গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিসিবি ঘরোয়া ক্রিকেটের শেষ মৌসুমের খেলা আয়োজন করতে পারেনি। তবে, তারা গত বছরের শেষের দিকে বিসিবি প্রেসিডেন্ট কাপ এবং বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ আয়োজন করে। এই ম্যাচগুলোর সময় সকল খেলোয়াড় এবং সহায়তা কর্মীরা জৈব-সুরক্ষা বলয়ের অধীনে ছিলেন।
আরও পড়ুন:আইরিশ ক্রিকেটারের করোনা পজিটিভ, চট্টগ্রামে ম্যাচ পরিত্যক্ত
প্রেসিডেন্ট কাপে তিনটি দল ছিল এবং পাঁচটি দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপের আয়োজন করা হয়। তবে আরও অনেক দল ছিল যারা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ বা জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছিল এবং মহামারির সময় অনেক ক্রিকেটারকে দিয়ে খেলানো কঠিন ছিল।
নিজামুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটারকে টিকা দেয়ার চেষ্টা করছি। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (ক্রিকেটারদের জন্য টিকার ব্যবস্থা করতে ) একটি চিঠি দিয়েছে। আমরা তাদের জবাবের অপেক্ষায় আছি।’
আরও পড়ুন:এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘরোয়া ক্রিকেটের নতুন মৌসুম এপ্রিল মাসে হতে পারে। তবে বোর্ড এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেনি।
জাতীয় ক্রিকেট দলের বেশিরভাগ সদস্য ইতোমধ্যে টিকা পেয়েছেন এবং তারা ২০ মার্চ থেকে অনুষ্ঠিতব্য তিন ম্যাচের ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য নিউজিল্যান্ড সফরে আছেন।
আরও পড়ুন:করোনার টিকা নিলেন তামিম-সৌম্যরা
নিউজিল্যান্ড সিরিজের পরে টাইগাররা শ্রীলঙ্কায় দু'টি ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে যা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের একটি অংশ, যদিও এই সিরিজটি ফাইনালের লাইনআপে কোনো পরিবর্তন আনবে না। কারণ ভারত ও নিউজিল্যান্ড ইতিমধ্যে ফাইনালে উঠেছে।
শ্রীলঙ্কা সফর সম্পর্কে নিজামুদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কলম্বোতে থাকবে এবং টেস্ট দুটি একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সম্ভবত এপ্রিলের ১২ তারিখে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারে এবং সেখানে পৌঁছানোর পর তাদেরকে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।’
টেস্ট সিরিজ শেষে শ্রীলঙ্কা মে মাসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ সফর করবে।
নিজামুদ্দিনের তথ্যমতে, ২০ মে শ্রীলঙ্কা দল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।