রাজনৈতিক ও সামাজিক ন্যায় বিচারের জন্য সংগ্রাম করে বিদ্রোহী কবির খেতাব পাওয়া নজরুল ৭৭ বছর বয়সে বাংলা ১৩৮৩ সালের ১২ ভাদ্র (১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট) ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়।
বাংলা সাহিত্যের বিস্ময়কর প্রতিভা নজরুলের রচনায় বিদ্রোহী চেতনার যেমন অসামান্য রূপায়ণ ঘটেছে তেমনি প্রেম-প্রকৃতি ও নৈসর্গিক সৌন্দর্যবোধ প্রতিফলিত হয়েছে।
জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো কবির জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ফজরের নামাজের পর কোরআনখানির মাধ্যমে কর্মসূচির শুরু হবে। সেই সাথে ক্যাম্পাসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
এদিকে, জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ আগস্ট বিকাল ৪টায় একক বক্তৃতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি। কবি শামসুর রহমান সেমিনার কক্ষে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। পরে আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শনার্থীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করবেন।
নজরুল ইনস্টিটিউট জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘নজরুল পদক ২০১৭’ বিতরণ করবে। এতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে এদেশের মানুষকে মুক্তিসংগ্রামে অনুপ্রাণিত করেছেন, জাগ্রত করেছেন বাঙালি জাতীয়তাবোধ। বিদ্রোহী কবির অগ্নিঝরা কবিতা ও গান মহান মুক্তিযুদ্ধে ছিল অনন্ত প্রেরণার উৎস।
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।