দীর্ঘদিনের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই আগামী ৬ অক্টোবর থেকে টি-টোয়েন্টির লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ দল। সম্প্রতি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়ক। তার এই ঘোষণা দলের ওপর ফেলেছে বাড়তি চাপ, রেখে গেছে কঠিন এক প্রশ্ন- টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কে হবেন সাকিবের বিকল্প?
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলার কথা ছিল সাকিবের। তবে কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সবাইকে চমকে দিয়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব।
পরে তার জায়গায় মেহেদী হাসান মিরাজকে দলে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এই ফরম্যাটে সাকিবের অভাব পূরণ করতে পারেন মিরাজ? সত্যিই কি সাকিবের বিকল্প হতে পারবেন তিনি?
সাকিব ১২৯টি টি-টোয়েন্টি খেলে আড়াই হাজারের বেশি রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪৯টি। অন্যদিকে মেহেদি মাত্র ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে ২৪৮ রান এবং উইকেট নিয়েছেন ১৪টি।
এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে সাকিবের তুলনা কেবল সাকিবই। মিরাজ সাকিবের মতো স্পিনিং অলরাউন্ডার হলেও সাকিবের জায়গায় পৌঁছানো মিরাজের পক্ষে সহজ হবে না।
সাকিব চলে যাওয়ায় যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তা মিরাজ মোকাবিলা করতে পারবেন বলে আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে তিনি মিরাজকে সাকিবের বিকল্প মানতে নারাজ।
শান্ত বলেন, ‘এখন মানিয়ে নেওয়া একটু কঠিন হবে। প্লেয়িং ইলেভেন সাজাতে কিছুটা চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। সাকিব ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ব্যালেন্স করতে পারত। আমরা মিরাজকে দলে এনেছি, আশা করছি সে দ্রুত এই ভূমিকায় মানিয়ে নেবে।
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও একই মনোভাব প্রকাশ করলেন। সাকিবের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে বলে জানান তিনি।
বিস্ময়করভাবে দুই দিন খেলে হেরে যাওয়া কানপুর টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে সাকিবের হঠাৎ অবসরের ঘোষণায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সাকিব আছেন ফর্মে, যে কারণে বিদেশে বিভিন্ন লিগগুলোতে খেলা সুযোগ মিলছে তার। বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে ভালো পারফর্ম করার মতো কাউকে খুঁজে পেলেও সাকিবের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে বেশ খানিকটা সময়ের জন্য দলকে অস্বস্তিতে ভোগাবে।