৬০ বলে ৬ উইকেটে হারিয়ে যখন ধুকছে সাকিব আল হাসানের দল, ঠিক তখনই ত্রাতা হয়ে ক্রিজে আসেন মাত্র দ্বিতীয় টি২০ খেলতে নামা ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ অলরাউন্ডার। সপ্তম উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৮২ রানের অনবদ্য এক জুটি গড়ে টাইগারদের জয় উপহার দেন আফিফ। ২৬ বলে (৮টি চার ও ১টি ছক্কা) ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা পুরস্কারও জিতে নেন তিনি।
নির্ধারিত ১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়া করতে নেমে চরম ব্যর্থ হয় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সৌম্য, মুশফিক, সাকিবরা। আফিফ ছাড়া বাংলাদেশের হয়ে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন মোসাদ্দেক (৩০), লিটন দাস (১৯) এবং মাহমুদুল্লাহ (১৪)।
আফিফের ৫২ রান আর মোসাদ্দেকের অপরাজিত ৩০ রানের সুবাদে ২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটের কষ্টের জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবার শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টির কারণে খেলা দেড় ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়ায় ওভার কমিয়ে ১৮ ওভার নির্ধারণ করা হয়।
রায়ান বার্ল ৩২ বলে ৫৭ রানের ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন। তার ইনিংসটি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো। সাকিব আল হাসানের এক ওভারেই ৩০ রান নেন এ বামহাতি ব্যাটসম্যান। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৩৪ এবং মুটুমবদজি ২৭* রান করেন।
৬৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নেন বার্ল ও মুটুমবদজি। তাদের জুটিতে আসে ৮১ রান। এই জুটিই মূলত জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ, সাইফ উদ্দিন, তাইজুল ও মোসাদ্দেক প্রত্যেকেই ১টি করে উইকেট লাভ করেন। সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ৪৯ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে টি২০ তে অভিষেক হয় স্পিনার তাইজুল ইসলামের।
ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একই মাঠে জিম্বাবুয়ের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। রবিবার একই সময়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।