দীর্ঘ ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মঙ্গলবার এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ডানহাতি এই অলরাউন্ডার।
এর আগে, এই সিরিজের আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেললেও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেন সাকিব।
মঙ্গলবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি, এটাই আমার জন্য সঠিক সময়। অধিনায়ক ও কোচ বিষয়টি আগেই জানতেন। আমার বিশ্বাস, আমাদের পরবর্তী বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা উচিত।’
বর্তমানে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। ৯ অক্টোবর দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মাহমুদউল্লাহ জানান, ১২ অক্টোবর হায়দ্রাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে তারও ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি।
আরও পড়ুন: মিরপুরেই শেষ টেস্ট খেলবেন সাকিব, ইঙ্গিত বিসিবি প্রধানের
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরকালে টেস্ট ত্রিকেট থেকে অবসর নেন মাহমুদউল্লাহ। তার তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আরেকটি ফরম্যাটকেও বিদায় জানালেন তিনি। যদিও ওয়ানডেতে তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
২০০৭ সালে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। এরপর থেকে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে তিনি ছিলেন এক নিয়মিত মুখ।
ডানহাতি এই ব্যাটার ও নির্ভরযোগ্য অফ স্পিনার ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২ হাজার ৩৯৫ রান এবং ৪০টি উইকেট শিকার করেছেন। এর মধ্যে আটটি আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৭ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর সংগ্রহ ৪৫৮ রান ও ৯ উইকেট।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের বিকল্প কে?
ইনিংসের শেষ দিকে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের জন্য ‘ফিনিশার’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও গত কয়েক বছর ধরে তার ফর্ম ছিল অনুজ্জ্বল।
টি-টোয়েন্টিতে আটটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে মাহমুদউল্লাহর। ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ম্যাচজয়ী ছক্কা বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলে। ওই ম্যাচটিই তার স্মরণীয় ইনিংসগুলোর মধ্যে অন্যতম।