তবে ক্রিকেটারদের দাবিগুলোর প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমার উপস্থিত থাকা কিংবা না থাকার চেয়ে, দাবি বাস্তবায়িত হওয়াই বড় কথা। সবকটি দাবিই ন্যায্য, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মঙ্গলের জন্য জরুরি।’
রবিবার প্রথমবারের মতো দেশের ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে যাওয়ার পর রাতে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেইজে একটি পোস্টে মাশরাফি এসব কথা বলেন।
পোস্টের শুরুতে তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, দেশের ক্রিকেটের এমন একটি দিনে আমি কেন উপস্থিত ছিলাম না। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আমাকে না করে, ওদেরকে করাই শ্রেয়। কারণ এ উদ্যোগ সম্পর্কে আমি একদমই অবগত ছিলাম না।’
‘নিশ্চয়ই বেশ কিছু দিন ধরেই এটি নিয়ে ওদের আলোচনা ছিল, প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। সংবাদ সম্মেলন দেখে আমি ওদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পেরেছি,’ যোগ করেন তিনি।
‘ক্রিকেটারদের নানা দাবির সঙ্গে আমি আগেও একাত্ম ছিলাম, এখনও আছি’ উল্লেখ করে মাশরাফি বলেন, আজকের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে অবশ্যই আমি থাকতাম।’
আক্ষেপ করে জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেন, ‘মিডিয়ায় ওদের খবর দেখার পর থেকে হাজারবার আমার মাথায় এ প্রশ্ন এসেছে, যে কেন আমাকে জানানো হলো না? অনেকে আমার কাছে জানতেও চেয়েছেন। কিন্তু আমি নিজেও জানি না, কেন জানানো হয়নি।’
তবে নিজের উপস্থিতির চেয়ে দাবি বাস্তবায়িত হওয়াই বড় কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, ১১ দফা দাবি শান্তিপুর্ন ভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার পক্ষে আছি, থাকব।’