আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে সোমবার থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করেছে। টেস্ট সিরিজের পর আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে হবে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জহুরুল ইসলামকে সর্বশেষ ২০১৩ সালে দেখা গেছে। অন্যদিকে ফরহাদ রেজা জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ২০১৪ সালে খেলেছেন। তবে দুজনেই ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। যা তাদের জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকার পথ তৈরি করে দিয়েছে।
মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের ফরহাদ বলেন, ‘আমি সবসময়ই আমার কাজ সঠিকভাবে করার চেষ্টা করেছি। যেকারণে আমি এখন এখানে। সুযোগ কাজে লাগানোর ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। সুযোগ পেলে সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ভালো করার চেষ্টা করবো।’
ডানহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার জাতীয় দলের হয়ে ৩৪টি ওয়ানডে এবং ১৩টি টি২০ ম্যাচে ৪৮৪ রান করেছেন। উইকেট শিকার করেছেন ২৮টি। গত কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তিনি। লিস্ট এ ক্রিকেটে ২৫৫ উইকেট এবং ১১টি অর্ধশতকের সাহায্যে করেন ২৭৩০ রান।
অন্যদিকে জহুরুল সাতটি টেস্ট, ১৪টি ওয়ানডে এবং তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতীয় দলে আর সুযোগ পাননি তিনি। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন এ ডানহাতি উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারের জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন থাকে। আমিও ব্যতিক্রম নই। দীর্ঘদিন পর আমি প্রাথমিক স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমে ভালো করেছি। যার কারণে এ দলে সুযোগ পাই। এরপর বিসিবি একাদশের হয়ে ভারত সফর করেছি এবং সেখানে ভালো খেলেছি। হয়তো সেটাই জাতীয় দলের পথ সুগম করেছে।’
চূড়ান্ত স্কোয়াডে ডাক পেতে কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়া উচিৎ বলে বিশ্বাস করেন জহুরুল। তবে বাকিটা নির্বাচকদের ওপর ছেড়ে দিতে চান।
‘আমি সবসময়ই আমার খেলা এবং ফিটনেসের উন্নতি করার চেষ্টা করছি এবং বাকিটা নির্বাচকদের ওপর। যদি তারা মনে করেন যে আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলার উপযুক্ত তাহলে তারা আমাকে ডাকতে পারেন। তবে হ্যাঁ, যদি আরেকটি সুযোগ পাই, তাহলে সেরাটা দিতে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো,’ যোগ করেন তিনি।