বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন পরাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা বাংলাদেশ ঐতিহাসিক ওই স্বীকৃতি অর্জনের ২০ বছর পূর্ণ করেছে।
১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে কেনিয়াকে হারিয়ে বাংলার টাইগাররা তাদের প্রথম বড় কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি হিসেবে আইসিসি ট্রফি জিতেছিল। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্ট মর্যাদার দাবি করছিল বাংলাদেশ।
১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম আইসিসি বিশ্বকাপে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত ও ঐতিহাসিক জয়ের পরে টেস্ট খেলুড়ে দেশ হয়ে ওঠার পথটি বাংলাদেশের জন্য কিছুটা মসৃণ হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে ২০০০ সালের ২৬ জুন ইংল্যান্ডের লর্ডসে আইসিসির বোর্ড সভায় তৎকালীন সভাপতি ম্যালকম গ্রে বাংলাদেশকে পূর্ণ মর্যাদার টেস্ট খেলুড়ে দেশের খেতাবে ভূষিত করেন।
তবে টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তির জন্য কেবল মাঠের খেলায় কয়েকটি জয়ই যথেষ্ট ছিল না। সেই সাথে ক্রিকেটের জন্য দেশে ভালো অবকাঠামো তৈরি ও কূটনৈতিক যুদ্ধও ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তখনকার সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর কৃতিত্বপূর্ণ চেষ্টা বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা অর্জনের পথে যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে।
তৎকালীন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি জাগমোহন ডালমিয়াও বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদা অর্জনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।