ব্যাকআপ হিসেবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে যুক্ত হন মোসাদ্দেক। কিন্তু আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ে সাহায্য করেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান, যা তাকে একাদশে সুযোগ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ২৪ ওভারে ২১০ রান। মোহাম্মাদ মিথুনের আউটের পর উইকেটে আসেন মোসাদ্দেক। তখন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৫০ বলে ৬৭ রান। মোসাদ্দেক ২৩ বলে ৫টি বিশাল ছক্কায় অর্ধশত করেন।
তার এই বিস্ফোরক ইনিংসে বাংলাদেশ ২২.৫ ওভারে ২১০ রান করে।
এই ইনিংসটিই বিশ্বকাপে সাব্বিরের পরিবর্তে মোসাদ্দেককে সাত নম্বরে খেলানোর জন্য টিম ম্যানেজম্যান্টকে ভাবাচ্ছে।
এদিকে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে তিন নম্বরে নামেন সাব্বির। তবে ব্যর্থ হন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
একাদশে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মোসাদ্দেক বলেন, নিজের সুযোগ পাওয়ার জন্য দলের অন্য কেউ খারাপ খেলুক তা তিনি চান না।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ্দেক বলেন, ‘কেউ খারাপ করলে দলে সুযোগ পাবো এমনটা আমি চাই না। আমি সাব্বিরকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি না। আমি চাই সবাই ভালো খেলুক, বাংলাদেশ ভালো খেলুক। সবকিছুর আগে দল।’
অন্যদিকে বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সাব্বির রহমান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পর এ কথা বলেন তিনি।
সাব্বির বলেন, ‘ত্রিদেশীয় সিরিজে আমি ব্যাট করার যথেষ্ট সময় পাইনি। প্রস্তুতি ম্যাচ আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমি খুবই হতাশ যে আমরা একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারিনি। বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে আমি সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করবো।’