এর আগে বুধবার ভারতকে বিদায় করে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ড সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ফাইনাল খেলেছিল এবং ম্যাচটিতে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান।
এবার ফাইনাল খেলতে যাওয়া দুই দলের কেউই আগে বিশ্বকাপে জয় করতে পারেনি। অর্থাৎ, এ বছর ক্রিকেট বিশ্ব নতুন এক চ্যাম্পিয়ন পেতে যাচ্ছে। ১৪ জুলাই লর্ডসে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের বোলিং তোপে ৪৯ ওভারে ২২৩ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ড আট উইকেট হাতে রেখে ৩২ ওভার ১ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটিতে জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো যোগ করেন ১২৪ রান। বেয়ারস্টো ৪৩ বলে ৩৪ রানে ফিরে যাওয়ার পর জেসন রানের চাকা সচল রেখে ৬৫ বলে ৮৫ করে সাজঘরে ফেরেন। দলের পক্ষে বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করেন জো রুট (৪৯) ও অধিনায়ক ইউন মরগান (৪৫)।
অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স একটি করে উইকেট পান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা হয়েছিল খুবই বাজে। দলীয় মাত্র ১৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (০) ও ডেভিড ওয়ার্নার (৯) এবং এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া পিটার হ্যান্ডসকম্ব (৪) সাজঘরে ফেরেন।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও এবারের আসরে দুর্দান্ত পারফর্ম করা উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি।
তাদের জুটিতে আসে ১০৩ রান। এরপর ক্যারি (৪৬) আউট হয়ে গেলে আবারও বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন মার্ক স্টয়নিস।
মাঝে ম্যাক্সওয়েল (২২) স্টিভ স্মিথকে কিছুটা সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করেন। তবে বড় স্কোর গড়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ের পর দ্রুতই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন প্যাট কামিন্স (৬)।
একপ্রান্ত আগলে রেখে অজিদের হয়ে আশার আলো জ্বালিয়ে রাখা স্মিথ (৮৫) রানআউট হলে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ড আর বড় হয়নি। পরের বলেই আউট হন মিচেল স্টার্ক (২৯)।
অজিদের চারজন ব্যাটসম্যান ছাড়া আর কেউই দুই অংকের ঘর ছুঁতে পারেননি।
স্বাগতিকদের হয়ে ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ তিনটি করে এবং জোফরা আর্চার দুটি ও মার্ক উড একটি উইকেট লাভ করেন।