বিজ্ঞান-ও-প্রযুক্তি
‘ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি’ নিয়ন্ত্রণে ইমিউন সিস্টেমকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে: গবেষণা
দীর্ঘদিন ধরে গবেষকরা ক্যান্সার ও প্রদাহজনিত ব্যাধির মতো বিভিন্ন অসুস্থতার সময় মানবদেহে সংঘটিত প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য কাজ করেছেন।
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি স্কুল অব মেডিসিনের একজন সহযোগী অধ্যাপক এমা টেক্সেইরো ও তার গ্রুপ সম্প্রতি কীভাবে ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি তৈরি ও বজায় রাখা হয় এবং ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি গঠনে প্রদাহ যে ভূমিকা পালন করে তা পরীক্ষা করেছেন। ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি শরীরের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা সংক্রমণের বা টিকা দেয়ার পরে ধরে রাখে এবং পুনরায় সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি ক্যাম্পাসে নেক্সটজেন প্রিসিশন হেলথ ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা টেক্সেইরো বলেন, ‘আমাদের রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাপনা রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। কিন্তু এটি একটি খুব জটিল সিস্টেম যেখানে অনেক মিথস্ক্রিয়া ঘটছে এবং যদি বিষয়গুলো অনিয়ন্ত্রিত হয় তবে এটি আসলে রোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করতে পারে।’তিনি আরও বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের গবেষণাটি আরও ভালভাবে বোঝার ক্ষেত্রে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যে বিশেষত টি-কোষগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পর্যবেক্ষণ করে কীভাবে এই রোগ প্রতিরোধক প্রতিক্রিয়াগুলো তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। টি-কোষ শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার আক্রমণে ভূমিকা রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: ১১০ মিলিয়ন বছর বয়সী ডাইনোসরের জীবাশ্ম বলবে তাদের গল্প!
একটি মাউস মডেল ব্যবহার করে গবেষকরা প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়াগুলির বিভিন্ন স্ট্রেন তৈরি করেছেন যা টি-কোষের ভেতরে ইন্টারফেরন জিন বা স্টিং বা প্রোটিনের উদ্দীপকের মাধ্যমে প্রদাহের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যদিও অনেক বিজ্ঞানী অনুমান করেছিলেন যে প্রদাহের এই বৃদ্ধির ফলে একটি শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া হবে এবং তাই আরও শক্তিশালী ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি দেখা যায়, তবে টেক্সেইরো ও তার দল এর বিপরীত বিষয় খুঁজে পেয়েছে। আর তা হল- ইমিউনোলজিক্যাল মেমরির কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
টেক্সেইরো বলেন, ‘এই ক্ষেত্রের কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন বা ইমিউনোথেরাপির উন্নতির জন্য ‘স্টিং’ অ্যাক্টিভেশন লক্ষ্য করা যেতে পারে, তাই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি বা ক্ষতিকারক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা কমাতে খেলার সময় সমস্ত মিথস্ক্রিয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ।’
আরও পড়ুন: বাঘ তাড়াবে আলোকরশ্মি!
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরও ভালভাবে বুঝতে চাই কীভাবে ইমিউনোলজিক্যাল মেমরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়; যার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন বা ইমিউনোথেরাপির প্রভাব রয়েছে, যা টি-কোষকে এমনভাবে চালিত করে যে এর থেকে আশা করি- দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই আমাদের শরীর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগ থেকে রক্ষা পায়।’
যদিও তার গবেষণা প্রকৃতিতে মৌলিক, টেক্সেইরোর অনুসন্ধানগুলো ক্যান্সার, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি), শৈশবকালে সূচনার সঙ্গে স্টিং-সম্পর্কিত ভাস্কুলোপ্যাথি (এসএভিআই), হাঁপানি এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক উপসর্গের রোগীদের সাহায্য করার জন্য আরও কার্যকর চিকিৎসার বিকাশে অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের অন্বেষণই একজন বিজ্ঞানী হিসেবে আমার কৌতূহলকে তাড়িত করে। সঠিক দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই গবেষণাটি ছোট একটি পদক্ষেপ এবং আমি এর অংশ হতে পেরে গর্বিত৷’
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই জানিয়েছে, সম্প্রতি বিষয়টি সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাসার স্পেসএক্স মিশনের নভোচারীরা পৃথিবীতে ফিরছেন
দৈনন্দিন প্রযুক্তির কাজকে সহজ করবে ৫ 'লাইফ হ্যাক'
প্রযুক্তি যে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকে সহজ করেছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এও ঠিক যে প্রাযুক্তিক নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রতিযোগিতাও বেড়েছে বহুগুণে, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। এই সুযোগ-সুবিধাগুলো ব্যবহার করে যারা অল্প সময়ে অন্যদের আগেই কাজ শেষ করেন তাদেরকে বলা হয় 'স্মার্ট'।
শুধু বাহবা পাওয়ার জন্য নয়, কর্মদক্ষতা বাড়াতে ও যেকোনো কাজ সহজে করতে জানতে হবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার। যাকে বলা হয় 'লাইফ হ্যাক'। আজকের আয়োজনে থাকছে সেরকম ৫ লাইফ হ্যাক।
অতিথিদের জন্য ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড
শহরাঞ্চলের অধিকাংশ ঘরেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ রয়েছে। তাই বন্ধু বা অতিথি যে-ই আসুক, তাদের প্রথম আবদার থাকে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড। আপনি হয়তো কোনো কাজে ব্যস্ত, তাই পাসওয়ার্ড মুঠোফোনে নিজে থেকে দিতে পারছেন না। আবার পাসওয়ার্ড না বললে মনখারাপ করারও একটা সম্ভাবনা থেকে যায়। এর সহজ সমাধান পাওয়া যাবে কিউআইএফআই ডট অর্গ-এ (qifi.org)। এই ওয়েব ঠিকানায় প্রবেশ করে রাউটারের নেটওয়ার্ক নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে 'জেনারেট' বাটনে চাপলেই পাওয়া যাবে একটি কিউআর কোড। যা প্রিন্ট করে দেয়ালে লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে যার পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে তিনি শুধু কোডটি স্ক্যান করবেন।
আরও পড়ুন: কীভাবে চাকরির ইন্টারভিউতে সফল হবেন: গুরুত্বপূর্ণ ১০টি টিপস
টাইপের পরিবর্তে মুখে বলে বাঁচানো যাবে সময়
মুঠোফোন ও কম্পিউটার মিলিয়ে প্রতিদিন যে কত শত শব্দ টাইপ করতে হয় তার ইয়ত্তা নেই। হাতকে কিছুটা আরাম দিতে মুখে উচ্চারণ করেও টাইপের কাজ করা সম্ভব। এই সুবিধা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও গুগল ডকস উভয় সফটওয়্যারেই আছে।
ওয়ার্ডে সুবিধাটি পাওয়া যাবে 'ডিকটেশন' অপশনে। ডিকটেশন টুলবার হোম মেন্যুতে অথবা কি-বোর্ডের উইন্ডোজ ও এইচ কি (Win + H) চেপেও পাওয়া যাবে।
গুগল ডকসে 'টুলস' মেন্যুতে রয়েছে ভয়েস টাইপিং অপশন। ওয়ার্ড ও ডকস উভয়ক্ষেত্রে মাইক্রোফোনের আইকন থাকবে। আইকনটি চাপলেই আপনার কথাগুলো লেখায় পরিণত হবে। বিরামচিহ্ন দেয়ার সময় তুলনামূলক স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতে হয়।
গুনগুন করে খুঁজুন পছন্দের গান
ঘরে ফিরছেন। রাস্তায় একটি গানের কিছু অংশ শুনে বেশ ভালো লাগল। কিন্তু গানের নাম জানেন না। সুর মনে আছে। সেটিই যেন সারাক্ষণ মাথায় বাজছে। না শোনা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছেন না। এর সমাধান আছে মিডোমি (midomi.com) নামের ওয়েবসাইটে। সাইটটিতে যেয়ে বৃত্তাকার একটি আইকন পাওয়া যাবে। যা নির্বাচন করলেই চালু হবে। এখন আপনাকে শুধু ওই গানের সুর মাইক্রোফোনে গুনগুন করতে হবে। এটুকুই। আপনার গুনগুন থেকেই সম্ভাব্য ফলাফল দেখাবে। গুনগুন করা হলে আবারও আইকনটি চেপে বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
৬ কি-বোর্ড শর্টকাট বাঁচাবে সময়
Win + D: একাধিক অ্যাপলিকেশন বা উইন্ডো কেটে বা মিনিমাইজ করে ডেস্কটপে যাওয়া বেশ বিরক্তি কর। উইন্ডোজ ও ডি চাপলেই নিমিষেই চলে যাবে ডেস্কটপে।
Spacebar: কোনোকিছু ব্রাউজ করার সময় স্পেসবার চেপে নিচের দিকে স্ক্রল করা যাবে।
Shift + Spacebar: একইভাবে এই দুইটি কি চেপে উপরের দিকে স্ক্রল করা যাবে।
Win + Left/Right Arrow: একাধিক উইন্ডোতে কাজ করার সময় বারবার কারসন না নাড়িয়ে কি-বোর্ডের উইন্ডোজ ও লেফট/রাইট কি চেপে পাশাপাশি উইন্ডো নির্বাচন করা যাবে।
Alt + Tab: অল্ট কি চেপে ধরে ট্যাব কি তে চাপলে খোলা একাধিক উইন্ডোতে সহজেই যাওয়া যাবে।
Win + L: গোপনীয়তা রক্ষার জন্য অনেক সময় দ্রুত স্ক্রিন লক করার প্রয়োজন হতে পারে। কি-বোর্ড থেকে এই দুইটি কি চাপলে সঙ্গে সঙ্গে স্ক্রিন লক হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের সফল সিভি তৈরির কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
ব্রাউজারের ট্যাবেই দেখা যাবে টাইমার
কাজের গতি বজায় রাখতে টাইমারকে অনেক সময় তুলনা করা হয় কোচের সঙ্গে। কিন্তু কম্পিউটারে কাজ করার সময় ঘটে বিপত্তি। ব্রাউজারে কাজ করার সময় বারবার উইন্ডো পরিবর্তন করে দেখে আসতে হয় টাইমার। কাজটিকে সহজ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে ই.জিজি টাইমার (e.ggtimer.com)।
ওয়েবসাইটটিতে গেলেই পছন্দমতো সময় বেঁছে নেয়া যাবে। পাশেই থাকা 'স্টার্ট' বাটনে চাপলেই শুরু হয়ে যাবে সময় গণনা। ট্যাব না খুলেও দেখা যাবে টাইমার।
নেটফ্লিক্স পাসওয়ার্ড শেয়ারিং অবৈধ হতে পারে: যুক্তরাজ্য সরকার
যুক্তরাজ্যের একটি সরকারি সংস্থা নেটফ্লিক্সের মতো অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোর পাসওয়ার্ড শেয়ার করা আইনের বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করেছে।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অফিস (আইপিও) মঙ্গলবার বলেছে যে এধরনের অনুশীলন কপিরাইট আইন ভঙ্গ করে।
যুক্তরাজ্যে যারা একসঙ্গে থাকেন না তাদের স্ট্রিমিং পরিষেবার পাসওয়ার্ড শেয়ার করা খুব সাধারণ বিষয়। যদিও এটি সাধারণত পরিষেবা চুক্তির শর্তের বিরুদ্ধে।
এক্ষেত্রে যে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে এমন ইঙ্গিত নেটফ্লিক্স কখনো দেয়নি।
আরও পড়ুন: মেরিলিন মনরোর মোহময়তায় দর্শককে ভাসাবে নেটফ্লিক্সের ‘ব্লনডি’!
আইপিও সরকারি ওয়েবসাইটে তাদের নির্দেশিকাতে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়টি সরিয়ে দিয়েছে। একজন মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে পাসওয়ার্ড শেয়ার করার বিষয়ে আইনি অবস্থান পরিবর্তন হয়নি এবং আইপিও-এর নির্দেশিকারও একই অবস্থা। যেখানে বলা হয়েছে যে পাসওয়ার্ড শেয়ার করা মূলত একটি অপরাধ।
যেখানে আরও বলা হয়, ‘ফৌজদারি ও দেওয়ানি আইনে বিভিন্ন বিধান রয়েছে, যা পাসওয়ার্ড শেয়ার করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো ব্যবহারকারীকে অর্থ প্রদান ছাড়াই কপিরাইট-সুরক্ষিত কাজে প্রবেশাধিকার দেয়া। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে এই বিধানগুলোর মধ্যে চুক্তির শর্তাদি লঙ্ঘন, জালিয়াতি বা সেকেন্ডারি কপিরাইট লঙ্ঘন অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যেখানে দেওয়ানি আইনে এই বিধানগুলো দেয়া আছে। যা প্রয়োজনে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি পরিষেবা প্রদানকারীর ওপর নির্ভর করবে।"’
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উল্লেখ করেছে, যুক্তরাজ্যের প্রথম সারির স্ট্রিমিং পরিষেবাদানকারীরা তা করবে এমন ইঙ্গিত এখনো পাওয়া যায়নি।
নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, তারা অন্যদের অ্যাকাউন্ট ধার করা লোকেদের জন্য তাদের নিজস্ব সেট আপ করা, তাদের প্রোফাইল একটি নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা এবং সেইসঙ্গে পরিবার বা বন্ধুদের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের জন্য সাব-অ্যাকাউন্ট তৈরি করা সহজ করতে চেয়েছিল। ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে এই বৈশিষ্ট্যগুলো আরও বিস্তৃতভাবে চালু করা শুরু হবে বলে তারা জানায়।
আরও পড়ুন: স্কুইড গেম: বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা নেটফ্লিক্স অরিজিনাল কোরিয়ান ওয়েব সিরিজ
টিকটকে পরীক্ষামূলক ল্যান্ডস্কেপ ভিডিও মোড চালু
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘টিকটক’ বিশ্বজুড়ে নির্বাচিত কিছু ব্যবহারকারীর সঙ্গে তাদের নতুন একটি ল্যান্ডস্কেপ মোড পরীক্ষা শুরু করেছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন যে এই ফিচারটি ইউটিউবের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী ভিডিও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সাহায্য করবে।
পোর্ট্রেট মোডে ধারণ করা ভাইরাল ভিডিওগুলো টিকটককে বিশ্বের দ্রুত জনপ্রিয় হওয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপে পরিণত করেছে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে জাতীয় নিরাপত্তার হুমকির অভিযোগে এটি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
'তরুণ জনসংখ্যা'
এ বছর টিকটক জানিয়েছে, তারা ১০ মিনিট পর্যন্ত লম্বা ভিডিও ধারণের ব্যবস্থা করবে।
চীনা মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটিতে আগে কেবল তিন মিনিট বা তার চেয়ে কম সময়ের দৈর্ঘ্যের ভিডিও করা যেত।
আলব্রাইট স্টোনব্রিজ গ্রুপ কনসালটেন্সির একজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ পল ট্রায়োলো বিবিসিকে বলেন, ‘টিকটক বেশ কিছুদিন ধরে ইউটিউবের মতো হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ সংস্করণের ১০ মিনিটের ভিডিওগুলো তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তায় ইউটিউবকে ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২২ পেল রাইজআপ ল্যাবস
তথ্য ও প্রযুক্তিতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বেসরকারি খাতে 'রাইজআপ ল্যাবস' কে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার ২০২২-এ ভূষিত করেছে বাংলাদেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আইসিটি বিভাগ আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২-এর উদ্বোধনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে রাইজআপ ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এরশাদুল হক প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
আইসিটি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমত উল্লাহ ও আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২ বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাইজআপ ল্যাবসের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মো. ছফরুল আলম খান ও হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট মো. রফিকুজ্জামান।
এর আগে ২০১৪ সালে আইসিটি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পুরস্কার জয়লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি।
আইএসও সার্টিফাইড শীর্ষস্থানীয় টেকনোলজি কোম্পানি রাইজআপ ল্যাবস পরবর্তী প্রজন্মের তথ্য প্রযুক্তি সমাধান প্রদানের জন্য আরও অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ গেমিং এক্সপো ২০১৭, আপসিটি বেস্ট অব নিউইয়র্ক অ্যাওয়ার্ড ২০২২, দ্য ম্যানিফেস্ট অ্যাওয়ার্ড বাই ক্লাচ অন্যতম।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
রাইজআপ ল্যাবস সৃজনশীল, উদ্ভাবনী, টেকসই ডিজিটাল সফটওয়্যার তৈরি ও প্রযুক্তি পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এছাড়াও বাংলাদেশে সরাসরি ও অনলাইন মাধ্যমে বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।
২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে রাইজআপ ল্যাবস শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফ বাংলাদেশ, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি), ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), বিশ্ব শ্বাস্থ্য সংস্থা (হু), খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি বিষয়ক সমস্যা সমাধান ও পরিষেবা প্রদান করে আসছে।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
ডিনেট’র ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নাগরিকদের আইনি সুরক্ষা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার ইত্যাদি সংক্রান্ত সচেতনতা ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের মুক্ত ও নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করতে পারে।
সোমবার ঢাকায় সামাজিক সংগঠন ডিনেট আয়োজিত Advocacy Dialogue: awareness and protection of digital citizenship and rights শীর্ষক কর্মশালায় এবিষয়ে নানা কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরামর্শ উঠে আসে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম’এর যৌথ আয়োজনে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটির অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণ্যমান্য আইনজীবী ও স্বনামধন্য মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
আর্টিকেল ১৯ এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফাইসেল বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট -এ এর নির্দিষ্ট সংজ্ঞা থাকা জরুরি ছিল। কোন বিষয়গুলো ভাবমূর্তির মধ্যে পরবে বা ক্ষুণ্ণ হবে না তাও উল্লেখ করলে জনসাধারণের জন্য বুঝতে সহজ হতো। একই সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি ও সাইবার ক্রাইম শব্দগুলোর পরিষ্কার ব্যাখ্যা থাকা দরকার। এর প্রয়োগ সুষ্ঠুভাবে না হলে তা বাংলাদেশের জন্য বদনাম বয়ে আনবে”।
ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট, মানহানি বিষয়ক সবচেয়ে বেশি মামলা হচ্ছে। কিন্ত মামলার অগ্রগতি কম হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন আইনজীবীরা।
৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে কাজ করবে হুয়াওয়ে
২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ কোটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনতে নিজের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অপারেটরদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে হুয়াওয়ে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হুয়াওয়ের সিএসডি ফোরাম ২০২২ -এ আলোচনায় এই বিষয়টি উঠে আসে। হুয়াওয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে একাধিক দেশের মন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও বৈশ্বিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই ফোরামে হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় হুয়াওয়ে ওয়্যারলেস সল্যুশনের প্রেসিডেন্ট কাও মিং হুয়াওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের সঙ্গে প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
৫০ কোটি মানুষ যেন ডিজিটাল আর্থিক পরিষেবা উপভোগ করতে পারেন এবং পাঁচ লাখ মানুষ অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন, এজন্য ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নত আইসিটি অবকাঠামো তৈরির অন্যতম লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করছে।
লিয়াং হুয়া তার মূল বক্তব্যে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।
ডিজিটাল আর্থিক সেবা সাফল্যের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে, বাংলাদেশে একটি মোবাইল ই-ওয়ালেট পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে বিকাশ এবং হুয়াওয়ের অংশীদারিত্ব এবং কীভাবে এই পরিষেবাটি বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সক্ষম করে তুলবে সে বিষয়টি লিয়াং উপস্থিত সবার সামনে তুলে ধরেন।
আলোচনায় লিয়াং বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেট যুগ থেকে আমরা ইন্টেলিজেন্ট যুগে ধীরে-ধীরে প্রবেশ করছি। এই যুগে সবকিছু পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং সহজ যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। কানেক্টিভিটি শুধুমাত্র ডিজিটাল অর্থনীতির ভিত্তি নয় বরং এটি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।’
আরও পড়ুন: দেশের ক্লাউড খাতের বিকাশে হুয়াওয়ে ও রেডডট ডিজিটাল
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়গুলোকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য আমরা দু’টি ক্ষেত্রে এ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। প্রথমত, আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষরতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি এবং ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ডিজিটাল পরিসরের উপযোগী দক্ষ প্রতিভা বিকাশে কাজ করছি। দ্বিতীয়ত, শক্তিশালী ডিজিটালএবং বাস্তব অর্থনীতির জন্য ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি।’
এ লক্ষ্যে, হুয়াওয়ে ২০টি এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশে (চীন ও ভারত ছাড়া) প্রায় ১ দশমিক ১ বিলিয়নমানুষ এবং ২৯৩ মিলিয়ন বাড়িতে কানেক্টিভিটি সেবা প্রদান করেছে। হুয়াওয়ে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদৃঢ় ট্র্যাক রেকর্ড বজায় রেখেছে।
২০২১ সালে হুয়াওয়ে এ অঞ্চলে তিন লাখেরও বেশি বেস স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণে করেছে, যা ফোরজি নেটওয়ার্ক কভারেজ জনসংখ্যার ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়টিকে তরান্বিত করেছে। ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ডাউনলোডের হার এখন এ অঞ্চলে প্রতি সেকেন্ডে ১১০ মেগাবিট, যা আগের বছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ইনফো সরকার প্রকল্পের তৃতীয় ধাপের অবকাঠামো নেটওয়ার্ক নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হুয়াওয়ে। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, হুয়াওয়ের ডেলিভারি কর্মীরা সাবট্রপিক্যাল ফরেস্ট, জলাভূমি, জলাবনসহ সরকারি প্রকল্পের অবকাঠামো নেটওয়ার্ককে ২ হাজার ৬০০ গ্রামীণ জনপদে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। যা দেশের মোট ৬০ শতাংশ এলাকায় ছড়িয়ে গেছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী অনেক বাংলাদেশিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবে, যেখানে সরকার, শিক্ষা ও আইসিটি অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বই মেলার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ক্লাউড সার্ভিস দিচ্ছে হুয়াওয়ে
অনলাইন শিক্ষার প্রসারে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার আশা হুয়াওয়ের সিইও
১১০ মিলিয়ন বছর বয়সী ডাইনোসরের জীবাশ্ম বলবে তাদের গল্প!
কিছু বছর আগের কথা। কানাডার পশ্চিমাংশে এক খনিতে অন্যান্য দিনের মতোই খনন কাজ চলছিল। একদল খনি শ্রমিক এমন কিছু একটার সঙ্গে হোঁচট খেয়ে বসেন যা মোটামুটি সাম্প্রতিক স্মরণকালের সেরা আবিষ্কার হয়ে দাঁড়ায়। আর হবে না-ই বা কেন! বস্তুটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে অক্ষত ডাইনোসরের জীবাশ্ম।
কানাডার আলবার্টা থেকে ১৭ মাইল উত্তরে একটি খনি প্রকল্পে পাওয়া যায় ‘নোডোসর’। এক সময় পৃথিবীর বুকে বিচরণ করা এই তৃণভোজীর জীবাশ্ম ১৮ ফুট লম্বা এবং ওজন প্রায় তিন হাজার পাউন্ড। নিশ্চয় বিস্ময়কর!
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করলো ডাইনোসর!
ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,ভবিষ্যত বিনোদন হবে সম্পূর্ণ ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর।
তিনি বলেন, নতুন নতুন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল বাংলাদেশের ফসল। সংযুক্ত ও স্বয়ংক্রিয় প্লাটফর্মগুলো হবে বিনোদনের অন্যতম বাহন এবং এগলো বিনোদন খাতকে নিয়ে যাবে নতুন দিগন্তে।
সোমবার তেজগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে ‘কাজী মিডিয়া লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান দীপ্ত টিভি’র ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘দীপ্ত প্লে’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৩ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ ভীষণ যদি না দিতেন এবং সজীব ওয়াজেদ জয় দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তা বস্তবায়ন না করতেন; তাহলে আজ বাংলাদেশে ইন্টারনেট নির্ভর ওটিটি প্লাটফর্মের সুযোগ আমরা পেতাম না।
আরও পড়ুন: মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আর এ ধরণের উদ্যোগ দেশের স্বনির্ভরতা অর্জনের স্বাক্ষর বহন করে। এতে ফেসবুক ও নেটফ্লিক্স এর মাধ্যমে যে বিপুল অংকের অর্থ দেশের বাইরে যাচ্ছে তা বাঁচবে। অপসংস্কৃতি থেকেও তরুণদের রক্ষা করা যাবে।
কাজী মিডিয়ার ‘দীপ্ত প্লে’ সব বয়সী দর্শকদের উপযোগী কন্টেন্ট তৈরি করে ওটিটি হিসেবে নিজেদের জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ বচ্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন-বিকাশ এর প্রতিষ্ঠাতা কামাল কাদির, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী, পরিচালক কাজী জাহিন হাসান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফুয়াদ চৌধুরী এবং জনাব মাজহার চৌধুরী , প্রধান নির্বাহী মিডিয়াকম লিমিটেড এবং এশিয়াটিক মাইনডশেয়ার অজয় কুমার কুণ্ডু।
উল্লেখ্য, গুগল প্লে থেকে DeeptoPlay অ্যাপ ডাউনলোড করে মোবাইল ফোন বা স্মার্ট টিভিতে দেখা যাবে দীপ্ত প্লে। একই সঙ্গে www.deeptoplay.com ভিজিট করেও ‘দীপ্ত প্লে'র সঙ্গে যুক্ত হওয়া সম্ভব। দেশে ও দেশের বাইরে থাকা সব বয়সী দর্শক খুব সহজেই যুক্ত হতে পারবেন ‘দীপ্ত প্লে'র সঙ্গে। উপভোগ করতে পারবেন দেশি বিনোদন।
প্রসঙ্গত, দীপ্ত টিভির দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক এবং ডাবিং সিরিয়ালগুলো দর্শক এই প্ল্যাটফর্মে দেখতে পাবেন যখন- তখন, ইচ্ছেমতন সময়ে। অ্যানিমেশন ফিল্ম, ডকুমেন্টারিসহ নানা ধরনের টিভি শো। প্রায় ১০০০ এর ওপর কন্টেন্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করা দীপ্ত প্লেতে দর্শকের সময় ফুরিয়ে যাবে, কিন্তু কন্টেন্ট ফুরাবে না; এখানে প্রতিদিনই যুক্ত হতে থাকবে নতুন নতুন কন্টেন্ট। মাসিক ও বাৎসরিক সাবক্রিপশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানগুলো টিভি'র আগেই উপভোগ করার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।
আরও পড়ুন: সাইবার যুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করার আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের
প্রতিবন্ধী ও চাকরিদাতাদের সেতুবন্ধনে কাজ করবে ‘ইমপোরিয়া’: প্রতিমন্ত্রী পলক
তথ্য প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার পার্ক
শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক আগামীতে তথ্য প্রযুক্তিখাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বক্তারা।
রবিবার তথ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে 'চতুর্থ শিল্প বিপ্লবঃ বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতের প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, তথ্য প্রযুক্তিখাতে নতুন নতুন ব্যবসায়িক ধারণা নিয়ে নবীন উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে এখাতে সৃষ্ট সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে গুগলের নতুন ৩ অ্যাপ
কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্য অধিদপ্তরের ইনোভেশন টিম লিডার ও সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল।
তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য অফিসার এ. এইচ. এম. মাসুম বিল্লাহর সঞ্চালনায় কর্মশালায় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মহাব্যবস্থাপক মেজর অবসরপ্রাপ্ত এম ইউ সিকদার, আইটি ইঞ্জিনিয়ার শুকলাল কুমার, কেনার হাটের কো-ফাউন্ডার মো. নাহিদুল ইসলাম, টেকনোসফট গ্লোবাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজালাল, শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোঃ বেনজির আলম প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল বলেন, শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক দেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির সূতিকাগার। দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে নতুন বিনিয়োগের চিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
এ পার্ক রাজধানী ঢাকার বাইরে যশোরে আইটি খাতে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। এই সফটওয়্যার পার্কের সুবিধা নিয়ে স্টার্ট আপের মাধ্যমে নতুন নতুন আইডিয়া বেরিয়ে আসবে। এখান থেকেই সফল নতুন ব্যবসার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি ই-কমার্স প্লাটফর্মে যশোরের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিপণনের জন্য উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: নীরব ঘাতক স্মার্টফোন!
পার্কের মহাব্যবস্থাপক মেজর অবসরপ্রাপ্ত এম ইউ সিকদার বলেন, সরকার যশোরকে দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পাশাপাশি আইটিখাতে উদ্যোক্তা তৈরিতে এই বিশেষায়িত পার্ক স্থাপন করেছে।
বর্তমানে এ পার্কে ৫৪ জন বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তারা মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, স্টার্ট আপ ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, কল সেন্টার খাতে বিনিয়োগ করেছেন বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় উদ্যোক্তারা জানান, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে উদ্যোক্তারা কম খরচে নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। এখানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। ফলে বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠান এই পার্কে বিশাল পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আইটিখাতের স্টার্ট-আপদের সম্পূর্ণ বিনা খরচে অফিস পরিচালনার সহায়তা দেয়ায় তারা সরকারের প্রশংসা করেন।
তারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য সহজ শর্তে ফাইন্যান্সিং সুবিধা প্রদান এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে অভিজ্ঞতার শর্ত শিথিল করার পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, যশোর শহরের নাজির শঙ্করপুর এলাকায় ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ একর জমির ওপর শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হয়। কর্মশালা শেষে তথ্য অধিদপ্তরের ইনোভেশন টিমের সদস্যরা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তি দূর করতে সফটওয়্যার আনছে অ্যাপল