সোমবার বিসিবি সদরদপ্তরে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শ্রীলংকা সরকারের রেগুলেশন অনুসারে, বাইরের দেশ থেকে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যারা প্রবেশ করবেন, তাদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বিসিবির পক্ষ থেকে খেলোয়ার ও কোচিং স্টাফদের জন্য সেখানে মাত্র ৭ দিনের কোয়ারেন্টাাইন চাওয়া হয়েছিল।
কোয়ারেন্টাইন চলাকালে তিনবার কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। আর এসব টেস্টে নেগেটিভ আসা ক্রিকেটারই অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘শ্রীলংকা আমাদের যে শর্তাদি পাঠিয়েছে, তা অনুসরণ করা সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিরিজটি সম্ভব নয়। আমরা তাদের আমাদের অবস্থান জানাতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগে যা ভেবেছিলাম তা থেকে বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। আমাদের মনে হয়, ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করা অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে তাদের (শ্রীলংকা) ব্যবস্থা আলাদা।’
অন্যান্য দেশে, একটি বিদেশি দল সাতদিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইন পরে অনুশীলন শুরু করতে পারে। কিন্তু শ্রীলংকা তা না করে খেলোয়ারদের প্রত্যেককে হোটেল কক্ষে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে।
‘এটা বাচ্চাদের খেলা নয়, এটা আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। সুতরাং তারা আসলে যা বলতে চায়, আমরা সেটা বুঝতে অক্ষম,’ বলেন বিসিবি সভাপতি।