জীবনধারা
ইমপ্রেসন অব রোকেয়া'স: কসমস আতেলিয়ার ৭১ এ নকশা খোদাই পদ্ধতির কর্মশালা শুরু
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্টমেকিং স্টুডিও 'কসমস আতেলিয়ার ৭১' এর আয়োজনে ইমপ্রেসন অব রোকেয়া'স শিরোনামে প্রখ্যাত শিল্পী ও শিল্পকলার শিক্ষক অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার চার দিনের একক 'নকশা খোদাই পদ্ধতির কর্মশালা' শুরু হয়েছে। সোমবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে এটির উদ্বোধন করা হয়। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মশালা চলবে।
কসমস ফাউন্ডেশনের শৈল্পিক শাখা গ্যালারি কসমসের সহযোগিতায় এই কর্মশালায় বিশিষ্ট বাংলাদেশি শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, মনিরুল ইসলাম, বীরেন সোম, নাসির আলী মামুন এবং আনিসুজ্জামান আনিস উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের ১০ জন শিল্পী- অস্মিতা আলম শাম্মী, রুজভেল্ট বেঞ্জামিন, ছবি জুলফিকার, রিফাত জাহান কান্তা, ফারজানা রহমান ববি, মোহাম্মদ রেজওয়ানুর রহমান, বাচ্চু মিয়া আরিফ, কামরুজ্জোহা, শুক্লা পোদ্দার ও এসএম এহসান এতে অংশগ্রহণ করছেন। শিল্পীরা এই কর্মশালায় সফট গ্রাউন্ড এবং স্টেনসিল মিডিয়াতে নকশা খোদাইকর্ম করবেন।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
কসমস আতেলিয়ার ৭১ এবং গ্যালারি কসমসের নির্বাহী পরিচালক সৌরভ চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রত্যেক শিল্পী কর্মশালায় দু’টি প্রিন্টমেকিং আর্টওয়ার্ক শেষ করবেন। পরে আমরা এই শিল্পকর্মগুলো ২৮ জানুয়ারি বারিধারা গার্ডেন গ্যালারিতে প্রদর্শনী ও বিক্রির জন্য প্রদর্শন করতে যাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রিন্টমেকিং বিভাগের বর্তমান অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানা ১৯৫৮ সালে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্টস থেকে স্নাতক করেন। এরপর তিনি ১৯৮৩ সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী থেকে প্রিন্টমেকিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
পোল্যান্ড, জার্মানি, মরক্কো, ওমান (বাইত আল জুবায়ের জাদুঘর), ফ্রান্স, ইরান, মিশর, তুরস্ক, তাইওয়ান, নেপাল, কোরিয়া, জর্ডান, ডেনমার্ক, পাকিস্তান, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র— ডেনভার ,ওয়াইমিং, এনওয়াই (আর্ট স্টুডেন্ট লীগ) এবং জাপানে তার প্রদর্শনী হয়েছে।রোকেয়া সুলতানা অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বৃত্তি এবং পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে একটি মর্যাদাপূর্ণ ফুলব্রাইট বৃত্তির আওতায় তিনি নেব্রাস্কা-লিংকন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ মাস আবাসিক শিল্পী ছিলেন। তিনি ঢাকা, শান্তিনিকেতন এবং সিডনির শিল্পকলা জগতের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: ‘ধারণার চেয়েও বেশি’: মধ্যযুগে বাংলায় হাবশি শাসন এবং আফ্রিকা-ভারত সংযোগ সম্পর্কে ডা. কেনেথ রবিন্স
শিল্পীর পাওয়া পুরষ্কারগুলোর মধ্যে ক্রয় পুরস্কার, সোমারস্টাউন গ্যালারি, চতুর্থ বিয়েনাল, এনওয়াই, ইউএসএ (১৯৯২), তৃতীয় ভারত ভবন প্রিন্ট বিয়েনেলে(১৯৫৫), ১৪তম জাতীয় শিল্প প্রদর্শনীতে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পুরস্কার(১৯৯৯), নবম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল সম্মাননা (১৯৯৯), জাতীয় শিল্প প্রদর্শনীতে(২০০২) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার উল্লেখযোগ্য। ২০০৩ সালে তিনি প্যারিসের এল আতিলিয়ার লি কুরিয়ার ইট ফ্রিলট-এ ফরাসি সরকারের বৃত্তি লাভ করেন এবং ২০১৭ সালে তিনি কানাডার টরন্টোতে ওপেন প্রিন্ট স্টুডিওতে একজন আবাসিক শিল্পী হন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি; রাষ্ট্রপতি ভবন, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন, ১৯৭১ গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভস ও জাদুঘর তাইওয়ানের জাতীয় মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টস; বাংলাদেশ আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক; সিডনির ব্ল্যাকটাউন আর্ট সেন্টার, নেব্রাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুকারম্যান মিউজিয়াম অব আর্ট, জর্জিয়ার এসজিসি ইন্টারন্যাশনালের আর্কাইভস; আর্ট ইউনিভার্সিটি একাডেমি, সান ফ্রান্সিসকো; দ্য মিউজিয়াম অব ইন্টারন্যাশনাল কনটেম্পোরারি গ্রাফিক, ফ্রেডরিকস্টাড, নরওয়ে; ইউনিভার্সাল গ্রাফিক মিউজিয়াম, কায়রো; জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি, কলকাতা; ইয়ং ওয়ান কালেকশন, কোরিয়ায় তার শিল্পকর্ম রয়েছে।
আরও পড়ুন: এপিসোডস অব হার গেজ: ঢাকা লিট ফেস্টে মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্ত চিত্রকর্মের মোড়ক উন্মোচন
শুক্রবার শহীদ আসাদ দিবস
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান আসাদের মহান আত্মত্যাগের স্মরণে শুক্রবার দেশে পালিত হবে শহীদ আসাদ দিবস।
জাতি তার শাহাদতের ৫৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আসাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করতে প্রস্তুত।
১৯৬৯ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর তাদের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সামনে পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আসাদুজ্জামান আসাদ।
সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাসের স্নাতক আসাদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান এই ঘটনার ইন্ধনে গণবিদ্রোহের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
দিবসটি উপলক্ষে শহীদ আসাদ পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এদিকে আসাদুজ্জামান আসাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
তারা আসাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতি স্মরণ করছে কৃতী সন্তানদের
আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
মার্কিন ডলারের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় এবং বিনিময় হারের ওঠানামায় বাংলাদেশি যাত্রীরা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মার্কিন ডলারের দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত আপনার কি দেশের বাইরে বেড়ানোর পরিকল্পনা বাদ দেয়া উচিত? এই ডলার সংকট মোকাবিলা করার কি কোনো উপায় আছে? মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশ ভ্রমণের কিছু বিকল্প উপায় দেখে নেয়া যাক।
কেন আপনার মার্কিন ডলার কেনার বিকল্প মাথায় রাখা উচিত
বিদেশ ভ্রমণ একদিকে যেমন উত্তেজনাপূর্ণ ও অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করে; তেমনি এটি ব্যয়বহুলও। আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সবচেয়ে বড় খরচ হল বাংলাদেশি টাকাকে আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেই দেশের মুদ্রায় রূপান্তর করার খরচ। তবে ভ্রমণকারীরা সাধারণত যে কোনো দেশে যাওয়ার সময় মার্কিন ডলার সঙ্গে রাখে।
মার্কিন ডলারের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে বেইজ কারেন্সির তোয়াক্কা না করে বিনিময় হারকে উচ্চ করে তুলেছে। তাই ভ্রমণকারীদের বিকল্প উপায়গুলো বিবেচনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও সাশ্রয়ী হবে।
আরো পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণের উপায়
• ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক কার্ডের (ডলার-সমর্থিত ভিসা/মাস্টারকার্ড) মাধ্যমে ডলার নেয়ার পরামর্শ দেয়। ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার এবং ব্যাংক ও খোলা বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণে তারা এই পরামর্শ দিয়েছে। খোলাবাজারে নগদ ডলারের দামের সঙ্গে বর্তমানে ব্যাংকের ব্যবধান ১০ টাকার বেশি।
আপনার ক্রেডিট কার্ডে ডলার অনুমোদন (এনডোর্স) করা সাশ্রয়ী। বর্তমান পরিস্থিতিতে এতে আপনার প্রতি মার্কিন ডলারে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ টাকা সাশ্রয় করতে পারে। তবে বর্তমানে নগদ ও কার্ড অনুমোদনের বিনিময় হার একই ১০৬ টাকা (১২ জানুয়ারি পর্যন্ত)।
২০২২ সালের আগস্ট মাসের একটি খবর অনুযায়ী, খোলা বাজারে তখন ১ ডলার কিনতে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত খরচ হতো, অন্যদিকে ব্যাংক বা কার্ডের মাধ্যমে ডলার কিনতে ৯৫ টাকা লাগতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সে সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ কারণেই আমরা ভ্রমণকারীদের পরামর্শ দিচ্ছি যে তারা তাদের ব্যাংক থেকে নগদ টাকার পরিবর্তে ট্রাভেল কার্ড দিতে অনুরোধ করুন। যাতে তাদের কম টাকা খরচ হয়।’
আরো পড়ুন: ঘুরে আসুন মালদ্বীপ: অপরূপ এক দ্বীপদেশ ভ্রমণ গাইড
• আপনার ভ্রমণ গন্তব্যের স্থানীয় মুদ্রা কিনুন
আপনি যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানকার স্থানীয় মুদ্রা কেনা আপনার বিনিময় খরচ কমাতে পারে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে বিভিন্ন মুদ্রার বিনিময় হারও বেড়েছে।
তাই আপনি পরীক্ষা করতে পারেন যে আপনার গন্তব্য দেশের মুদ্রা কেনার খরচ কমছে কি না। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ভারতে ভ্রমণ করেন, বাংলাদেশ থেকে রুপি কিনলে আপনি মার্কিন ডলারে রূপান্তরিত করার চেয়ে বেশি মুদ্রা পেতে পারেন।
• ডিজিটাল ওয়ালেট ব্যবহার করুন
অনেক দেশ এখন ডিজিটাল ওয়ালেট গ্রহণ করে। যেমন- অ্যাপল পে ও গুগল ওয়ালেট। আপনি যদি এই ধরনের লেনদেন চলে এমন কোনো দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার মুদ্রাকে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তর করার প্রয়োজন পড়বে না। একটি তৃতীয় পক্ষের পরিষেবা ব্যবহার করে আপনি মুদ্রা লোড করতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ গাইড: দর্শনীয় স্থান সমূহ, খরচ
• বিদেশি এটিএম এর সুবিধা নিন
আপনি যখন অন্য কোনো দেশে থাকেন, তখন এটিএম থেকে নগদ টাকা তোলা, ব্যাংক বা কারেন্সি এক্সচেঞ্জের দোকানে কারেন্সি কনভার্ট করার চেয়ে বেশি সাশ্রয়ী হতে পারে। আপনার যদি বাংলাদেশ থেকে ডলার-সমর্থিত কার্ড থাকে, তাহলে আপনি স্থানীয় এটিএম ব্যবহার করে যে দেশে ভ্রমণ করছেন সেখানে টাকা তুলতে পারবেন।
তবে, আপনি যে দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন সেখানে আপনার কার্ড কাজ করবে কিনা তা নিশ্চিত করতে আপনার ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং বিদেশি এটিএম ব্যবহার করার জন্য ফি আছে কিনা তা জেনে নিন।
মধু দিয়ে মজাদার পাঁচ পদ
মধু এক প্রকারের মিষ্টি-ঘন তরল, যা একাধারে খাদ্য ও ওষুধ। মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস থেকে মধু তৈরি করে মৌচাকে সংরক্ষণ করে। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহার চিনির চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর।
মধুর গুণাগুণ ও উপকারিতা
মৌমাছি ফুল থেকে ফুলের রেণু ও মিষ্টি নির্যাস সংগ্রহ করে নিজেদের পাকস্থলীতে রাখে। তারপর তাতে মৌমাছির মুখ নিঃসৃত লালা মিশ্রিত হয়ে রাসায়নিক জটিল বিক্রিয়ায় মধু তৈরি হয়। এরপর মুখ থেকে মৌচাকে মধু জমা করে। ঠাণ্ডা কমাতে মধুর বিকল্প নেই।
মধুর পুষ্টিগুণ
মধুতে রয়েছে ৪৫টিরও বেশি খাদ্যগুণ। এরমধ্যে কয়েকটি হলো-গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, মন্টোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ, এনকাইম, ক্যালরি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, আয়োডিন, জিংক, কপার, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান।
আসুন জেনে নেয়া যাক খাদ্য ও ঔষধি গুণসম্পন্ন মধু দিয়ে তৈরি কয়েকটি খাবারের পদ সম্পর্কে-
বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব শুরু
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাতের ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথমপর্ব। শুক্রবার বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই এ ইজতেমা শুরু হয়।
দুপুরে ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে স্মরণকালের বৃহত্তম জুমার নামাজ। জুমার নামাজ পড়াবেন বাংলাদেশের তাবলীগের মুরব্বি মাওলানা হাফেজ জোবায়ের আহমদ। আগামী রবিবার দুপুরের আগে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথমপর্ব।
জানা গেছে, বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে আরও একজন মুসল্লী মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: আগামীকাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা শুরু
মাশরুমের পাঁচ পদের সহজ রেসিপি
মাশরুম এক ধরনের ছত্রাক। আমাদের দেশে এটি ব্যাঙের ছাতা নামে বহুল পরিচিত। অ্যাগারিকাস ছত্রাকের মাংসল কোমল ও ভঙ্গুর বীজাধারই হলো মাশরুম। এদের অধিকাংশই ব্যাসিডিওমাইকোটা, তবে কিছু অ্যাসকোমাইকোটার অন্তর্ভুক্ত।
চীন, কোরিয়া, জাপানসহ ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশে কয়েক ধরনের মাশরুম খাবার হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশেও আধুনিক খাবার হিসেবে মাশরুমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটছে।
পুষ্টি উপাদান
কাঁচা অথবা রান্নাকৃত মাশরুম স্বল্প-ক্যালরিযুক্ত খাদ্য হিসেবে স্বীকৃত। কাঁচা অবস্থায় এতে ভিটামিন বি থাকে। যাতে রিবোফ্লোবিন নায়াসিন ও প্যান্টোথেনিক এসিড এবং প্রয়োজনীয় বিভিন্ন খনিজ উপাদান থাকে।
এছাড়াও অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে মাশরুমে ভিটামিন ডি২ তৈরি হয়।
আসুন পুষ্টিগুণসম্পন্ন ও মুখরোচক এই খাবারটির পাঁচটি পদ রান্না সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
আগামীকাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা শুরু
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা আগামীকাল শুক্রবার ফযরের নামাজের পর শুরু হচ্ছে। ইজতেমায় অংশ নিতে তাবলীগের মুসুল্লীদের আগমনে এরই মাঝে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরের ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
এবারও ইজতেমাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাজার হাজার কর্মী তৎপর রয়েছেন। তবে ইজতোমার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে সন্তুষ্টি রয়েছে তাদের। শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগবালাই বেড়ে যেতে পারে, তাই স্বাস্থ্যক্যাম্প বসানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্যাম উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
জানা গেছে, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় বার্ধক্যজনিত কারণে এরই মধ্যে দুই মুসল্লি মারা গেছেন।
ইসলাম ও ইজতেমার দাওয়াতের কাজে তাবলীগ জামাতের যারা মসজিদে মসজিদে বিভিন্ন মেয়াদের চিল্লায় ছিলেন তারা এরই মধ্যে প্যান্ডেলে ঠাঁই নিয়েছেন।লাখ লাখ মুসুল্লীর অবস্থানের জন্য বিশাল প্যান্ডেলকে খিত্তায় খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। জেলা অনুযায়ি খিত্তায় খিত্তায় ঠাঁই না পেয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন মাঠের পাশে খোলা আকাশের নিচে।
তবে মুসুল্লিদের আগমন এবার বেড়েছে এবং আগের চেয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়লেও আরও বাড়ানোর দাবি রয়েছে তাদের।
এদিকে ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, ইজতেমার ময়দানে এবং বিমানবন্দর থেকে আসা-যাওয়ার পথে বিদেশি মুসল্লিদের জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। দেশীয় মুসল্লীদের জন্য ময়দান ও ময়দানের আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
প্রতিবারের মতো এবারও ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামারায় মনিটরিং, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা তৎপরতাসহ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে ইজতেমা মাঠকে ঘিরে। ইজতেমার দেশী-বিদেশী শীর্ষ পর্যায়ের মুরৃব্বীরা তাবলীগের ৬ ওসুলের ওপর বয়ান করবেন।
গত কয়েক বছর থেকে তাবলীগের দুই গ্রুপ আলাদা করে একই জায়গায় ইজতেমা করছেন। প্রথম পর্যায়ে মাওলানা হাফেজ জোবায়ের পন্থি এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ভারতের মাওলানা সাদ পন্থি তাবলীগ জামায়াত সদস্যরা ইজতেমা করবেন। দুই গ্রুপের ইজতেমায় দেশীয় মুসুল্লিদের সঙ্গে বিদেশি মুসল্লীগণ এই ময়দানে সমবেত হবেন এবাদত-বন্দেগী ও আল্লাহকে রাজি খুশি করার মাধ্যমে পরকালের চির শান্তির আশায়।
করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে গত দু'বছর বিশ্ব ইজতেমা হয়নি। দু'বছর পর এবার দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি এবং মাঝখানে চারদিন বিরতি দিয়ে ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
রেওয়াজ অনুযায়ী আখেরী মোনাজাত হবে প্রতি পর্বের ইজতেমার শেষদিনে। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শীতের ছয়টি মজাদার পিঠার রেসিপি
পিঠা আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাংলাদেশে সারা বছর বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি হয়। তবে পিঠা তৈরি ও খাওয়ার জন্য শীতকাল সবচেয়ে ভালো মৌসুম। শীতের সকাল পিঠা খাওয়ার উপযুক্ত সময়। পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির একটি অংশ। বেশিরভাগ পিঠাই মৌসুমী। বিশেষ করে শীতের মৌসুমেই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হয়। কারণ কিছু উপাদান শুধুমাত্র এই সময়েই পাওয়া যায়। কিছু পিঠা নবান্ন এবং পৌষ পার্বণের মতো ফসল কাটার উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পিঠা তৈরির জন্য চালের গুড়ো, নারকেল, গুড়, দুধ, তেল ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। এটা নির্ভর করে পিঠার ধরনের ওপর। কিছু পিঠা মিষ্টি আবার কিছু নোনতা, কিছু নরম আবার কিছু শক্ত।
শীতকালের ছয়টি মজাদার পিঠার রেসিপি তুলে ধরা হল-
১. পাটিসাপটা
পাটিসাপটা হল একটি পাতলা সুইডিশ প্যানকেক বা ক্রেপ ধরনের পিঠা, খুব বিশেষ এবং বাঙালিদের কাছে খুব পছন্দের। এটি ছাড়া কোন বিশেষ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না। অনেক বৈচিত্র্য থাকতে পারে, কখনও কখনও গুড়ের সঙ্গে প্রস্তুতকৃত নারকেলের মিশ্রণে ব্যবহার করা হয় এবং কখনও কখনও ক্ষীর বা ক্ষীরশা ব্যবহার করা হয়। অনেকে জাফরান, শুকনো বাদাম এবং কিশমিশ ব্যবহার করে থাকে।
পাটিসাপটা পিঠা করতে যা লাগবে-
উপকরণ:
দুধ ২ লিটার,
চিনি ৫০০ গ্রাম,
সুজি দুই টেবিল চামচ,
মিহি নারিকেল কোরা আধা কাপ,
চালের গুঁড়া ১ কেজি,
ময়দা আধা কাপ,
ভাজার জন্য তেল,
পানি পরিমাণ মতো
চিনি স্বাদমতো
প্রস্তুত প্রণালী:
প্রথমে অর্ধেক চিনি আর দুধ ঘন করে জ্বাল দিতে হবে। এবার তার ভেতর সুজি আর নারিকেল কোরা ছেড়ে ক্ষীর তৈরি করে নিতে হবে। ক্ষীর ঘন হলে নামিয়ে রাখুন। চালের গুঁড়া, বাকি চিনি, পানি আর লবণ দিয়ে পাতলা গোলা করে নিন। ফ্রাই প্যানে সামান্য তেল নিয়ে গরম করে নিতে হবে। এবার আধা কাপ গোলা দিয়ে একটা পাতলা রুটির মতো বানিয়ে নিন। রুটির ওপরের দিকে শুকিয়ে এলে এক টেবিল চামচ পরিমাণ ক্ষীর দিয়ে মুড়িয়ে পাটিসাপটার আকার দিয়ে আরেকবার ভেজে নিন। এভাবে একটি একটি করে পিঠা বানিয়ে নামিয়ে আনুন। ঠাণ্ডা হলে পরিবেশন করুন মজার পাটিসাপটা পিঠা।
এপিসোডস অব হার গেজ: ঢাকা লিট ফেস্টে মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্ত চিত্রকর্মের মোড়ক উন্মোচন
বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মাকসুদা ইকবাল নিপার প্রাণবন্তভাবে তৈরি করা বিমূর্ত চিত্রকর্মগুলোর ক্যালিডোস্কোপিক জগৎ ব্যক্ত করে কসমস বুকস দশম ঢাকা সাহিত্য উৎসব বা ঢাকা লিট ফেস্টে (ডিএলএফ) 'এপিসোডস অব হার গেজ'-এর মোড়ক উন্মোচন করেছে।
কসমস বুকস থেকে প্রকাশিত নিপার জাঁকজমকপূর্ণ শিল্পকর্মের এটি প্রথম প্রকাশনা। শুক্রবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ডিএলএফ-এর কসমস বুকস স্টলে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন ইউএনবি’র ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজিস্ট নাবিলা রহমান।
কসমস বুকসকে তার প্রথম চিত্রকর্মের সমষ্টিগত প্রকাশনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাকসুদা ইকবাল নিপা বলেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তিন বছরের বিরতিতে এই বছরের ডিএলএফে ফিরে আসতে পেরে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।
নিপা ইউএনবিকে বলেন, ‘বইটির ধারণাটি আমার সমসাময়িক শিল্পকর্মগুলো থেকে প্রতিফলিত হয়েছে, যা আমি জাপানে আমার স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের সময় শুরু করেছিলাম। এই বইটিতে আমার বেশ কয়েকটি প্রদর্শনীর ২০০টির মতো শিল্পকর্ম রয়েছে এবং এটি শিল্পী ও শিল্প লেখক জাভেদ জলিলের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও এই প্রকাশনাটি এর আগে জাতীয় জাদুঘরে আমার একক প্রদর্শনীর সময় ও পরে ঢাকা আর্ট সামিট-এ প্রকাশ করা হয়েছিল। এই প্রকাশনার মাধ্যমে এই প্রথম আমার চিত্রকর্মের সমষ্টি ডিএলএফে প্রদর্শিত হচ্ছে।’
বইটি সম্পাদনা করেছেন ক্যাথরিন গ্রেস গার্ডেনার ও মুবিন শাদমান খান এবং লেআউট ও ডিজাইন তৈরি করেছেন এআরকে রিপন। বইটির জন্য তার শিল্পকর্মের ছবি তুলেছেন নিপার স্বামী; স্বনামধন্য শিল্পী মোহাম্মদ ইকবাল, এআরকে রিপন, হোসেন শহীদ ইকো, মিজানুর রহমান খোকা, রেজাউল হক, রাসেল চৌধুরী ও সৌরভ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
বইটিতে প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ার চিত্রগ্রাহক ডক্টর জিম ফ্রেজিয়ারের একটি মুখবন্ধও রয়েছে, যিনি ক্যামেরার পেছনে একজন পথপ্রদর্শক এবং স্যার ডেভিড অ্যাটেনবোরোর সঙ্গে কাজ করেছেন। একাধিক পুরস্কার বিজয়ী এই প্রকৃতিবিদ ২০১৫-২০১৬ সালে যখন বাংলাদেশে ছিলেন তখন নিপার কাজের প্রেমে পড়ে যান।
বিমূর্ত চিত্রকলার উজ্জ্বল জ্ঞানের সঙ্গে একজন দক্ষ চিত্রশিল্পী ও প্রাণবন্ত বিমূর্ততার জন্য পরিচিত মাকসুদা ইকবাল নিপা ১৯৯৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে তার বিএফএ (ড্রয়িং অ্যান্ড পেইন্টিং) ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০২ সালে তিনি জাপানের আইচি ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনে পোস্ট-গ্রাজুয়েট রিসার্চ কোর্সে (অয়েল পেইন্টিং) ভর্তি হন। নিপা ২০০৪ সালে আইচি ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশন থেকে ফাইন আর্টস (পেইন্টিং) বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। জাপানে থাকাকালীন নিপার শৈল্পিক শৈলীটি প্রতিনিধিত্বমূলক থেকে তার নিজস্ব ধাঁচের বিমূর্ততায় ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়।
ফরাসিতে একটি বচন রয়েছে যে ‘আর্ট ফর আর্ট’স সেক’ বা শিল্পের জন্য শিল্প – এর একজন প্রবক্তা হিসেবে নিপার যাত্রা সর্বদাই স্বাধীন এবং কোনো নির্দিষ্ট শিক্ষামূলক, নৈতিক, উপযোগী বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ না করার জন্য অবিচল। নিপার শিল্পকর্মগুলো বিমূর্ত, আবেগপ্রবণ, একজন নারী ও একজন ব্যক্তি হিসেবে তিনি প্রতিদিন যে কষ্ট সহ্য করেন তার ভিজুয়াল ডায়েরি।
তিনি সম্প্রীতির আকাঙ্ক্ষা ও যে নিপীড়নের মুখোমুখি হন তা থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা থেকেই শিল্পকর্মগুলো তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হন। নিপীড়ন থেকে মুক্তি বলতে কী বোঝায় তা আবিষ্কার করার সময় তিনি বড় ক্যানভাসে তৈলচিত্র তৈরি করেন ও পরীক্ষা করেন।
একজন নারী ও শিল্পী হিসেবে নিপার যাত্রা হল জন্মের স্থান, দীর্ঘকাল ধরে চিন্তাভাবনা ও নীরব কল্পনার অস্পষ্ট উড্ডয়ন নিয়ে পরিশ্রম করা। তার সচিত্র পরামিতি হল দেখা, অদেখার ক্ষেত্র ও চোখ দিয়ে নেয়া তথ্যের মুহূর্তগুলোর গ্রহণ। কিন্তু তার যোগসূত্র হল পরিবেশের সংবেদনশীল অচেতন মিলনের সঙ্গে যেখানে সে পালিয়ে বেড়ায়, সেখানে সুখের সন্ধান করা।
কৌতূহল ও সন্দেহের আবরণের আড়ালে লুকিয়ে থাকা শব্দগুলো তার কল্পনাপ্রসূত চিন্তার ক্ষেত্র।
আরও পড়ুন: ‘ধারণার চেয়েও বেশি’: মধ্যযুগে বাংলায় হাবশি শাসন এবং আফ্রিকা-ভারত সংযোগ সম্পর্কে ড. কেনেথ রবিন্স
একজন শিল্পী হিসেবে নিপার অভ্যন্তরীণ মেজাজ ও লুকানো আত্মার স্মৃতিচারণ হছে- একটি অন্বেষণ, যা তিনি অস্থির তাগিদ ও মেজাজের নীরব আভাস দিয়ে ধ্যান করেন। যা ক্যানভাসের বিদ্যমান স্ব-দৃষ্টিতে থাকা ডায়েরির সঙ্গে ধীরে ধীরে বেঁচে থাকে।
নিপা তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর, ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর সদর দপ্তর, জাপানের টয়োটা মিউনিসিপ্যাল আর্ট মিউজিয়াম, যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস আর্ট মিউজিয়াম, কোরিয়ার সিউলের ইয়ংওন কর্পোরেশনসহ দেশ-বিদেশে অসংখ্য একক ও দলীয় শো করেছেন। তিনি তার নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কর্তৃক সম্মানিত হয়েছেন। নিপা জাপান, চীন ও বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পুরস্কার ও অনুদান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়ের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও অনাবিষ্কৃত সম্পর্কের বিষয়ে মনোযোগ বাড়ানো প্রয়োজন'
বাংলাদেশে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিংয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে: শাবি অধ্যাপক
বর্তমানে বাংলাদেশে পয়েন্ট অফ কেয়ার টেস্টিং বা ডায়াগনসিসের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস।
শনিবার বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এতথ্য জানান।
তিনি জানান, পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং বা ডায়াগনসিস হলো এমন একটা প্রক্রিয়া, যেখানে মাইক্রো অথবা ন্যানো স্কেলের ডিভাইস বা চিপ ব্যবহার করে কোন ব্যক্তি নিজ বাসভবন বা কর্মক্ষেত্রে বসে অথবা নিকটবর্তী ক্লিনিকে দ্রুত সময়ে স্বল্প খরচে রোগ নির্ণয় করতে পারেন।
এছাড়াও বর্তমানে তার তত্ত্বাবধানে মাইক্রোফ্লুইডিক ভিত্তিক পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালু হয়েছে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যানবেইজ কর্তৃক গবেষণা অনুদানের মাধ্যমে ক্যান্সার এবং সংক্রামক ব্যাধির জন্য পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং বা ডায়গনোসিস সিস্টেম ডেভেলপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক ড. গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, যেমন দু’টি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে-আমাদের দেশে প্রতিনিয়তই ডায়াবেটিস টেস্ট করার জন্য গ্লুকোমিটার ও চিপ ব্যবহার করা হয়; অপরদিকে প্রেগনেন্সি টেস্ট স্ট্রিট ব্যবহার করে গর্ভধারণের পজেটিভ অথবা নেগেটিভ রেজাল্ট নির্ণয় করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
এ দুক্ষেত্রেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না বরং মানুষ ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজন সম্পাদন করতে পারেন। উন্নত বিশ্বে সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধিকে লক্ষ্য করে প্রচুর পরিমাণে পয়েন্ট অব কেয়ার টেস্টিং এর গবেষণা চলছে। এই টেস্টগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেক বেশি লাভবান হতে পারে কারণ রোগীকে ডাক্তারের শরণাপন্ন কম হতে হয়, এবং ক্লিনিক বা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
এতে করে অর্থ ও সময় দু’দিক থেকেই লাভবান হওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তকরণকে ধরা যাক। যখন সারা বিশ্ব ঝুঁকেছে করোনাভাইরাসের জেনোম সিকুয়েন্সিং করার জন্য যাতে করে সুনির্দিষ্ট ভাবে করোনা শনাক্ত করা যায় তখন ল্যাটেরাল ফ্লো স্ট্রিপ ভিত্তিক এন্টিবডি টেস্ট বাজারে চলে এসেছে; যদিও এটা কনফার্মেটরি টেস্ট নয় তারপরও এ ধরনের টেস্ট অনেক উপকারী, কারণ ঘরে বসেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
অপরদিকে কিছু দিন পর, এই ল্যাটেরাল ফ্লো স্ট্রিপ বা বিভিন্ন চিপ ভিত্তিক নিউক্লিক এসিড টেস্ট বা কনফার্মেটরি টেস্টও বাজারে এসেছে।
গতানুগতিক আরটি-পিসিআর ল্যাবের প্রয়োজন ছাড়াই পয়েন্ট অফ কেয়ার টেস্টিং মানুষের কর্মস্থলে রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া পৌঁছে দিতে পারে।
এই ধরনের ডিভাইস বা রোগ নির্ণয় পদ্ধতি মূলত নির্ভর করে মাইক্রোফ্লুইডিক টেকনোলজি এর ওপর জানিয়ে অধ্যাপক গোকুল চন্দ্র বলেন, মাইক্রোফ্লুইডিক টেকনোলজি হল মাইক্রো লিটার আয়তনের সলিউশন বা রিএজেন্ট নিয়ে চিপের মধ্যে অল্প পরিমাণ বস্তু যেমন প্রোটিন বা ডিএনএ/আরএনএ বা অন্য কোন রাসায়নিক দ্রব্য নির্ণয় করা হয়।
আমাদের দেশে এ ধরনের রিসার্চ বা গবেষণার তেমন প্রচলন নেই। উন্নত বিশ্বে অনেকেই উচ্চ শিক্ষার সময় এই টেকনোলজি নিয়ে কাজ করেন কিন্তু বাংলাদেশে এসে গবেষণা অর্থের অভাবে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের তেমন কোন গ্রুপ এখনো এ ধরনের টেকনোলজি নিয়ে কাজ করে তেমন সুফল পাননি। এর কারণ এই গবেষণার জন্য চিপ তৈরি বা প্রাথমিক দ্রব্যাদি প্রচুর অর্থনৈতিক সাহায্য দরকার। প্রচন্ড আগ্রহের কারণে তিনি স্বল্প বাজেটের প্রজেক্ট এর মাধ্যমে এই গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেছেন।
রাসায়নিক দ্রব্যাদির প্রতূলতা সাপেক্ষে এবং নিরলস কাজ করে যেতে পারলে আগামী বছরের মধ্যে ঘরে বসে মাইক্রোফ্লুইডিক ডিভাইস বা চিপ এবং ল্যাটারাল ফ্লো স্ট্রিপ এর মাধ্যমে ক্যান্সার অথবা সংক্রামক ব্যাধি শনাক্ত করনের গবেষণা সম্পন্ন হবে।
এছাড়াও এই প্রকল্পের আওতায় একই সঙ্গে চার ধরনের ক্যান্সারের প্রাথমিক শনাক্তকরণ সম্ভব হতে পারে। তার ওপরে চেষ্টা করা হবে যাতে করে একই টেস্টের মাধ্যমে ক্যান্সারের স্টেজ বলা যায় কিনা অর্থাৎ কোন পেজের ক্যান্সার সেটা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। প্রথমে খালি চোখে ক্যান্সার শনাক্তকরণের চেষ্টা করা হবে অর্থাৎ কলোরিমেট্রিক বা ফ্লুরোসেন্স ভিত্তিক বায়োসেন্সিং সিস্টেম ডেভলপ করা হবে।
পরবর্তীতে ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল ডিটেকশন সিস্টেম তৈরি করার চেষ্টা করা হবে যাতে করে নিখুঁতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ম্যাথ চ্যালেঞ্জে শাবিপ্রবির ৯ শিক্ষার্থীর সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন