এবারের বিশ্বকাপে ফেভারিটদের মৃত্যুকুপ যেন কাজান অ্যারেনা। এই মাঠেই জার্মানি, আর্জেন্টিনার পর বিশ্বকাপ শেষ হল ব্রাজিলের।
বিশ্বকাপের অঘোষিত ফাইনাল বলা হচ্ছিল ব্রাজিল-বেলজিয়াম ম্যাচটিকে। জমজমাট হাইভোল্টেজ ম্যাচ ভাগ্য যেন সহায় ছিল না নেইমার-কুতিনহোদের।
দুই হলুদ কার্ড পাওয়ায় এই ম্যাচে খেলতে না পারা ব্রাজিলের হোল্ডিং মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোর অভাবটাও ভালোই টের পেল সেলেসাওরা। তার পরিবর্তে মাঠে নামা ফের্নান্দিনহোর আত্মঘাতী গোলে ম্যাচের ১৩তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তিতের শিষ্যরা।
গোল শোধে মরিয়া ব্রাজিল আক্রমণে যায়।
এই সুযোগে ৩১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে বেলজিয়ামের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেভিন ডি ব্রুনেই। রোমেলু লুকাকুর দূর্দান্ত এক পাস পেয়ে কোনাকুটি শটে লক্ষ্যভেদ করে ম্যানচেস্টার সিটির এই নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার।
পিছিয়ে পড়া ব্রাজিল একের পর এক আক্রমণে নামে। কিন্তু বেলজিয়ামের অতন্ত্র প্রহরী থিবো কোর্তোয়া আর দুর্ভাগ্যের কারণে লক্ষ্যভেদে বারবারই ব্যর্থ হতে হয় নেইমার-সিলভা-কুতিনহোদের।
৭৬তম মিনিটে ব্রাজিলের পক্ষে এক গোলে শোধ করে ম্যাচে ফেরার আশা জাগান বদলি হিসেবে নামা রেনাতো অগাস্টো।
যোগ করা সময়েও ব্রাজিলের সমতায় ফেরার সুযোগ কয়েকবারই বাঁধা পায় থিবো কর্তোয়ার দূর্দান্ত সব সেভে।
শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ব্রাজিলকে হতাশ করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। ৩২ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেষ চারে জায়গা পেল বেলজিয়াম। এর আগে ১৯৮৬ সালে সেমিতে খেলেছিল তারা।
মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে ১৯৯৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়বে বেলজিয়ানরা।