আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি শুরু হবে।
২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান সাদমান বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ নিয়ে বেশি ভেবে বাংলাদেশ ঘুম নষ্ট করছে না।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বিশেষ করে রশিদ খানকে নিয়ে বাংলাদেশ খুব বেশি ভাবছে না।
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাদমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রশিদ খানকে নিয়ে আমাদের বিশেষ কোনো ভাবনা নেই। কারণ আমরা নিয়মিত টেস্ট খেলুড়ে দেশ। ছোট পরিসর আর দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। অনেক দেশের চেয়ে আমরা স্পিন ভালো খেলি। সুতরাং, রশিদ খান বা তার সতীর্থদের নিয়ে আমাদের বেশি ভাবার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।’
‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমরা অনেক বিশ্বমানের স্পিনারের বল খেলে থাকি। তাদের চেয়ে আফগান স্পিনাররা সামান্য ভালো। আমরা যদি তাদের হালকা অতিরিক্ত সতর্ক নিয়ে খেলি তাহলে কোনো সমস্যা হবে না। তাদের বৈচিত্র নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বৈচিত্র ধরে রেখে রশিদ খান এবং মোহাম্মাদ নবী দীর্ঘ সময় ধরে বল করতে সক্ষম,’ যোগ করেন তিনি।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয় সাদমানের এবং প্রথম ম্যাচেই ফিফটি করেন তিনি।
৪৬টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে সাতটি শতক ও ১৮টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৪৫.৮১ গড়ে ৩ হাজার ২৯৯ রান করেন সাদমান। কয়েক বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি। এই ধারাবাহিকতার পুরস্কার হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে দলে সুযোগ পান এ বামহাতি ব্যাটসম্যান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজেও খেলবেন না তামিম। অতিরিক্ত ক্রিকেটের চাপ থেকে বিশ্রামের জন্য সিরিজে নেই তিনি। তামিমের অনুপস্থিতিতে আবারও টাইগারদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামার চ্যালেঞ্জ সাদমানের সামনে।
সাদমান বলেন, ‘আমি সবসময়ই আমার স্বাভাবিক খেলা উপহার দেয়ার চেষ্টা করি। ডিসেম্বরে আমি যখন আমার ক্যারিয়ার শুরু করি তখন তামিম ভাইকে সঙ্গী হিসেবে পাইনি। আমি সৌম্য (সরকার) ভাইয়ের সাথে ইনিংস ওপেন করি। সুতরাং আমি আবারও এটি করার জন্য প্রস্তুত। আমার স্বাভাবিক খেলাটা উপহার দেয়ার চেষ্টা করবো।’
টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে নির্বাচকরা দল চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচকদের কাছের কয়েকজন জানিয়েছেন, ৩০ অথবা ৩১ আগস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। টেস্ট সিরিজ শেষে আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়েকে সাথে নিয়ে ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ আয়োজন করবে বাংলাদেশ।