নিউজিল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও সামোয়ার ১২ প্রবাসীকে পুরস্কার প্রদান
ক্যানবেরা, ২১ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিজি ও সামোয়ার ১২ প্রবাসীকে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরা।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক প্রবাসী দিবস ও জাতীয় অভিবাসী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো, বাংলাদেশি পণ্য আমদানি এবং শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানসহ দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ক্যানবেরার চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স ড. মো. দেওয়ান শাহরিয়ার ফিরোজ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন।
চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সেতুবন্ধন হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্য তুলে ধরার ওপরও জোর দেন তিনি।
বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মো. শহিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন নাঈম, সাফাত বিন আজাদ, নিউজিল্যান্ড প্রবাসী ফয়সাল মিয়া, সামোয়া প্রবাসী মো. শাহাজান এবং বাংলাদেশি পণ্য আমদানির জন্য অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ মুরাদ ইউসুফ ও নিউজিল্যান্ড প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম খানকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এছাড়া শিল্প, সাহিত্য, গবেষণায় অবদানের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ড. মোহাম্মাদ আলী মনি, অধ্যাপক এম আখতার হোসেন ও ফিজি প্রবাসী ড. কবির আল মামুনকে পুরস্কার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি হিসেবে সফলদের মধ্যে রামিম জাইয়ান খান ও অ্যানি রেনেসা সাবরিনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।
হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ও কল্যাণ) মো. সালাহউদ্দিনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবসের এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণকারীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। এ সময় বক্তব্য দেন ক্যানবেরায় কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আবুল হাসান সৈয়দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশি সৈয়দ আব্দুল্লাহ সাঈদ। অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
১ দিন আগে
নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ
সৃজনশীলতার মুক্ত অনুশীলন ও বাস্তবধর্মী গবেষণা সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ, যার সাফল্য আসে সঠিক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনের তাগিদে এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি বিকশিত করে একটি দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে। ফলশ্রুতিতে উন্নত হয় সেই দেশের মানুষের জীবনযাত্রা। এমনই রূপরেখাকে লালন করে চলা উন্নত দেশগুলোর গর্বিত প্রতিনিধি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ নিউজিল্যান্ড। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিদ্যাপীঠ এবং শিক্ষার্থীবান্ধব ভূ-খণ্ড দেশটিকে করে তুলেছে উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেধাবীদের স্বর্গরাজ্য। চলুন, নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আবেদন পদ্ধতি, স্টুডেন্ট ভিসা, স্কলারশিপ ও আনুষঙ্গিক খরচ সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কেন নিউজিল্যান্ড উচ্চশিক্ষার অন্যতম সেরা গন্তব্য
বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির আশ্রয়স্থল নিউজিল্যান্ড বিশ্বব্যাপী নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১ দশমিক ৩২৩ গ্লোবাল পিস ইনডেক্স নিয়ে বিশ্বের শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় কিউইদের অবস্থান চতুর্থ।
ইংরেজি ভাষা প্রধান দেশ হওয়াতে নিমেষেই এখানকার পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারেন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বিশেষ করে পরিবেশ বিজ্ঞান, কৃষি ও বায়োটেকনোলজির মতো ক্ষেত্রগুলোতে গবেষণার জন্য এরা বিশ্ব জুড়ে সুপরিচিত। সেগুলোর মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড কিউএস বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ৬৫তম অবস্থানে রয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বউদ্যোগেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে।
অন্যদিকে, দেশের ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবন কেন্দ্রগুলোতে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে উদ্যোক্তা এবং নতুন প্রযুক্তির জন্য সহায়ক মঞ্চ। এরই ধারাবাহিকতায় অত্যাধুনিক প্রকল্পগুলোতে বাড়ছে নতুন শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য সমূহ সম্ভাবনার দেশ নিউজিল্যান্ড।
আরো পড়ুন: অস্ট্রিয়াতে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও স্কলারশিপসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
নিউজিল্যান্ডের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ও চাহিদা সম্পন্ন কোর্সের তালিকা
বিশ্বজুড়ে বহুল সমাদৃত নিউজিল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো-
· ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ড
· ইউনিভার্সিটি অব ওটাগো
· ম্যাসি ইউনিভার্সিটি
· ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন
· ইউনিভার্সিটি অব ক্যান্টারবেরি
· ইউনিভার্সিটি অব ওয়াইকাটো
· লিঙ্কন ইউনিভার্সিটি
· অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
আরো পড়ুন: চেক প্রজাতন্ত্রে উচ্চশিক্ষা: পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নের সেরা বিষয়গুলো-
· বিজ্ঞান (জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা)
· ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল, ইলেক্ট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল)
· ব্যবসা ও অর্থনীতি
· কলা ও মানবিক (ইংরেজি সাহিত্য, ইতিহাস)
· আইন
· মেডিসিন ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান
· কম্পিউটার সায়েন্স
· তথ্য-প্রযুক্তি
· ট্যুরিজম ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট
· কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
· আর্কিটেক্চার
আরো পড়ুন: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের উপায়, পড়াশোনার খরচ, স্কলারশিপ, ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
নিউজিল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবেদনের উপায়
কিউই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি কার্যক্রম সাধারণত বছরের দুটি সময়ে শুরু হয়ে থাকে। একটি হচ্ছে বসন্তে তথা ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ এবং শরতে অর্থাৎ জুলাই থেকে আগস্ট।
এখানে বসন্তের ভর্তি মৌসুমটি আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। কেননা এ সময় অনেক বেশি কোর্স থেকে নিজের কাঙ্ক্ষিত কোর্সটি পাওয়ার সুযোগ থাকে। সেই সঙ্গে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেই বসবাসের সুযোগ। তাছাড়া সেমিস্টারের শুরুতেই ফেব্রুয়ারিতে উচ্চ সম্ভাবনা থাকে খণ্ডকালীন চাকরি মিলে যাওয়ার।
শরৎ ও বসন্ত ছাড়াও বিগত বছরগুলো ভর্তির নতুন আরেকটি পদ্ধতি চালু হয়েছে, যেটি রোলিং ইন্টেক নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বছরের যে কোনো সময়েই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারে।
এই পদ্ধতিতে সবগুলো সিট পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ভর্তির আবেদন চলতে থাকে। রোলিং ইন্টেকের প্রধান সুবিধা হলো এখানে সর্বাধিক চাহিদা সম্পন্ন প্রোগ্রামগুলোতে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তবে সব বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রোগ্রামেই রোলিং ইন্টেক থাকে না। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের নির্দেশনাগুলো চেক করতে হবে।
ভর্তির আবেদনের একমাত্র উপায় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে যেয়ে অনলাইনে আবেদন করা। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদনের পর যাবতীয় কাগজপত্র কুরিয়ার করার প্রয়োজন হতে পারে। আবেদনের সময়সীমা এবং ভর্তির পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন: ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভর্তির আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে পূরণকৃত আবেদনপত্র
· উচ্চ মাধ্যমিক/স্নাতক পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
· ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণস্বরূপ আইইএলটিএস (স্কোর: ৬ দশমিক ৫ থেকে ৭) বা টোফেল (স্কোর: ৭৯ থেকে ১০০)
· কারিকুলাম ভিটা (সিভি) বা পোর্টফোলিও
· স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি) বা পার্সনাল স্টেটমেন্ট
· রিকমেন্ডেশন লেটার (১ থেকে ৩টি)
· গবেষণা প্রস্তাব (পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য)
· বৈধ পাসপোর্ট
· আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ (ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট বা অন্যান্য আর্থিক নথি)
· স্কলারশিপপ্রাপ্ত হলে তার প্রমাণপত্র
· বিদেশী শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য বীমা
· আবেদন ফি দেওয়ার রশিদ
· বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার স্কোরকার্ডের জন্য অতিরিক্ত নথি (জিআরই বা জিম্যাট)
আরো পড়ুন: ডুওলিঙ্গো ইংলিশ টেস্ট কী? কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
নিউজিল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসার অনলাইন আবেদন পদ্ধতি
এই ভিসার মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৪ বছর পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুলটাইম অধ্যয়ন করা যায়। স্টুডেন্ট ভিসার আবেদনের পিক টাইম হচ্ছে অক্টোবর থেকে মার্চ। তাই রওনা হওয়ার অন্তত ৩ মাস আগে থেকে আবেদন শুরু করা জরুরি।
সরাসরি অনলাইনে আবেদনের জন্য-https://www.immigration.govt.nz/new-zealand-visas/visas/visa/full-fee-paying-student-visa- এই লিংকে যেয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। অতঃপর পর্যায়ক্রমে প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদানপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যানকপি আপলোডের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
ভিসার আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
· নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রদানকৃত ভর্তির অফার লেটার
· ১ কপি ছবি, যার সফট কপিটি হবে-
o ৫০০ কিলোবাইট থেকে ৩ মেগাবাইটের মধ্যে
o রেজুলেশন ৯০০ x ১ হাজার ২০০ পিক্সেল থেকে ২ হাজার ২৫০ x ৩ হাজার পিক্সেলের মধ্যে
o ফাইলটি হবে জেপিজি বা জেপিইজি ফরম্যাটের
· বৈধ পাসপোর্ট
· চেস্ট এক্স-রেসহ মেডিকেল সার্টিফিকেট
· পুলিশ সার্টিফিকেট
· উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে নিউজিল্যান্ড গমন নিয়ে একটি কভার লেটার বা পার্সোনাল স্টেটমেন্ট
· বিগত শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র এবং একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট
· নিউজিল্যান্ডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহকৃত অধ্যয়ন ফি প্রদানের রশিদ (অন্তত এক বছর বা একটি প্রোগ্রামের ফি হতে হবে)
· আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ: বছরে ২০ হাজার (প্রতি নিউজিল্যান্ড ডলার ৭৩ দশমিক ৯৫ বাংলাদেশি টাকা হিসাবে ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪ টাকা)। ১ বছরের কম সময়ের প্রোগ্রামের জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ৬৬৭ নিউজিল্যান্ড ডলার বা ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭৮ টাকা। এর সঙ্গে নিউজিল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি বিমান টিকিট কেনার জন্য অতিরিক্ত অর্থ থাকতে হবে। পুরো তহবিলের প্রমাণ হিসেবে ন্যূনতম তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে।
আরো পড়ুন: আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদনের পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
এছাড়া এই তহবিল প্রদর্শনের সমতুল্য মাধ্যমগুলো হলো-
o অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে তিন মাস ধরে গচ্ছিত থাকা ফিক্সড ডিপোজিট
o স্থায়ী কোনো সম্পত্তি, যেমন- বাড়ি ভাড়া থেকে অর্জিত আয় (এক্ষেত্রে বাড়ির খাজনা পরিশোধের রশিদ যুক্ত করতে হবে)
o শিক্ষা ঋণ (এক্ষেত্রে মাল্টি-ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে সেই ঋণ অনুমোদনের চিঠি দিতে হবে)
শিক্ষার্থী যদি নিজেই নিজের খরচ বহন করেন তবে তাকে যে নথিগুলো দেখাতে হবে-
o আয়ের প্রমাণস্বরূপ নিয়োগকর্তার কাছ থেকে কর্মসংস্থানের সনদপত্র যেখানে শিক্ষার্থীর পদ এবং বেতন উল্লেখ থাকবে।
o ট্যাক্স রিটার্ন
প্রদর্শনকৃত তহবিলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবশ্যই শিক্ষার্থীর নিজের বা অনুমোদিত কোনো আর্থিক গ্যারান্টার বা স্পন্সরের নামে থাকতে হবে। একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র একজন স্পন্সরকে দেখাতে পারবেন। এই স্পন্সর হতে হবে শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য, যেমন- বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, দাদা-দাদী। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও গ্যারান্টরের সম্পর্ক প্রমাণের স্বার্থে তার যে নথিগুলো দিতে হবে, তা হলো-
o পাসপোর্ট, জন্ম সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)
o সরকার-প্রদত্ত শংসাপত্র যেমন- নাগরিকত্বের শংসাপত্র বা বিবাহের সনদ
তার আয়ের বৈধতার জন্য যে নথিগুলো দরকার হবে তা হলো-
o নিয়োগকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত কর্মসংস্থানের শংসাপত্র (পদ এবং বেতন উল্লেখসহ)
স্পন্সরকে এই দুটি ফর্ম পূরণ করতে হবে-
o স্পন্সরশিপ ফর টেম্পরারি এন্ট্রি(https://www.immigration.govt.nz/documents/forms-and-guides/inz1025.pdf)
o ফিন্যান্সিয়াল আন্ডারটেকিং ফর এ স্টুডেন্ট(https://www.immigration.govt.nz/documents/forms-and-guides/inz1014.pdf)
· নিউজিল্যান্ডে অধ্যয়নকালে শিক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত আবাসনের প্রমাণপত্র
· স্কলারশিপ পেয়ে থাকলে তার প্রমাণ
· চিকিৎসা এবং যাতায়াত বীমা (এর মধ্যে অধ্যয়নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জীবনযাত্রা বাবদ সম্ভাব্য ব্যয় এবং নিউজিল্যান্ডে বিমানে আসা-যাওয়ার খরচ সঙ্কুলান হতে হবে)
· বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ডের প্লেনের টিকিট
· ইংরেজি ভাষার দক্ষতার প্রমাণ (আইইএলটিএস বা পিয়ারসন টেস্ট ইংলিশ বা টোফেল সনদ)
আরো পড়ুন: রোমানিয়ায় উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, স্কলারশিপ ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
ভিসা প্রক্রিয়াকরণ ফি
অনলাইনে ভিসা আবেদন ফি ৪৩০ নিউজিল্যান্ড ডলার কিংবা ৩১ হাজার ৮০০ টাকা, যেটি ভিসা, মাস্টারকার্ড বা ইউনিয়ন পে-এর মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
এই ফির মধ্যে আন্তর্জাতিক ভিজিটর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম লেভি (আইভিএল) বাবদ ৩৫ ডলারের (২ হাজার ৫৮৮ টাকা) একটি চার্জ রয়েছে। এটি আগামী ১ অক্টোবর থেকে ১০০ ডলার (৭ হাজার ৩৯৫ টাকা) করা হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ও ভিসাপ্রাপ্তি
ভিসা প্রস্তুত হতে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ সময় লাগে। অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে এই স্টুডেন্ট ভিসা হিসেবে পাসপোর্টে মূলত কোনো ভিসা স্টিকার দেওয়া হয় না। এর পরিবর্তে তা ইলেকট্রনিকভাবে প্রার্থীর পাসপোর্টের বিশদ বিবরণের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এটি প্রার্থী নিউজিল্যান্ডের অনলাইন ইমিগ্রেশনে নিজের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেখতে পারেন। তাছাড়া ভিসা অনুমোদনের বিষয়টি ই-মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। অর্থাৎ অনলাইনে সব আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে যায়।
নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের পূর্ব মুহূর্তে প্রার্থীকে শুধু পাসপোর্ট দেখাতে হয়। তখন পাসপোর্ট নাম্বার অনুসারে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কাস্টম্স কর্মকর্তা ভিসার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন।
আরো পড়ুন: কীভাবে আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করবেন?
নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার সম্ভাব্য খরচ
এখানে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামগুলোতে অধ্যয়নের জন্য প্রতি বছর ব্যয় হতে পারে ২০ থেকে ৪০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪ থেকে ২৯ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮ টাকার সমান। মাস্টার্সের জন্য ফি বছর ২০ থেকে ৪৫ হাজার ডলার (১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪ থেকে ৩৩ লাখ ২৭ হাজার ৮২৭ টাকা) বাজেট রাখতে হবে। আর ডক্টরাল ডিগ্রির জন্য প্রয়োজন হবে ৬ হাজার ৭০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ নিউজিল্যান্ড ডলার (৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৭৬ থেকে ৭ লাখ ২ হাজার ৫৪১ টাকা)। এমবিএ করতে খরচের পরিমাণ ৩১ হাজার ৭৫০ থেকে ৫৫ হাজার ডলার (২৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬৭ থেকে ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৪ টাকা)।
নিউজিল্যান্ডে মোটামুটি অল্প খরচের অধ্যয়ন ফি রয়েছে ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে, যা বার্ষিক ২৫ থেকে ৫৫ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলারের মত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্যমান ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৩ থেকে ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৪ টাকা। তারপরে রয়েছে ম্যাসি ইউনিভার্সিটি, যেখানে খরচ হতে পারে ২৩ থেকে ৫৫ হাজার ডলার (১৭ লাখ ৮৮৯ থেকে ৪০ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৪ টাকা)।
মানের ভিত্তিতে নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে জীবনযাত্রার খরচ বিভিন্ন রকম। ওয়েলিংটনের মতো ব্যয়বহুল শহরে থাকার মাসিক খরচ গড়ে ৪ হাজার ৪০০ ডলার (৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৮৮ টাকা)। অকল্যান্ডে থাকার জন্য মাসিক বাজেট রাখতে হবে ৪ হাজার ১৫ ডলার (২ লাখ ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা)। ক্রাইস্টচার্চে ব্যয় হতে পারে ৩ হাজার ৮৮৪ ডলার (২ লাখ ৮৭ হাজার ২২৮ টাকা)। আর সবচেয়ে সাশ্রয়ী শহর হ্যামিল্টনে জীবনযাত্রার জন্য ৩ হাজার ১৮২ ডলারই (২ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৪ টাকা) যথেষ্ট।
এই খরচগুলোর মধ্যে বাসা ভাড়া, ইউটিলিটি, মোবাইল, খাবার, যাতায়াত এবং পরিধেয় কেনা অন্তর্ভুক্ত। তবে সবচেয়ে বেশি খরচ হয় আবাসন খাতে; প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ নিউজিল্যান্ড ডলার। এই পরিমাণটি ১ লাখ ১৮ হাজার ৩২৩ থেকে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৭৯ টাকার সমতুল্য।
আরো পড়ুন: ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
নিউজিল্যান্ডে জীবনযাত্রার আর্থিক ব্যবস্থাপনা
নিউজিল্যান্ডে স্কলারশিপ
এই ব্যয়ভারের চাপকে যথেষ্ট কমিয়ে দিতে নিউজিল্যান্ডে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ। তার মধ্যে সরকারি প্রকল্প নিউজিল্যান্ড এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার (৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৭ টাকা) পর্যন্ত বৃত্তি দিয়ে থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এক্সিলেন্স কার্যক্রম থেকে অধ্যয়ন ফিতে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার (৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫১৭ টাকা) ছাড় পাওয়া যায়।
ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর অধীনে পরিচালিত প্রকল্পের নাম ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স স্কলারশিপ। এখানে গোটা ১ বছরের অধ্যয়ন ফি মওকুফ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে প্রতি বছরে ১৮ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ৩১ হাজার ১৩১ টাকা) উপবৃত্তি থাকে।
মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য অধ্যয়ন, আবাসন এবং স্বাস্থ্য বীমার খরচ বহন করে নিউজিল্যান্ড কমনওয়েলথ স্কলারশিপ। এখানে আরও পাওয়া যায় বার্ষিক ৩ হাজার ডলারের (২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৫ টাকা) উপবৃত্তি এবং জীবনযাত্রার জন্য প্রতি সপ্তাহে ৪৯১ ডলার (৩৬ হাজার ৩১০ টাকা)।
ভূ-পদার্থবিদ্যা ও ভূ-বিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে এসইজি স্কলারশিপ। এখানে নির্বাচিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ৩ হাজার ডলার (২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৫ টাকা) করে ভাতা দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: চীনে উচ্চশিক্ষা: আবেদন পদ্ধতি, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
খণ্ডকালীন চাকরি
নিউজিল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসায় সেমিস্টার চলাকালে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা খণ্ডকালীন এবং ছুটির দিনগুলোতে ফুলটাইম চাকরি করার অনুমতি থাকে। দেশটির স্থানীয় জনগণের মতো বিদেশি শিক্ষার্থীরাও চাকরির সমান অধিকার পান। ২০২৪ সালের হিসেবে জারিকৃত স্বল্পকালীন চাকরির ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টা প্রতি ১৮ দশমিক ৫২ নিউজিল্যান্ড ডলার (১ হাজার ৩৭০ টাকা) সবার জন্য প্রযোজ্য।
এখানে সর্বাপেক্ষা চাহিদাসম্পন্ন পার্ট-টাইম চাকরির মধ্যে কল সেন্টার কর্মী, যেখানে গড় মজুরি ঘণ্টা প্রতি ২১ ডলার (১ হাজার ৫৫৩ টাকা)। শেফ ও খুচরা বিক্রয় প্রতিনিধিদের ২২ ডলার (১ হাজার ৬২৭ টাকা), ওয়েটার বা ওয়েট্রেসরা পান ২৪ দশমিক ৮৮ ডলার (১ হাজার ৮৪০ টাকা)। বারটেন্ডারদের আয় ২৬ ডলার (১ হাজার ৯২৩ টাকা) এবং লাইব্রেরি সহকারীদের ২২ থেকে ২৫ ডলার (১ হাজার ৬২৭ থেকে ১ হাজার ৮৪৯ টাকা)।
এছাড়া স্থানীয় মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের টিউটরিংও উপার্জনের সেরা একটি উপায়। এমনকি এতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক ৩০ থেকে ৩৫ ডলারও (২ হাজার ২১৯ থেকে ২ হাজার ৫৮৮ টাকা) আসে।
আরো পড়ুন: পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ, ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
পরিমিত জীবনযাত্রার খরচ
স্কলারশিপ ও পার্ট-টাইম চাকরির পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত জীবনধারণের মাধ্যমে ব্যয়বহুল শহরেও থাকা সম্ভব। যেমন বসবাসের জন্য হল অব রেসিডেন্স নামে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন-ক্যাম্পাসকে গুরুত্ব দেওয়া উত্তম। কেননা এগুলোর ভাড়া যথেষ্ট সাশ্রয়ী। তবে এর জন্য আগে থেকেই সঠিক পন্থায় আবেদন করা জরুরি।
এগুলোতে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ভাড়া নিতে পারে ২১০ থেকে ৫৫৫ ডলার (১৫ হাজার ৫৩০ থেকে ৪১ হাজার ৪৩ টাকা)। হোস্টেলের ভাড়া আরও একটু কম; ১৪০ থেকে ২১০ ডলার (১০ হাজার ৩৫৩ থেকে ১৫ হাজার ৫৩০ টাকা)। সর্বনিম্ন ব্যয়ের উপায় হচ্ছে স্থানীয় পরিবার বা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকা। এখানে ভাড়া পড়ে গড়ে ১২০ ডলার (৮ হাজার ৮৭৪ টাকা)।
নিত্য দিনের যাতায়াতে বাস বা ট্রেনের মত পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারে খরচ আরও কমে আসে। দীর্ঘমেয়াদে পরিবহন খরচ বাঁচাতে সাইকেল কেনা উত্তম।
আরো পড়ুন: ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: আবেদন, পড়াশোনার খরচ ও স্কলারশিপসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা
শেষাংশ
নিউজিল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সর্বাপেক্ষা সহায়ক উপায় হচ্ছে স্কলারশিপের সুযোগগুলো কাজে লাগানো। এর মাধ্যমে অধ্যয়নসহ জীবনযাত্রার খরচের সিংহভাগেরই ব্যবস্থা করা সম্ভব। বাকি যা থাকবে তার জন্য অপরিসীম ভূমিকা পালন করবে খণ্ডকালীন চাকরি। স্কলারশিপের মাধ্যমে অধ্যয়নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ তহবিল অর্জন সম্ভব হলে তা স্টুন্ডেন্ট ভিসা প্রাপ্তিকে আরও সহজ করে তুলবে। তাই একাডেমিক ভালো রেজাল্টের পাশাপাশি আইইএলটিএস বা টোফেলে যাদের ভালো স্কোর রয়েছে, তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার সেরা গন্তব্য নিউজিল্যান্ড।
৩ মাস আগে
অধিনায়কত্ব ছাড়লেন উইলিয়ামসন
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে যাওয়ার পর এবার নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন কেইন উইলিয়ামসন। শুধু তাই নয়, ২০২৪-২৫ মৌসুমের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
বুধাবার (১৯ জুন) তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিদেশি লিগ খেলতেই মূলত তিনি জাতীয় দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী গ্রীষ্মে বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ খুঁজছেন তিনি। তাই জাতীয় দলের সঙ্গে চুক্তি করতে চান না। তবে কিউইদের জার্সিতে খেলতে তিনি সবসময় প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।
‘বিভিন্ন ফরম্যাটে আমি দলকে এগিয়ে নিতে উৎসাহী এবং এমন কিছুতে আমি সবসময় অবদান রাখতে চাই। তবে, গ্রীষ্মে একটি বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ রয়েছে আমার। সেকারণে নিউজিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারছি না।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না বোল্টকে!
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলা আমার কাছে সবসময়ই মূল্যবান। দলকে প্রতিদান দেওয়ার ইচ্ছা আমার সবসময় আছে। তবে, ক্রিকেটের বাইরে আমার জীবনে পরিবর্তন এসেছে। এখন পরিবারকে সময় দিতে চাই। এর জন্য পরিবারের সঙ্গে দেশ-বিদেশে সময় কাটানো আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকলেও দলের প্রয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে তাকে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্কট ওয়েনিঙ্ক।
তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা খেলোয়াড়দের সবসময় (একাদশ নির্বাচনে) অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও উইলিয়ামসন এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বিশেষ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠের জন্য আমরা এটুকু ব্যতিক্রম হতেই পারি। সে নিজেও দলের প্রতি অনুগত।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে যাতে সে নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সহযোগিতা করতে পারে, সে কারণে তাকে শুধু বর্তমানেই নয়, আগামীতেও এই ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে।’
‘জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের সূচি একেবারেই খালি। তবে এর পরও তাকে দলে পাবো বলে আশা করছি।’
উইলিয়ামসনের অধিনায়কত্বে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসদের।
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
২০২২ সালে টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন উইলিয়ামসন। তার নেতৃত্বে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুঃখজনকভাবে ইংল্যান্ডের কাছে হারে নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারে তার দল। তবে ২০২১ সালের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিতে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে তোলে নিউজিল্যান্ড।
উইলিয়ামসনের আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এছাড়া লকি ফার্গুসনও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করতে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতে হবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে। আগামী মাসে নতুন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করতে পারে তারা।
৬ মাস আগে
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: নিউজিল্যান্ডকে ৭২ রানে হারিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কিউইদের ৭২ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা।
শেষ পর্যন্ত ১৭ ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অ্যাডাম জাম্পা নেন ৩৪ রানে ৪টি উইকেট।
বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর অজিরা আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে জুনে ক্যারিবিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে যাবে।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে শেষ বলে চার মেরে ৬ উইকেটে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। রবিবার ইডেন পার্কে দুই দলের তৃতীয় ম্যাচ।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ বলেছেন, ‘এটা দারুণ এক জয়। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল এবং আমরা ভেবেছিলাম আমাদের ৫০ রান কম হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমাদের বোলাররা যেভাবে বেরিয়ে এসে পারফর্ম করেছে তা অসাধারণ। গত ১২ মাসে আমাদের সব দলই অনেক কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং আমরা তাদের থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। আজকের রাতটি তারই আরেকটি উদাহরণ।’
ছয় ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে ৭২ রানে ১ উইকেট হওয়ার পর ১৯ দশমিক ৫ ওভারে ১৭৪ রানে অলআউট হয়ে গেলে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া প্রতিযোগিতামূলক স্কোর থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: রিদম গ্রুপের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ট্রাভিস হেড ২২ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে অস্ট্রেলিয়াকে দ্রুত শুরু এনে দেন। কিন্তু লকি ফার্গুসন ৪/১২ ও বেন সিয়ার্স ২-২৯ লাভ করায় নিউজিল্যান্ডের পেসাররা পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ধারাবাহিক পতন ঘটায়।
শেষ ৯ দশমিক ৫ ওভারে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
খেলা শুরুর ঠিক আগে হাঁটুতে সামান্য আঘাত পেয়ে রাচিন রবীন্দ্রকে হারায় এবং ডেভন কনওয়ে বুড়ো আঙুলে আঘাত পেয়ে এক্স-রে করার জন্য হাসপাতালে চলে যান। এরপর নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং দুর্বল হযে পড়ে। তিনি যখন দেখেন সেখানে কোনো ফ্র্যাকচার নেই তিনি মাঠে ফিরে আসেন।
কনওয়ে তখনও ব্যাট করতে অক্ষম ছিলেন এবং তার উদ্বোধনী অংশীদার ফিন অ্যালেনকে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো গ্লাভস নিতে হয়েছিল।
ইনজুরি যাই থাকুক না কেন, ফাস্ট ও বাউন্সি উইকেটে অসাধারণ অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলিংয়ের সামনে বিপর্যস্ত পড়ে নিউজিল্যান্ড।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ বলে আউট হন অ্যালেন, জশ হ্যাজেলউডের গুড লেংথ বল নিজের স্টাম্পে লেগে যায়।
উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েডের দুর্দান্ত ক্যাচ দিয়ে আউট হন উইল ইয়ং (৫)। ইয়ং প্যাট কামিন্সের একটি বল টপ-এজ করেছিলেন যা তিনি পুল করার চেষ্টা করেছিলেন এবং ওয়েড বৃত্তের প্রান্তে একটি ক্যাচ নিয়েছিলেন ফাইন লেগের দিকে দৌড়ে।
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার নিজেকে অর্ডারে সাত নম্বরে থেকে তিন নম্বরে উন্নীত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিসিবির নারী বিভাগের নতুন প্রধান হাবিবুল বাশার
মার্ক চ্যাপম্যানও একটি শর্ট বলে পড়েছিলেন, মার্শের একটি বল স্ল্যাশ করেছিলেন যা মিড অনে টিম ডেভিডের হাতে ধরা পড়েছিল। নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন ২৯-৪, সিরিজ বাঁচানোর আশা শেষ হয়ে যায়।
পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ফিলিপস ও জশ ক্লার্কসন ৪৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১০ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে বোল্ড হন ক্ল্যাকসন এবং পরের বলেই অ্যাডাম মিলনে একই কায়দায় আউট হন। নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৭৪-৬।
ট্রেন্ট বোল্টের করা ম্যাচের প্রথম ওভারে দুটি ছক্কাসহ ২০ রান করে অস্ট্রেলিয়ান অর্ডারের শীর্ষে ছিলেন হেড।
বোল্টকে ২০২২ সালের নভেম্বরের পর তার প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য নিউজিল্যান্ড দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল এবং বিশ্বকাপের জন্য ব্ল্যাক ক্যাপস দলে জায়গা পাওয়ার আশা করেছিলেন। তবে তার চার ওভার ৪৯ রান দেওয়ায় তার নির্বাচনের সম্ভাবনা ম্লান হয়ে গেছে। বোল্ট এখন আর নিউজিল্যান্ডের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় নন, বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেন।
ওয়েলিংটনে প্রথম ম্যাচে খেলা ডেভিড ওয়ার্নারের পরিবর্তে হেডের সঙ্গে ওপেন করার জন্য স্টিভ স্মিথের নাম ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েড এসেছিলেন ম্যাট শর্টের পরিবর্তে এবং এলিস মিচেল স্টার্কের পরিবর্তে।
তৃতীয় ওভারে স্মিথ ১১ রানে আউট হলেও হেডের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ বলে ৫০ রানে নিয়ে যায়।
অবশেষে সপ্তম ওভারে হেড আউট হন যখন মোট স্কোর ৮৫-২। এরপর থেকে অস্ট্রেলীয় ব্যাটিং দুর্বল হয় কারন ফার্গুসন কিছু অসাধারণ ফাস্ট বোলিং উপহার দেন।
সিয়ার্স এবং অ্যাডাম মিলনের সহায়তা তিনি ২/৪০ স্কোর করেন। নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নিজেদের জায়গা পাকাপোক্ত করেছেন এই খেলোয়াড়রা।
স্যান্টনারের হাতে পড়ার আগে ২১ বলে ২৬ রান করেন মার্শ এবং মিলনের বলে ফার্গুসনের হাতে ধরা পড়ার আগে কামিন্স ২২ বলে মূল্যবান ২৮ রান করেন।
আরও পড়ুন: বিপিএল: অনুশীলনে মাথায় চোট পেয়েছেন মুস্তাফিজ
৯ মাস আগে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত
চলতি মাসের শেষের দিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস শনিবার (১৮ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিসিবি মিডিয়া লাউঞ্জে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জালাল বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন শান্ত।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চোটে পড়লে শান্ত দুই ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হোম সিরিজের পাশাপাশি টি-স্পোর্টসে দেখা যাবে বিপিএল
আঙুলের চোটের কারণে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে অনুপস্থিত সাকিব আসন্ন টেস্ট সিরিজেও থাকবেন না।
ওপেনার লিটন দাসকেও এক মাসের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি তিনি একটি শিশুকন্যার বাবা হয়েছেন।
জালাল বলেন, ‘লিটন দুই মাসের জন্য ছুটি চেয়েছিল, আমরা এক মাস মঞ্জুর করেছি।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন অ্যালান ডোনাল্ড।
শিগগিরই নতুন পেস বোলিং কোচ নিয়োগ দেবে বিসিবি।
আরও পড়ুন: বিসিবিকে বিদায় জানালেন বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স বিশ্লেষক শ্রীনিবাস
বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অ্যালান ডোনাল্ড
১ বছর আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডকে ৩৯৮ রানের টার্গেট দিল ভারত
মুম্বাইয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারত- বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সৌজন্যে চার উইকেটে ৩৯৭ রান তোলে।
অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলের দুর্দান্ত শুরু দিয়ে ইনিংস শুরু হয়। গিল চোট পেয়ে অবসর নেওয়ার পর কোহলি ক্রিজে আসেন এবং শেষ পর্যন্ত ১০৫ বলে সেঞ্চুরি করেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ডের
শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ডকে টপকে ওয়ানডেতে কোহলির ৫০তম সেঞ্চুরি। একই সঙ্গে বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়লেন বিরাট। এই ক্ষেত্রেও শচীনকে টপকে গেলেন।
কোহলির পর শ্রেয়াসও ৭০ বলে ১০৫ রান করে সেঞ্চুরি করেন। যার মধ্যে চারটি চার ও আটটি ছক্কা ছিল। গিল ব্যাট করতে গিয়ে ৬৬ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে টিম সাউদি তিন উইকেট নিলেও তিনি ১০ ওভারে ১০০ রান দেন।
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ৩২৮ রানকে অতিক্রম করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ইতিহাসে ভারতের সর্বোচ্চ ৩৯৭ রান।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: শচীনকে টপকে ৫০তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি কোহলির
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে টস জিতে ব্যাট করছে ভারত
১ বছর আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নেন রাচিন ও উইলিয়ামসন
চলমান আইসিসি বিশ্বকাপে রাচিন রবীন্দ্র আরও একটি সেঞ্চুরি করে তার বর্তমান অবস্থানের বুঝিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে কেন উইলিয়ামসন মাত্র পাঁচ রানের ব্যবধানে সেঞ্চুরি করতে না পারলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৪০১ রানের বিশাল স্কোরে নিয়ে গেছেন।
শনিবার (৪ নভেম্বর) টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও নিউজিল্যান্ডের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খায় পাকিস্তান। ফলে তারা দুর্দান্ত স্কোর তৈরির সুযোগ করে দেয়।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
প্রথম ২০ ওভারে পাকিস্তান ১২৫ রান খরচ করে মাত্র একটি উইকেট নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রাচিন ও উইলিয়ামসন ১৮০ রানের জুটি গড়েন, পরে ৭৯ বলে ৯৫ রান করে।
উভয় দলই সেমিফাইনালের দিকে তাদের নজর রেখে এই ম্যাচ শুরু করেছিল। একটি জয় নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলবে, অন্যদিকে একটি পরাজয় কার্যকরভাবে পাকিস্তানকে বিদায়ের দিকে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: পাকিস্তানের কাছে হেরে টানা ষষ্ঠ পরাজয় বাংলাদেশের
১ বছর আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক শেষ ওভারে ১৯ রান করে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ এ জয় তুলে নেন।
জেমস নিশাম ৩৯ বলে ৫৮ রান করেন, কিন্তু ম্যাচের শেষ বলে রান আউট হয়ে যান ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ট্রান্স-তাসমানের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া পাঁচ রানে জয়ী হয়।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বোলিং করছে বাংলাদেশ
ট্রাভিস হেডের ৬৭ বলে ১০৯ রানে অস্ট্রেলিয়া ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬০ রান তোলে।
হাতের আঙুল ভাঙা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার ১১৭ বলে আক্রমণাত্মক ১৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন।
জবাবে, রাচিন রবীন্দ্র তার দ্বিতীয় বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং ধর্মশালায় টুর্নামেন্টের মহাকাব্যিক শেষ খেলায় তার দলকে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে প্রায় সহায়তা করেছিলেন।
নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৮৩ রান করেছিল। রবীন্দ্র ৮৯ বলে ১১৬ রান করেছিলেন। ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে থাকলেও নেট রান রেটে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে আছে তারা।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ৩ উইকেটের পতন বাংলাদেশের
পাকিস্তানকে হারিয়ে বাঘিনীদের ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়
১ বছর আগে
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩: টাইগারদের ৮ উইকেটে হারাল নিউজিল্যান্ড
চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের ৬৬ রানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান তুলতে সক্ষম হয়।
জবাবে ড্যারিল মিচেল ও কেন উইলিয়ামসনের হাফ সেঞ্চুরি করে ৪২ ওভার ৫ বলে ইংলিশদের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।
ব্ল্যাক ক্যাপসরা লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগে উইলিয়ামসন চোট পেয়ে অবসর নিলেও মিচেল ৬৭ বলে অসাধারণ ৮৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ধরে রাখেন।
বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণের ন্যূনতম প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়ে নিউজিল্যান্ডের জয় প্রায় সহজ মনে হয়েছিল। কারণ বাংলাদেশ তাদের ফিল্ডিং পারফরম্যান্সে কিছু ত্রুটি প্রদর্শন করেছিল।
বেশ কয়েক মাসের বিরতির পরে উইলিয়ামসনের ম্যাচে ফিরে তার ব্যাটিংয়ের চারিত্রিক দক্ষতা প্রদর্শন করে।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। এরপর বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী স্কোর সেট করতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল।
ইনিংসের শুরুতেই প্রথম বলে লিটন দাসের পতনে টাইগাররা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। যদিও বলটি ভালভাবে ভ্রমণ করেছিল। তবে ট্রেন্ট বোল্টের ইনসুইংয়ের সৌজন্যে এটি একজন ফিল্ডার খুঁজে পেয়েছিল। বিস্মিত কিন্তু বোলারের সন্তুষ্ট অভিব্যক্তি প্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
লিটনকে অনুসরণ করে তানজিদ হাসান তামিম ঘণ্টায় ১৪৪ কিলোমিটার বেগে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যান। তানজিদের প্রচেষ্টার ড্রাইভটি কেবল স্কোয়ার লেগে পৌঁছেছিল, যার ফলে একটি সহজ ক্যাচ ছিল। ১৭ বলে ১৬ রান করে তিনিও মাঠ ছাড়েন।
মুশফিকুর রহিম ৭৫ বলে ৬ টি চার ও ২ টি ছক্কা সহ ৬৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর করতে সমর্থ হন।
সাকিব আল হাসান ৪০ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৩০ রান করেন।
ফাইনালে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪১ রান বাংলাদেশকে ২৪৫ রানে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে লকি ফার্গুসন তিনটি এবং ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি দু’টি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
১ বছর আগে
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডকে ২৪৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ
চেন্নাইয়ে আইসিসি বিশ্বকাপের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৪৫ রান করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড।
প্রথম বলেই টাইগাররা তাদের প্রথম উইকেট হারায়। লিটন দাস তার প্যাড থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে একটি বড় শট খেলে। বলটি বাতাসে ভেসে মুহূর্তেই ফিল্ডারের হাতে পৌঁছায়। প্রথম উহকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট।
লিটনকে অনুসরণ করে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। ১৭ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
এরপর মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোরার হিসাবে আবির্ভূত হন। তিনি ৭৫ বলে ৬৬ রান করেন, যার মধ্যে ছয়টি চার এবং দুটি ছক্কা ছিল।
সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজ যথাক্রমে ৪০ ও ৩০ রান করেন।
সবশেষে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৪১ রান বাংলাদেশকে মোট ২৪৫ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে লোকি ফার্গুসন তিনটি এবং ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি দুটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: কিউইদের বিপক্ষে লড়তে প্রস্তুত টাইগাররা
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে