শনিবার মিরপুর টেস্টে টাইগারদের ৫০৮ রানের ইনিংসের পর দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় সেশনে খেলতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ৭৫ রান।
দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো পেসার ছাড়া অল-স্পিন আক্রমণ নিয়ে খেলতে নামার চ্যালেঞ্জে যথার্থ সফলতা পেল সাকিব ও তার দল।
শিমরন হেটমায়ার ও শেন ডওরিচের ৪৬ রানের পার্টনারশিপ না হলে, কে জানে, হয়তো উইন্ডিজকে আবারও প্রথম থেকে খেলা শুরু করতে হতো! কারণ ২৯ রান তুলতেই তাদের টপ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে তুলে নেন সাকিব-মিরাজ।
অধিনায়ক সাকিব ও মিরাজের একের পর এক ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্র্যাথওয়েট, পাওয়েল, হোপ, অ্যামব্রিস ও চেজ। এর মধ্যে ব্র্যাথওয়েট ও অ্যামব্রিসের উইকেট দুটি নেন সাকিব এবং অপর তিনটি নেন মিরাজ।
শতক, অর্ধশতকসহ বাংলাদেশের ১১জনই যেখানে ন্যূনতম ‘ডাবল ফিগারের’ দেখা পেয়েছেন, সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজদের টপ পাঁচ ব্যাটসম্যানের মাত্র একজন এই ডাবল ফিগারের দেখা পেয়েছেন। মিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শাই হোপ করেন সেই ‘ডাবল ফিগার’ ১০ রানের ইনিংস!
বর্তমানে ক্রিজে থাকা হেইটমায়ার ও ডওরিচ জুটি শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে শেষ পরযন্ত অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছেন। হেইটমায়ার ৩২ ও ডওরিচ ১৭ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
তবে বিপর্যয়ে পড়া উইন্ডিজকে সামাল দেয়া হেইটমায়ারকেও প্যাভিলয়নের পথ দেখিয়েছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হওয়া নাঈম হাসান। তার ঘূর্ণিতে বল প্যাডে আঘাত আনলে ফিল্ড আম্পায়ার তাকে আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সহ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ক্যারিয়ার সেরা শত রানের ইনিংস (১৩৬) এবং অভিষিক্ত সাদমান (৭৬), অধিনায়ক সাকিব (৮০) ও বিকল্প উইকেট রক্ষক হিসেবে হঠাৎ দলে ফেরা লিটন দাসের (৫৪) অর্ধশতকের সৌজন্যে ৫০৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।