আগামী বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ইতোমধ্যে নিউজিল্যান্ডের ১৬ সদস্যের দল বাংলাদেশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, আসন্ন সিরিজের আগে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে এসেছে কিছু পরিবর্তন। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস দুজনকেই দলে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টির আগে উভয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি একাদশ তৈরি করার চেষ্টা করেছি আমরা। বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সম্মিলিত টি-টোয়েন্টি একাদশে কে কে থাকছে তা দেখে নেয়া যাক।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল
১) লিটন দাস (বাংলাদেশ)
ম্যাচ: ৩৩| রান: ৬৪৬| সর্বোচ্চ স্কোর: ৬১| স্ট্রাইক রেট: ১৩৪.০২
লিটন দাস বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে তাকে আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে।
২) টম ল্যাথাম (নিউজিল্যান্ড, উইকেট রক্ষক)
ম্যাচ: ১৩| রান: ১৬৩| সর্বোচ্চ স্কোর: ৩৯| স্ট্রাইক রেট: ১০৩.৮২
নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজে নিউজিল্যান্ড দলের নেতৃত্ব দেবেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান টম ল্যাথাম। তিনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় যিনি সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আইসিসির জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড় সাকিব
৩) সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)
ম্যাচ: ৮৪| রান: ১,৭১৮| সর্বোচ্চ স্কোর: ৮৪| স্ট্রাইক রেট: ১২২.৫৩। উইকেট: ১০২। সর্বোচ্চ: ৫/২০। ইকোনো ৬.৮০
সাকিব আল হাসান বিশ্বের অন্যতম অভিজ্ঞ টি -টোয়েন্টি খেলোয়াড় এবং নিউজিল্যান্ড সিরিজে তিনি বাংলাদেশের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
৪) মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ)
ম্যাচ: ৮৬| রান: ১,২৮২| সর্বোচ্চ স্কোর: ৭২*| স্ট্রাইক রেট: ১২০.০৩
মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। দলে তার অন্তর্ভুক্তি নিঃসন্দেহে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে দলকে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশ
৫) হেনরি নিকোলস (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ: ৫| রান: ১৯| সর্বোচ্চ স্কোর: ৭| স্ট্রাইক রেট: ৬৭.৮৫
ব্যাট হাতে সেরা টি -টোয়েন্টি রেকর্ড না থাকা সত্ত্বেও হেনরি নিকোলস দলের একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। তাই নিকোলস এই সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
৬) মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ, অধিনায়ক)
ম্যাচ: ৯৭| রান: ১,৬৫১| সর্বোচ্চ স্কোর: ৬৪*| স্ট্রাইক রেট: ১২১.২১। উইকেট: ৩২। সর্বোচ্চ: ৩/১৮। ইকোনো: ৭.৩১
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভালো পারফর্ম করেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরবর্তী সিরিজেও তাকে তার পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে।
৭) আফিফ হোসেন (বাংলাদেশ)
ম্যাচ: ২৩| রান: ৩১৫। সর্বোচ্চ স্কোর: ৫২| স্ট্রাইক রেট: ১২৩.৫২। উইকেট:০৬। সর্বোচ্চ ২/৬। ইকোনো ৮.০৬
আফিফ হোসেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ খেলোয়াড়। সাম্প্রতিক সিরিজে তিনি তার পূর্ণ সক্ষমতা দেখিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ জয়
৮) কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ: ৩৬| রান: ৪৮৭। সর্বোচ্চ স্কোর: ৫৯| স্ট্রাইক রেট: ১৪৩.২৩। উইকেট: ১১
বেশ কিছু শীর্ষ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
৯) আজাজ প্যাটেল (নিউজিল্যান্ড)
ম্যাচ: ২ | উইকেট: ১| সর্বোচ্চ: ১/২৭
আজাজ প্যাটেলের সেই অর্থে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও ঘরোয়া সিরিজে তার বেশ অভিজ্ঞতা আছে। মিরপুরের স্লো উইকেটে, তার স্পিন বোলিং নিউজিল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
১০) মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ)
ম্যাচ: ৪৮ |উইকেট: ৬৮| সর্বোচ্চ: ৫/২২ | ইকোনো ৭.৫৯
সিরিজে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার কাটার বোলিংয়ের সামনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। নিউজিল্যান্ড দলকে খুব সম্ভবত মুস্তাফিজের জন্য একটি কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
১১) নাসুম আহমেদ (বাংলাদেশ)
ম্যাচ: ৯ | উইকেট: ১০ | সর্বোচ্চ: ৪/১৯
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নাসুম আহমেদ দুর্দান্ত স্লো-পিচ বোলার হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে তিনি আবারও গেম-চেঞ্জার হতে পারেন।
দুটি আন্তর্জাতিক দল থেকে সঠিক একাদশ পাওয়া কখনই তেমন একটা সহজ কাজ নয়। তবে সাম্প্রতিক ফর্ম, অভিজ্ঞতা এবং আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সম্মিলিত টি-টোয়েন্টি একাদশ বাছাই করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড দলের তুলনায় অভিজ্ঞতা বেশি এবং ভালো রেকর্ড থাকায় একাদশে থাকা সাতজন খেলোয়াড়ই বাংলাদেশের।