মেলা উপলক্ষে গাঙ্গী (কুস্তি) খেলা, ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস এবং মেয়েদের জন্য মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে বিতরণ করা হয় পুরস্কার।
শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে পৌষমেলা হয়ে উঠে জমজমাট ও প্রাণবন্ত।
মেলা আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক শেখ মমতাজ হোসেন বলেন, নবীনগরের পৌষমেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ গাঙ্গী খেলা। এটি কোথাও কুস্তি আবার কোথাও বলি খেলা নামে পরিচিত। বড়-মাঝারি-ছোট এ তিন গ্রুপে গাঙ্গী খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি জানান, প্রতি বছর ছাওয়াল পীরের দরগাহ সংলগ্ন মাঠে পৌষ মাসের শেষদিকে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। নবীনগর এলাকাবাসী প্রায় দুই শ বছরের বেশি ধরে এ মেলার আয়োজন করে আসছে। মেলা ঘিরে নবীনগর ও আশপাশের এলাকার বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়েরা বাবার বাড়ি নাইওর আসে।
পৌষমেলায় বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও বাংলার ঐতিহ্যবাহী মজাদার খাবারের দোকানের পসরা বসেছিল। পাশাপাশি ছিল মৃৎশিল্পীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও তৈজসপত্র এবং মেয়েদের প্রসাধনীর দোকান। মেলায় ভালো কেনাবেচা হয়েছে বলে জানান দোকানিরা।