এম সাদ উদ্দিনের নাটকীয় গোলে বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এর এশিয়ান কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড-১ ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ।
অ্যাওয়ে গোলে দিনের মূল্যবান ড্রয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে হারিয়ে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পেল বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থানে ছিল দিনের ম্যাচটি।
৮৭তম মিনিটে বাংলাদেশের ডিফেন্ডার তারিক কাজীর ব্যর্থতা কাজে লাগিয়ে স্বাগতিক মালদ্বীপকে এগিয়ে দেন ফরোয়ার্ড হাসান নাজিম।
কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে (৯০+২ মিনিট) রাকিব হোসেনের পাস থেকে গোল করে স্বাগতিক দলকে সমতায় ফেরান বাংলাদেশের বদলি খেলোয়াড় মোহাম্মদ সাদ উদ্দিন( ১-১)।
আারও পড়ুন: এএফসি মহিলা এশিয়া কাপ: অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
গোলের পর জার্সি খুলে ফেলায় সাদ উদ্দিনকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করা হয়।
এর আগে ম্যাচের ৪০তম মিনিটে বাংলাদেশের ফয়সাল আহমেদ ফাহিম গোল করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন।
পরে রাকিব হোসেনও ভালো একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন।
১৯৮৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ, যেখানে মালদ্বীপের বিপক্ষে সাতটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
চলতি বছরের জুনে ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
২০০০ সালে মালেতে অনুষ্ঠিত গোল্ডেন জুবিলি টুর্নামেন্টে মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর গত ২৩ বছরে নিজেদের মাটিতে মালদ্বীপকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ওয়ালটন-ডিআরইউ মিডিয়া ফুটবল-২০২৩ শুরু
২০১১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মালদ্বীপের বিপক্ষে টানা চারটি পরাজয়ের পর ২০২১ সালের নভেম্বরে কলম্বোয় মাহিন্দা রাজাপাকসে কাপ ফুটবলে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশ।
২০১৬ সালে ফিফা ইন্টারন্যাশনাল প্রীতি ফুটবলে মালদ্বীপের বিপক্ষে ০-৫ গোলের বড় পরাজয় এবং ২০২১ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এবং ২০২২ সালে মালেতে প্রীতি ম্যাচে ০-২ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।
তবে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স উৎসাহব্যঞ্জক, কারণ তারা ২০২১ সাল থেকে মালদ্বীপের বিপক্ষে শেষ চারটি ম্যাচে দুটি ম্যাচ জিতেছে, গত জুনে বেঙ্গালুরুতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ৩-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে।
ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬-এর গ্রুপ পর্বে পৌঁছানোর জন্যই নয়, প্রায় এক বছর ফিফা/এএফসি'র কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে না পারা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা এড়াতেও মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই ম্যাচের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজে জয়ের খুব প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশ দলের।
এর আগে ২০১৬ সালে থিম্পুতে এএফসি এশিয়ান কাপের ফিরতি লেগের প্লে-অফ ম্যাচে ভুটানের কাছে ১-৩ গোলে হেরে দেড় বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ।
এক নম্বর গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার তপু বর্মণ ও সম্ভাবনাময় স্ট্রাইকার শেখ মোরসালিনের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও স্বাগতিক দল হিসেবে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ দল।
এর আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে ফিফা বিশ্বকাপের প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৩২তম স্থানে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের ফিফা টায়ার-১ আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল সিরিজ খেলে বাংলাদেশ এবং গত মাসে ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ও দ্বিতীয় ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে।
আরও পড়ুন: এশিয়ান নারী ফুটবল: বৃহস্পতিবার নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ