প্লে অফের দৌড় থেকে বাদ পড়া প্রথম দল সিলেট থান্ডার। আসরে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে একমাত্র খেলায় জয় পায় তারা। অন্যদিকে ওয়ারিয়র্স তাদের পঞ্চম জয়ের মধ্য দিয়ে ১০ পয়েন্ট নিশ্চিত করেছে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৪১ রান করে সিলেট থান্ডার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফারদিন হাসান ও শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গার উইকেট হারায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
তবে তিন নম্বরে ব্যাটিং নেমে অধিনায়ক ডেভিড মালান দেখেশুনে খেলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। ২টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কায় ৪৯ বলে ৫৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি। মালানের বিদায়ের পর আরেক অর্ধশতক তুলেন সৌম্য সরকার। ছয়টি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কার মারে ৩০ বলে ৫৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
সিলেট থান্ডারের নাইম হাসান ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার করেন জনসন চার্লস ও এবাদত হোসেন।
এর আগে টস জিতে সিলেট থান্ডারকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের স্কোর করে তারা।
আন্দ্রে ফ্লেচার ও আব্দুল মজিদের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ২৭ রান। ব্যক্তিগত ২২ রানে ফ্লেচার বিদায় নিলেও আরেক ওপেনার মজিদের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৫ রান (২টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা)। এরপর মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আর বড় স্কোর করতে না পারায় ১৪১ রানেই থেমে যায় সিলেটের রানের চাকা। আল আমিন হোসেন ও ডেভিড উইয়েস কুমিল্লার হয়ে নেন ২টি করে উইকেট।
এদিকে এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে সিলেট থান্ডারের বিপিএল শেষ হয়ে গেল। তবে ৮ ও ১০ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আরও দুটি ম্যাচ খেলবে ওয়ারিয়র্স। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে রাজশাহী রয়্যালস।