ঘরের মাঠে দিনামো জাগরেবকে ৯-২ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে দুর্দান্ত শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে হারের পর বার্সেলোনার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে আত্মবিশ্বাসের বেলুন চুপসে গিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখের। তবে চতুর্থ ম্যাচে এসে ফের জিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন হ্যারি কেইন-থমাস মুলাররা।
আলিয়ান্স আরেনায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে বেনফিকাকে ১-০ গোল হারিয়েছে ভিনসেন্ট কোম্পানির বায়ার্ন।
হ্যারি কেইনের পাঠানো ক্রসে বুলেট হেডারে ৬৭তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন বায়ার্নের প্রতিভাবান তরুণ জামাল মুসিয়ালা।
আরও পড়ুন: রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
এদিন বায়ার্নের ডেরায় ঢুকে ম্যাচজুড়ে একেবারে কোণঠাসা হয়ে ছিল পর্তুগিজ ক্লাবটি। মাত্র ২৬ শতাংশ সময় বলের ওপর দখল রাখতে পারলেও একবারও গোলে শট নিতে পারেনি বেনফিকার খেলোয়াড়রা। ম্যাচে মাত্র একবার শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করে তারা, সেটিও লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হয়।
অন্যদিকে, ৭৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখে মোট ২৪টি শট নেয় বায়ার্ন, যার ১০টিই ছিল লক্ষ্যে। তবে কোনোভাবেই ওই একবার ছাড়া আর বেনফিকার জমাট রক্ষণ ভেঙে জাল খুঁজে পায়নি তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলেনে বায়ার্ন বস কোম্পানি বলেন, ‘(আজকে) যা করেছি, তা একেবারে মন্দ নয়। তবে আমাদের আরও ভালো করার জায়গা রয়েছে। সর্বোপরি, খেলোয়াড়দের ওপর আমার যথেষ্ট আস্থা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজির নাটকীয় হার
তবে বলের ওপর আরেকটু দখল রাখতে পারলে ফল ভিন্ন হতে পারত বলে মনে করেন বেনফিকা কোচ ব্রুনো লাগে।
তার ভাষ্যে, ‘আমাদের আরও একটু পজেশন দরকার ছিল। বলের নিয়ন্ত্রণ, সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় থাকার মতো খেলোয়াড় আমাদের দলে আছে। এ ধরনের চাপ সামলানোর সামর্থ্যও ছেলেদের আছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত প্রথমার্ধে আমরা এগুলোর কোনোটিই কাজে লাগাতে পারিনি।’
‘আমি জানতাম, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপও কমে যাবে আর আমরা আরও বেশি পজেশন পাব। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তা আর হয়ে ওঠেনি।’
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৭তম স্থানে উঠেছে বায়ার্ন। সমান পয়েন্ট নিয়ে ১৯তম স্থানে বেনফিকা।
আরও পড়ুন: দাপট দেখিয়েও ইন্টারের মাঠে হারল আর্সেনাল