খবরটা জানা গিয়েছেল আগেই। শাভিকে বরখাস্ত করার দিনই ট্রান্সফার গুরু ফাব্রিৎসিও রোমানো জানিয়েছিলেন, ফ্লিকই হচ্ছেন বার্সেলোনার পরবর্তী কোচ। এমনকি চুক্তির বিষয়গুলোও বলে দিয়েছিলেন সেসময়। সবকিছু তার কথামতো ঘটে বুধবার কাতালুনিয়ার ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়েছেন হান্সি ফ্লিক।
আর্থিক বিপর্যয়ে থাকা ক্লাবটির জন্য শুরুতেই সাফল্য পেতে তাকে বেগ পেতে হবে- বিদায়বেলায় সেকথা বলে গিয়েছেন বার্সার কিংবদন্তি ফুটবলার শাভি এর্নান্দেস। তবে দলকে জয়ের ধারায় ফিরিয়ে শিরোপা সফলতাও এনে দেওয়ার প্রত্যয় ঝরল ফ্লিকের কণ্ঠে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর বার্সা টিভিকে ৫৯ বছর বয়সী এই জার্মান বলেন, ‘এই ক্লাবটির কোচ হওয়া আমার কাছে স্বপ্নের মতো, সম্মানেরও। অসাধারণ এই ক্লাবটিতে কাজ করার জন্য আমার তর সইছে না।
‘এখানে আসার পর থেকে দেখছি, ক্লাবটিকে সবাই খুব ভালোবাসে। ক্লাবের সাফল্যের জন্য সবাই নিজের সেরাটা দেয়।’
আরও পড়ুন: শাভি বরখাস্ত, বার্সার নতুন কোচ হচ্ছেন ফ্লিক
নিজের খেলোয়াড়ি দর্শন বার্সেলোনার সঙ্গে মিলে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বল দখলে রেখে খেলা, আক্রমণাত্মক ফুটবল- এর সবই আমার দর্শনের সঙ্গে যায়। এগুলো নিয়েই আমি কাজ করব।’
লা মাসিয়ার অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের কথা বলতেও ভুললেন না তিনি। বললেন, ‘লা মাসিয়া বিশ্বের সেরা মেধা বের করা অ্যাকাডেমিগুলোর একটি। অর্থাৎ, এখানে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেলে দারুণ একটি স্কোয়াড রয়েছে। এই স্কোয়াডের উন্নতি কীভাবে করা যায়, সেটিই দেখব আমি।
‘বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্বে থাকাকালে আমি বেশ কয়েকটি শিরোপা জিতি। শিরোপা জেতার সেই ক্ষুধা আরও বেড়েছে। আশা করছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এখানেও অনেক শিরোপা জিতব।’
সমর্থকদের উদ্দেশে ফ্লিক বলেন, ‘কুলের্স, আমার এই যাত্রায় আপনারাই সবচেয়ে বড় প্রেরণা। ক্লাবে আমার যত সফলতা আসবে, তা আপনাদের প্রচেষ্টার কারণেই আসবে। তাই আপনাদের সঙ্গে নিয়েই আমি সফলতার পথে অনেক দূর হাঁটতে চাই।
‘ভিসকা এল বার্সা!’
আরও পড়ুন: মেসি-বার্সা চুক্তির সেই বিখ্যাত টিস্যু বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
উল্লেখ্য, ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে ২০১৯-২০ মৌসুমে ট্রেবল জেতে বায়ার্ন মিউনিখ। সেবার জার্মানির বর্ষসেরা কোচও হন তিনি। এরপর সেভিয়ার বিপক্ষে উয়েফা সুপার কাপ ও পরবর্তীতে ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে বায়ার্নকে প্রথমবারের মতো সেক্সট্রাপল জেতান তিনি।
দুই মৌসুম বায়ার্নের দায়িত্বে থাকাকালে ক্লাবটিকে ৭টি শিরোপা (দুটি বুন্দেসলিগা, একটি করে ডিএফবি পোকাল, সুপার কাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ) জেতান তিনি। ফ্লিকের আমলে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মাত্র ৭ ম্যাচে হার দেখে বায়ার্ন মিউনিখ।