অ্যাপ আলাপের সেবার মান বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রাহক বৃদ্ধি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট জীবনের সেবার আওতাবৃদ্ধি এবং অন্যন্য অবকাঠামোর পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
দক্ষতার সঙ্গে স্মার্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক, চীনের নিজস্ব সোস্যাল মিডিয়া উইচ্যাট, দক্ষিণ কোরিয়ার কাকাওটক ইত্যাদির ন্যায় বাংলাদেশের নিজস্ব একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, কলিং অ্যাপ আলাপকে জনপ্রিয় করার পাশাপাশি জাতীয় সোস্যাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার যথেষ্ট সুযোগ আমাদের রয়েছে। বিটিসিএলের আলাপ, জীবন এবং অব্যাবহৃত ভূমি ও অবকাঠামো কাজে লাগাতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা সম্ভব।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ ছাড়াই নগদের কাছ থেকে ১৪ কোটি টাকা রাজস্ব পেয়েছে সরকার: পলক
পলক বলেন, ‘আলাপের অগ্রগতিতে আমি খুশি, কিন্তু সন্তুষ্ট নই।’
আলাপের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মার্কেটিং ও সার্ভিসিং- এ দুটির ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: মে মাসের মধ্যে ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে: পলক
৫৭১ দিন আগে
টেলিযোগাযোগ আইন সময়োপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব হবে: টিআরএনবির সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী
নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে সরকার সময়োপযোগী, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব টেলিযোগাযোগ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (৫ জুন) টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
‘রিফরম অব দ্য টেলিকমিউনিকেশন ল, ২০০১’ শিরোনামে এ বৈঠকে যৌথ আয়োজক ছিল অ্যামটব (অ্যাসোসিয়েসন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশ)।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রস্তুত করা খসড়ায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে চূড়ান্ত আইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানান পলক।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন আছে। একইসঙ্গে তাদেরও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হবে।’
খসড়া আইনের যেসব বিষয় ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব হবে না, সেগুলো সংশোধনের আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো অংশীজন ও দেশের জনসাধারণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এমন যা কিছু এই খসড়া আইনে আছে, তা অপসারণ করার উদ্যোগ নেব। এক্ষেত্রে ভারত ও ভিয়েতনামের আইসিটি আইন আমরা অনুসরণ করতে পারি। দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে একটি সময়োপযোগী আইন করা হবে যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে।’
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সেমিনারে আলোচকদের প্রস্তাব অনুযায়ী খসড়া আইনের ২টি ধারা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এ দুটি ধারা হচ্ছে ৭(৩) ও ২৬(ঙ)।
৭(৩) ধারায় বিটিআরসির কমিশনারদের অপসারণের ক্ষমতা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে এবং ২৬(ঙ) ধারায় সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্লাটফর্ম পরিচালনার জন্য বিটিআরসি থেকেও লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
সেমিনারে ৭(৩) ধারার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এ ধারার মাধ্যমে বিটিআরসির স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন চরমভাবে ব্যাহত হবে। অন্যদিকে ২৬(ঙ) ধারা দেশে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা ও অন্যান্য উদ্ভাবনকে জটিলতায় ফেলবে।
একই সঙ্গে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পরিচালনায় গঠিত বিটিআরসির কাজ ডিজিটাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে বিস্তৃত করা হলে বিটিআরসির স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনেও বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন বক্তারা।
এ দুটি সমালোচনাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে দুটি ধারাই বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
খসড়া আইন নিয়ে বিশিষ্ট অংশীজনদের সুপারিশ করা খসড়া পর্যালোচনার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি তৈরি করেন প্রতিমন্ত্রী। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে বলেন। এই কমিটির সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনারও আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নতুন আইনের কারণে কেউ যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আপনাদের সার্ভিসটা হবে কম টাকায় সর্বোচ্চ সার্ভিস।’
আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়ার কিছু দিক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দেশে ২০০১ সালে প্রণীত একটি পৃথক আইন থাকা সত্ত্বেও নতুন আইনের খসড়ায় এ সংক্রান্ত ধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে যা সমস্যা তৈরি করবে। খসড়ায় সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকাসহ উচ্চ জরিমানার বিধান রয়েছে যা অনেক বেশি বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
বৈঠকে খাতসংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রশাসনিক জরিমানাই এক ধরনের শাস্তি, এর ওপরে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায় যা ব্যবসাবান্ধব নয়। এতে এই খাতের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অপরাধকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকার বা কমিশনের কোনো পদক্ষেপের ওপর কোনো দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার থাকবে না বলে বলা হয়েছে। এ ধরনের বিধানকে সাংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী উল্লেখ করেন বক্তারা।
আলোচকরা আরও বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে এমন কোনো ধারা আইনে থাকা উচিত নয়। সরকারের কাছে খাতসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি আইন প্রণয়নের অনুরোধ করেন তারা।
গোলটেবিল আলোচনায় দুটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল হক এবং রবির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে এই গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন- অ্যামটব সভাপতি ও গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী (অতিরিক্ত দায়িত্ব), গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিকসন, এমটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব), ই-ডটকোর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনিল আইজ্যাক, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শহীদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, সামিট কমিউনিকেশনের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফারুক ইমতিয়াজ, ফাইবার অ্যাট হোমের পরিচালক(কমিউনিকেশন) আব্বাস ফারুক এবং ব্রাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ল’র শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার।
৫৭১ দিন আগে
চ্যাটজিপিটি বিভ্রাট, বিশ্বজুড়ে ভোগান্তি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনপ্রিয় চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি বিভ্রাটে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ব্যবহারকারী সমস্যায় পড়েছেন।
অনলাইন পরিষেবা বিভ্রাট ট্র্যাক করার ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টরের তথ্যানুযায়ী, ৩ হাজারের বেশি চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী সমস্যার কথা জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ ঝেড়েছেন।
এক্সে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহে চ্যাটজিপিটি, তোমাকে বেছে নেওয়ার পর এভাবে ডাউন হয়ে যাবে আশা করিনি। দ্রুত ঠিক হও।’
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সমস্যাটি সম্পর্কে জেনে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। বিবৃতে তারা বলেছে, সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। তবে এআই-চালিত পরিষেবাগুলোর ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা এবং অফলাইনে চলে যাওয়ার কারণে যে সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে, সে বিষয়টিও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৫৭২ দিন আগে
ওয়াল স্ট্রিটের অনুমান পেছনে ফেলে মুনাফা বেড়েছে এনভিডিয়ার
৭ গুণেরও বেশি আয় বেড়েছে মার্কিন চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়ার। ২৮ এপ্রিল শেষ হওয়া প্রথম প্রান্তিকের হিসাবে গত বছরের তুলনায় ২ দশমিক ০৪ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, গত বছরের ৭ দশমিক ১৯ বিলিয়ন থেকে রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৪ বিলিয়ন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টসেট জানিয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ওয়াল স্ট্রিট গবেষকদের ধারণার চেয়ে বেশি। তারা ভেবেছিলেন প্রতি শেয়ারের দাম হবে ৫ দশমিক ৬ ডলার। কিন্তু এনভিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে শেয়ারের দাম ৬ দশমিক ১২ ডলার। তবে, এক্ষেত্রে সামঞ্জস্য করার জন্য এককালীন পণ্য এই হিসাবে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে এআই প্রযুক্তি নিয়ে মাইক্রোসফটের নতুন কৌশল
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ‘টেন-ফর-ওয়ান’ শেয়ার বিভাজন সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে, যার মাধ্যমে কোম্পানির কর্মী ও বিনিয়োগকারীরা খুব সহজেই শেয়ারে প্রবেশ করতে পারবে। আর এর লভ্যাংশ শেয়ারপ্রতি ৪ সেন্ট থেকে বাড়িয়ে ১০ সেন্ট করা হয়েছে।
বৃদ্ধির বিষয়টি জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এনভিডিয়া করপোরেশনের শেয়ারগুলো ৬ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৬ দশমিক ৮৯ ডলারে দাঁড়ায়। গত এক বছরে শেয়ারের দর বেড়েছে ২০০ শতাংশের বেশি।
মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের পর ওয়াল স্ট্রিটে তৃতীয় সর্বোচ্চ বাজারমূল্য রয়েছে কোম্পানিটির।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম আল্টম্যান বরখাস্ত
বুধবার এক সম্মেলনে কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেনসেন হুয়াং বলেন, ‘পরবর্তী শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছে।’
সম্মেলনে হুয়াং ডেটা সেন্টার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তিনি বলেন, এনভিডিয়ার চিপ ব্যবহার করে এমন কোম্পানিগুলোই বেশকিছু সেন্টার তৈরিতে সেসব চিপ ব্যবহার করবে। সেন্টারগুলোর তিনি নাম উল্লেখ করেন ‘এআই ফ্যাক্টরিস’। যেগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) নতুন সব পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হবে।
হুয়াং আরও বলেন, এআই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া দিন দিন দ্রুত হচ্ছে। কারণ এই প্রযুক্তিকে এখন ‘মাল্টিমডাল’ হতেই শেখানো হচ্ছে। কারণ, এআই বর্তমানে লেখা, বক্তব্য, ছবি, ভিডিও ও ত্রিমাত্রিক তথ্য বুঝতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, এসবের পেছনের কারণ ও পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কেও বুঝতে পারে।
আরও পড়ুন: টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িকে টক্কর দিতে চীনা কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড
৫৮৫ দিন আগে
নির্ভুলভাবে ব্রেইন টিউমার শনাক্ত করবে এআই টুল: অস্ট্রেলিয়ার গবেষক দল
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) এমন একটি টুল তৈরি করেছে অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক যা কম সময়ে ও নির্ভুলভাবে ব্রেইন টিউমার শনাক্ত করতে সক্ষম।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এএনইউ) একদল গবেষক।
শুক্রবার তাদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, গবেষকদের তৈরি ‘ডেপ্লয়’ নামের এই টুলটি মস্তিষ্কের টিস্যুর আণুবীক্ষণিক ছবি বিশ্লেষণ করে কাজ করে থাকে। এই বিশেষ টুলটি শুধু ব্রেইন টিউমার শনাক্ত করাই নয়, এটিকে ১০টি উপধরনে শ্রেণিভুক্ত করতেও সক্ষম।
এই প্রকল্প প্রধানদের একজন এএনইউ’র বায়োলজিক্যাল ডেটা সায়েন্স ইনস্টিটিউটের দান-তাই হোয়াং। তিনি বলেন, ‘ব্রেইন টিউমার শনাক্ত এবং তার নানা উপধরনে শ্রেণিবদ্ধ করার জন্য বর্তমান যে পদ্ধতি রয়েছে, তাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায় এবং বিশ্বের সব জায়গায় এই পদ্ধতি সহজলভ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘ডিএনএ মিথাইলেশন-ভিত্তিক প্রোফাইলিং প্রক্রিয়ার বর্তমান পদ্ধতিটি যতটা সময় নেয়, সে তুলনায় এআই টুলটি মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফল দিতে সক্ষম।’
আরও পড়ুন: সবচেয়ে দূরবর্তী ব্ল্যাক হোলের সন্ধান পেল জোতির্বিজ্ঞানীরা
অভূতপূর্বভাবে ‘ডেপ্লয়’ ৯৫ শতাংশ নির্ভুলভাবে ফলাফল দিতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান হোয়াং।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রায় ৪ হাজার রোগীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে তা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ‘ড্রেপ্লয়’কে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। এর দেওয়া ফলাফল যাচাই করা হয়েছে বলে জানান হোয়াং।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে এটি কোনো প্যাথলজিস্টের প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ে যুক্ত করতে বা যদি ভিন্ন ফলাফল আসে, তা পুনর্মূল্যায়নের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।’
গবেষকরা বিশ্বাস করেন, এই টুলটি ক্যান্সারের অন্যান্য ধরন শ্রেণিবদ্ধ করতেও সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: নিউরালিংক: ইলন মাস্কের ব্রেইন-চিপ কোম্পানির মানবদেহে পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন
৫৯০ দিন আগে
এআই’র বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আইন করা হচ্ছে: টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের (এআই) বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় পর্যায়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস-২০২৪ উদযাপনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পলক বলেন, এআই মানুষের জীবনধারা যেমন সহজ করবে ঠিক তেমনি এটি সভ্যতার জন্য একটি বড় ঝুঁকি। প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশেষ করে এআইর বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে।
এছাড়াও তিনি জানান, ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সুলভ ও সহজলভ্য করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ণ করা হবে।
বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে আইটিইউর সদস্যপদ অর্জন করেন এবং যুদ্ধের ধ্বংস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিস্যাটের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, তিনটি মোবাইল কোম্পানিকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেওয়া এবং ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সাধারণের জন্য সহজলভ্য করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বেরই ফসল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিগত বছরগুলোর সফলতা ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বদানকারী দেশের কাতারে সামিল করেছে বলে জানান তিনি।
পলক আরও বলেন, ১৫ বছর আগে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১.৯ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠান বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন এবং এই দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বাংলাদেশে এ বছর প্রথমবারের মতো ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগসহ টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি খাতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের নিয়ে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম, আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্মারক সই হয়।
আরও পড়ুন: এআই নীতি প্রণয়নে নাগরিক অধিকার সংস্থা-অংশীজনকে সম্পৃক্ত করুন: টিআইবি ও আর্টিকেল নাইনটিন
৫৯০ দিন আগে
২০৪১ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর খাতের উন্নয়ন চায় বাংলাদেশ
সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর খাত গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এলএলপির অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম নিয়ে এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বর্তমানে, বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প থেকে বার্ষিক প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে, যার বেশিরভাগই ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (আইসি) চিপ ডিজাইন পরিষেবা সরবরাহ করে, যখন ফ্যাব্রিকেশন, প্যাকেজিং, সংযোজন এবং পরীক্ষা অব্যবহৃত রয়েছে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং এলএলপি'র পার্টনার অভিষেক গুপ্ত, যেখানে সেমিকন্ডাক্টর ভ্যালু চেইন এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য গুরুত্বের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।
সালমান ফজলুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের সম্ভাবনা অপরিসীম। এ জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোগ এবং একাডেমিক অবদানের সঙ্গে সরকারের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তৈরি স্মার্টফোন নিয়ে দেশের বাজারে ওয়ানপ্লাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা
তিনি বলেন, ‘এই শিল্প দেশীয় চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং আমাদের রপ্তানি সক্ষমতা বাড়াতে পারে। তাই আসুন আমরা সেমিকন্ডাক্টরের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে একযোগে কাজ করি।’
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, সেমিকন্ডাক্টর সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও সিস্টেমের জন্য একটি লাইফলাইন, প্রযুক্তিতে যেটির প্রয়োগ সীমাহীন।
তিনি বলেন, এশিয়া-প্যাসিফিক সরবরাহ প্রক্রিয়ার কাছাকাছি থাকা, শিল্প বৈচিত্র্যকরণ, অবকাঠামো ও প্রণোদনা সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি এসটিইএম ক্ষেত্রগুলোতে তরুণ পেশাজীবীদের বিশাল অংশ থাকায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা পেয়েছে।
সরকারি, বেসরকারি খাত ও উন্নয়ন সংস্থার স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে গ্রুপ টেকনিক্যাল পর্বের মাধ্যমে এ খাতের সম্ভাবনা, প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা, উৎপাদনের বাইরেও সুযোগ এবং প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ নেওয়া হয়।
কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়, এ খাতে সমন্বিত বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রাপ্ত পরামর্শের ভিত্তিতে একটি খসড়া কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িকে টক্কর দিতে চীনা কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড
৫৯১ দিন আগে
টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়িকে টক্কর দিতে চীনা কোম্পানির নতুন ব্র্যান্ড
চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) নির্মাতা নিও টেসলার সর্বাধিক বিক্রিত গাড়িকে টক্কর দিতে নতুন গাড়ি উন্মোচন করেছে। নতুন এই গাড়িটি হবে নিও’র কম দামের গাড়ির ব্র্যান্ড অনভোর প্রথম গাড়ি।
আজ বৃহস্পতিবার বিবিসির খবরে বলা হয়, নতুন মডেল এল৬০ এসইউভির দাম শুরু হবে ২ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ ইউয়ান (৩০ হাজার ৪৬৫ মার্কিন ডলার) থেকে। এদিকে, বিশ্বের জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি টেসলার মডেল ওয়াইয়ের দাম ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০ ইউয়ান। ফলে নিও ১০ শতাংশ সস্তায় গাড়ি নিয়ে আসছে বাজারে।
চীনা কোম্পানিটি এমন এক সপ্তাহে নতুন গাড়ি উন্মোচন করল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দিয়েছেন যে তিনি চীন থেকে ইভি আমদানিতে শুল্ক করবেন চারগুণ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে দেশে সর্বপ্রথম তারবিহীন চার্জিং বৈদ্যুতিক যান উদ্ভাবন
চীনা ব্যান্ডগুলোর তীব্র প্রতিযোগিতায় অন্যান্য ইভি ব্র্যান্ডগুলোর মতোই টেসলাও বিক্রিতে হ্রাসের সম্মুখীন হচ্ছে।
সাংহাইয়ে নিওর প্রধান নির্বাহী উইলিয়াম লি গাড়িটি উন্মোচন করেন। তিনি বলেন, কোম্পানিটি টেসলার মডেল ওয়াই এবং টয়োটা আরএভি৪-কে টেক্কা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রযুক্তির বিকাশ বেড়েছে, পাশাপাশি ইভি সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানও। তাই এখন আমাদের সময় এসেছে পারিবারিক গাড়ির সংজ্ঞা নতুন করে সাজানোর।’
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের শহরে চালকবিহীন গাড়ি ভাড়ার সেবা চালু
কোম্পানিটি এল৬০ এর অর্ডার নেওয়া শুরু করেছে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহ শুরু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এর সুবাদে দেশের সীমানা পেরিয়ে বাইরেও নিও’র ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে অনভো।
তবে কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রে শতভাগ শুল্ক এবং চীন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলমান ভর্তুকি বিরোধী তদন্তের মুখে পড়েছে।
৫৯২ দিন আগে