ডাবলিনের ম্যালহাড ক্রিকেট ক্লাবের মাঠটির সোমবারের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ক্যারিবিয়দের আড়াইশ রানের মধ্যে বেঁধে রাখার ক্রেডিট মূলত বোলারদের।
অ্যাশলি নার্সের অফ স্পিনে মাঝে একটু ছন্দ পতন হলেও সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে তিন উইকেট নেয়ার পর এ ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনটি উইকেট নিয়ে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মূর্তজা। অপরদিকে প্রথম ম্যাচে খরুচে বোলিং করা মুস্তাফিজ ফিরেছেন তার চিরচেনা ছন্দে। চার উইকেট নিয়ে উইন্ডিজদের ভীত নড়বড়ে করে দিয়েছেন তিনিও।
এছাড়া সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট পেলেও রান কম দিয়ে ক্যারিবিয়দের চাপে রাখতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
তারপরও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনার শাই হোপের সর্বোচ্চ ৮৭ রান ও জেসন অধিনায়ক হোল্ডারের ৬২ রানের সৌজন্যে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবিয়রা।
২৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ ১৬ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় পায়। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে এ উইন্ডিজকেই ৮ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগার বাহিনী।
প্রথম ম্যাচে তামিম-সৌম্যর ১৪৪ রানের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটির পর এ ম্যাচেও ভালোই শুরু করেছিলেন তারা। তবে অর্ধশতাধিক রানের জুটিটি আরও বড় হয়নি মূলত চেনা তামিমের হঠাৎ অচেনা ভূমিকার কারণে। নার্সের বলে টানা দুটি চারের মারের পর আবারও উঠে যেয়ে মারতে যেয়ে বোল্ড হয়ে যান ২৩ বলে ২১ রান করা তামিম।
তবে এদিন বাংলাদেশের হয়ে নামে প্রত্যেক ব্যটাসম্যান সুযোগ পেয়েও বড় স্কোর গড়তে না পারলেও ইতিবাচক বিষয় এটা যে তারা প্রত্যেকে রান পেয়েছেন এবং বিশ্বকাপের আগে অনেকে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন।
সূচি অনুযায়ী, আগামী বুধবার শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ এবং সিরিজের শীর্ষ দুই দল ১৭ মে ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৪৭/৯ (হোপ ৮৭, আমব্রিস ২৩, ব্রাভো ৬, চেইস ১৯, কার্টার ৩, হোল্ডার ৬২, অ্যালেন ৭, নার্স ১৪, রিফার ৭, কটরেল ৮*, রোচ ৩*; আবু জায়েদ ৯-১-৫৬-০, মাশরাফি ১০-০-৬০-৩, মিরাজ ১০-০-৪১-১, মুস্তাফিজ ৯-১-৪৩-৪, সাকিব ১০-১-২৭-১, সৌম্য ২-০-১৫-০)।
বাংলাদেশ: ৪৭.২ ওভারে ২৪৮/৫ (তামিম ২১, সৌম্য ৫৪, সাকিব ২৯, মুশফিক ৬৩, মিঠুন ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ৩০*, সাব্বির ০*; রোচ ৬-০-৪৬-১, কটরেল ৯.৮-০-৩৮-০, নার্স ১০-০-৫৩-৩, চেইস ৬-০-২৪-০, অ্যালেন ৩-০-১১-০, হোল্ডার ৮-১-৪৩-১, রিফার ৫-০-৩১-০)।